কালিদু কুলিবালি শেষ পর্যন্ত তার বহুল প্রতিক্ষিত প্রিমিয়ার লীগ মুভটি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ৩৬ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে তিনি গত সপ্তাহেই নাপোলি থেকে চেলসিতে পাড়ি জমিয়েছেন। চেলসি’র ডিফেন্সিভ সমস্যাগুলির প্রধান সমাধান হিসেবেই এই ৩১ বছর বয়সীকে দলে নিয়েছেন থমাস টুখেল।

অধিকন্তু, এটি এখন অজানা কোন বিষয়ই নয় যে চেলসি’র রক্ষণভাগে একটি বিশাল শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল। তাদের দরকার ছিল একাধিক মানসম্পন্ন রিপ্লেসমেন্ট ডিফেন্ডার। তাই, কুলিবালির সাইনিংটি ছিল চেলসি’র জন্য একটি অতি জরুরি কার্যক্রম। তবে, এখনো আরো কিছু ডিফেন্ডার দলে আনতে পারলে তবেই তারা পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্ট হতে পারবেন, কারণ ৩ জন ডিফেন্ডার এর কাজ তো আর তিনি একাই করতে পারবেন না!

গত এক দশক ধরে এই সেনেগালিজ সেন্টার ব্যাক নিজেকে ইউরোপের এবং বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা একজন ফুটবলারে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার কর্মচাঞ্চল্যতা, আক্রমণাত্মক মানসিকতা, এবং এরিয়াল উপস্থিতি তাকে তার সাবেক ক্লাব ও দেশের জাতীয় দলের জন্য করে তুলেছিল একজন নিয়মিত মুখ, যার উপর পুরো দল ভরসা রাখতে পারে।

প্রিমিয়ার লীগের সাথে কুলিবালির একটি মিষ্টি মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। অবশ্যই, কে না চায় প্রিমিয়ার লীগের মত শীর্ষ একটি লীগে খেলতে, কিন্তু কালিদু কুলিবালি প্রিমিয়ার লীগে আসতে চাইছিলেন প্রায় ৬ বছর আগে থেকে। ২০১৬ সালে প্রথম তার সাথে কোন প্রিমিয়ার লীগ দলের যোগাযোগ হয়েছিল, এবং তার ঠিক ৬ বছর পর তিনি আজ এখানে এসে পৌঁছেছেন। অতীতের বিভিন্ন ট্রান্সফার উইন্ডোতে ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুল উভয়েই তাকে দলে নেওয়ার দৌড়ে অনেকখানি এগিয়েও গিয়েছিল। তবে খেলোয়াড়টির উপর অযথাই অনেক বড় বড় প্রাইসট্যাগ জুড়ে দিয়ে নাপোলি বার বার তার স্বপ্নের ট্রান্সফারটি রুখে দিয়েছিল।

খেলোয়াড় হিসেবে কালিদু কুলিবালি তার লম্বা ক্যারিয়ারে বেশ কিছু উচ্চমানের ম্যানেজারদের সাথে কাজ করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলেন কার্লো এনচেলত্তি, যিনি কি না একবার এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন যে কুলিবালি হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ভালো সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের মধ্যে একজন। তিনি আরো বলেছিলেন যে, তিনি তার ক্যারিয়ারে যেসব ডিফেন্ডারদের সাথে কাজ করেছেন, তাদের সবার মধ্যেও কালিদু কুলিবালি উপরের দিকেই থাকবেন। অবশ্যই, এমন মন্তব্যও কুলিবালির জন্য অনেক বড় অর্জন, কারণ কার্লো এনচেলত্তি তার ক্যারিয়ারে পাওলো মালদিনি এবং সার্জিও রামোসদের মত বড় মাপের ডিফেন্ডারদের সাথে কাজ করেছেন।

এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই যে, ৩১ বছর বয়সী এই সেনেগালিজ ডিফেন্ডারের নিকট রয়েছে অগাধ অভিজ্ঞতা, বিশ্বমানের গুনমান, এবং প্রিমিয়ার লীগের মত একটি কঠিন লিগে টেকার মত কঠোর মানসিকতা। কিন্তু, এখন যখন তিনি এই লীগটিতে প্রবেশ করেই ফেলেছেন, তখন মূল প্রশ্ন হল তিনি কিভাবে থমাস টুখেলের ক্রীড়াকৌশল ও ক্রীড়া ব্যবস্থার মধ্যে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন।

পড়ুন:  রেলিগেশন টিম কি করতে পারে আপ থাকার জন্য?

গত মৌসুমে অল ব্লুস’রা ডিফেন্সিভ দিক দিয়ে প্রচুর অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল, এবং তাদের ডিফেন্সিভ সমস্যাগুলি আরো অনেক গুণে বেড়ে গিয়েছিল যখন মৌসুম শেষে এন্তোনিও রুডিগার স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদে এবং আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন বার্সেলোনায় যোগ দেন। চেলসি’র ডিফেন্সে তাই এখনো বেশ কিছু শূন্যস্থান রয়েই গিয়েছে। তবে, আবারো মনে প্রশ্ন জাগে, কালিদু কুলিবালি কি প্রিমিয়ার লীগের জন্য পুরোপুরিভাবে উপযুক্ত? তার মধ্যে এমন কি কি গুণাবলি রয়েছে যা তাকে প্রিমিয়ার লীগ ও বর্তমান চেলসি দলে মানিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে? চলুন এ সবকিছু সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কেন চেলসি কুলিবালিকে দলে নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল? (Why did Chelsea go for Koulibaly?)

স্ট্যাম্ফোর্ড ব্রিজের ওয়েস্ট লন্ডনাররা একই ট্রান্সফার উইন্ডোতে এন্তোনিও রুডিগার এবং আন্দ্রেয়াস ক্রিসটেনসেন উভয়কেই হারিয়েছে, বিধায় তাদের নতুন করে ডিফেন্স সাজানোর প্রয়োজন ছিল, এবং তাই তারা কালিদু কুলিবালিকে দলে নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে, এটিও না বললেই নয় যে, চেলসি যে শুধু তাদের হারানো ডিফেন্ডারদের বদলি একজনকেই পেয়েছে তাই নয়, বরং কালিদু কুলিবালির মধ্যে তারা পেয়েছে একজন অভিজ্ঞ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডিং দেয়ালকে।

আগামী মৌসুমে আমরা খুব সম্ভবত নিয়মিত আকারে চেলসি’র ডিফেন্সের হৃদয়ে দেখতে পাব কালিদু কুলিবালি এবং সর্বদা ভরসাবান থিয়াগো সিলভা’র মধ্যকার জুটি। বয়সের দিক থেকে দেখলে এই ডিফেন্সিভ জুটির সমন্বিত বয়স দাড়ায় ৭০ বছরেরও উপরে। দুজনের এই জুটি তাই দলটিতে যোগ করবে একটি নতুন পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও শারিরিক সক্ষমতা। পিএসজি থেকে চেলসিতে আসার পর থেকে থিয়াগো সিলভাও কোনক্রমেই কম অর্জন করেননি। তার পারফর্মেন্স লেভেলও এখন পর্যন্ত তারিফের দাবিদার। যদিও এখন তার গতি অনেকটাই কমে গিয়েছে, তবুও এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বেশ দক্ষতার সাথেই তার গতিস্বল্পতাকে কভার করে চলেছেন তার অগাধ অভিজ্ঞতা, এবং অসাধারণ পজিশনিং সেন্স দিয়ে।

তবে যাই হোক, ট্রান্সফার মৌসুমের শুরুর দিকেই চেলসি কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন যে কালিদু কুলিবালি উপলব্ধ রয়েছেন কেনার জন্য, কারণ নাপোলির করা নতুন চুক্তির অফারটি তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন গত মে মাসে। তার ফলে, চেলসি দেখতে পায় যে একজন অসাধারণ ও বিশ্বমানের ডিফেন্ডারকে দলে আনার জন্য এটিই তাদের সূবর্ণ সুযোগ।

তার এই সাইনিংটি চেলসি থেকে শুরু করে সকল প্রিমিয়ার লীগ অনুসারী ও সমর্থকদের মধ্যেই অনেকটা উত্তেজনার সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে, কারণ তিনি শুধু একজন ভালো ডিফেন্ডারই নন, পুরো ডিফেন্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও তিনি রাখেন। বয়স বেশি হওয়া সত্ত্বেও তিনি ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ান, এবং তাকে ভেদ করে যাওয়া যেকোন অ্যাটাকারের জন্যই বেশ কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার।

এই সেনেগালিজ ডিফেন্ডার একজন এরিয়াল থ্রেটও বটে; তার উচ্চতা এবং লাফানোর ক্ষমতা বেশ প্রশংসার দাবিদার। এর ফলে অতীতে সিরি আ’তে প্রতিপক্ষ দল খুব কমই তার বিরুদ্ধে হেডার জিততে পেরেছে, এবং সেট পিস পরিস্থিতি থেকেও তিনি তার পারদর্শীতা বার বার প্রমাণ করেছেন, অর্থাৎ মাঝে মাঝেই তিনি কর্নার কিক বা ফ্রি কিক থেকে গোল করতেও সক্ষম।

পড়ুন:  যেসকল কারণে আমরা মনে করি আর্সেনাল এবার প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জিতবে!

এছাড়া, কুলিবালি ডিফেন্স থেকে বিল্ড আপ শুরু করার ক্ষেত্রেও বেশ পটু। এর আগে তিনি নাপোলিতে মৌরিসিও সারি’র (যিনি চেলসিতেও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন) অধীনে খেলেছেন, যাকে কি না পজিশন বেজড ফুটবলের পথ প্রদর্শক মানা হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, যখন অধিকাংশ আধুনিক ফুটবল দলই ‘বিল্ডিং ফ্রম দ্য ব্যাক’ কৌশলের অনুসারী, তখন এমন একজন ডিফেন্ডারকে দলে আনা যিনি নির্ভুল পাসিং এ বেশ পারদর্শী, খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত বলেই মনে হয়। 

যদিও তাকে হঠাৎ হঠাৎ ডিফেন্সে দুই একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে অতীতে, তবুও কালিদু কুলিবালি হচ্ছেন একজন বিশ্বমানের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, এবং তার নিকট হতে চেলসি ও চেলসি’র সমর্থকরা অনেক ভালো প্রত্যাশাই রাখতে পারেন বলে আমরা মনে করি।

কুলিবালি চেলসিতে ট্যাকটিকালি কিভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন? (How will he fit in tactically at Chelsea?)

কুলিবালির সামনে এখন এক বিশাল দায়িত্ব। তাকে এখন চেলসি’র গত কয়েক বছরের ডিফেন্সিভ স্টলওয়ার্ট এন্তোনিও রুডিগার এর জায়গায় দাখিল হতে হবে। জার্মান যোদ্ধা রুডিগার স্ট্যাম্ফোর্ড ব্রিজে বিখ্যাত ছিলেন তার আক্রমণাত্মক মানসিকতা, তার আক্রমণভাগে বল টেনে নিয়ে যাওয়া, তার নো-ননসেন্স ট্যাকলিং এর জন্য। রুডিগার অবশ্য একটি ভুল প্রায়শই করতেন, এবং সেটি হল ডিফেন্স ফাঁকা রেখে অ্যাটাকে ছুটে যাওয়া। কালিদু কুলিবালির গেমপ্লে’তে অবশ্য সেই সমস্যাটি নেই, কারণ তিনি সেট পিসে অংশ নিতে অ্যাটাকে গেলেও অন্য সময় কখনোই তিনি তার পজিশন ফাঁকা রেখে যান না।

যদিও এটি মানতেই হবে যে থমাস টুখেলের সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নিতে এবং প্রিমিয়ার লীগের ক্লান্তিকর শারিরিক গেমপ্লে’র সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এই সেনেগালিফ ডিফেন্ডারের বেশ খানিকটা সময় লাগারই কথা, তবুও এটি একটি জানা বিষয় যে এই ৩১ বছর বয়সী খেলোয়াড় বেশ কিছু বছর ধরে চেলসি’র ডিফেন্সকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। তাকে তার প্রয়োজনীয় সময় এবং স্পেস প্রদান করলে তিনি অবশ্যই চেলসি’র হয়ে অনেককিছু অর্জন করতে সক্ষম হবেন, এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই।

গত মৌসুমটি চেলসি’র জন্য খুবই অন্যরকম একটি মৌসুম ছিল। তাদের পক্ষে করা গোলগুলি তাদের পুরো দলের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। মৌসুমের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের হয়ে বিভিন্ন ডিফেন্ডাররা যেমন থিয়াগো সিলভা, মার্কোস আলোনসো, রিস জেমস এবং এন্তোনিও রুডিগার প্রমুখ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছিলেন। 

এই তথ্যটি থেকে এটিই স্পষ্ট হয় যে, থমাস টুখেল তার দলকে এমনভাবেই তৈরি করেন যেন যে কেউ আক্রমণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, এবং তাদের নতুন সাইনিং কুলিবালিকেও সেই লক্ষ্যেই তার খেলাকে কিছুটা পরিবর্তন করে নিতে হবে, এবং দলের গোলস্কোরিং শিটে মাঝে মাঝেই নিজের নামটি লিখাতে হবে। 

পড়ুন:  জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে যা যা প্রত্যাশা করা যায়

চেলসি’র জার্মান কোচ তার সময়কালে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলটিতে বিভিন্ন ধরণের ডিফেন্সিভ ফর্মেশন প্রয়োগ করেছেন এর পেছনে মূল কারণই হল যে, তিনি তার দলের রক্ষণভাগের দিকে প্রচুর নজর দেন। এর ফলেই দেখা গিয়েছে যে, তার নেতৃত্বে চেলসি’র খেলা প্রথম ৪৫টি ম্যাচের মধ্যে ২৭টিতেই তার দল ক্লিন শিট রাখতে সক্ষম হয়েছিল।

বেশির ভাগ সময় তিনি সেন্ট্রাল ডিফেন্সে তিনজন ডিফেন্ডার খেলিয়ে থাকেন। সেই ফর্মেশন অনুসারে দলের তিনজন সেন্ট্রাল ডিফেনডার অবস্থান করেন দলটির উইং ব্যাক ও সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের কিছুটা পেছনে।

কুলিবালিকে নিয়ে চেলসি কিভাবে তাদের দল সাজাবে? (How will Chelsea line up with Koulibaly?)

চেলসি আগামী মৌসুমে একটি নতুন রূপে আবির্ভাব হবে, কারণ তাদের উচ্চমানের দুই নতুন সাইনিং কালিদু কুলিবালি ও রাহিম স্টার্লিং সরাসরি তাদের মুল একাদশে জায়গা করে নিবেন। যা মনে হচ্ছে, তাতে আগামী মৌসুমে চেলসি’র তিন ফার্স্ট চয়েজ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হতে চলেছেন কালিদু কুলিবালি, থিয়াগো সিলভা এবং চেজার এজপিলিকুয়েতা। ওয়েস্ট লন্ডনারদের শিবিরে আরেকটি ট্রান্সফার গুজব ছড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার নেথান আকে’কে নিয়ে। ডাচ এই ডিফেন্ডার, যিনি কি না চেলসিরই বিখ্যাত একাডেমির একজন ছাত্র ছিলেন, এখন চেলসি’র ডিফেন্সকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য তাকেই মূল টার্গেট ধরা হচ্ছে। 

আগামী মৌসুমেও রিস জেমস ও বেন চিলওয়েল যথাক্রমে রাইট ও লেফট উইং ব্যাক পজিশনে ফার্স্ট চয়েজ হিসেবেই পরিলক্ষিত হবেন। এই দুইজন ডিফেন্ডার এর উপরেও চেলসি’র ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে, কারণ ডিফেন্সের পাশাপাশি আক্রমণেও তাদের ভূমিকা অপরিসীম। টুখেলের সিস্টেমে তাই তাদের মর্যাদাও অনেকটাই উপরে।

তাদের মিডফিল্ডে জায়গা করে নিবেন এনগোলো কান্তে, যিনি দলটির জন্য একটি বিশাল রানিং মেশিনের কাজ করেন, এবং ম্যাটেও কভাচিচ, যিনি সাধারণত ডিফেন্সকে অ্যাটাকে পরিণত করতে সাহায্য করেন। এছাড়াও এই দুইটি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে থমাস টুখেল জর্জিনহো বা রুবেন লফটাস-চিককেও খেলাতে পারেন।

মেসন মাউন্টের উপর দায়িত্ব থাকবে আক্রমণভাগ এর নিয়ন্ত্রণ রাখার, এবং প্রত্যেকটি অ্যাটাক সংগঠিত করার। ইংলিশ এই মিডফিল্ডার দলের উইং পজিশনগুলিতেও খেলতে পারেন, কিন্তু পরিসংখ্যান অনুসারে ফরোয়ার্ডের পেছনে খেললেই তিনি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকেন।

চেলসি’র নতুন সাইনিং রাহিম স্টার্লিং অবশ্যই তাদের আক্রমণভাগের বাম পার্শ্বে নিয়মিত খেলবেন, এবং ডান পার্শ্বের উইংগে খেলবেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ বা হাকিম জিয়েশ। আর তাদের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হবেন জার্মান ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ, কারণ তাদের গত মৌসুমের ক্লাব রেকর্ড সাইনিং রমেলু লুকাকু তাদের ছেড়ে লোনে ইতালিয়ান জায়ান্টস ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েছেন।

Share.
Leave A Reply