ব্রেন্টফোর্ড (Brentford)
বিস খ্যাত ব্রেন্টফোর্ড এবার আবারও তাদের প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমে একটি সুন্দর সূচনা করেছে, এবং এমনটি হলপ করেই বলা যায় যে, এখন পর্যন্ত তারা রেলিগেশনের লড়াই থেকে দূরে থাকার মত খেলাই খেলেছে।
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ার পরও তাদের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য এবং দলগত ঐক্যই তাদেরকে ম্যাচটিতে একটি পয়েন্ট এনে দিয়েছে। ঈগলসদেরকে হতভম্ব করে দিয়েই তারা ম্যাচটি ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটের মাথায় ক্রিস্টাল প্যালেসকে লিড এনে দেন ইংলিশ উইংগার উইল্ফ্রিড জাহা, যিনি কি না সিজনের শুরু থেকেই রয়েছেন অদম্য ফর্মে, এবং ইতিমধ্যে এবারের মৌসুমে ৫টি গোলও করে ফেলেছেন।
তবে, খেলার তখনও অনেক বাঁকি। ম্যাচের শেষ অংশে ব্রেন্টফোর্ড তাদের প্রেসিং বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি থমাস ফ্র্যাংক তার দলের ক্রীড়াকৌশলে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন, এবং কিছু নতুন খেলোয়াড়দেরকেও মাঠে প্রবেশ করান। এমতাবস্থায়, ম্যাচের ৮৮ মিনিটের মাথায় লাফ দিয়ে সবচেয়ে উঁচুতে ওঠেন ইয়োয়ান উইসা, এবং একটি দূর্দান্ত ক্রসে মাথা ঠেকিয়ে তার দলকে একটি মূল্যবান পয়েন্ট এনে দেন তিনি।
এরপরের খেলায় ব্রেন্টফোর্ড মুখোমুখি হবে এমন এক লিডস ইউনাইটেড দলের, যারা কি না নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচেও ঠিক একইভাবে এক গোলে পেছনে পড়ে যায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরতে সক্ষম হয়।
লিডস ইউনাইটেড (Leeds United)
আমেরিকান কোচ জেসি মার্শের অধীনে লিলি হোয়াইটস খ্যাত লিডস ইউনাইটেড নিজেদেরকে পুনঃউদ্ভাবন করতে পেরেছে, এবং ক্লাবটির সমর্থকরা তাই বর্তমানে বেশ উচ্ছ্বসিত।
দলটির ওয়ার্ক রেট বা কর্মদক্ষতা, পাসিং দূরদর্শিতা, দলগত ঐক্য বেশ প্রশংসনীয় বটে। এবং, যেহেতু এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তারা তাদের সবচেয়ে নামীদামী দুই-তিন জন খেলোয়াড়কে (রাফিনহা, কেলভিন ফিলিপ্স এবং ড্যানিয়েল জেমস যাদের মধ্যে অন্যতম) হারিয়েছেন, সেহেতু এটি মানতেই হবে যে, তাদের কেনা নতুন খেলোয়াড়েরা বেশ ভালোভাবেই একটি নতুন লীগে ও নতুন দলে মানিয়ে নিতে পেরেছে।
তাদের সর্বশেষ ম্যাচে তারা এল্যান্ড রোডে আমন্ত্রণ জানায় এমন এক এভারটন দলকে যারা এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোন জয়ের দেখা না পেলেও মোটামুটি ভালো ফুটবলই উপহার দিয়ে চলেছে। যদিও এভারটন ফরোয়ার্ড এন্থোনি গর্ডন টফিস’দেরকে প্রথমার্ধেই এক গোলের একটি ছোট্ট লিড এনে দেন, কিন্তু লিডস ইউনাইটেডের অদম্য ইচ্ছাশক্তিই তাদেরকে আবারও বাঁচিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের নতুন সাইনিং লুইস সিনিস্টেরা’র করা অসাধারণ গোলটির উপর ভর করে তারা ম্যাচটি থেকে একটি পয়েন্ট হাসিল করতে সক্ষম হোন।
কলোম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড বলটিকে এমন উপায়ে গোলমুখে মারেন যে, এভারটন গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড নিজের স্থান থেকে নড়ার সুযোগও পাননি, বল ধরা তো দূরেরই কথা। এরপর লিডস ইউনাইটেড রাজধানী লন্ডনে পাড়ি জমাবে একটি উদ্দীপ্ত ব্রেন্টফোর্ড দলের মুখোমুখি হওয়ার লক্ষ্যে।
প্রেডিকশন (Prediction)
মৌসুমের সূচনাটা বেশ ভালোভাবেই করতে পারলেও লিডস ইউনাইটেডের বেশ কিছু নতুন সাইনিংরাই এখনো দলটিতে মানিয়ে নিতে পারেননি, এবং তাদের ডিফেন্সও মাঝে মাঝে কিছুটা নড়বড়ে মনে হয়েছে। তাদের সেই দূর্বলতাটিকে কাজে লাগিয়েই থমাস ফ্র্যাংক এর শিষ্যরা এই ম্যাচটি জিতে নিবে বলেই আমাদের ধারণা।
ব্রেন্টফোর্ড ২ – ১ লিডস ইউনাইটেড
১.৫ গোলের উর্ধ্বে
ব্রেন্টফোর্ড +১.০ (এশিয়ান হ্যান্ডিক্যাপ)