প্রেডিকশন (Prediction)
জার্মানি ২ – ১ জাপান
ভেন্যুঃ খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
২০১৪ সালে তাদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ শিরোপাটি জেতার পর থেকে চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি বেশ বাজে ফর্মই পার করছে, বিশেষ করে বড় বড় টুর্নামেন্টগুলিতে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে তাদেরকে গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল, এবং তারপর থেকে যুবা খেলোয়াড়দের উপর ভর করে তারা ধীরে ধীরে তাদের দলটিকে পুনর্গঠন করেছে, এবং এখন তারা আবার বিশ্ব ফুটবলের রাজার আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত। এবারের বিশ্বকাপে (স্বাগতিক দেশের পর) প্রথম দল হিসেবে কোয়ালিফাই করেছে এই জার্মানিই, যা তাদের শক্তিমত্তারই পরিচায়ক। এবং, অন্যদিকে, জার্মানির মতই বিশ্বকাপে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ জাপানও একটি যুবা এবং শক্তিশালী দলই গঠন করেছে।
ফর্ম বিবরণীঃ জার্মানি (Form Guide: Germany)
জার্মানি গত বেশ কিছু বছর ধরেই প্রতিশোধ ও দাগমুক্তির আগুনে পুড়ছে, এবং সেই আগুন নেভানোর সবচেয়ে বড় সুযোগ তারা পাবে এবারের কাতার বিশ্বকাপে। তাদের দলটি গত কয়েক বছরে প্রচুর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, এবং সেই পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াটির নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের কোচ হানস-ডিয়েটার ফ্লিক।
তবে, টুর্নামেন্টটিতে প্রবেশের পূর্বে তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে মাত্র একটিতে, ৪টিতে করেছে ড্র, এবং হেরেছে একটিতে। এত বড় টুর্নামেন্টের পূর্বে এমন সব ফলাফল এমনটিই ইঙ্গিত করে যে, তাদের প্রস্তুতি খুব একটা উচ্চমানের হয়নি। তবে, যেহেতু কোচ হানস ফ্লিক প্রচুর যুবা খেলোয়াড় দিয়ে দল সাজিয়েছেন, সেহেতু কিছুটা সময় তাদেরকে দেওয়াই যেতে পারে নিজেদেরকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। প্রকৃতপক্ষে, জার্মানির ইতিহাসে বিশ্বকাপে পাঠানো সব দলের মধ্যে এবারের দলটির গড় বয়সই সবচেয়ে কম।
ফর্ম বিবরণীঃ জাপান (Form Guide: Japan)
অন্যদিকে, এশিয়ার সবচেয়ে ধারাবাহিক দল জাপান এবারের বিশ্বকাপে একটি তুলনামূলকভাবে অভিজ্ঞ দল নিয়েই প্রবেশ করছে। তাদের দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ইউরোপের বিভিন্ন বড় বড় দলে নিয়মিত খেলে থাকেন, এবং সেই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পূর্বের বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতাও তাদেরকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
ব্লু স্যামুরাই খ্যাত জাপান তাদের বিশ্বকাপের প্রথম গ্রুপ ‘ই’ ম্যাচে খেলতে নামার আগে তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৩টিতেই জয়লাভ করেছে। সেই তিন জয়ের মধ্যে একটি এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে, যারা নিজেরাও এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। এছাড়া, তাদের স্ট্রাইকারদের গোল কনভার্শন রেট অনেক বেশি, যা জার্মান ডিফেন্ডারদেরকে কিছুটা হলেও ভাবাবেই।
ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)
যত যাই বলা হোক না কেন, জার্মানির ইতিহাস ও লেগ্যাসি আমাদেরকে বাধ্য করে এই ম্যাচটিতে তাদেরকে এগিয়ে রাখার জন্য। এছাড়া, ইতিহাসও বলছে যে, এই ম্যাচটিতে জাপানের জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম, কারণ দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ ৪টি ম্যাচের মধ্যে ২টিতেই জিতেছে জার্মানি, এবং বাকি দুইটি হয়েছে ড্র। এই ম্যাচে তাই জাপান ড্র করতে পারলেও সেটিকে কিছুটা অঘটনই মানা হবে।