চেলসি ফুটবল ক্লাব এবং তার সমর্থকরা একটি নতুন যুগের শুরু অবলোকন করতে যাচ্ছে, কারণ তাদের পূর্ববর্তী দীর্ঘকালীন মালিক রোমান আব্রামোভিচ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় তাকে যুক্তরাজ্য সরকার তাকে বাতিল ঘোষণা করে এবং দেশটিতে অবস্থিত তার সকল সম্পদ হরপ করে নেয়। এর ফলে চেলসি’র মালিক হিসেবেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই ঘটনার কয়েক মাসের মাথায় চেলসি’র নতুন মালিক হিসেবে আবির্ভূত হোন টড বোহলি নামের এক ভদ্রলোক এবং সাথে আরো কিছু স্টেকহোল্ডার।

রোমান আব্রামোভিচ মালিক থাকাকালীন গত ১৯ বছরে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল দলে পরিণত হয়েছে চেলসি। এর পেছনে মূল কারণই হল রোমান আব্রামোভিচ এর একাগ্রতা এবং ক্লাবটিকে নিয়ে তার পূজনীয় মানসিকতা। সবসময়ই তিনি এই ফুটবলিং প্রজেক্টটির পেছনে প্রচুর সময় ও শ্রম ব্যয় করতে রাজি থাকতেন, এবং ক্লাবের যেটিতে ভালো হতো, সেই সিদ্ধান্তই নেওয়ার চেষ্টা করতেন।

তেল ব্যবসায়ী আব্রামোভিচ শুধু চেলসি’র মালিকানা নিয়ে বসে থাকেননি, তিনি ক্লাবটির বর্তমান হোম স্টেডিয়াম স্ট্যাম্ফোর্ড ব্রিজ বানিয়ে দিয়েছেন, অনেক অনেক বাণিজ্যিক চুক্তি ও ইনডোর্সমেন্ট এনে দিয়েছেন, বিশ্বের সেরা সেরা সব খেলোয়াড় ও কোচদের ক্লাবে এনেছেন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারটি সেটি হল সবসময় তিনি ক্লাব ও ক্লাবের সমর্থকদের জন্য উপস্থিত থেকেছেন, তা ভালো সময়ে হোক বা খারাপ।

এমনও অনেক পরিস্থিতি এসেছে যেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে টাকা প্রদান করে ক্লাবকে বাঁচিয়েছেন। ক্লাবটি ছাড়ার সময়েও এমনটিই তাকে করতে হয়েছে। ক্লাবটি যেন বিলুপ্ত না হয়ে যায়, তাই তিনি ১.৫ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি সয়ে নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকার এবং টড বোহলি ও তার সঙ্গী-সাথীদের কাছে ক্লাবটি ছেড়ে দেন, যদিও তিনি আরো অনেক সময় ধরে আইনী প্রক্রিয়া চালাতে পারতেন।

রোমান আব্রামোভিচ যেকোন ফুটবল ক্লাবের জন্য একজন আদর্শ মালিক। চেলসি থেকে তাকে বিতাড়িত করা হলেও এমন শোনা যাচ্ছে যে, তার পরবর্তী ফুটবলীয় বিনিয়োগ হিসেবে তিনি স্প্যানিশ লা লিগার কোন একটি ক্লাবকেই বেছে নিবেন। এবং, সেটি যে দলই হোক না কেন, আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, যারাই আব্রামোভিচকে মালিক হিসেবে পাবে তারা খুবই ভাগ্যবান হবে।

অপর দিকে, চেলসি তাদের নতুন যুগে প্রবেশ করে টড বোহলি এবং তার অন্যান্য পার্টনারদের সাথে সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাছে। আমেরিকান এই বিলিওনিয়ার বহু টাকার বিনিময়ে চেলসি ফুটবল ক্লাবটি কিনেছেন। শোনা যায় যে, এই মালিকানা প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় তাজে আরো ৮ জন শক্ত প্রতিপক্ষকে টপকাতে হয়েছে, যার মধ্যে অন্যান্য ক্লাবেরও অনেক মালিকরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ক্লাবটির মালিকানা তিনি পেয়েছেন ৪.২ বিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। এ থেকে বোঝা যায় যে, ক্লাবের পেছনে খরচ করতে টড বোহলি কখনোই পিছপা হবেন না, এবং সেটি চেলসি সমর্থকদের জন্য খুবই আশা এবং উত্তেজনার বিষয়।

পড়ুন:  কিংবদন্তি প্রিমিয়ার লিগ ম্যানেজার

চেলসি সমর্থকরা আরো বেশি উদ্বেলিত হবে এটি জেনে যে, নানা সূত্রের মোতাবেক, বর্তমান গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে খরচ করার জন্য চেলসিকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো ছেড়ে দিয়েছেন এই ধনকুবের। শুধু তাই নয়, এই অঙ্কের সাথে যোগ হবে সেসব অর্থ যা ক্লাবটি বিভিন্ন খেলোয়াড়ের বিক্রি করে সংগ্রহ করতে পারবে। এর ফলে এমন হতে পারে যে, আগামী মৌসুম শুরুর আগ মুহূর্তে চেলসি ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তুলে দিল। এমনটি হলে অবশ্য সবচেয়ে খুশি হবেন চেলসি ম্যানেজার থমাস টুখেল।

তবে, চেলসি সমর্থকদেরও উচিৎ তাদের নতুন মালিক/মালিকদের উপর বেশি উচ্চাশা না রাখা, কারণ তারা আর যত যাই করুক না কেন, রোমান আব্রামোভিচ এর মত দিব্য দৃষ্টিতে ভক্তদের খেয়াল এই নতুন মালিকরা রাখতে পারবেন না, এটি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত।

চেলসি মালিক এখন আর একজন নন, বরং অনেকজন (Chelsea have new MANAGERS, not ‘a’ manager) 

চেলসির মালিক হিসেবে রোমান আব্রামোভিচ এর সময়কালের অনেক বড় একটি হাইলাইট হল বিদায় নেওয়ার আগে চেলসির জন্য তার ১.৫ বিলিয়ন ইউরো রেখে যাওয়াটা। এই অঙ্কটি তিনি রেখে যান চেলসি’র সেসকল ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে, যেগুলি তিনি বিভিন্ন খাত থেকে জোগার করেছিলেন ক্লাবটির জন্য গত দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে। 

এমনটি খবরে এসেছে যে, আব্রামোভিচ যদি তার সেসব ঋণ পরিশোধ না করতেন, তাহলে চেলসি ফুটবল ক্লাব প্রশাসনে চলে যেত, অর্থাৎ সরকার বা লীগ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত কোন স্বাধীনচেতা সংস্থা ক্লাবটির দায়িত্ব বা মালিকানা পেয়ে যেত। তখন কোন বড় বা নামকরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই ক্লাবটিকে আর কিবতে চাইতেন না। সবকিছু আমলে নিলেই বোঝা যায় আব্রামোভিচ চেলসিকে কতটা ভালোবাসতেন, এবং কত কষ্ট করে তিনি এতদিন ধরে ক্লাবটিকে একাই টিকিয়ে রেখেছিলেন।

আর যাই হোক, টড বোহলি এবং তার পার্টনারদের কাছ থেকে তেমন একনিষ্ঠতা চেলসি সমর্থকরা আশাও করতে পারেন না।

দুই বার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ী এই ক্লাবটির নতুন মালিকেরা হলেন একটি আমেরিকান ইনভেস্টমেন্ট কনসোর্টিয়াম, যার মুখছবি হিসেবে টড বোহলিকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। বোহলি’র পাশাপাশি চেলসি’র আরো পাঁচজন সংখ্যাগরিষ্ঠ স্টেকহোল্ডার রয়েছেন, যারা হলেন বোহলি’র ব্যবসায়িক পার্টনার সুইস বিলিওনিয়ার হান্সইয়োর্গ ভাইস, ব্রিটিশ প্রোপার্টি ম্যাগনেট জোনাথান গোল্ডস্টাইন, আমেরিকান বিনিয়োগ সংস্থা ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটাল, এবং মার্ক ওয়াল্টার, যিনি কি না টড বোহলিকে সাথে নিয়ে আমেরিকার মেজর লীগ বেসবলের ফ্র‍্যাঞ্চাইজি লস এঞ্জেলেস ডজার্সের মালিক।

এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল এই যে, চেলসি ফুটবল ক্লাবকে কেনার জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তার অধিকাংশই ব্যয় করেছে ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটাল নামক সংস্থাটি। অর্থাৎ, ক্লাবটি নিয়ন্ত্রণকারী মূল শেয়ারহোল্ডারও এখন তারাই।

পড়ুন:  এবছরও চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জিততে না পারলে কি পেপ গার্দিওলাকে চাকরিচ্যুত করা উচিৎ ম্যানচেস্টার সিটি'র?

মালিকানার বিভিন্ন দিক নিয়ে এসকল জটিলতার কারণেই ক্লাব হিসেবে চেলসি’র অর্থনৈতিক সক্ষমতা ভবিষ্যতে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে। যেহেতু এতজন ব্যবসায়ী এক হয়ে ফুটবল ক্লাবের মালিকানার ব্যবসায় নেমেছেন, তাই তাদের মূল উদ্দেশ্য আঁচ করা খুবই সহজ, এবং সেটি হল — যে করেই হোক ক্লাবটি থেকে বছর অন্তর সর্বোচ্চ পরিমাণ লাভ হাসিল করা।

আরেকটি অব্লোকন করার বিষয় হচ্ছে, যেহেতু ইনারা সকলেই পাক্কা ব্যবসায়ী, তাই বোঝাই যাচ্ছে যে এখন থেকে ক্লাবটির সকল ইনডোর্সমেন্ট, খেলোয়াড় কেনা বেচা বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত অর্থ এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যেন এক পয়সাও এদিক সেদিক না হয়। আব্রামোভিচ প্রয়োজনে তার নিজস্ব টাকা খরচ করে হলেও ক্লাবের জন্য যা দরকার তা করতেন, কারণ তিনি ক্লাবটিকেই মনেপ্রাণে ভালোবাসতেন, এবং চেলসি’র ব্যাপার যখনই সামনে আসতো, তখন তার কাছে টাকার চেয়ে ক্লাবই আগে আসতো। এছাড়া একজন ফুটবল ভক্ত হিসেবেও তিনি এই ব্যাপারটি বুঝতেন যে, সব সাইনিংই সবসময় কাজে দেয় না, বরং খেলোয়াড় কেনা বেচার বাজারে প্রায়শই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়, এবং এটি ফুটবল খেলারই একটি অংশ।

যেদিক থেকেই চিন্তা করুন, নতুন মালিকানার অধীনে চেলসি ফুটবল ক্লাব আর আগের মত থাকবে না।

ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন (A change in management)

নতুন মালিকানার সাথে সাথেই আসে নতুন স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। এমনটি বার বার শোনা গিয়েছে যে, মারিনা গ্রানোভস্কায়া’র স্থানে চেলসি’র স্পোর্টিং ডিরেক্টরের পদে ভারপ্রাপ্ত ভূমিকা পালন করবেন টড বোহলি নিজেই। 

বেশ কর্মচঞ্চল ও দক্ষ সেই মারিনা গ্রানোভস্কায়াই গত বেশ কিছু বছর ধরে তার চরম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চেলসি’র সকল সাইনিং ও সব ধরণের স্পোর্টিং সিদ্ধান্তগুলি দাপটের সাথে নিয়ে এসেছেন। তার সিদ্ধান্তগুলির উপর ভর করেই চেলসি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপসহ অনেক ধরণের সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে।

তিনি তার নিজের একটি আলাদা নাম তৈরি করে ফেলেছিলেন ফুটবল বিশ্বে। তিনি খুবই পরিচিত এবং অনেকাংশে কুখ্যাতও ছিলেন তার কঠোর দামদরের নীতির কারণে। তার হাত ধরেই এমন অনেক খেলোয়াড়দের চেলসি দলে আনতে পেরেছিল যাদেরকে সঠিক দামে কেনা একসময় অসম্ভব বলেই মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে মানা হতো।

টড বোহলি ভারপ্রাপ্ত স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে মারিনা’র সেই কঠিন দায়িত্বটি পালন করবেন, যদিও ফুটবলের ট্রান্সফার মার্কেট সম্পর্কে তার তেমন কোন ধারণা নেই বললেই চলে। অবশ্য এ ব্যাপারটি তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, বর্তমান ট্রান্সফার উইন্ডোতে সকল ট্রান্সফারেই মারিনা গ্রানোভস্কায়া তার পরামর্শদাতা হিসেবে পাশে থাকবেন। কিন্তু, এই বিষয়টি ততটা কার্যকর হবেনা, যেমনটি হতো যদি মারিনাই মূল দায়িত্বে থাকতেন।

চেলসি’র এখন যেটি করা দরকার তা হল বোহলিকে ব্রিটিশ ট্রান্সফার উইন্ডো নিয়ে সব ধরণের জ্ঞান সরবরাহ করা, এবং ট্রান্সফার মার্কেটে চেলসি’র পূর্ববর্তী যতসব চেনা জানা লোকজন আছেন, তাদের সবার সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এসকল ছোটখাট কাজকর্ম সম্পন্ন করতে করতে দেখা যাবে যে ক্লাবটির সকল ট্রান্সফার কার্যক্রমই অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে, এবং এই পুরো ট্রান্সফার উইন্ডো জুড়েই এমনটি হলে চেলসি এক বছরের মত পিছিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।

পড়ুন:  গেমসপ্তাহ 27 এর জন্য FPL সেরা বাছাই

এমন অনেক পরিবর্তনের মধ্যে চেলসিতে আরেকটি পরিবর্তনও এসেছে এবং তা হল ক্লাব চেয়ারম্যান এর পদে, যেখান থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বহাল থাকা ব্রুস বাক’কে সরিয়ে আবারও টড বোহলিই আসনটি দখল করেছেন।

এখন যেভাবেই চলুক না কেন, ধীরে ধীরে অবশ্য চেলসি ঠিক দিকেই চলতে শুরু করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাদের নতুন মালিকরাও আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা চেলসিকে এক ধাপ উপরে নিয়ে যেতে যা যা করতে হবে তার সবই করবেন। তবে, স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টে এত সব পরিবর্তন অবশ্যই ক্লাবটিকে আগের চেয়ে অনেকখানিই পিছিয়ে দিবে, কারণ চেলসি’র এই নতুন মালিকদের এই ব্যাপারটি বুঝতেই অনেক সময় লেগে যাবে যে, ফুটবল ট্রান্সফার মার্কেট একটি অতল সমুদ্রের ন্যায়, এবং এর গভীরে গিয়ে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফেরা অতি দক্ষ ব্যক্তিদের জন্যও খুবই কষ্টকর একটি ব্যাপার। তাই এর সম্পর্কে খতিয়ে না দেখেই সাগরটিতে ঝাপ দেওয়া খুব বোকামিই হবে বটে।

চেলসি ভক্তদেরও এসকল বিষয়াদি বুঝতে হবে, এবং একটি কম চমকপ্রদ ট্রান্সফার উইন্ডোর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, এমন আমুল পরিবর্তনের মাঝে ২০২২-২৩ প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমটিকে সামনে রেখেও তাদের প্রত্যাশার ঘোড়ায় বেশ বড়সড় লাগাম টানাই উচিৎ হবে বলে আমরা মনে করি।

এর মানে হচ্ছে, যখন তাদের দলের কোন খেলোয়াড় বা ম্যানেজারের সময় খারাপ যাবে, তখন খুব বেশি সমালোচনা না করে তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করতে হবে চেলসি’র সমর্থকদের। দলের ফলাফল একটানা ভালো না হলেও সে সময়ে দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় তাদের ভক্তদের ভালোবাসা। সেটি চেলসি সমর্থকদের যথাযথভাবে পেওদান করে যেতে হবে। এর মানে আরও হল যে, যতদিন না তাদের নতুন মালিকরা ফুটবলের এবং ফুটবল বাণিজ্যের আগা গোড়া সব সম্পর্কে না জেনে নিচ্ছেন, সে পর্যন্ত শিরোপাহীনতার সাথে মানিয়ে নিতে হতে পারে চেলসি সাপোর্টারদের।

পরিশেষে, চেলসি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে শুধু একটি পরামর্শই দেওয়া যায়, এবং তা হল যে, তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে আগামী কয়েক মাস অন্যান্য দলের সমর্থকদের বিদ্রুপ সহ্য করার জন্য। এই ক্রান্তিকালীন সময়টি পার করার পর তাদের পায়ের নিচের মাটি কিছুটা স্থিতিশীল হলেই আবার তারা তাদের সেরা রূপে আবির্ভূত হতে সক্ষম হবেন।

Share.
Leave A Reply