যা যা থাকছে (Table of contents)
- ভূমিকা
- এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগের সম্ভাব্য সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়দের তালিকা
- আমাদের চূড়ান্ত বাছাই
ভূমিকা (Introduction)
যে লীগ কখনোই থেমে থাকে না, সেই প্রিমিয়ার লীগকে বর্তমানে জোড়পূর্বক থেমে থাকতে হচ্ছে ফুটবলের ইতিহাসের সর্বপ্রথম শীতকালীন ফিফা বিশ্বকাপকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য, যা কি না কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলবিহীন এই অতি বিচিত্র এক সময়ে আমি নিজেকে এই প্রশ্নটি করার সুযোগ পেয়েছি যে, এ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় কে?
এই মৌসুমে লীগটিতে প্রচুর নজরকাড়া পারফর্মেন্সই অবলোকন করা গিয়েছে, কিন্তু তার মধ্য থেকে যেকোন একজনকে এমভিপি বা সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নেওয়া মোটেও কোন সহজ কাজ নয়। তাই, আমরা অনেক জল্পনা কল্পনার পরে মোট ৬ জন খেলোয়াড়ের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করতে পেরেছি, যেখানে আমরা এই পুরষ্কারটির জন্য যোগ্য সব প্রার্থীদেরকে স্থান করে দিয়েছি।
তাহলে আর দেরি কিসের? চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন ৭ জন খেলোয়াড় সম্পর্কে যারা মাঝ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের এমভিপি বা সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে উপস্থিত রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগের সম্ভাব্য সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়দের তালিকা (List of potential Premier League MVPs so far)
লিসান্দ্রো মার্তিনেজ – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (Lisandro Martinez – Manchester United)
বর্তমানে প্রিমিয়ার লীগ লিডার্স আর্সেনালের সাথে প্রতিযোগিতা করে গত গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে ডাচ ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডাম থেকে ৫৬.৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে দলে ভেড়ায় প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
তার নিজের এবং তার দলের জন্য এবারের মৌসুমে খুবই নড়বড়ে একটি সূচনার পর, এবং তার নিজের উচ্চতা নিয়ে প্রচুর সমালোচনার শিকার হওয়ার পর লিসান্দ্রো তার স্বভাবসুলভ দানবীয় চরিত্রে আবির্ভূত হোন, এবং রাফায়েল ভারান এর সাথে ইউনাইটেডের ডিফেন্সের প্রাণকেন্দ্রে একটি অসাধারণ জুটি গড়ে তার বিরুদ্ধে সেসকল সমালোচনার কড়া জবাব দেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রবিশেষে তিনি তার ফ্রেঞ্চ সংগী ভারান এর থেকেও অনেক ভালো খেলেছেন, এবং এমন দৃষ্টান্তসমূহই সকলকে চুপ করাতে সক্ষম হয়।
এফবিরেফ নামক একটি অনলাইন পোর্টাল এর মতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অন্য কোন ডিফেন্ডারই মার্তিনেজ এর সমান (গড়ে ০.৯৭টি করে) ম্যাচপ্রতি ট্যাকেল করতে পারেননি। এছাড়া, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের মধ্যে শুধুমাত্র হ্যারি ম্যাগুয়ায়ার, যিনি কি না মার্তিনেজ এর তুলনায় অনেক কম মিনিটের জন্য খেলেছেন, গড়ে লিসান্দ্রো মার্তিনেজ এর থেকে (১.৪২টি করে) অধিক ম্যাচপ্রতি ইন্টারসেপশন করেছেন।
মার্তিনেজ এর সুন্দর পাসিং দক্ষতাও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন পজিশন ভিত্তিক ফুটবলে বেশ কাজে দিচ্ছে। উইং ও ফরোয়ার্ড পজিশনের দিকে পাস ও থ্রু বল পাঠানোর ক্ষেত্রে তার কোনই জুড়ি নেই। এভাবে খেলতে থাকলে তার নিকট বেশ কিছু এসিস্টও ধরা পড়বে বলে আশা করাই যায়। ম্যাচপ্রতি তিনি গড়ে ১.৮৭টি প্রোগ্রেসিভ পাস করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ম্যান ইউ ডিফেন্সে শুধু ভিক্টর লিন্ডেলফ এর থেকেই কম। এখানে বলাই বাহুল্য, মার্তিনেজ এর তুলনায় লীগে ইউনাইটেডের মূল দলে অনেক কম মিনিটই খেলেছেন।
গ্যাব্রিয়েল জেসুস – আর্সেনাল (Gabriel Jesus – Arsenal)
আর্সেনাল, যারা কি না মৌসুমের শুরু থেকেই দূর্দান্ত ফর্মে রয়েছে এবং বিশ্বকাপ বিরতিতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে, বর্তমানে ২য় স্থানে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি’র থেকে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে, এবং এবারের বড়দিনেও তারাই টেবিলের শীর্ষে থাকবে।
আর্সেনালের এমন অভাবনীয় পজিশনে থাকার পেছনে অন্যতম বড় একটি কারণ হলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস। গত গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে ম্যানচেস্টার সিটি থেকেই তাকে ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দলে ভেড়ায় গানারস’রা, এবং শুরু থেকে মিকেল আর্তেতা’র দলটির জন্য খাপে খাপ একজন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হোন তিনি।
এবারের মৌসুমে এ পর্যন্ত মোট ১৪টি প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচ খেলে এই ম্যানচেস্টার সিটি “রিজেক্ট” ইতিমধ্যে ৫টি গোল ও ৫টি এসিস্ট করে ফেলেছেন। তবে, পুরো চিত্রটি দেখলে বোঝা যায় যে, শুধুমাত্র গোল ও এসিস্ট দিয়ে এই দলটির উপর তার ইতিবাচক প্রভাব পরিমাপ করা সম্ভব না।
জেসুস এবারের মৌসুমে তার দলের জন্য পুরোদমে খেটে চলেছেন, এবং ধারাবাহিকভাবে তিনি দলটির হয়ে অল অ্যাকশন পারফর্মেন্স দিয়ে চলেছেন। বল গ্রহণ করার লক্ষ্যে মাঠের নিম্নভাগে নেমে আসা এবং দলের বিল্ড-আপ প্লে’তে সাহায্য করা থেকে শুরু করে ডিফেন্সিভ দিক দিয়ে মাঠের উপরিভাগ থেকে প্রেসিং শুরু করা, এবং ট্র্যাক ব্যাক করা পর্যন্ত তার দলের হয়ে হন্যে হয়ে খেটেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
তিনি হয়তো প্রিমিয়ার লীগের অন্যান্য বেশ কিছু স্ট্রাইকারদের চেয়ে আকর্ষণীয় নন, তবে আর্সেনালের খেলার স্টাইলের সাথে মিল রেখে তার চেয়ে ভালো ফরোয়ার্ড পাওয়া সত্যিই দলটির জন্য দুষ্কর।
উইলিয়াম স্যালিবা – আর্সেনাল (William Saliba – Arsenal)
আর্সেনাল থেকে আরেকজন খেলোয়াড় এই তালিকায় নাম লিখালেন, এবং এটি মোটেও অবিশ্বাস্য নয় যে, তার নামটি হল উইলিয়াম স্যালিবা।
মিকেল আর্তেতা একজন যুবা খেলোয়াড়ের প্রতিভার উপর ভরসা রেখে তাকে পর পর দুই মৌসুম লোনে পাঠান, কিন্তু বিক্রি করে দেন না। তার সেই আস্থাকে পরিপূর্ণতা দিয়ে নিজের দ্বিতীয় লোন স্পেলে মার্সেই এর হয়ে দূর্দান্ত পারফর্ম করার পর উইলিয়াম স্যালিবা প্রথমবারের মত ফ্রেঞ্চ জাতীয় দলে ডাক পান, এবং তখনই এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এখন তিনি প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের জন্য প্রস্তুত।
এরপর এবারের মৌসুমে তাকে আর্সেনাল মূল দলে খেলার সুযোগ দেন মিকেল আর্তেতা, এবং তার সেই সিদ্ধান্তটি মোটেও ব্যাকফায়ার করেনি, বরং তিনি স্যালিবা’র পারফর্মেন্সে মুগ্ধই হয়েছেন বলা যায়। প্রিমিয়ার লীগে এ পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলে তিনিই এখন পর্যন্ত লীগের সেরা ডিফেন্ডার। মাত্র ২১ বছর বয়সী হলেও তিনি অনেক বেশি ম্যাচিউরিটি’র সাথে খেলে চলেছেন, এবং খেলা সম্পর্কে তার জ্ঞান ও গরিমা খুব কম ডিফেন্ডারই আজ পর্যন্ত দেখাতে পেরেছে৷ এছাড়া, তার ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির উচ্চতা ও বডিফ্রেম, এবং অসাধারণ এথলেটিক দক্ষতা তাকে একজন রলস রয়েস ডিফেন্ডারে পরিণত করেছে।
তিনি বল পায়েও বেশ ধীরস্থির, এবং তার পাসিং দক্ষতাও উঁচু মানের। এছাড়া, বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতি থেকে তিনি তার দলকে বের করে আনতেও বেশ পারদর্শী। তার খেলা দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়, এবং এসবকিছুকে সত্যতা প্রদান করে তার পরিসংখ্যান। তার পাস সম্পন্ন করার পার্সেন্টেজ হল ৯২.১%, যা তাকে চলতি মৌসুমে লীগে ডিফেন্ডারদের মধ্যে ৯৪তম পার্সেন্টাইলে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া তার ম্যাচপ্রতি গড়ে ০.২৯টি ট্যাকেল করার রেকর্ডটি তাকে নিয়ে এসেছে লীগের ৭৭তম পার্সেন্টাইলে।
ইতিমধ্যেই তাকে দেখে বিশ্বের সেরা একজন ডিফেন্ডার এর মত মনে হয়। উইলিয়াম স্যালিবা’র প্রতিভা ও পটেনশিয়াল আসলেই অনেক ভয়ংকর।
আর্লিং হাল্যান্ড – ম্যানচেস্টার সিটি (Erling Haaland – Manchester City)
আর্লিং ব্রাউত হাল্যান্ডকে ছাড়া এবারের মৌসুমে কোন এমভিপি তালিকা কি তৈরি করা যেতে পারে? আমার মনে “না”। ১৩ ম্যাচে ১৮ গোল করা মোটেও কোন সহজ বিষয় নয়, বরং প্রিমিয়ার লীগে এমনটি করা অবিশ্বাস্যই বটে। এরই মধ্যে তিনি অসংখ্য রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছেন।
গত গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে ৫২ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি বার্গেন ফি দিয়ে হাল্যান্ডকে দলে ভেড়ায় পেপ গার্দিওলা’র ম্যান সিটি, এবং ইতিমধ্যেই তাদের সেই অর্থ উশুল হয়ে গিয়েছে বলেই আমরা মনে করি। হাল্যান্ড হাসিমুখে ইংল্যান্ডে আসেন, তার শৈশবের স্মৃতিঘেরা ম্যান সিটিতে খেলতে শুরু করেন, এবং তার অবাক করা এথলেটিসিজম দিয়ে পুরো লীগটিকে তচনচ করে রেখে দেন নিমিশেই। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার একজন মানুষ এত দ্রুত কিভাবে দৌড়াতে পারেন? আমরা তা জানি না, কিন্তু আমরা জানি যে আর্লিং হাল্যান্ড তা পারেন।
লীগ লিডার্স আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার সিটি’র মধ্যে একটি ৫ পয়েন্টের গ্যাপ বর্তমানে তৈরি হয়েছে, এবং মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে সেই গ্যাপটি পূরণ করার জন্য আর্লিং হাল্যান্ডকে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করতে হবে।
কেভিন ডি ব্রুয়না – ম্যানচেস্টার সিটি (Kevin De Bruyne – Manchester City)
আর্লিং হাল্যান্ড এর মত অসাধারণ তারকা দলে যোগ দেওয়ার পরও দলটির উপর কেভিন ডি ব্রুয়না’র প্রভাব ও দলে তার গুরুত্ব এতটুকুও কমেনি। বর্তমানের পিএফএ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার কেভিন ডি ব্রুয়নাও তাই এবারের মিড সিজন এমভিপি পুরষ্কার জেতার জন্য একজন হট ফেভারিট খেলোয়াড়।
ম্যানচেস্টার সিটি’র হয়ে এবারের মৌসুমে ৩টি গোল এবং ৯টি এসিস্ট (লীগের সর্বোচ্চ) করার মাধ্যমে কেভিন ডি ব্রুয়না আবারও প্রমাণ করে চলেছেন যে, তিনিই বর্তমানে প্রিমিয়ার লীগের সেরা মিডফিল্ডার।
এফবিরেফ এর মতে, প্রিমিয়ার লীগে গড়ে প্রতি ৯০ মিনিটে সম্ভাব্য এসিস্ট করার কেভিন ডি ব্রুয়না’রই সবচেয়ে (৬.৮টি)। তিনি চলতি মৌসুমে লীগে সবচেয়ে বেশি একিউরেট থ্রু বলও দিয়েছেন (১৪টি)। লীগে তার দলের হয়ে মোট ৮৩টি শট করার সুযোগ তৈরির রেকর্ডও এবার তার নিকটই রয়েছে। এছাড়া, তিনি চলতি মৌসুমে মোট ১৭টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন, যেটিও লীগে সর্বোচ্চ। বর্তমানে কোন মিডফিল্ডারই ডি ব্রুয়না’র চেয়ে ভালো পরিসংখ্যান প্রদর্শন করতে পারবেন না।
মিগেল আলমিরোন – নিউক্যাসেল ইউনাইটেড (Miguel Almiron – Newcastle United)
প্যারাগুয়ান উইংগার মিগেল আলমিরোন এর জন্য হয়তো গত মৌসুমের শেষে করা জ্যাক গ্রিলিশ এত হাস্যরসাত্মক মন্তব্যটিই একটি ট্রিগারের কাজ করেছে, কেননা এবারের মৌসুমটি শুরুর আগে নিউক্যাসেলের হয়ে ১১০টি ম্যাচ খেলে মিগেল আলমিরোন এর ঝুলিতে ছিল মাত্র ৮টি লীগ গোল।
এবারের মৌসুমে কেবলমাত্র ১৫টি ম্যাচ খেলেই আলমিরোন ৮টি গোলের সেই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন, এবং আরেকটি গোল করলে তিনি তার আগের তিন মৌসুমের গোল ট্যালিকে অতিক্রম করবেন। নিউক্যাসেল ইউনাইটেডে এডি হাও যে অভাবনীয় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন, তার একটি অসাধারণ প্রতিফলন হলেই এই আলমিরোন।
চলতি মৌসুমে এন্ড-প্রোডাক্ট তৈরির দিক দিয়ে প্রিমিয়ার লীগে এক প্রকার ঝড়ই তুলে ফেলেছেন আলমিরোন। প্যারাগুয়ান এই তারকা আবার অনবদ্য সব গোল ছাড়া স্কোরই করেন না! ম্যাগপাইদের হয়ে তিনিই বর্তমান মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গোল করেছেন, এবং তাদের চ্যাম্পিয়নস লীগ প্লেস ধরে রাখতে হলে তাকে তার এই দূর্দান্ত ফর্মটি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে।
আমাদের চূড়ান্ত বাছাই (Final pick)
এবং এবারের এমভিপি (সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়) পুরষ্কারটি যাচ্ছে……. (And the MVP goes to……)
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন (অথবা করেননি)। আর্লিং ব্রাউত হাল্যান্ড হচ্ছেন আমাদের এবারের মিড সিজন এমভিপি (সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়)।
প্রিমিয়ার লীগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি’র হয়ে খেলা হাল্যান্ডের প্রথম ১৩টি লীগ ম্যাচে তিনি নিম্নোক্ত রেকর্ডগুলি ভেঙেছেনঃ
- প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে দুইটি হ্যাট্রিক করা খেলোয়াড় হলেন হাল্যান্ড।
- প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে তিনটি হ্যাট্রিক করা খেলোয়াড়ও হলেন হাল্যান্ড।
- প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ১০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছে যাওয়া খেলোয়াড়ও হলেন হাল্যান্ড।
- প্রিমিয়ার লীগে নিজের খেলা প্রথম ৪টি অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করা সর্বপ্রথম খেলোয়াড়ও হলেন এই হাল্যান্ডই।
যে গতিতে এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড প্রিমিয়ার লীগে গোল করে চলেছেন, তাতে মৌসুম শেষে তার ঝুলিতে আরো অনেক রেকর্ড থাকবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। বেশ কিছু ইতিহাসও তিনি রচনা করে ফেলতে পারেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে মোট ৩৮টি গোল করে এক মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে সর্বকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলের রেকর্ড করেন লিভারপুল উইংগার মোহাম্মদ সালাহ্। এই রেকর্ডটিও ভাঙার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন হাল্যান্ড।
আর্সেনাল হয়তো এখন প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে, তবে লীগ শিরোপাটি জেতার জন্য কিন্তু এখনো ম্যানচেস্টার সিটিই অধিক ফেভারিট, এবং সেটির পেছনে সবচেয়ে বড় কারণটিই হলেন আর্লিং হাল্যান্ড।