প্রেডিকশন (Prediction)
তিউনিশিয়া ০ – ১ অস্ট্রেলিয়া
ভেন্যুঃ আল জানুব স্টেডিয়াম
অস্ট্রেলিয়া এবং তিউনিশিয়া এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে একে অপরের মুখোমুখি হবে, এবং এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হতে পারে এই দুই দলের ভাগ্য — কার রাউন্ড অব ১৬ তে খেলার সুযোগ বেঁচে থাকবে আর কার থাকবে না। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই ম্যাচটিতে কিছুটা হলেও বেশি উদ্দীপনা থাকবে, কেননা তারা তাদের তৃতীয় ও সর্বশেষ গ্রুপ ম্যাচটি খেলবে ডেনমার্কের বিপক্ষে, যে ম্যাচটি তাদের নাগালের পুরোপুরি বাইরে বলা যায় না। অন্যদিকে, তিউনিশিয়া তাদের সবশেষ গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের, যে ম্যাচটি জেতা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভবই বলা যেতে পারে।
ফর্ম বিবরণীঃ তিউনিশিয়া (Form Guide: Tunisia)
এই ফিক্সচারটিতে প্রবেশ করার পূর্বে তিউনিশিয়া অসাধারণ ফর্ম প্রদর্শন করেছে। বিশ্বকাপের পূর্বে তাদের খেলা সর্বশেষ ৭টি ম্যাচের মধ্যে তারা জয়লাভ করেছে ৪টিতে, ২টিতে করেছে ড্র, এবং হেরেছে মাত্র একটিতে।
সেই ৭টি ম্যাচে তারা স্কোর করতে পেরেছে মোট ১১টি গোল, এবং কন্সিড করেছে মোট ৫টি গোল, যার সবগুলিই এসেছিল শক্তিশালী ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা তাদের একটি ম্যাচেই।
ফর্ম বিবরণীঃ অস্ট্রেলিয়া (Form Guide: Australia)
অস্ট্রেলিয়ার একদম সাম্প্রতিক ফর্ম এর দিকে তাকালে তা বেশ সন্তোষজনকই মনে হবে, কারণ তারা তাদের খেলা সর্বশেষ ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই জয় পেয়েছে, এবং অন্যটিতে তারা ড্র করেছে। তবে, আরো একটু বড় স্যাম্পল সাইজ বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, গত দুই-একটি বছর তাদের জন্য খুব একটা ভালো যায়নি, এবং ধারাবাহিকতার প্রচুর অভাব রয়েছে দলটিতে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত খেলা তাদের সর্বশেষ ১১টি ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে ঐ ৫টি ম্যাচেই, ৪টিতে করেছে ড্র, এবং ২টি ম্যাচে তারা হেরেছে। তাদের ড্র করা বা হেরে যাওয়া ম্যাচগুলির সবকটিই ছিল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ (ফ্রেন্ডলি ম্যাচ নয়)। সেই সময়ের মধ্যে তারা গোল করতে সক্ষম হয়েছে ১৪টি, এবং গোল হজম করেছে ৮টি।
ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)
এমন দুইটি দলের মধ্যে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যাদের একটি জয় খুব বেশি করে দরকার, যাতে করে তাদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষীণ আশাটি বেঁচে থাকবে। তাই, উভয় দলই খুব সাবধানতার সাথে এই ম্যাচটিতে প্রবেশ করবে। তিউনিশিয়া হল এমন একটি দল যাদের পরিচিতি মূলত তৈরিই হয়েছে তাদের ডিফেন্সের উপর ভিত্তি করে। এই ম্যাচটিতেও তারা তাদের সেই শক্তির জায়গাটিকেই কাজে লাগাতে চাইবে, এবং কাউন্টার অ্যাটাকে অস্ট্রেলিয়ান’দের উপর আঘাত হানতে চাইবে। অন্যদিকে, অজি’রা চাইবে ম্যাচের পজিশনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে, এবং ম্যাচটি ডমিনেট করে তিউনিশিয়া’র হাত থেকে ছাড়িয়ে আনতে।
শেষ পর্যন্ত, অস্ট্রেলিয়া তাদের অকাঠ্য পরিশ্রম ও অদম্য ধৈর্যের ফল পাবে, এবং একটি গোল করেই ম্যাচটি থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে।