২০২২-২৩ মৌসুমকে সামনে রেখে প্রিমিয়ার লীগ এখন তার সম্পূর্ণ গঠন অর্জন করে ফেলেছে, কারণ গত মৌসুমের তিনটি রেলিগেটেড দলের (বার্নলি, ওয়াটফোর্ড ও নরউইচ) বদলে তিনটি নতুন দল চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রমোশন পেয়ে প্রিমিয়ার লীগে প্রবেশ করেছে। দুই বছর প্রিমিয়ার লীগ থেকে দূরে থাকার পর এএফসি বোর্নমাউথ আবার লীগটিতে ফিরে এসেছে, ফুলহ্যাম সেখানে ফিরছে ১ বছর পর, আর নটিংহ্যাম ফরেস্ট, যারা কি না রূপকথার মত একটি মৌসুম পার করেছে, প্রিমিয়ার লীগে ফিরছে ২৩ বছর পর।
তিনটি দলই তাদের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা চালিয়েছে প্রিমিয়ার লীগে তাদের স্থানটি পুনরুদ্ধার করতে, বিশেষ করে নটিংহ্যাম ফরেস্টের কথা এখানে আলাদা করে না বললেই নয়, কারণ ২০২১-২২ মৌসুমের শুরুতে তারা স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার তলানিতে অবস্থান করছিল। নতুন মৌসুমটি প্রাণবন্ত এবং উত্তেজনায় ভরপুর হতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছে, এবং এই সদ্য প্রমোটেড ক্লাবগুলি যখন প্রিমিয়ার লীগের রাঘব বোয়ালদের বিপক্ষে মাঠে নামবে, তখন তারাও চাইবে পূর্ণাঙ্গভাবেই নিজেদের উপস্থিতির জানান দিতে।
এখানে আমরা এই নতুন তিনটি প্রমোটেড দলের দিকে এক নজর তাকাবো, যারা কি না মুখিয়ে আছে প্রিমিয়ার লীগের ২০২২-২৩ মৌসুমটির শুরুর জন্য।
ফুলহ্যাম (Fulham)
একটানা বহুদিন প্রিমিয়ার লীগে কাটানোর পর ফুলহ্যাম যখন ২০১৩-১৪ মৌসুমের শেষে রেলিগেটেড হয়ে যায়, তার পর থেকেই প্রিমিয়ার লীগে ফেরা এবং সেখানে টানা একটির বেশি মৌসুম কাটানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে ক্লাবটির জন্য। এখন যখন তারা আবারো প্রিমিয়ার লীগ স্ট্যাটাসটি ফিরে পেয়েছে এবং নতুন মৌসুমের শুরুর জন্য অপেক্ষা করছে, তখন বলাই বাহুল্য যে, এবার তারা চাইবে পূর্বের গ্লানি মুছে ফেলে একাধিক মৌসুমের জন্য প্রিমিয়ার লীগে অবস্থান করতে।
বর্তমানে কটেজার’দের দায়িত্বে রয়েছেন পর্তুগিজ কোচ মার্কো সিলভা, যিনি কি না এর আগে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়াটফোর্ড, এভারটন এবং হাল সিটি’র মত ক্লাবগুলিতে। অসাধারণ এই ট্যাকটিশিয়ান এর প্রিমিয়ার লীগে কোচিং করানোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও, লীগটিতে তার বা তার সাবেক দলগুলির ভাগ্য খুব একটা সুপ্রসন্ন হয়নি। তবে, এবার তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েই প্রতিযোগিতাটিতে প্রবেশ করবেন, কারণ যেসকল খেলোয়াড়েরা তার দলে রয়েছেন, তাদের সবাইকেই তিনি নিজ হাতে গড়েছেন গত এক বছর ধরে, যার ফলে দলের সাথে তার রসায়ন বেশ মজবুত।
ফুলহ্যাম দলটি সিলভা’র অধীনে একরকম রেনেসাঁর মধ্য দিয়েই গিয়েছে। তাদের উন্নতি সাধনাকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে আগে যার নাম আসে তিনি হলেন জঁ মাইকেল সেরি, যাকে কি না ফুলহ্যাম কিনেছিল যখন তারা সর্বশেষ বারের মত প্রিমিয়ার লীগে প্রমোশন অর্জন করেছিল। আফ্রিকান জাভি খ্যাত এই খেলোয়াড় অতীতে স্কট পার্কারের অধীনে ফুলহ্যামে তার জায়গাটি তৈরি করতে না পারলেও সিলভা’র অধীনে তিনি আবার তার প্রকৃত রূপ ফিরে পেয়েছেন।
আরেকজন ফুলহ্যাম খেলোয়াড় যিনি একটি অনবদ্য মৌসুম পার করেছেন এবং প্রিমিয়ার লীগে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন, তিনি হলেন নিস্কেন্স কেবানো। এই কঙ্গোলিজ উইংগার কটেজার’দের সাথে রয়েছেন প্রায় ৬ বছর ধরে, কিন্তু ক্লাবের প্রথম একাদশে এর আগে কখনোই নিজের ছাপ ছাড়তে পারেননি। মার্কো সিলভা’র অসাধারণ ম্যান-টু-ম্যান কোচিং পদ্ধতির বদৌলতে তিনিও নিজের হারানো প্রতিভাকে খুঁজে পেয়েছেন, এবং ৩০ বছর বয়সে এসে তার জীবনের সেরা মৌসুমটি পার করেছেন৷ দলের একজন নিয়মিত ও অপরিহার্য খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি কেবানো গত মৌসুমে ৯টি গোল এবং ৬টি এসিস্টও করতে সক্ষম হয়েছেন।
ফুলহ্যাম নতুন মৌসুমের জন্য তাদের ট্রান্সফারের পকেটেও হাত ফিয়ে ফেলেছে, কারণ প্রিমিয়ার লীগের জন্য তাদের কিছু অভিজ্ঞ ও অধিকতর মানসম্মত খেলোয়াড় দরকার। প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামাতে তাই তাদের একজন প্রিমিয়ার লীগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গোলকিপার দরকার, এবং সেটির জন্য তারা টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আর্সেনালের বার্ন্ড লেনোকে। এছাড়া, কটেজার’দের তালিকায় আরেকটি নাম হচ্ছে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের আর্থার মাসুয়াকু। তবে, যে খেলোয়াড়টির রেখে যাওয়া শূন্যস্থান ফুলহ্যামের সবচেয়ে আগে পূরণ করা দরকার, তিনি হলেন ফাবিও কারভালহো, যিনি কি না ফুলহ্যাম প্রমোশন অর্জন করার কিছুদিনের মাথায়ই প্রিমিয়ার লীগের বিগ বয় ক্লাব লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন।
গত মৌসুমে ৪৩টি গোল করা আলেকজান্ডার মিত্রোভিচকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন ফাবিও কার্ভালহো। তিনিও ফুলহ্যামের হয়ে গত সিজনে ১০টি গোল ও ৮টি এসিস্ট করতে সক্ষম হোন। এই দু’জনের কৃতিত্বের উপর ভর করেই মূলত ফুলহ্যাম মৌসুমজুড়ে ১০৬টি গোল করতে সক্ষম হয়, এবং চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা জিতে নেওয়ার মাধ্যমে তাদের ২১ বছরের শিরোপার খরা কাটায়। মার্কো সিলভা খুব ভালো করেই জানেন যে ফুলহ্যামের প্রিমিয়ার লীগ স্ট্যাটাস বজায় রাখতে হলে তাকে দলের আক্রমণভাগের গুণমান বাড়াতেই হবে, এবং সেজন্যই তার ট্রান্সফার-ইন তালিকার সবচেয়ে উপরে থাকবে এমন কোন খেলোয়াড় যিনি ফাবিও কার্ভালহোর পজিশনটিকে নিজের করে নিবেন। এছাড়া, আগে থেকেই যেসকল খেলোয়াড়েরা দলটিতে রয়েছেন, প্রিমিয়ার লীগে টিকতে হলে তাদের পারফর্মেন্স এর লেভেলও অনেকটাই বাড়াতে হবে।
এএফসি বোর্নমাউথ (AFC Bournemouth)
দ্য চেরিস খ্যাত বোর্নমাউথ ২ বছর পর আবারও প্রিমিয়ার লীগে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে, এবং এবার তাদের দায়িত্বে রয়েছেন স্কট পার্কার, যিনি এর আগে ফুলহ্যামের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যখন তারা সর্বশেষ বারের মত প্রিমিয়ার লীগে খেলেছিল।
যেহেতু তার অধীনে ফুলহ্যাম প্রিমিয়ার লীগে ২০তম স্থান দখল করে রেলিগেশনের শিকার হয়েছিল, সেহেতু তার ভালো করেই জানা রয়েছে যে কি কি ভুল তিনি তার নতুন দলের হয়ে একদমই করতে পারবেন না। বোর্নমাউথের হয়ে একমাত্র লক্ষ্যই হবে ভালো খেলা উপহার দিয়ে ক্লাবটির প্রিমিয়ার লীগ স্ট্যাটাস বজায় রাখা। ট্রান্সফার বাজারে এখন তিনি উঠে পড়ে লেগেছেন তাদের গত সিজনের নায়ক ন্যাট ফিলিপ্সকে পার্মানেন্ট চুক্তিতে দলে নেওয়ার জন্য, এবং দলের অন্যান্য বেশ কিছু পজিশনে উন্নতি সাধনের জন্য।
ন্যাট ফিলিপ্স, যার প্যারেন্ট ক্লাব হল লিভারপুল, গত মৌসুমের শেষ ৬ মাস কাটিয়েছিলেন বোর্নমাউথে। সেই ৬ মাসে তার পারফর্মেন্স এতটাই উৎকৃষ্ট মানের ছিল যে, বোর্নমাউথের প্রমোশনের পেছনে তাকেই মূল প্রভাবক হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এই লিভারপুল ডিফেন্ডারকে গত জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে দলে ভেড়ানোর পরপরই স্কট পার্কার তার দলের ডিফেন্সকে কিছুটা স্থিতিশীল করতে পেরেছিলেন। ফিলিপ্স লিভারপুল দলের নিয়মিত মুখ না হলেও ভার্জিল ভ্যান ডাইক এবং জয়েল মাতিপ এর মত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সাথে এবং ইয়ুর্গেন ক্লপ এর মত অনবদ্য কোচের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা কিন্তু এই ২৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের রয়েছে।
এমনকি ফিলিপ্স এর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে, এবং তা তিনি তার বোর্নমাউথের সতীর্থদের সাথে ভাগাভাগিও করেছেন নিশ্চয়, যার ফলেই দলটির ডিফেন্সে অনেকটা স্থিতি আনতে পেরেছেন তাদের কোচ। গত মৌসুমের শেষে এসে দেখা গিয়েছে যে, বোর্নমাউথই ছিল চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা ডিফেন্সের অধিকারী। গত মৌসুমে লীগে তারা মোট ৪৬টি ম্যাচ খেলে কেবলমাত্র ৩৯টি গোল হজম করেছে। পার্কার অবশ্যই চাইবেন যেন বোর্নমাউথ কর্তৃপক্ষ লিভারপুলের সাথে একটি সমঝোতায় আসতে পারে এবং ন্যাট ফিলিপ্সকে মৌসুম শুরুর আগেই দলে টানতে পারে।
তবে, আরেকটি জায়গা যেখানে পার্কারকে কাজ করতে হবে সেটি হচ্ছে তার দলের আক্রমণভাগ। গত মৌসুমের পুরোটা জুড়ে অর্থাৎ ৪৬টি ম্যাচ খেলে তারা মাত্র ৭৪টি গোল করতে সক্ষম হয়েছিল। এমন গোল-টু-গেম রেশিও এমন যেকোন দলের জন্যই বেশ চিন্তার, যারা প্রমোশন অর্জন করেছে এবং চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল থেকে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে পা দিতে চলেছে।
তবে ক্লাবটির হর্তাকর্তা এবং ভক্ত সমর্থকদের জন্য আশার বিষয় হচ্ছে যে, গত মৌসুমে তাদের বেশির ভাগ গোল যে খেলোয়াড়টি করেছেন, সেই ডমিনিক সোলাঙ্কিকে এখনো তারা দলে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এই সাবেক লিভারপুল ও চেলসি স্ট্রাইকার গত মৌসুমে সর্বমোট ৩০টি গোল করেছেন চেরিস’দের হয়ে, এবং আরো একটি বার প্রিমিয়ার লীগে তিনি সুযোগ পাবেন তার সাবেক দলগুলির মুখে চুনকালি মাখিয়ে দেওয়ার। তবে, এটি বলাই বাহুল্য যে, ফুলহ্যামের মতই, বোর্নমাউথকেও কিছু খেলোয়াড় কিনে তাদের আক্রমণভাগকে আরো জোরদার করতে হবে, যাতে তারা আগামী মৌসুমে বড় বড় ক্লাবগুলির বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে পারে।
নটিংহ্যাম ফরেস্ট (Nottingham Forest)
নটিংহ্যাম ফরেস্ট ২০২২-২৩ প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমে ঠিক ততটুকু আগ্রহ এবং উত্তেজনা নিয়েই প্রবেশ করবে যতটুকু আগ্রহ ও উত্তেজনা নিয়ে ২০২১-২২ মৌসুমে প্রবেশ করেছিল ব্রেন্টফোর্ড। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে রেলিগেশনের বেড়াজালে পড়ার পর থেকে তারা আর প্রিমিয়ার লীগে খেলতে পারেননি, এবং টপ ফ্লাইট ফুটবলের জন্য তাদের সেই ২৩ বছরের অপেক্ষা এবার শেষ পর্যন্ত ঘুঁচতে চলেছে, কারণ প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে কোন ইউরোপীয় শিরোপা জয়ী ক্লাব নটিংহ্যাম ফরেস্ট এবার চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রিমিয়ার লীগে ফিরে এসেছে। এত আবেগ ও ঐতিহ্য জড়িয়ে থাকার ফলে এমনটিই মনে করা হচ্ছে যে, তিনটি প্রমোটেড ক্লাবের মধ্যে নটিংহ্যাম ফরেস্টই সবচেয়ে বেশি উদ্দীপনা নিয়ে নতুন মৌসুমে প্রবেশ করবে।
গত মৌসুমের শুরুটা তাদের হয়েছিল খুবই বাজে। প্রথম ৯টি ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই পরাজয় বরণ করার পর সবাই ভাবছিল যে তারা হয়তো রেলিগেশন থেকে বাঁচার লড়াইয়েই লিপ্ত থাকবে। কিন্তু, সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে সেই অবস্থান থেকে উঠে এসে তারা শেষ পর্যন্ত লীগ টেবিলের ৪র্থ পজিশনে থেকে মৌসুম শেষ করে। এরপর তারা এক এক করে চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফে হাডারসফিল্ড টাউন এএফসি, লাটন টাউন, এবং শেফিল্ড ইউনাইটেডকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লীগে তারা তাদের কাঙ্খিত জায়গাটি তৈরি করে নেন।
তাদের ঘুরে দাঁড়ানো এবং অসম্ভবকে সম্ভব করার পেছনে সবচেয়ে বেশি যার হাত রয়েছে, তিনি হলেন স্টিভ কুপার। মৌসুমের শুরুতে শোচনীয় অবস্থায় থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি দলটির চেহারা এবং ভাগ্য উভয়ই বদলে দিতে সক্ষম হোন। অক্টোবর মাসের আন্তর্জাতিক বিরতির সময়টি কুপার যথাযথভাবে কাজে লাগান তার সকল ধ্যান ধারণা ক্লাবটির মধ্যে এবং দলটির মধ্যে প্রতিস্থাপন করার জন্য। এরপর, বিরতি থেকে ফেরার সাথে সাথেই তারা টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকেন, এবং চ্যাম্পিয়নশিপ এর ইতিহাসের অন্যতম সেরা কামব্যাক সম্পন্ন করেন।
মাঝে মধ্যে দুই একটি অযাচিত ফলাফল আসলেও কুপার সবসময়ই তার দলকে এবং তার খেলোয়াড়দেরকে সমর্থন দিয়ে গিয়েছেন, এবং বিনিময়ে নটিংহ্যাম এর খেলোয়াড়েরাও যেন কুপারের জন্য মাঠে নিজেদের জীবনটিও দিয়ে দিতে রাজি ছিলেন। খুব তাড়াতাড়িই তাদের দলগত পারফর্মেন্স এ অসম্ভব পরিবর্তন আসতে থাকে, এমনকি তারা এফএ কাপে লেস্টার সিটি এবং আর্সেনাল এর মত ক্লাবকেও হারিয়ে বসে। সেই জয়গুলি তাদেরকে ভরসা জুগিয়ে যাবে যে তারা প্রিমিয়ার লীগের বড় বড় ক্লাবগুলির সাথেও শুধু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে পারবে তাই নয়, বরং তাদেরকে হারানোর সামর্থ্যও তারা রাখে।
বিশ্বাস, একটি সুন্দর ও বুদ্ধিদীপ্ত ট্রান্সফার উইন্ডো, এবং ম্যানেজারের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে খেলা — এই তিনটি জিনিসই পারবে নটিংহ্যাম ফরেস্টকে তাদের কামব্যাক মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে টিকে থাকার লড়াইয়ে সাহায্য করতে। তাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে পারলে গত মৌসুমের মত এবারও তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে বলেই ফুটবল বোদ্ধারা মনে করছেন। শুধু তাই নয়, অনেকের মতেই, এই মাপের একটি ক্লাবকে প্রিমিয়ার লীগেই মানায়, তাই অনেক নিরপেক্ষ দর্শকদের সমর্থনও পাবে নটিংহ্যামের এই ক্লাবটি। আমাদের ঝটপট প্রেডিকশন হল এই যে, তিনটি প্রমোটেড দলের মধ্য থেকে নটিংহ্যাম ফরেস্টই ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে টিকে থাকতে সক্ষম হবে। বাকি দুইটি দলের ক্ষেত্রে মৌসুমটি কেমন হতে পারে তা বলা যাবে মৌসুম শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর।