চেলসি ফুটবল ক্লাব হল ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের সবচেয়ে বড়, ধনী এবং জনপ্রিয় ক্লাবগুলির মধ্যে একটি। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসের বহু খ্যাতনামা খেলোয়াড়দের একসময়ের ঠিকানা ছিল স্ট্যাম্ফোর্ড ব্রিজ। বর্তমানেও তাদের দলে রয়েছে বিশ্ব কাপানো সব ফুটবলার।
তবে, শত শত ভালো খেলোয়াড়কে তারা স্থান করে দিতে পারলেও সাম্প্রতিক সময়ে একটি নির্দিষ্ট পজিশনের খেলোয়াড় বাঁছাই নিয়ে তাদেরকে বার বার পড়তে হচ্ছে সমস্যায়।
একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই চেলসি পরিচিত তাদের দলে খেলা অসংখ্য গগণবিদারী স্ট্রাইকারদের জন্য। দিদিয়ের ড্রগবা, জিমি ফ্লয়েড হ্যাসেলব্যাংক, নিকোলাস আনেল্কা, হার্নান ক্রেস্পো, এবং ডিয়েগো কস্টার মত অনবদ্য সব স্ট্রাইকাররা বছরের পর বছর ধরে স্ট্যাম্ফোর্ড ব্রিজে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। ক্লাবটিতে তারা সাফল্যের ইতিহাসও গড়েছিলেন বারংবার। তারাই ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন স্ট্রাইকার যারা অল ব্লুস’দের হয়ে অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছিলেন, এবং তাদের হয়ে অসংখ্য অসংখ্য গোল করতেও সক্ষম হয়েছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে এমনটিই বার বার হয়ে আসছে যে, চেলসি বিশ্ব ফুটবলের তৎকালীন সবচেয়ে বড় মাপের স্ট্রাইকারদেরকেই টার্গেট করে, এবং তাদেরকে অনেক টাকার বিনিময়ে দলেও ভেড়ায়, কিন্তু শুধু নামের কারণে কেনা সেসব খেলোয়াড় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দলটিতে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হোন, এবং অসফলই থেকে যান।
পিয়েরলুইজি ক্যাসেওরাঘি থেকে শুরু করে ক্রিস সাটন বা ট্যামি আব্রাহাম পর্যন্ত তাদের সকল স্ট্রাইকাররাই সম্ভবত সেই সকল চারিত্রিক গুণাবলি ধারণ করতে অক্ষম হয়েছিলেন, যা দলটিকে সফল করার ক্ষেত্রে কাজে দিত। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যেসব খেলোয়াড়ই চেলসিতে যোগ দিয়ে সফল হতে পারেননি, তাদের সকলেই ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার আগে বা ক্লাবটি ছাড়ার পরে অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, আদিয়ান মুতু’র কথাই ধরুন। তিনি ২০ মিলিয়ন ইউরোর বদৌলতে ফিয়োরেন্তিনা থেকে চেলসিতে পাড়ি জমান। প্রিমিয়ার লীগে তরি ভেড়ানোর আগে তিনি সিরি আ তে ধ্বংসলীলা চালিয়ে বেড়িয়েছিলেন। এত বেশি প্রতিভা নিয়ে ইংল্যান্ডে আসলেও তিনি চেলসি ফুটবল ক্লাব, তাদের সমর্থক বা কোন ফুটবলপ্রেমীর আশাই পূরণ করতে পারেননি। চেলসিতে তিনি ছিলেন একটি ব্যর্থতার নাম।
এমন আরেকজন দৃষ্টান্ত হলেন স্প্যানিশ সেনসেশন ফার্নান্দো তোরেস। চেলসিতে যোগ দেওয়ার আগে এল নিনো খ্যাত এই খেলোয়াড় লিভারপুলের হয়ে অসংখ্য অনবদ্য গোল করেছিলেন। কিন্তু, চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি একজন বিদ্রুপাত্মক চরিত্রে পরিণত হয়ে পড়েন।
তাদের স্ট্রাইকারদের এমন পরিণাম দেখে অনেকেই এখন মনে করেন যে, চেলসি হয়তো কোন এক অজানা অভিশাপের ফলই ভোগ করে চলেছে।
গত মাসের শেষের দিকে তাদের সর্বশেষ স্ট্রাইকার বেলজিয়ান রমেলু লুকাকু একটি লোন চুক্তিতে ইন্টার মিলানে ফিরে গিয়েছেন, এবং আবারও চেলসি সমর্থকদের জন্য রেখে গিয়েছেন হতাশায় পরিপূর্ণ এক ঝুড়ি।
বহুদিন আগে থেকে ডিয়েগো কস্টার রেখে যাওয়া শূন্যস্থানটি পূরণ করার জন্য ইন্টার মিলান থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লুকাকুকে ঘরে ফেরায় চেলসি। কিন্তু, তার পূর্বে আসা অনেক স্ট্রাইকারের মতই তিনিও চেলসি সমর্থকদের সম্পূর্ণরূপে হতাশ করতে সক্ষম হোন।
তবে কি আসলেই চেলসিতে কার্যত একটি “নাম্বার নাইন” অভিশাপ চলমান রয়েছে, নাকি এটি শুধুই একটি কাকতালীয় ঘটনা? অভিশাপের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে না পারলেও, এ ব্যাপারে আমরা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত যে, পর পর এতগুলি স্ট্রাইকারের ব্যর্থ হওয়া মোটেও কোন কাকতালীয় ঘটনা নয়। এখন চলুন এক নজর দেখে নেওয়া যাক যে, ওয়েস্ট লন্ডনের এই ক্লাবটিতে খেলতে আসা বেশির ভাগ স্ট্রাইকারই অসফল কেন হয়ে থাকেন।
চেলসি’র খেলার স্টাইল তাদের স্ট্রাইকারদের জন্য একদমই মানানসই নয় (Chelsea’s style of play doesn’t suit their strikers)
যখনই আপনি হোসে মোরিনহোর কথা চিন্তা করবেন, তখন প্রথমেই যে স্ট্রাইকারের নাম আপনার মাথায় আসবে তিনি হচ্ছেন দিদিয়ের ড্রগবা।
হোসে মোরিনহোর ফুটবলীয় স্টাইল বা মনস্তত্ত্বকে মনে প্রাণে ধারণ করা একমাত্র খেলোয়াড় হলেন দিদিয়ের ড্রগবা। মোরিনহোর খেলার ধরণকে তিনি এতটাই রপ্ত করে ফেলেছিলেন যে, দ্বিতীয় বারের মত যখন সেই পর্তুগিজ কোচ চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখনও তিনি স্ট্রাইকার হিসেবে ড্রগবাকেই আবার দলে আনেন।
তবে ক্লাবটিতে ড্রগবার দ্বিতীয় সময়কাল শেষ হওয়ার পর থেকেই চেলসি তার মত কার্যকরী আরেকজন স্ট্রাইকার আর খুঁজে পায়নি। মাঝে অবশ্য স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ডিয়েগো কস্টা দুই মৌসুমের জন্য চেলসির স্ট্রাইকারের অভাব খুব ভালোভাবেই পূরণ করেছিলেন। সেই দুই বছর তিনি প্রিমিয়ার লীগের ডিফেন্ডারদের জন্য ছিলেন এক ত্রাসের নাম। তবে তার ছিল কিছু শৃঙ্খলামূলক সমস্যা, যার কারণে তিনি ক্লাবটিতে বেশিদিন টিকতে পারেননি।
অনেকের মতে, ডিয়েগো কস্টার মধ্যে কোন স্থিতিশীলতা তো ছিলই না, তার ইঞ্জুরি সমস্যাও ছিল খুবই হতাশাজনক। সবকিছু মিলিয়ে, ক্লাবটির জন্য তাকে দলে রাখা খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল।
গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে চেলসিতে রেকর্ড ফি এর বিনিময়ে যোগ দেওয়ার পর মৌসুমের মাঝামাঝি রমেলু লুকাকু স্কাই ইতালিয়াকে দেওয়া তার এক সাক্ষাৎকারে পুরো ফুটবল বিশ্বকেই চমকিয়ে তোলেন। সাক্ষাৎকারটিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, থমাস টুখেল এর প্লেয়িং স্টাইল তার নিজের খেলার ধরণের সাথে মানানসই নয়, এবং তাই তিনি ইন্টার মিলানে ফিরে যেতে চান।
যত যাই বলুন না কেন, তার দিক থেকে দেখলে তিনি খুব একটা ভুল কিছুও বলেননি। তার মত গূনমান এবং প্রতিভার অধিকারী একজন খেলোয়াড়ের অবশ্যই আরো বেশি গেমটাইম পাওয়াও যেমন দরকার, দলের আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাওয়াটাও তেমনি দরকার।
তবে, এটিও মনে রাখতে হবে যে, একজন ম্যানেজারই হলেন তার দলের জন্য প্রভু। ক্লাবে তার কথাই সবচেয়ে বেশি মানা হবে, সে ব্যাপারে কোনই দ্বন্দ্ব নেই। তার সাথে দ্বিমত পোষণ করা এবং সেটি মিডিয়াতে প্রকাশ করা তার দিক থেকে একটি বিশাল রকমের অপেশাদারিত্বের প্রমাণস্বরূপ হয়ে থাকবে। চেলসি ফুটবল ক্লাবে একজন স্ট্রাইকার হিসেবে তার দিন গোনার পালাও সেদিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
একাবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই চেলসির খেলার স্টাইল নিয়ে বহু সমালোচনার ঝড় উঠেছে, তাই এটি ক্লাবটিতে নতুন কিছু একদমই নয়। অধিকন্তু, এই সময়কালে তাদের অনেক স্ট্রাইকারই আবার বেশ ভালো পারফর্মও করেছেন ক্লাবটির হয়ে। তাই, পুরো দোষ ক্লাবটির প্লেয়িং স্টাইলের উপরে দেওয়াটাও একদমই সমীচীন হবে না।
প্রত্যাশার বিশাল চাপ (The pressure of huge expectations)
২০০০ সালের পরে যখন রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ চেলসি’র মালিকানা নিজের নামে করে নেন, তার পর থেকেই ক্লাবটির ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে। যদিও তিনি এখন আর ক্লাবটির মালিক হিসেবে নেই, তারপরও তিনি ক্লাবটিতে এমন একটি উচ্চ চাহিদার মানসিকতা তৈরি করেছেন যে, কোন খেলোয়াড় বা ম্যানেজারই একটু বেশি ভুল করে বসলেই তাকে ক্লাব থেকে বিতাড়িত করে দেওয়া হবে।
তার মালিকানার অধীনে চেলসি ফুটবল ক্লাবে আসা প্রচুর ম্যানেজার কিছুদিনের মধ্যেই তাদের চাকরি হারিয়েছেন, এবং প্রচুর খেলোয়াড়দের চুক্তিও মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্বেই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ধারাবাহিক সাফল্যে বিশ্বাসী ছিলেন এবং যেসকল খেলোয়াড় বা ম্যানেজারই তার সেই চাহিদাটি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকেই তিনি ক্লাবটি থেকে বিতাড়িত করেছেন, এবং চাপ থেকে মুক্ত করেছেন।
আব্রামোভিচ এর মতই চেলসি’র সমর্থকরাও কিছুটা অধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে। হোসে মোরিনহোর অধীনে ক্লাবটি অসাধারণ ও অসংখ্য সাফল্য অর্জনের পর থেকে এবং প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জেতার পর থেকে ক্লাবটির সমর্থকদের প্রত্যাশার মাত্রাও অনেক গুণে বেড়ে গিয়েছে।
গত বছর চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের নিকট পরাজয় বরণ করার পর চেলসি সমর্থকদের এই বিষয়টি আরো বেশি সামনে এসেছে। ম্যাচটির পর পরই ক্লাবটির সমর্থকরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ক্লাব, খেলোয়াড় এবং ম্যানেজারের নামে কটুক্তি ছড়ানো শুরু করেন, যদিও সেদিন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগে তারা অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছিল এবং সবার মন জিতে নিয়েছিল।
মানসম্পন্ন প্লেমেকারের অভাব (Lack of quality creators)
যদিও উপরে উল্লিখিত চেলসি’র অসাধারণ স্ট্রাইকারদের তালিকার অনেকেই ক্লাবটির হয়ে অনেক সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে এসেছেন, তবুও এটিও না বললেই নয় য্ব, এমনও অনেক স্ট্রাইকার তাদের দলে ছিলেন বা এখনও আছেন, যারা শুধুমাত্র এক বা একাধিক ভালো প্লেমেকারের অভাবে বেশি গোল করতে পারেননি বা পারছেন না।
এটি কোনই কাকতালীয় ঘটনা নয় যে, তাদের দলে খেলা সর্বশেষ দুইজন সফল স্ট্রাইকারের পেছনে খেলেছেন প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্লেমেকারদের মধ্যে দুইজন — ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড এবং চেস্ক ফ্যাব্রেগ্যাস।
তার দিনে চেস্ক ফ্যাব্রেগ্যাস ছিলেন একজন দানবীয় মিডফিল্ডার, যার পাসিং ক্ষমতা ও ভিশন ছিল যেকোন সুপারহিরোর সমান। তিনি তার নিকট উপলব্ধ পাসগুলিকে অনেক দূর থেকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম ছিলেন। তাইতো প্রিমিয়ারে লীগে খেলা মাত্র কয়েকজন বৈদেশিক খেলোয়াড়দের মধ্যে কমপক্ষে ১০০টি এসিস্টের তালিকায় তার নামও রয়েছে।
ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের কোন ভূমিকারই প্রয়োজন নেই। তিনি ছিলেন একজন সিরিয়াল ফিনিশার। গোলমুখে দূরপাল্লার শট মেরে অসংখ্য গোল করার পাশাপাশি তিনি প্রতিপক্ষের ডিফেন্স চেড়া পাস দিতেও ছিলেন সমান পারদর্শী। তিনি এক কথায় ছিলেন একজন আদর্শ মিডফিল্ড প্যাকেজ।
যেকোন স্ট্রাইকারের জন্যই তার পেছনে একজন ভালো প্লেমেকার এর উপস্থিতি অনেক বেশি প্রয়োজন। চেলসি’র স্ট্রাইকারদের কথা যদি আমরা বাদও দেই, বিশ্বের সেরা সব স্ট্রাইকার, এমনকি রোনালদো নাজারিও, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বা লিওনেল মেসিরাও মোটেও এত বেশি গোল করতে পারতেন, যদি না তাদের দলে রোনালদিনহো, কাকা, মেসুত অজিল, জাভি হার্নান্দেজ, বা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার মত প্লেমেকাররা থাকতেন।
দিদিয়ের ড্রগবা এবং ডিয়েগো কস্টা ছিলেন অতি উন্নতমানের দুইজনে স্ট্রাইকার, যাদেরকে দেখলেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পায়ে কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে যেতো। কিন্তু, এটি বলাই বাহুল্য যে, তাদের গোলগুলি তৈরি করার জন্য অনবদ্য সব প্লেমেকাররা দলে না থাকলে তাদেরকেও হয়তো ব্যর্থ হয়েই দল ছেড়ে চলে যেতে হতো।
এ ব্যাপারে একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলেন রমেলু লুকাকু নিজেই। গত মৌসুমে তিনি আক্রমণভাগে সুন্দর সুন্দর পজিশনে অবস্থান করলেও তার দলের অন্যান্য সদস্যরা তার নিকট ভালো সার্ভিস প্রদান করতে, অর্থাৎ ভালো পাস বা ক্রস প্রদান করতে অক্ষম হয়েছিলেন।
মেসন মাউন্ট, ম্যাটেও কভাচিচ বা ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ এর মত খেলোয়াড়দের প্রতিভা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলারই অবকাশ নেই, কিন্তু গত মৌসুমে তারা আসলেও তাদের স্ট্রাইকারদের দিকে ভালো সার্ভিস পাঠাতে সক্ষম হোননি, এবং চেলসি’র গোল খরার পেছনে তারাও সমানভাবে দায়ী। তাই স্ট্রাইকারদের পাশাপাশি ট্রান্সফার মার্কেটে উপলব্ধ প্লেমেকারদের দিকেও চেলসি’র কিছুটা নজর দেওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি।