প্রিমিয়ার লীগ হল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি লীগ, যার ভক্ত ও দর্শকও অন্যান্য সবগুলি ইউরোপীয় লীগের চেয়ে বেশি। এবং, সে কারণেই লীগটির প্রতিটি ছোটখাট বিষয় নিয়েই প্রচুর আলোচনা ও সমালোচনাও হয়ে থাকে। 

গত এক দশক ধরে প্রিমিয়ার লীগ তাদের ফুটবলের কোয়ালিটির দিক থেকে একটি দূর্দান্ত উন্নতির মুখ দেখেছে। এছাড়া লীগটিতে দেখা মিলেছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে নামীদামী ম্যানেজার বা কোচদের, লীগটির নিকট এসেছে সব উচ্চ মূল্যের স্পন্সরশিপ ডিলগুলি, এবং অবশ্যই এসবের সাথে সাথে বেড়েছে বিশ্বব্যাপী প্রিমিয়ার লীগের দর্শকের সংখ্যাও। তবে, এতকিছুর পরও একটি প্রশ্ন সকলের মনেই থেকে গিয়েছে, যার উত্তর খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন, এবং তা হল, “এতকিছুর উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও প্রিমিয়ার লীগের রেফারিদের ম্যাচ পরিচালনার দক্ষতায় কোনপ্রকার উন্নতির ছাপ কেন দেখা যাচ্ছে না?” অনেকটা অদ্ভুত হলেও এটি একটি ন্যায্য প্রশ্ন। প্রশ্নটি বেশ যুক্তিযুক্তও বটে, কারণ পরিসংখ্যানও বলছে যে, লীগটির অন্যান্য ক্ষেত্রে যতই উন্নতি হয়েছে, তাদের রেফারিদের ভুল সিদ্ধান্তের সংখ্যাও ততই বেড়েছে।

বিশ্বব্যাপী ফুটবল ভক্তদের মাঝে একটি সাধারণ ট্রেন্ড ইদানিং দেখা যায়, এবং সেটি হল যেকোন বড় ফুটবলীয় টুর্নামেন্টে (যেমন বিশ্বকাপ, ইউরো বা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ) ইংলিশ রেফারিরা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেই সেটির প্রতিবাদ করা। এর পেছনে প্রধান কারণটিই হল যে, বেশির ভাগ ইংলিশ রেফারিরাই প্রিমিয়ার লীগে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে ভুল সিদ্ধান্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে থাকেন।

অনেক ফুটবল বোদ্ধাই প্রিমিয়ার লীগের এই সিদ্ধান্তটিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যে, ইংল্যান্ড এবং ইউরোপ ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ডানা মেলার পরও কেন তারা শুধুমাত্র ব্রিটিশ দেশগুলি থেকে আগত রেফারিদেরকেই ব্যবহার করে থাকেন। আরেকভাবে বলতে গেলে, প্রিমিয়ার লীগ যখন পরিসরের দিক দিয়ে যেকোন আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের পর্যায়ে পৌছেই গিয়েছে, তখন কেন শুধু তাদের ঘরোয়া রেফারিদেরকেই সেখানে ব্যবহার করা হবে?

এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, এবং সেটি হচ্ছে যে, বেশির ভাগ ইংলিশ রেফারিদেরকেই দেখলে আনফিট মনে হয়। লীগটিতে কাজ করছেন এমন অনেক কোচ বা ম্যানেজাররাও অতীতে বিভিন্ন সময়ে লীগের রেফারিদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের প্রেস কনফারেন্সগুলিতে। তারা বার বার এই ব্যাপারটি তুলে ধরেছেন যে, এসকল রেফারিরা তাদের ফিটনেসের অভাবের কারণে সেসকল জায়গায় পৌঁছাতে দেরি করে ফেলেন যেখানে কোন ফাউল বা একশন ঘটে থাকে। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার রাল্ফ রাঙনিক এমনকি এই পরামর্শটিও দিয়েছিলেন যে, প্রিমিয়ার লীগের রেফারিদেরকে যেন খেলোয়াড়দের সাথেই ট্রেনিং করানো হয়। এতে তাদের ফিটনেস লেভেল একদম ঠিক জায়গায় থাকবে।

এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই যে এসকল রেফারিদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে প্রিমিয়ার লীগের নাটকীয়তা আরো বৃদ্ধি পায়, এবং বহির্জগতে এটি একটি আনপ্রেডিক্টেবল লীগ হিসেবে আখ্যা পায়। এটি লীগটির জন্য একদিক দিয়ে লাভজনকই হয়ে থাকে, কারণ সেসকল ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে মিডিয়া হাউজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশেষজ্ঞরা তোলপাড় শুরু করে দেন।

পড়ুন:  চেলসি কি পরের মৌসুমে ইউরোপে মিস করা ছদ্মবেশে আশীর্বাদ হবে?

সমালোচনার দিক দিয়ে সবসময় প্রিমিয়ার লীগই শীর্ষে (There is always controversy in the Premier League)

এখানে অবশ্য একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, এমন একটি অখ্যাত মন্তব্য রয়েছে যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে রেফারিদের বাজে পারফর্মেন্সের পেছনে একটি বড় কারণ হল প্রিমিয়ার লীগের উপরেই বেশির ভাগ ফুটবল প্রেমীদের নজর থাকে। এর ফলে রেফারি এবং তার সহকারীদের মাঝে ঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান করার জন্য সারাক্ষণই একটি অযাচিত চাপ অনুভূত হতে থাকে, কারণ ঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান না করতে পারলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে তাদেরকে কটুক্তি বা এমনকি হয়রানিরও শিকার হতে হয়।

এছাড়া, প্রিমিয়ার লীগে এমনও অনেক ম্যানেজার রয়েছেন যারা এসকল রেফারিদের উপর অযথা চাপ প্রয়োগ বা সৃষ্টি করেন, যার ফলে সেসকল রেফারিরা ভুল করতে বাধ্য হোন। ঐসব রেফারিরা কোন নির্দিষ্ট ম্যাচে কোন নির্দিষ্ট রেফারিকে নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি ধোঁয়াসার সৃষ্টি করেন এবং অযথাই রেফারিটির উপর সবার নজর স্থাপন করেন। এর কারণে ম্যাচের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্তের উদয় হয়।

আমরা এমম একটি পরিস্থিতি অবলোকন করেছিলাম, যখন হোসে মোরিনহো অভিজ্ঞ রেফারি এন্থোনি টেইলরের সক্ষমতাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাও আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং লিভারপুলের ম্যাচকে সামনে রেখে। এরপর ম্যাচটিতে হলুদ কার্ড ও লাল কার্ডের বন্যা বিয়ে দিতে দেখা যায় টেইলরকে।

মোরিনহোর মতে এন্থোনি টেইলর ছিলেন ঐ মাপের একটি ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য একটু বেশিই অল্পবয়সী এবং অনভিজ্ঞ। আমরা বলতে চাচ্ছি না যে হোসে মোরিনহোর কথাই পুরোপুরিভাবে সত্য, কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের একদমই কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই যে, প্রিমিয়ার লীগের বেশির ভাগ ম্যানেজাররাই কোন না কোন সময়ে গিয়ে লীগটিতে নিয়োজিত রেফারিদের ম্যাভ পরিচালনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তা হোক হোসে মোরিনহো বা ইয়ুর্গেন ক্লপ, বা এমনকি পেপ গার্দিওলা।

যদিও প্রিমিয়ার লীগে রেফারিদের বাজে পারফর্মেন্সের পেছনে বহু কারণ রয়েছে, এই নিবন্ধের বাকিটা জুড়ে আমরা বাছাইকৃত অল্প কিছু কারণই তুলে ধরব। তাহলে দেরি কিসের? চলুন নেমে পড়া যাক!

ফিটনেস এর অভাব (Lack of Fitness)

একটি ফুটবল ম্যাচে মাঠে খেলতে থাকা খেলোয়াড়েরা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই তাৎপর্যপূর্ণ হলেন যে রেফারি ম্যাচটি পরিচালনা করেন। তাকে এটি নিশ্চিত করতে হয় যেন তিনি কোনপ্রকার ইন-ম্যাচ একশনই হাতছাড়া না করেন এবং বাস্তব সময়ে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। তবে, এটি একটি লজ্জার বিষয় যে, প্রিমিয়ার লীগের গড়পড়তা রেফারিদের ম্যাচ পরিচালনার নিদর্শন দেখলে সত্যিই মনে হয়ে যেন তারা এক জগ বিয়ার খেয়ে মাঠে নেমেছেন। দৌড়াদৌড়িতে তাদের অনিহা এবং অনুমান, প্রবৃত্তি ও মাঝে মাঝে লাইন্সম্যানদের উপর তাদের অগাধ ভরসা দেখলেই সেটি আরো স্পষ্ট হয়।

পড়ুন:  পরিসংখ্যান বলছে চেলসি'র দরকার একজন স্ট্রাইকার, মানানসই কাউকে কি দলে ভেড়াতে পারবে তারা?

আমরা এটি এই নিবন্ধেই আগেও উল্লেখ করেছি যে সাবেক ম্যান ইউনাইটেড কোচ রাল্ফ রাঙনিক এটি একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন যে, রেফারিদেরও ট্রেনিং করা উচিৎ খেলোয়াড়দের সাথে। এটি তার পক্ষ থেকে একটি পরোক্ষ চিহ্নিতকরণ ছিল এই ব্যাপারটির যে, প্রিমিয়ার লীগের রেফারিরা আনফিট, এবং তাদের অনেকেই ওভারওয়েটও বটে।

যদিও রেফারিদের এসোসিয়েশন প্রতিটি প্রিমিয়ার লীগ মৌসুম শুরুর আগেই সকল রেফারিদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে থাকে, তবে আমরা যদি সেসকল রেফারিদের পারফর্মেন্স এর উপর ভিত্তি করে বলি, তাহলে সেই ট্রেনিং মোটেও যথেষ্ট নয়।

যোগ্যতার অভাব (Incompetence)

রেফারিদের বাজে পারফর্মেন্সের পেছনে এই কারণটিই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি ভাবনার উদয় করে। একটি প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচে কোন রেফারি ম্যাচ পরিচালনা দায়িত্ব পাওয়ার পূর্বে তাকে কনফার্মেশন পাওয়ার জন্য ট্রেনিংসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রথমেই একজন রেফারিকে ফুটবল খেলার সকল নিয়মকানুন সম্পর্কে জ্ঞাত করা হয়।

“আমি যখন মারা যাব, তখন আমি জান্নাত বা জাহান্নাম এর মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার পূর্বে ঈশ্বরের কাছে জানতে চাইব যে, কোনটিতে রেফারিরা অবস্থান করছে,” সাবেক আর্সেনাল ম্যানেজার আর্সেন ওয়েংগারের করা এই মন্তব্যটি থেকে আমরা আঁচ করতে পারি যে প্রিমিয়ার লীগের রেফারিদের পারফর্মেন্স লেভেল কোথায় অবস্থান করছে। সত্যি বলতে, তাদের ম্যাচ পরিচালনা আসলেই প্রায়ই খুব লজ্জাজনক হয়ে পড়ে।

ধারাবাহিকতার অভাব (Inconsistency)

যেখানে প্রিমিয়ার লীগের কিছু কিছু রেফারিদের মধ্যে পুরোপুরিভাবে ম্যাচ পরিচালনার অযোগ্যতা লক্ষণীয়, সেখানে এমনও অনেক রেফারি লীগটিতে আছেন, যারা কি না এক কথায় যথেষ্ট পরিমাণে ধারাবাহিক নন তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে।

রেফারিং এর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার অভাবকে বহু ফুটবল সমর্থক, বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকরা বহুকাল ধরে একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছেন, এবং বর্তমান সময়েও এই ব্যাপারটির উপস্থিতি খুবই আশংকাজনক। যেমন পরিসরে কিছুদিন পর পরই এই সমস্যাটি আমাদের প্রিয় খেলাটিকে এবং লীগটিকে কলুষিত করে চলেছে, তা সত্যিই খুবই চিন্তার বিষয়।

এমন বাজে অফিশিয়েটিং এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল গত মৌসুমে লিভারপুল বনাম টটেনহ্যাম এর ম্যাচটিতে একটি বাজে ট্যাকেল করার জন্য লিভারপুল ফুল ব্যাক এন্ড্রু রবার্টসনকে লাল কার্ড প্রদানের নিদর্শনটি।

পড়ুন:  মিড-সিজন রিপোর্ট এবং ডেডলাইন ডে'র দিকে ফিরে তাকানো

এন্ড্রু রবার্টসন পরে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টগুলির মাধ্যমে তার ভক্ত সমর্থক এবং অন্যান্য সকলের কাছ থেকেই ক্ষমা প্রার্থনা করেন তার অশুভ ট্যাকেলটির জন্য, যার দরুণ তাকে ম্যাচটির ৭৭তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।

“আমাকে এমনভাবে বড় করে তোলা হয়েছে যাতে আমি আমার করা ছোট থেকে ছোট ভুলগুলির জন্যও আফসোস বোধ করি, এবং আমি আজ স্বীকার করছি যে, আজকের করা আমার ট্যাকেলটি মোটেও একটি ভালো বা শুভ ট্যাকেল ছিল না, এবং আমি তা ভুল করেই করেছিলাম। আমার ভুলের কারণেই আমি রেফারিদেরকে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। আমি খুবই দুঃখিত!”

“আমি মনে করি এতেই সবার ভালো হবে যদি আমি ম্যাচটির অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে আলোচনা না করি। আমি শুধু এতটুকুই বলব যে, আমি আমার দল ও দলের অন্যান্য সকল সতীর্থদেরকে নিয়ে অনেক বেশি গর্বিত।”

এখানে বলাই বাহুল্য যে, সেই ম্যাচটিতে রবার্টসনের থেকেও বাজে ট্যাকেল অনেককেই করতে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অধারাবাহিকতার কারণে তারা পার পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু অভাগা রবার্টসন আর পার পেতে পারেননি।

দর্শকের প্রচুরতা এবং সকল খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর নিষ্পলক দৃষ্টি (Exposure and too much attention to details)

এই বিষয়টিতে সম্পূর্ণ দোষের ভার রেফারির উপর একদমই দেওয়া যাবে না, বরং এখানে দোষী সেসকল বিশ্লেষক এবং সমর্থকরা, যারা রেফারিদের থেকে অতিরিক্ত আশা করে বসেন, এবং বার বার ভুলে যান যে সেইসব রেফারিরাও মানুষ, এবং তাদেরও ভুল হতেই পারে।

এমনকি, প্রিমিয়ার লীগে ভিএআর অর্থাৎ ভিডিও সহকারী রেফারি নিয়োগের পরেও ছোটখাট ভুল সিদ্ধান্ত কিন্তু প্রতিনিয়তই লীগটিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। যদিও এসকল ভুল সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত যোগ্যতা ও ধারাবাহিকতার অভাবই দায়ী, তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দায়ী হল ঘটনাগুলির “অতিরিক্ত বিশ্লেষণ”।

প্রিমিয়ার লীগের ফুটবল বিশারদরা রেফারিদের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েই বিশেষভাবে কাটা-চেড়া করে থাকেন এবং সেগুলির মধ্য থেকে নানারকম অর্থও বের করে ফেলেন। এর কারণে রেফারিদের উপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়, এবং পরের ম্যাচগুলিতে এটি তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায়।

এমন ঘটনার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল, ২০১৯-২০ মৌসুমে বহু সংখ্যক পেনাল্টির সিদ্ধান্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অনুকূলে যাওয়া। এই ব্যাপারটিকে ফুটবল বিশ্লেষকরা অতিরিক্ত পরিমাণে বিশ্লেষণ করে ফেলেন, যার ফলে তার ঠিক পরের মৌসুমেই প্রিমিয়ার লীগের রেফারিরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে খুব কম সংখ্যক পেনাল্টিই উপহার দিয়েছিলেন, এবং তাদেরকে বেশ কিছু স্পষ্ট পেনাল্টিও প্রদান করা থেকে নিজেদেরকে বিরত রেখেছিলেন।

Share.
Leave A Reply