বরাবরই প্রিমিয়ার লীগের “দর্শনার্থী দল” হিসেবে খ্যাত ফুলহ্যাম এবার আবারো চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে ফিরে এসেছে ইংলিশ টপ ফ্লাইট বা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। আরও একটি বার তারা নিশ্চিত করতে চাইবে যেন তারা এক মৌসুম প্রিমিয়ার লীগে কাটিয়েই আবার রেলিগেটেড না হয়ে যায়, এবং উপরে উল্লিখিত তকমাটি তাদের জন্য স্থায়ী না হয়ে যায়।

তারা প্রিমিয়ার লীগে ফিরে এসেছে গত মৌসুমে ইংলিশ দ্বিতীয় টিয়ার বা ইএফএল স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাটি জেতার পর। উক্ত প্রতিযোগিতাটি জেতার পথে তারা একটি অসাধারণ ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল, যার ফল হিসেবে তারা মৌসুমশেষে ৯০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হয়েছিল এবং একই সাথে মৌসুমের ৪৬টি ম্যাচে করতে পেরেছিল ১০৬টি গোল। ইংলিশ সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবলের যেসকল দলকে তারা তুলোধুনো করেছিল তার মধ্যে অনেকগুলিই ছিল সাজানো গোছানো, আবার অনেকগুলি ছিল প্রচুর পরিমাণে অগোছালো।

এই চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপাটি ছিল গত ২১ বছরে ফুলহ্যামের জেতা প্রথম শিরোপা। ২০০০-০১ মৌসুমে তারা সর্বশেষ এই একই শিরোপাই জিততে সক্ষম হয়েছিল। এবারের প্রমোশনের আগে তাদের সকল প্রিমিয়ার লীগ প্রমোশনই সম্পন্ন হয়েছিল চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ এর মাধ্যমে।

তারা গত মৌসুমের পুরোটা জুড়েই খেলেছিল বেশ মজার এবং উপভোগ্য ফুটবল এবং এবার তারা শিরোপাটিও জিতেছে, যার ফলে তাদের সমর্থকদের মধ্যে এমন আশার উদ্রেক ঘটেছে যে, এবার হয়তো ফুলহ্যাম পারবে প্রিমিয়ার লীগে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে। এছাড়া যেহেতু তাদের বর্তমান ম্যানেজার মার্কো সিলভা’র বেশ ভালো পূর্ববর্তী প্রিমিয়ার লীগ অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেহেতু তারা টিকে থাকার প্রত্যাশা করতেই পারে, এমনকি মৌসুমশেষে তারা লীগের শীর্ষ ভাগে নিজেদেরকে দেখার স্বপ্নও পুষতে পারে।

২০২১-২২ মৌসুমে স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপে ফুলহ্যামের যাত্রা (Fulham in the 2021-22 Sky Bet Championship)

গত মৌসুমের শুরুতেই মার্কো সিলভার উপর ফুলহ্যামের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, এবং তিনি এক মৌসুমেফ মাথায়ই দলটিকে প্রিমিয়ার লীগে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন, যা ছিল তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। এখানে মুখ্য বিষয় এই নয় যে কটেজাররা প্রিমিয়ার লীগে প্রমোশন পেয়েছে। এখানে মুখ্য বিষয় এই যে,তাদের খেলার মধ্যে যে নতুন একটি আভা ফুটে উঠেছে এবং দলটির ক্রীড়া দর্শনেও যে বড়সড় একটি পরিবর্তন এসেছে, তাই একাধারে নিরপেক্ষ দর্শক, ফুটবল বোদ্ধা, এবং দলটির নিজস্ব সমর্থকদের মনে প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছে। তাদের করা ১০৬টি গোলও হচ্ছে গত ২০ বছরেরও বেশি সময়কালে একই মৌসুমে করা কোন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ গোল ট্যালি।

তবে, এটিও না বললেই নয় যে, স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়লাভ করার পথটি তাদের জন্যও ছিল বেশ দুর্গম এবং কাঁটায় ভরা। যেসব ম্যাচ তাদের জন্য কম কঠিন ছিল, বা যেসব ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কিছুটা দূর্বল ছিল, সেসব ম্যাচে তারা প্রচুর গোল করতে সক্ষম হয়েছিল, যা তাদের গোল ব্যবধানকেও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে তুলনামূলকভাবে যেসকল দল ফুলহ্যামের চেয়ে উৎকৃষ্ট ফুটবল খেলে থাকে, সেসকল দলকে হারানো তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল।

পড়ুন:  প্রিমিয়ার লিগের শিরোনাম বিজয়ী: যাদের সবচেয়ে বেশি ট্রফি রয়েছে

তবে, এটিও বলতেই হয় যে, যেসব দলে তাদের চেয়ে শ্রেয় গোলস্কোরার ছিল, এবং যেসব দলের ডিফেন্স ছিল তাদের চেয়ে শক্ত, সেসব দলকে হারানো নিয়ে বেশ চিন্তা ভাবনা করে এগুতে হয়েছিল ফুলহ্যামকে।

গত কয়েকবার প্রিমিয়ার লীগে খেলার সময় যেমন রণকৌশল তারা অনুসরণ করেছিল, বিশেষ করে স্কট পার্কার ম্যানেজার থাকাকালীন সময়ে (যিনি কিনা এখন এএফসি বোর্নমাউথের ম্যানেজার), এখনো ফুলহ্যামের খেলার কৌশল অনেকটা তেমনটিই রয়েছে। তবে, এবার তাদের মধ্যে একটি ব্যাপার রয়েছে, যা আগে কখনোই ছিল না, এবং সেটি হল – দলগত উদ্দীপনা। তাদের বর্তমান হেড কোচ মার্কো সিলভা, যিনি এর আগে ইংল্যান্ডের টপ ফ্লাইটের তিনটি আলাদা আলাদা ক্লাবে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন (ওয়াটফোর্ড, এভারটন এবং হাল সিটি), চাইবেন যেন তিনি তার দলের মধ্যে থেকে সেই উদ্দীপনাটি বের করে আনতে পারেন। যেহেতু তিনি এই দলটির বিকাশ একদম প্রাথমিক পর্যায় থেকে দেখে আসছেন, তাই মার্কো সিলভা এই ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীই হবেন যে, ফুলহ্যামকে প্রিমিয়ার লীগে টেকানোর জন্য তিনিই সেরা প্রার্থী।

২০২১-২২ মৌসুমের স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় ফুলহ্যাম যেভাবে জয়লাভ করে (How Fulham won the 2021-22 Championship title)

ফুলহ্যাম গত মৌসুমে তাদের শেষ ম্যাচের আগের ম্যাচে চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফে অংশগ্রহণকারী লাটন টাউনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদেরকে স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতার গৌরবে ভাসিয়ে দেয়, যেই শিরোপাটি এর আগের মৌসুমে অর্জন করেছিল নরউইচ সিটি।

শুধু তাই নয়, গত মৌসুমে তাদের সর্বশেষ খেলায় ফুলহ্যাম আরেক প্রমোশন প্লে-অফ প্রার্থী শেফিল্ড ইউনাইটেডকেও উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। ফুলহ্যামের একটিই অনুশোচনা থেকে যাবে, এবং তা হল যে তারা একটুর জন্য ম্যানচেস্টার সিটি’র গড়া একটি রেকর্ড ছুঁতে পারেনি। শেষ যেবার ম্যান সিটি ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় সারির এই লীগটিতে খেলেছিল, সেবার তারা ১০৮টি গোল করতে সক্ষম হয়েছিল। ফুলহ্যাম এবার আর মাত্র ২টি গোল বেশি করতে পারলেই সেই রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলতে পারতো।

মার্কো সিলভা দলটির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি দলটির ক্রীড়াকৌশলে ৪-৩-৩ ফর্মেশনটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন, এবং তা সফলও হয়েছে। যদিও, শুরুতে অনেকেই ভেবেছিলেন যে, সে সময় ফুলহ্যাম দলে যেসকল খেলোয়াড়েরা ছিলেন তারা এই ফর্মেশনটিতে খেলার উপযুক্ত নন।

ফুলহ্যামের মৌসুমটি শুরুই হয়েছিল তাদের রেকর্ড ভাঙা স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ এর করা একটি বিষ্ময়কর গোল দিয়ে। সেই গোলটিই ছিল মৌসুমজুড়ে তার করা মোট ৪৩টি গোলের প্রথমটি। সার্বিয়ান এই স্ট্রাইকারটির এত উঁচু গোল ট্যালির জন্য দায়ী হলেন ফুলহ্যাম আক্রমণভাগে তার সাথীরা — টম কেয়ার্নি, নিস্কেন্স কেবানো, হ্যারি উইলসন, এবং ফ্যাবিয়ো কার্ভালহো।

এতগুলি গোল করার মাধ্যমে মিত্রোভিচ হয়েছেন স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার ইতিহাসে একই মৌসুমে করা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের মালিক, যে রেকর্ডটি গত বছরই নিজের নামে করেছিলেন ব্রেন্টফোর্ড ফরোয়ার্ড আইভান টনি। তবে, তার এই বিশাল গোল ট্যালির পুরো কৃতিত্ব তিনি একা নিতে গেলে তা হয়ে যাবে একরকমের প্রপঞ্চ, কারণ তার যতটুকু কৃতিত্ব, তার চেয়েও বেশি কৃতিত্ব তাদের যারা তার জন্য এসকল গোল তৈরি করে দিয়েছেন, অর্থাৎ উপরিউক্ত প্লেমেকার বা উইংগাররা, যারা তাকে কেন্দ্র করেই খেলেছেন।

পড়ুন:  কেন এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি তুলবে আর্সেনাল

এছাড়া মৌসুমজুড়েই তাকে তার সেরাটি দিতে বাধ্য করেছিলেন বোর্নমাউথ ফরোয়ার্ড ডমিনিক সোলাঙ্কি, যার করা ৩০টি গোলের উপর ভর করেই বোর্নমাউথ প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে প্রিমিয়ার লীগে প্রমোশন অর্জন করেছে, এবং মৌসুমজুড়ে ফুলহ্যামকে চাপের মুখে রাখতে পেরেছে।

ফুলহ্যামের জন্য অপরিহার্য যেসকল খেলোয়াড়েরা (Key players for Fulham)

কিভাবে ফুটবল মাঠের শেষ তৃতীয়ার্ধে ফুলহ্যামের যেকোন পজিশনের যেকোন খেলোয়াড়ই গত মৌসুমজুড়ে ছিলেন একদম নিখুঁত, এবং কিভাবে গোলের সামনে এতটা নির্ভুল ও হিংস্র হয়ে উঠেছিলেন মিত্রোভিচ, তা বুঝতে হলে আপনাকে ফুলহ্যাম দলটিতে হ্যারি উইলসনের গুরুত্বটি জানতে হবে।

এর ঠিক আগের মৌসুমের মিত্রোভিচ গোলের অভাবে ভুগছিলেন। কিন্তু, গত মৌসুমের শুরুতেই হ্যারি উইলসন দলটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সেই চিত্রটি পুরোপুরি পাল্টে যায়। মিত্রোভিচ যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন। ওয়েলশ মিডফিল্ডার হ্যারি উইলসন অসম্ভব সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে গত মৌসুমে ১৯টি এসিস্ট এবং আরো অনেকগুলি প্রি-এসিস্ট অর্জন করে নিতে সক্ষম হোন।

গোলের সুযোগ তৈরির দিক দিয়েও উইলসন হলেন একজন ভরসার নাম এবং মৌসুমজুড়েই ফুলহ্যাম যেসকল গোল করতে সক্ষম হয়, তার বেশির ভাগই তৈরি করে দিয়েছেন এই হ্যারি উইলসন। এছাড়া, ১০ বারের মত তিনি বলকে প্রতিপক্ষের গোলেও জড়াতে সক্ষম হয়েছেন।

যেকোন দিক থেকে দেখলেই বোঝা যায় যে, ২৫ বছর বয়সী উইলসন এখন একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। তার অসাধারণ দক্ষতাই দলটিকে করেছে আরো শক্তিশালী এবং সিলভাকেও এনে দিয়েছে এক অন্যরকম প্রশান্তি। তিনি এর আগে যেসব দলে লোন স্পেল কাটিয়েছেন (যেমন হাল সিটি, কার্ডিফ সিটি, ডার্বি কাউন্টি ইত্যাদি), সেসকল দলই তার লোন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাকে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। এ থেকেই তার পারফর্মেন্স এর ধার এবং বোল পায়ে তার দক্ষতা সম্পর্কে অনেকটা বোঝা যায়। এর আগে তিনি একবারই প্রিমিয়ার লীগে একটি পুরো মৌসুম কাটিয়েছেন। ২০১৯-২০ এর সেই মৌসুমে বোর্নমাউথের হয়ে তিনি সাতটি গোল করতে সক্ষম হোন, যা তাকে করেছিল সেই মৌসুমে ক্যালাম উইলসন এর সাথে সম্মিলিতভাবে দলটির সর্বোচ্চ গোলদাতা।

হ্যারি উইলসন দলে থাকায় ফুলহ্যাম বেশ কিছু ঘাতক অস্ত্র হাতে পায়। বিশেষ করে, উইলসন এর পাশাপাশি তাদের আক্রমণভাগে মিত্রোভিচের চতুর্দিকে হ্যারিসন রিড, এবং ফাবিও কার্ভালহো’র মত খেলোয়াড়েরা থাকাতে চ্যাম্পিয়নশিপের অন্য কোন দলই ফুলহ্যামের কাছে টিকতেও পারেনি। এছাড়া, তাদের রক্ষণভাগে ছিল দুই যুবা ও আত্মবিশ্বাসী সেন্টার ব্যাক — টিম টিইম এবং খুবই প্রতিভাবান ও ম্যান সিটির সাবেক একাডেমি খেলোয়াড় তসিন আদারাবিয়োয়ো। ডিফেন্স মজবুত থাকাতেই অ্যাটাকে তারা বেশি সক্রিয় হতে পেরেছিল।

পড়ুন:  জিয়ানলুইজি বুফন সৌদি প্রো লীগে যোগদানের জন্য £25 মিলিয়ন চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন

যেভাবে তারা আগামী মৌসুমে রেলিগেশন থেকে বাঁচতে পারেন (How they can survive the drop next season)

মার্কো সিলভা তার দলটিতে বেশ কিছু নতুন মুখ আনতেই পারেন, যা দলের শক্তি বাড়াতে সক্ষম হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সাবেক ফুলহ্যাম খেলোয়াড় পল পার্কার তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। পার্কার ক্রেভেন কটেজে খেলেছিলেন ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত, এবং এর ১০ বছর পরে তিনি আবারো দলটিতে ফিরেছিলেন কিছু সময়ের জন্য। তিনি সিলভাকে বলেছেন ফুলহ্যামকে প্রিমিয়ার লীগে টিকিয়ে রাখার জন্য তার কি কি করা দরকার।

ফুলহ্যাম প্রমোশন অর্জনের পর বিবিসি’কে দেওয়া তার এক সাক্ষাৎকারে পার্কার বলেন, “ফুলহ্যাম এ পর্যন্ত যেভাবে খেলে এসেছে, সেই পদ্ধতিটি তাদের পরিবর্তন করতে হবে; তারা খুবই ধীর গতিতে খেলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ধরুন, ব্রাইটনের মত একটি দল, যারা অনবরত প্রেসিং করতেই থাকে এবং মিডফিল্ড দিয়ে খুব দ্রুত বল এগিয়ে নেয়, তাদের বিপক্ষে যখন ফুলহ্যাম খেলতে নামবে, তখন তারা তুলোধুনো হয়ে যাবে বলেই মনে হয়।”

“ফুলহ্যামের সামনে এখনো একটি দীর্ঘ পথ। আমি তো বলব যে, তাদের প্রথম একাদশে এখনো কমপক্ষে ৪ জন নতুন খেলোয়াড়কে ঢুকাতেই হবে। তাদের এমন কিছু খেলোয়াড় দরকার যাদের প্রিমিয়ার লীগ বা বিদেশী কোন বিখ্যাত লীগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে,” বলেছেন এই সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রাইট ব্যাক।

তিনি আরো বলেন, “মিত্রোভিচের তার আশেপাশে আরো কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় দরকার, যারা তাকে সাহায্য করতে পারবে। যখনই মিত্রোভিচ ফুলহ্যামের হয়ে এর আগে প্রিমিয়ার লীগে খেলেছেন, তখনই তিনি খুবই নিম্নমানের একটি দলের অংশ হয়েই খেলেছেন।”

ফুলহ্যামের কাদেরকে সাইন করানো উচিৎ? (Who should Fulham sign?)

হয়তো সাক্ষাৎকারটিতে পার্কার যতগুলি সাইনিং এর কথা বলেছেন, বাস্তবে ফুলহ্যামের ততগুলি সাইনিং এর দরকার নেই। তবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ কারো মনেই নেই যে, কিছু গুণসম্পন্ন অ্যাটাকিং খেলোয়াড়দের দলে নেওয়াটা মার্কো সিলভার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হ্যাঁ, মিত্রোভিচ গত মৌসুমে খুব ভালো ফর্মে ছিলেন, এবং তাকে আক্রমণভাগে সঙ্গ দেওয়ার জন্য দলে হ্যারি উইলসনের মত প্রতিভাও রয়েছেন। কিন্তু, এই সার্বিয়ান যখনই ফর্মের বাইরে থাকবেন, তখনও কিন্তু দলটির গোলের প্রয়োজন পড়বে এবং সেসব গোল করার দায়িত্ব তখন দলের অন্যান্য অ্যাটাকারদের উপরই বর্তাবে। বিগত মৌসুমটিতে তাদের মাত্র তিনজন খেলোয়াড়ই ১০ টির বেশি গোল করতে সমর্থ্য হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন, ফাবিও কার্ভালহো, গত মৌসুমের শেষে প্রিমিয়ার লীগ রানার্স আপ লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন।

মার্কো সিলভার জন্য আরেকটি চিন্তার জায়গা হল তার দলের রাইট ব্যাক পজিশনটি, কারণ গত মৌসুমে ফুলহ্যামের হয়ে সেই পজিশনটিতে খেলা নিকো উইলিয়ামস তার লোন স্পেল শেষে ক্রেভেন কটেজ ছেড়ে তার প্যারেন্ট দল লিভারপুলে ফিরে গিয়েছেন। এসকল পজিশনে এক বা একাধিক খেলোয়াড় দলে নিতে পারলে তবেই ফুলহ্যাম ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে টিকে থাকতে পারবে বলে আমরা মনে করি।

Share.
Leave A Reply