আপনি কি আমাদের শিরোনামটি পড়ে ভাবছেন যে, “আমি কি ভুল পড়লাম?” তাহলে আমাদের উত্তর হল, “না, আপনি একদমই ভুল পড়েননি।” আর্সেনাল এর নাম এবং শিরোপা জেতার কথা একই বাক্যে বলেছি আমরা। না, এটি কোন প্রকারের ক্লিকবেইট আর্টিকেল নয়, বরং আমরা খুব ভালো করেই জানি আমরা কি বলছি।
এটি বলাই বাহুল্য যে৷ আর্সেনাল দল হিসেবে বরাবরই শক্ত হলেও তারা প্রায় ২০ বছর ধরে একটি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপাও জয় করতে পারেনি। সর্বশেষ তারা ২০০৩-০৪ মৌসুমের শেষে প্রিমিয়ার লীগের দুষ্প্রাপ্য শিরোপাটি হাতে নিতে পেরেছিল, তাও আবার খুবই দাপটের সাথেই, কারণ সে বছরই তারা পুরো লীগ মৌসুম অপরাজিত থেকে শেষ করেছিল, যার ফলে সেই দলটিকে এখনো “দ্য ইনভিন্সিবলস” বলা হয়ে থাকে।
তবে, তার পর থেকেই আর্সেনাল একটি নিম্নমুখী ঢালে পড়ে যায়। নতুন স্টেডিয়াম বানাতে গিয়ে লোনে পড়া, গড়পড়তা খেলোয়াড় কেনা, দলের ভালো খেলোয়াড়দেরকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে বিক্রয় করা, ইত্যাদি কারণে আর্সেনালের দুর্দিন যেন শেষই হচ্ছিল না, এবং এই সময়কালের মধ্যে তাদের নাকের গোড়া থেকে উঠে এসে বিভিন্ন দল অনেক সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে, এমনকি প্রিমিয়ার লীগকে ডমিনেটও করছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং চেলসি কিছু সময়ের জন্য লীগটিতে রাজত্ব করলেও গত এক দশক ধরে লীগটির সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুল।
গত কয়েক বছর ধরে আর্সেনাল একটি বিদ্রুপের উৎসে পরিণত হয়েছে, এবং সাম্প্রতিককালে তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগেও জায়গা করে নিতে পারেনি। এখন এসে দেখা যাচ্ছে যে, গত ৫ মৌসুম যাবৎ গানারস’রা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলতে পারেনি, এবং গত মৌসুমে তারা কিছুটা অনভিজ্ঞতার কারণে দুঃখজনকভাবে একটুর জন্য প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে অক্ষম হয়।
তবে, মিকেল আর্তেতাকে দলের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই মনে হচ্ছে যে আর্সেনাল তাদের ভুলগুলি শুধরানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এবং এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে বেশ খানিকটা অর্থ ব্যয় করে তারা দলটির মুখমন্ডলই পরিবর্তন করে ফেলেছে। এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে গানারস’রাই ছিল প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে বেশি খরচ করা দল। আগেও কয়েকবার বড় অঙ্কের টাকা খরচ করলেও সেগুলির পেছনে তেমন একটা চিন্তাশক্তি খরচ তারা করেছিল না। এবার অবশ্য তারা একজন বড় সুপারস্টারকে না কিনে তাদের নিকট থাকা অর্থকে খুবই সুচতুরতার সাথে ব্যবহার করেছে। তবে, তারা যত যাই করুক না কেন, প্রায় সকল বুকমেকাররাই বরাবরের মত ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুলকে শীর্ষ ২ হিসেবে দেখছেন।
সকল দ্বিধার সাগর পেরিয়ে এবার আর্সেনালের প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা অর্জনের অডস নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০.০০। এখন, আমরা যেথেষ্ট পরিমাণে যুক্তি দিয়ে এবং ৪টি কারণ দর্শিয়ে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে কেন আমরা আর্সেনালকে প্রিমিয়ার লীগ শিরোপার জন্য ফেভারিট বলে দাবি করছি, এবং কিভাবে তারা তা বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
এখন আর্সেনালকে বাঁচানোর জন্য যিশুখ্রিস্ট (জেসুস) নিজেই উপস্থিত হয়েছেন (Arsenal now have Jesus himself to save the day)
এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্সেনাল ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়েছে, এবং তিনিই হলেন ট্রান্সফার উইন্ডোটিতে আর্সেনালের প্রধান সাইনিং। আপনি যদি “জেসুস” নামটির ধর্মজনিত অর্থ পড়েন, তাহলে দেখবেন যে শব্দটির অর্থ হল “ত্রাণকর্তা”। ত্রাণকর্তা রূপে তাকে পেয়ে আর্সেনাল এখন চাইবে যেন তিনি তাদের দূর্দশা দূর করতে পারেন, এবং প্রথম নজরে এমনটিই মনে হচ্ছে যে, এই প্রতাবশালী ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গানারস সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন।
তিনি ইতিমধ্যে প্রাক মৌসুমের ফ্রেন্ডলি ম্যাচগুলিত্তে মোট ৭টি গোল করার মাধ্যমে তার দক্ষতা ও ক্ষমতার বিশালত্ব অনেকটা প্রদর্শনও করেছেন। সেভিয়ার বিরুদ্ধে করা তার অনবদ্য হ্যাট্রিকটিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তিনি যেমনি পারেন আক্রমণভাগের মধ্যমণি হয়ে খেলতে, তেমনি তিনি উভয় উইংগে খেলার ক্ষেত্রেও সমানভাবে পারদর্শী। ফলে, তিনি আর্সেনালকে একটি নতুন আক্রমণাত্মক স্থিতি প্রদান করবেন, এবং তার গতিশীল মুভমেন্টের দরুণ আর্সেনাল ভবিষ্যতে প্রচুর গোল করতেও সক্ষম হবে।
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে আর্সেনালের হয়ে মৌসুমের প্রথম প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচেই জেসুস একটি অনবদ্য ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স প্রদর্শন করেছেন। ম্যাচটিতে তিনি ছয় ছয়টি সফল ড্রিবল সম্পন্ন করেন, এবং তার গতির ছোবলে তিনি প্রতিপক্ষের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে সহজেই কাবু করে ফেলেন। ম্যাচটিতে তার একমাত্র অপ্রাপ্তিই ছিল গোলের দেখা না পাওয়াটা।
গত মৌসুমে আর্সেনালের সেন্টার ফরোয়ার্ডরা সম্মিলিতভাবে কেবলমাত্র ৯টি গোল করতে সক্ষম হয়েছিল, এবং যদি গ্যাব্রিয়েল জেসুস সেই সংখ্যাটির দ্বিগুণের কাছাকাছি কোন সংখ্যাও উপহার দিতে পারেন, তাহলে কে জানে মৌসুমের শেষে গানারস’রা কোন অবস্থানে থাকবে? এই ব্যাপারটিও ভুলে গেলে চলবে না যে, জেসুস ইতিমধ্যে ম্যানচেস্টার সিটি’র হয়ে চার বার প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জিতেছেন। হয়তো আসলেও তার নামের সাথে সাথে এক ধরণের সৌভাগ্যও চলে এসেছে আর্সেনালের ঘরে।
দলের যেকোন পজিশনেই একাধিক মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের উপস্থিতি (Arsenal have better squad depth this season all over pitch)
যেকোন বড় মাপের দলের জন্য একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হল স্কোয়াডের বিশালতা। এটি না থাকলে যখনই মূল একাদশের কোন খেলোয়াড় ইঞ্জুরির বা অন্য কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখনই দলটিকে বড় ধরণের মাশুল দিতে হয়৷ ম্যানচেস্টার সিটি বা লিভারপুলের কথাই ধরুন। তাদের দলের যেকোন পজিশনের যেকোন খেলোয়াড়ের বিপরীতেই রয়েছেন আরেকজন মানসম্পন্ন বদলি খেলোয়াড়।
গত মৌসুমে আর্সেনাল তাদের দলের বিশালতা বা স্কোয়াড ডেপ্থ এর ঘাটতি হারে হারে টের পেয়েছিল, এবং সেটির ফলাফল সবচেয়ে বেশি নজরে পড়েছিল মৌসুমের শেষের দিকে গিয়ে। থমাস পার্টে এবং কিয়েরান টিয়ার্নি দীর্ঘকালীন ইঞ্জুরিতে (মৌসুমের সমাপ্তি পর্যন্ত) পড়ে গিয়েছিলেন, এবং তার পর থেকেই আর্সেনালের স্বপ্নভঙ্গের শুরু হয়েছিল। ঐ দুই খেলোয়াড় এর জায়গায় দলে প্রবেশ করেন যথাক্রমে মোহাম্মদ এলনেনি, এবং নুনো তাভারেজ। তবে, তাদের মধ্যে দক্ষতা ও ক্ষমতার ঘাটতিটি ছিল খুবই স্পষ্ট, এবং সে কারণেই আর্সেনাল শেষ পর্যন্ত শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তারা অধিকতর ছোট দলগুলির বিপক্ষে একটানা বেশ কিছু ম্যাচ হেরে গিয়েছিল, এবং তার নর্থ লন্ডনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহ্যাম হটস্পার্সকে সুযোগ করে দিয়েছিল তাদেরকে পেছনে ফেলে পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলার।
তবে, এবারের মৌসুমে আর্সেনালের নিকট সেই অপরিহার্য স্কোয়াড ডেপ্থটি রয়েছে, এবং সেটি তাদের দলের প্রত্যেকটি পজিশনেই বিদ্যমান। আপনার যদি রাইট উইংগে নিকোলাস পেপেকে কোন যোগ্য সাবস্টিটিউট মনে না হয়, তাহলে শুধু সেই পজিশনটিতেই আর্সেনালের ভালো কোন ব্যাক আপ অপশন নেই। কিন্তু, এবারের ট্রান্সফার উইন্ডো শেষে বাকি সকল পজিশনেই আর্সেনাল তাদের শক্তিমত্তা বাড়িয়ে নিয়েছে। কিয়েরান টিয়ার্নি আবারো ইঞ্জুরির কারণে প্রথম একাদশ থেকে বাহিরে রয়েছেন, কিন্তু এখন আর আর্সেনালের চিন্তা নেই, কারণ সেই পজিশনটিতে খেলার জন্য তাদের নিকট এখন রয়েছেন আরেক সাবেক ম্যান সিটি খেলোয়াড়, ওলেক্সান্ডার জিনচেঙ্কো। তিনি লেফট ব্যাক পজিশনেই ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে নিজের ডেব্যুটি সম্পন্ন করেছেন, এবং পুরো ম্যাচজুড়েই তাকে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছে।
যদি এমনটির দরকার পড়ে, তাহলে গানার্স ফরোয়ার্ড লাইনে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পরিবর্তে বা সাথে এডি এনকেটিয়াও খেলতে পারবেন। অন্য দিকে, আর্সেনালের ডিফেন্সে উইলিয়াম সালাইবা’র অনবদ্য প্রত্যাবর্তন মিকেল আর্তেতাকে দিবে সিলেকশনজনিত একটি মিষ্টি মধুর সমস্যা।
বহুদিন পর আর্সেনালের দলগত ঐক্য আবারো আকাশ ছুঁয়েছে (Arsenal’s team unity is at an all-time high)
দলগত ঐক্যের ব্যাপারটি খুবই জরুরি হলেও সাধারণত একটি দলের সার্বিক তদারকির সময় এই ব্যাপারটির প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দলগত ঐক্য তাই ফুটবল বিশ্বে একটি খুবই আন্ডাররেটেড শব্দ৷ আর্সেনালের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে এমনটি অনেকবারই হয়েছে যে, মৌসুমের কোন একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে তাদের দলের কোন একজন খেলোয়াড় ড্রেসিং রুমে অশান্তি সৃষ্টি করেন। শুধু সর্বশেষ মৌসুমটিতেই নয়, তার আগের বেশ কয়েকটি মৌসুম জুড়েও তেমনটিই লক্ষণীয় ছিল। গত মৌসুমে সেই কাজটি করেছিলেন সাবেক গানার্স অধিনায়ক পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং। তার সাথে কোচ মিকেল আর্তেতা’র বাকবিতণ্ডা হওয়ায় তিনি প্রথমে দলের অধিনায়কত্বটি খোয়ান এবং তার পরে তিনি দল ছেড়ে স্পেনের কাতালুনিয়া’র বার্সেলোনা নামক দলে যোগ দেন।
আর্সেনালের শিবিরের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বেশ খোশ মেজাজেই রয়েছেন, এবং পুরো দলটিকে কেন্দ্র করে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে, যা তাদের সাম্প্রতিক সব খেলা ও ট্রেনিং সেশনে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ক্লাবটিকে নিয়ে সম্প্রতি “অল অর নাথিংঃ আর্সেনাল” শীর্ষক একটি ডকু-সিরিজ মুক্তি পেয়েছে, যা দলটি সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে আরো যথাযথ প্রমাণ করে, এবং তাদের এই সদ্য অর্জিত নব্য আত্মবিশ্বাস ও ঐক্য তাদেরকে চলার পথে অনেক সাহস জোগাবে, এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছু অর্জনের পথ সুগম করবে বলেই আশা করা যায়।
এবারের মৌসুমে আপনারা আর্সেনালের নিকট হতে আরো উৎকৃষ্ট দলবদ্ধতা কামনা করতে পারেন, কারণ মিকেল আর্তেতা’র অনুপ্রেরণায় দলটির সকল সদস্যই এক ডাকে মাঠে তাদের সবকিছু ঢেলে দিতেও পিছপা হবেন না। তাদের নতুন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ডকেও একাধারে তার ম্যানেজার, সকল টিমমেট এবং সমর্থকরা খুবই সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার ঘাড়ে ভর করেই আর্সেনাল একটি নতুন যুগে পা রাখবে বলেই সবাই আশায় বুক বেঁধেছে।
তারা নতুন মৌসুমের একটি শুভ সূচনা করেতে সক্ষম হয়েছে (They’ve started the new season in great fashion)
একটি বিষয় মোটেও ফেলে দেওয়ার মত না এবং সেটি হল যে, যেকোন দলের জন্যই নতুন মৌসুমের শুভ সূচনা করাটা একটি বিশাল ব্যাপার, এবং সেলহাস্ট পার্কে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে আর্সেনাল ঠিক সেটিই করেছে। গত এপ্রিলে যখন একই ফিক্সচারে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, তখন ক্রিস্টাল প্যালেস আর্সেনালকে ৩-০ গোলে ধরাসয়ী করেছিল। কিন্তু, দুদলের মধ্যকার এবারের লড়াইয়ে ক্রিস্টাল প্যালেস মোটেও তেমনটি করতে পারেনি, বরং বিশ্বব্যাপী ফুটবল প্রেমীরা এক অন্যরকম আর্সেনালকেই দেখতে পেয়েছে। দিন শেষে আর্সেনাল তুলনামূলকভাবে একটি সহজ জয় দিয়েই এবারের প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমের পর্দা উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে।
আর্সেনাল সমর্থকরা এখন যখন তাদের ফিক্সচার তালিকার দিকে নজর দেয়, তাহলে তাদের মন আরো আনন্দে ভরে উঠবে, কারণ মৌসুমের প্রথম পাঁচটি ম্যাচই তাদের জন্য সুখকর, অর্থাৎ তুলনামূলক ছোট দলগুলির বিপক্ষে। যদিও প্রিমিয়ার লীগে ছোট বা দূর্বল দল বলতে কিছু নেই, তবুও লীগটির শীর্ষ ছয় দলের কোন একটির মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে মিড টেবিল বা রেলিগেশন এর জন্য ফেভারিট দলগুলির বিরুদ্ধে খেলা অধিকতর সহজ হবে এটিই স্বাভাবিক। তারা যদি এই সহজতর ম্যাচগুলিতে জয় হাসিল করতে পারে, তাহলে সেই নাগাদ গানারস’রা প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষস্থানের আশেপাশে থাকবে বলেই ধারণা করা যায়। তেমনটি যদি হয়, তাহলে তাদের সমর্থকরা এবং ব্রিটিশ মিডিয়াও তাদেরকে শিরোপা প্রত্যাশী হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হবে।
আমাদের এই বিশ্লেষণ দেখে ভাববেন না যে আমরা ম্যানচেস্টার সিটি বা লিভারপুলের মত হেভিওয়েটদের কথা পুরোপুরিভাবেই ভুলে গিয়েছি। আমরা শুধু এটি দাবি করছি যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু দিক দিয়ে গানারস’রা এই দুইটি মারাত্মক দলের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে। আমরাও জানি যে, ম্যান সিটি ও লিভারপুলই প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জেতার দৌড়ে হট ফেভারিট, কিন্তু আমাদের মতে, সেই ফেভারিটদের তালিকায় গানারস’দের নামও যুক্ত হওয়া উচিৎ। মিকেল আর্তেতা’র এই যুবা সৈন্যকে অবমূল্যায়ন করলে যেকোন দলই বিপদে পড়তে বাধ্য, এবং মৌসুমশেষে হয়তো আপনিও আশ্চর্য হতে বাধ্যই হবেন।