আমরা ধীরে ধীরে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আরো কাছে চলে আসছি, এবং নভেম্বরে শুরু হলেও বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক উন্মাদনা কিন্তু বহু আগে থেকেই ফুটবল সমর্থকদের গ্রাস করে ফেলেছে।

অবশ্যই, প্রতিবারের মত এবারও সবার জন্যই মূল আলোচনার বিষয়টি হল — “কে জিততে চলেছে এবারের বিশ্বকাপ?”, অথবা “বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের জন্য ফেভারিটস কারা?” সে বিষয়ে অনেক ধরণের আলোচনা ইতিমধ্যে হয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও আমরা করতে থাকব। তবে, এই মুহূর্তে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাই তা হল — ২০২২ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জেতার জন্য ফেভারিটস কারা? 

এই নিবন্ধটিতে আমরা সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, এবং যারা টুর্নামেন্টটি শুরুর আগেই গোল্ডেন বুট জয়ী খেলোয়াড়ের উপর বেটিং করতে চান, তাদের জন্য কিছু উপদেশ বা টিপ্সও প্রদান করব।

২০২২ সালের কাতার ফিফা বিশ্বকাপে বিশ্বের ৩২টি দেশ থেকে বর্তমান সময়ের প্রায় সকল বিখ্যাত গোলস্কোরারই অংশ নিবেন (মোহাম্মদ সালাহ্ এবং  আর্লিং হাল্যান্ড ব্যতীত)। বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জেতার জন্য সকল স্ট্রাইকাররাই খুব মরিয়া হয়ে খেলে থাকেন, কারণ এই পুরস্কারটিই হয়ে থাকে অধিকাংশ স্ট্রাইকারদের স্বপ্ন। ১৬টি গোল নিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটি এখনো নিজের করে রেখেছেন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা। তার গা ঘেঁষেই অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রোনাল্ডো নাজারিও, যিনি কি না মোট ৪টি বিশ্বকাপে খেলে সর্বমোট ১৫টি গোল করতে পেরেছিলেন।

একই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার গোল করার রেকর্ডটি রয়েছে ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড জুস্ত ফন্টেইন এর নিকট। তিনি ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে মোট ১৩টি গোল করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বর্তমান শতাব্দীতে অনুষ্ঠিত সকল বিশ্বকাপ মিলিয়ে অবশ্য সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন সেই রোনাল্ডো নাজারিওই। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে তার করা ৮টি গোলের উপর ভিত্তি করেই বিশ্বকাপ শিরোপাটি জিতে নিয়েছিল ব্রাজিল। 

রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ বিশ্বকাপ জুড়েই  অসাধারণ ফর্মে ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। টুর্নামেন্টটিতে তিনি সর্বমোট ৬টি গোল করে ইংল্যান্ডকে সেমি ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, এবং গোল্ডেন বুট পুরস্কারটিও জিতেছিলেন। ১৯৯০ সালে গ্যারি লিনেকার এর পর তিনিই প্রথম ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জিতেছেন।

এছাড়া, ২০২২ সালের এই বিশ্বকাপে বেশ কিছু সুপারস্টার খেলোয়াড়েরা তাদের নিজ নিজ জাতীয় দলে কামব্যাকও করতে চলেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন ফ্রান্সের কারিম বেঞ্জেমা, যিনি কি না রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একটি দূর্দান্ত মৌসুম পার করার পর মাত্র কিছুদিন আগেই ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটিও জিতে নিয়েছেন। 

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমার, মেসি, রমেলু লুকাকু, এবং সাদিও মানে’র মত খেলোয়াড়েরা ঠিকমত বলের জোগান পেলে অবশ্যই গোল্ডেন বুট জেতার সামর্থ্য রাখেন। এখন তাদের দলের অন্যান্য খেলোয়াড়েরা তাদেরকে সেই সার্ভিসটি দিতে পারেন কি না সেটিই দেখার বিষয়।

পড়ুন:  হাল্যান্ড বনাম তেভেজ বনাম আগুয়েরোঃ ম্যানচেস্টার সিটি'র অতীত ও বর্তমান স্ট্রাইকারদের নিয়ে বিশ্লেষণ

অনেক কথাই হয়েছে। এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক যে, বিশ্বব্যাপী বুকমেকারদের মতে কোন কোন খেলোয়াড়েরা এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতার জন্য ফেভারিটস। 

হ্যারি কেইন – ইংল্যান্ড (+৭০০) [Harry Kane – England (+700)]

এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট পুরস্কারটি জেতার জন্য ফেবারিটদের তালিকায় সকলের উপরে যার নামটি রয়েছে, তিনি হলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে এই দূর্দান্ত স্ট্রাইকারের মারাত্মক রেকর্ডটি দেখলেই বোঝা যায় কেন তাকে এই তালিকার শীর্ষে রেখেছেন বুকমেকাররা। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ওয়েইন রুনি’র ৫৩ গোলের মাইলফলকটি ছোঁয়ার জন্য তার আর মাত্র কয়েকটি গোল দরকার। 

এছাড়া ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতার গৌরবটিও তার অধিনস্তই রয়েছে। তার হেডিং দক্ষতা এবং শট টেকনিক তার দলের জন্যও বেশ মানাসই এবং সেটির কারণেই তার দলের হয়ে বেশির ভাগ গোল তিনিই স্কোর করে থাকেন। 

এছাড়া কেইন এর ফিনিশিং দক্ষতা চরম পর্যায়ের এবং পেনাল্টি স্পট থেকেও তিনি তেমন একটা সুযোগ নষ্ট করেন না বললেই চলে। গোল্ডেন বুট জেতার জন্য সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের তালিকায় কেইনকে সবার উপরে রাখাটা বেশ আকাশচুম্বী মনে হলেও, তিনি কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে এবং ইউরোপীয় পর্যায়েও নিজের দক্ষতার প্রমাণ খুব ভালোভাবেই দিয়েছেন। তাছাড়াও, গোল্ডেন বুটের জন্য হ্যারি কেইনকে উপরে রাখার পাশাপাশি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার জন্য ইংল্যান্ডকেও অনেক উপরের দিকেই রেখেছেন বুকমেকাররা।

কিলিয়ান এমবাপ্পে – ফ্রান্স (+৮০০) [Kylian Mbappe – France (+800)]

কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর শিরোপা জেতার জন্য সবচেয়ে ফেভারিট দল কোনটি? এই বিষয়ে আলোচনায় একটি অবশ্যম্ভাবী নাম হল ফ্রান্স, যারা কি না টুর্নামেন্টটির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। টানা দুইবার শিরোপাটি জেতার জন্য কেন অনেকেই তাদেরকে এগিয়ে রাখছেন? কারণ খুবই সহজ। সবচেয়ে বড় বড় ম্যাচ জেতানোর জন্য তাদের দলে রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে হাইলি-রেটেড গতিদানব কিলিয়ান এমবাপ্পে।

এই পিএসজি তারকা বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের  সবচেয়ে নামকরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। এছাড়া, খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও, তিনিই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বেতনধারী ফুটবলারদের মধ্যেও একজন। তার অগাধ প্রতিভা এবং অসামান্য দক্ষতার কারণে তাকে দলে পেতে সম্প্রতি একরকম যুদ্ধেই লিপ্ত হয়েছিল তার বর্তমান ক্লাব পিএসজি, এবং তার স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। তবে, শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের দেশ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসেই থেকে যান। ২০১৮ সালে তার অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য, বিশেষ করে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে, এখনো সবার স্মৃতিতে তাজা, এবং বিশ্বকাপের ইতিহাসেও ঘুণাক্ষরেই লেখা থাকবে। গোল্ডেন বুট জয়ীদের সম্ভাব্য এই তালিকায় তার পজিশনটি পুরোপুরিভাবেই জাস্টিফাইড।

পড়ুন:  ইপিএলের সেরা ৫টি স্টেডিয়াম

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো – পর্তুগাল (+১২০০) [Cristiano Ronaldo – Portugal (+1200)]

এবছরের নভেম্বরে এই কিংবদন্তী ফুটবলার ও পর্তুগিজ আইকন তার ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নিবেন। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা বয়সের বাঁধকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার হার মানিয়েছেন, এবং যেকোন ফুটবল বিশ্লেষক লি এখনো তার পারফর্মেন্স লেভেল দেখে অবাকই হয়ে থাকেন। 

ইরানের আলি দাই এর রেকর্ডটিকে পেছনে ফেলে তিনিই এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটি অর্জন করেছেন। সবসময়ই তিনি প্রতিপক্ষের ডি বক্সের ভেতর একজন বিপদের নাম, এবং এই তালিকাতে তাই তার জায়গাটিও পুরোপুরিভাবেই যথাযোগ্য।

কারিম বেঞ্জেমা – ফ্রান্স (+১২০০) [Karim Benzema – France (+1200)]

রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান অধিনায়ক কারিম বেঞ্জেমা সম্ভবত বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তার স্প্যানিশ লা লিগা এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ী পারফর্মেন্সগুলি এখনো সকল ফুটবল প্রেমীর মনেই তর্তাজা হয়ে রয়েছে। তার চমৎকার হেডিং এবং ফিনিশিং দক্ষতা তাকে অলিভিয়ে জিরুঁ এর থেকে ফ্রান্সের নাম্বার নাইন পজিশনের জন্য কিছুটা বেশি যোগ্যই করে তোলে। যেহেতু তার ধারাবাহিকতাকে কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না, সেহেতু এমনটি আশা করাই যায় যে তিনি এবারের বিশ্বকাপে প্রচুর গোল করবেন।

লিওনেল মেসি – আর্জেন্টিনা (+১২০০) [Lionel Messi – Argentina (+1200)]

গত মৌসুমে ফ্রান্সের পিএসজিতে প্রথম মৌসুম কাটানোর সময় এমনটিই মনে হয়েছিল যে, আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি’র স্বর্ণযুগ বুঝি এবার শেষ! তবে, বিশ্ব ফুটবলে মেসি’র সমাপ্তি এভাবে লেখা হবে না, তা তিনি আবারও প্রমাণ করেছেন, এবং আবারও তিনি তার সেরা ফুটবলটি খেলতে শুরু করেছেন। ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা এই সুপারস্টার এবার নিশ্চয় চাইবেন তার অধরা বিশ্বকাপ শিরোপাটি ঘরে তুলে নিতে, এবং বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় নিজের নামটি আরো খানিকটা উপরের দিকে অগ্রসর করতে।

সাম্প্রতিক কালে আর্জেন্টিনার দলটি বেশ প্রশংসনীয় ফর্ম পার করছে, এবং তাদের দলের ঐক্যবদ্ধতাই তাদেরকে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে ফেবারিট দলগুলির তালিকাতে জায়গা করে দিয়েছে।

এছাড়া, মেসি এমনটি ঘোষণাও করে দিয়েছেন যে, এটিই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। তাই, বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যে একটি শেষ থাবা বসানোর কোন প্রকার সুযোগই হাতছাড়া করবেন না এই আর্জেন্টাইন তারকা।

রমেলু লুকাকু – বেলজিয়াম (+১৬০০) [Romelu Lukaku – Belgium (+1600)]

বেলজিয়ান এই তারকা গত মৌসুমে চেলসিতে ফিরে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি, এবং সেজন্য এবারের মৌসুমে তাকে আবারও ইন্টার মিলানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পড়ুন:  ইউরো 2024-এ EPL খেলোয়াড় - দিন 1

২০২১-২২ মৌসুমের শুরুতে এই ফরোয়ার্ড ইন্টার মিলান থেকেই ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বহু প্রত্যাশার চাপ ঘাড়ে নিয়ে চেলসিতে ফিরেন, কিন্তু দলটিতে কোন প্রকার ইতিবাচক প্রভাব ফেলতেই তিনি ব্যর্থ হোন। তবে, আন্তর্জাতিক ফুটবল অংগনে তিনি একজন মারাত্মক গোলস্কোরার। তিনি হলেন বেলজিয়ামের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা, এবং তার পেছনে বুদ্ধিদীপ্ত মিডফিল্ডারদের যে পসরা সাজানো রয়েছে, তার কারণেই মূলত তিনি আরও অবেক গোল করার সুযোগ পাবেন বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।

নেইমার জুনিয়র – ব্রাজিল (+১৮০০) [Neymar Jr. – Brazil (+1800)]

আপনি যদি এই মুহূর্তে প্রশ্ন করেন যে, এবারের কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ জেতার জন্য সবচেয়ে বেশি ফেভারিট কোন দলটি? তাহলে অধিকাংশ ফুটবল বোদ্ধারাও এটিই বলবে যে, ব্রাজিলই ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ জেতার জন্য ফেভারিট। এবং সেই ফেভারিট হওয়ার পেছনে তাদের সবচেয়ে বড় যে কারণ বা হাতিয়ার, সেটি হলেন নেইমার জুনিয়র।

যদিও চ্যাম্পিয়নস লীগে তার দল পিএসজি’র ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য বার বার নেইমারকেই দায়ী করা হয়ে থাকে, তবুও পরিসংখ্যান এর দিকে তাকালে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে সেসকল সমালোচনার বুনিয়াদ খুবই দূর্বল। তিনি হলেন বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। এছাড়া, ব্রাজিলের হয়ে কিংবদন্তী পেলে’র গোলের রেকর্ডটি ভাঙারো খুবই নিকটে পৌঁছে গিয়েছেন এই সাবেক বার্সেলোনা তারকা।

ব্রাজিলের যদি আসলেও ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আসরটি জিতে নিতে হয়, তবে নেইমারকে তার গোলের পসরাটি সাজাতেই হবে কাতারে।

রাহিম স্টার্লিং – ইংল্যান্ড (+২০০০) [Raheem Sterling – England (+2000)]

থ্রি লায়নস এর এই তারকা উইংগারকে এবারের বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট ফেভারিটদের তালিকায় ৮ম পজিশনে রেখেছেন বুকমেকাররা। এবারের ক্লাব ট্রান্সফার উইন্ডোতে ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এই লেফট উইংগার বেশ ভালো ফর্মই প্রদর্শন করেছেন।

ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক সাফল্যগুলির সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত, এবং তারা যদি তাদের সেই সাফল্যের ধারাটি বজায় রাখতে চান, তাহলে স্টার্লিং এর অসাধারণ টেকনিক ও মুভমেন্ট এর কোনই বিকল্প নেই। হ্যারি কেইন এবং মেসন মাউন্ট এর সাথে তার বোঝাপড়াও বেশ প্রশংসনীয়। যদিও তিনি সবসময় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন না, এবং অনেক সময় ধারাবাহিকভাবে গোলও করতে পারেন না, তবুও এবারের বিশ্বকাপে গোলের জন্য ইংল্যান্ড সমর্থকরা হ্যারি কেইন এর পাশাপাশি রাহিম স্টার্লিং এর দিকেই তাকিয়ে থাকবেন।

Share.
Leave A Reply