সূচিপত্র (Table of Contents)
- ভূমিকা
- পেলে’র লেগ্যাসি
- শুরুর জীবন / ক্লাব ক্যারিয়ার
- বৈশ্বিক খ্যাতিতে উত্থান
- সেসকল খেলোয়াড়েরা যাদেরকে পেলে’র সাথে তুলনা করা যায়
পুরো ফুটবল বিশ্বেই শোকে কেঁপে উঠেছিল যখন সবাই জেনেছিল যে, ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে মারাত্মক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরেই এমনও খবরও পাওয়া গিয়েছিল যে, পেলেকে নাকি হাসপাতালের জীবনাবসান (এন্ড অব লাইফ) ইউনিটে নেওয়া হয়েছে, কেননা ক্যান্সারের কোন চিকিৎসাই কাজে দিচ্ছিল না। তবে, তার দুই একদিনের মধ্যেই পেলে নিজে তার ভক্তদের জানান যে, তিনি এখন অনেকটা ভালো অনুভব করছেন।
তিনি একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে তার সকল ভক্তদেরকে ধন্যবাদ জানান, যারা কি না তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন, এবং তার জন্য অসংখ্য সুন্দর সুন্দর বার্তা পাঠিয়েছেন। সাথে সাথে তিনি তাদের সকলকে আশ্বাসও দিয়েছেন যে, তিনি চিকিৎসকদের দেওয়া পন্থা সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করছেন, এবং খুব শীঘ্রই ঘরে ফেরার আশা করছেন।
“আমার বন্ধুরা, আমি আপনাদের সকলকে শান্ত ও ইতিবাচক মানসিকতায় রাখতে চাই। আমি অনেক শক্ত হয়ে আছি, এবং অনেক আশা বুকে নিয়েই চিকিৎসকদের বলা পথে হেঁটে চলেছি। আমি যত সেবা ও শুশ্রূষা পেয়েছি, তার জন্য আমি হাসপাতালের সকল নার্স এবং পুরো মেডিকেল টিমকেই ধন্যবাদ জানাতে চাই।
“আমার ঈশ্বরের উপর অনেক ভরসা রয়েছে, এবং আপনাদের নিকট হতে বিশ্বের সকল প্রান্ত থেকে আমি যতই বার্তা পাই, ততই আমার বুক আরো শক্তিতে ভরপুর হয়ে যায়। বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে সাপোর্ট দিতেও আমি ভুলবো না। আপনারাও ভুলবেন না কিন্তু।
“সবকিছুর জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।”
পেলে’র লেগ্যাসি (Pele’s Legacy)
এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো — যাকে পুরো বিশ্ব “পেলে” নামেই চেনে — হলেন ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে নামকরা এবং উন্নতমানের খেলোয়াড়দের একজন। বিশেষ করে পুরনো জেনারেশনের মানুষদের কাছে (যারা কি না পেলে’র খেলা সরাসরি দেখেছেন) পেলে ছিলেন একজন ফুটবলীয় ঈশ্বরের মতন।
যারা তার খেলা দেখেছেন, তারা সকলেই তার প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তা, ভিশন ইত্যাদি নিয়ে প্রশংসা করে থাকেন। এছাড়া, তার অগাধ সাফল্যের প্রমাণস্বরূপ তার বিশাল ট্রফি ক্যাবিনেট এবং গোলের রেকর্ডসমূহ তো রয়েছেই!
ক্লাব ক্যারিয়ার (Club career)
তার শুরুর দিনগুলিতে ফুটসাল বা ইন্ডোর ফুটবলে অসাধারণ পারফর্মেন্স প্রদর্শনের পর মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি সুযোগ পান স্যান্টোস এফসি নামক একটি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ক্লাবে। প্রথম নজরেই তাকে দেখে স্যান্টোস এফসি বুঝে গিয়েছিল যে, তাঁর মধ্যে একজন বিশ্বসেরা খেলোয়াড় লুকিয়ে রয়েছে।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই পেলে তার প্রথম পেশাদার চুক্তিকে স্বাক্ষর করেন, এবং তার অভিষেক ম্যাচেই তিনি তৎক্ষণাৎ প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে দেন। করিন্থিয়ান্স দে সান্তো নামক ক্লাবের বিপক্ষে তিনি তার প্রথম পেশাদার সিনিয়র ম্যাচটি খেলেন, এবং সে ম্যাচেই তিনি একটি অনবদ্য পারফর্মেন্স উপহার দেন, এবং একটি গোলও স্কোর করেন। তখন কেউই জানতো না যে সেটি ছিল অসংখ্য গোলের মধ্যে কেবলমাত্র প্রথমটি! সেটি ছিল কেবলই একটি বিশাল গল্পের সূচনা।
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি স্যান্টোস এফসি’র একটি মূল্যবান অংশে পরিণত হোন, এবং ১৯৫৭ মৌসুমে ৩৮ ম্যাচে ৪১টি গোল নিয়ে তাদের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হোন।
স্যান্টোস এর হয়ে পেলে’র প্রথম শিরোপা অবশ্য এসেছিল ১৯৫৮ সালে, যখন তার দলকে তিনি ক্যাম্পেওনাতো পাউলিস্তা জেতাতে সক্ষম হোন। ৩৮ ম্যাচে সর্বমোট ৫৮টি গোল করে তিনি টুর্নামেন্টটির সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটিও অর্জন করেন সেবার। তারপর থেকে বহু জেনারেশন পার হয়ে গেলেও, এখনো তার সেই রেকর্ডটি কেউ ভাঙতে পারেনি।
পেশাদার ফুটবলে তার অভিষেকের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পান পেলে।
ব্রাজিলের বিখ্যাত হলুদ জার্সি গায়ে তার খেলা প্রথম ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। সেই ম্যাচটিতেও তিনি তার দেশের জন্য একটি স্মরণীয় গোল করতে সক্ষম হোন। আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনিই হলেন সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা (সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর)।
পুরো বিশ্ব পেলে’র ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারে ১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপে, যেখানে প্রথমবারের মত শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল ব্রাজিল। সেখানেই তিনি ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নিজের নামটি লিখাতে সমর্থ হোন, তাও আবার এত কম বয়সেই।
সেবার বিশ্বকাপের আগে পাওয়া একটি ছোটখাট চোটের কারণে তিনি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রথম দুইটি ম্যাচে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই বিশ্বকাপে তার অভিষেক হয়েছিল ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের তৃতীয় ম্যাচটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তার সেই অভিষেকের মধ্য দিয়ে তিনি পরিণত হোন বিশ্বকাপের আসরে খেলতে নামা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ে।
সেবারের বিশ্বকাপে তার সার্বিক পারফর্মেন্স এর সারমর্ম হিসেবে তুলে ধরা যায় ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমি ফাইনাল ম্যাচটিকে। ফ্রেঞ্চদের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতে তিনি হ্যাট্রিক করে বসেন, এবং এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে তিনিই টিকে আছেন। তবে, পেলে কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেননি।
বিশ্বকাপের ফাইনালে অংশ নেওয়া সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ও তিনিই, যদিও সেবারের ফাইনাল ম্যাচটি দেখে সেটি বোঝার কোন উপায়ই ছিল না। স্টোকহোমে স্বাগতিক সুইডেনের বিপক্ষে খেলা সেই ম্যাচটিতে তিনি দুইটি গোল করতে সক্ষম হোন, এবং তার দল ব্রাজিল ম্যাচটি জিতে নেয় ৫-২ গোলের ব্যবধানে। সেই বিশ্বকাপ আসরটি শেষ হতে হতে তিনি ১৭ বছরে পা দেন। সেবার তিনি মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলে ৬টি গোল নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেন।
সাধারণভাবেই, তখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই প্রতিভাকে ইউরোপের সকল বড় বড় ক্লাবই দলে ভেড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লাগে, তবে তারা সকল ধরণের চেষ্টা চালানোর পরেও পেলেকে ইউরোপে আনতে ব্যর্থ হয়।
বৈশ্বিক খ্যাতিতে পেলে’র উত্থান (Rise to global prominence)
১৯৬১ সালে তৎকালীন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জ্যানিও কুয়াদ্রোস পেলেকে একজন “জাতীয় গুপ্তধন” হিসেবে ঘোষণা করেন, যাতে করে তিনি যেন ব্রাজিল ছেড়ে অন্য কোন দেশে খেলতে না যান।
১৯৬২ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের মহাতারকা ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হোন পেলে। তখনও তার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর, কিন্তু বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে তাকে মানতে তখনও কেউই পিছপা হতো না। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষেই তিনি দেখিয়ে দেন কেন তাকে বিশ্বসেরা বলা হতো। সেই ম্যাচটিতে পেলে ব্রাজিলের প্রথম গোলটি তৈরি করে দেন, এবং প্রতিপক্ষের চারজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিয়ে দূর্দান্তভাবে দলের দ্বিতীয় গোলটি নিজে স্কোর করেন।
তবে, দুঃখজনকভাবে সেবার পেলে’র জন্য বিশ্বকাপটি খুব বেশি লম্বা হয়নি। চেকোস্লোভাকিয়া’র বিপক্ষে খেলা ব্রাজিলের দ্বিতীয় ম্যাচেই পেলে একটি ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হোন, যার ফলে বিশ্বকাপের বাদ বাকি কোন ম্যাচেই তিনি আর খেলতে পারেননি। ব্রাজিল অবশ্য তাদের তারকা খেলোয়াড়কে ছাড়াও বেশ ভালো পারফর্ম করতে সক্ষম হয়, এবং গাররিঞ্চা’র হাত ধরে ব্রাজিল তাদের টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপাটি জিতে নিতেও সক্ষম হয়।
১৯৭০ বিশ্বকাপে অবশ্য পেলে’র কোন রকম ইঞ্জুরি সমস্যাই ছিল না। তিনি সেবার বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচেই দূর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন, এবং বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিন তিনটি বিশ্বকাপ ঘরে তোলার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
সেবারের বিশ্বকাপ আসরের সবকটি ম্যাচেই হয় তিনি গোল করেছেন, অথবা এসিস্ট করেছেন। টুর্নামেন্ট শেষে, ৬ ম্যাচ খেলে তার নিকট এসে পড়েছিল ৪টি গোল এবং ৬টি এসিস্ট। এর মধ্যে ছিল ফাইনাল ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে ব্রাজিলের ৪-১ গোলের জয়ের অন্তর্গত ২টি এসিস্ট এবং ১টি গোল।
ব্রাজিলের হয়ে সেটিই ছিল তার ক্যারিয়ারের সবশেষ বিশ্বকাপ আসর, এবং এর চেয়ে শ্রেয় বিদায় হয়তো তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করেননি।
ব্রাজিলের হয়ে মোট ৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে পেলে তার ক্যারিয়ারে মোট ৭৭টি আন্তর্জাতিক গোল করতে সক্ষম হোন। এখনো পর্যন্ত তিনিই ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটি ধরে রেখেছেন।
স্যান্টোসের হয়ে মোট ১৯টি মৌসুমজুড়ে তিনি সর্বমোট ৬৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে তিনি ৬৪৩টি গোলও করেছেন। তৎকালীন সময়ে একই ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলের রেকর্ড ছিল সেটিই। এছাড়া, ঐ সময়কালে তিনি তার ক্লাবের হয়ে মোট ২৫টি শিরোপা জিততে সক্ষম হয়েছিলেন।
তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ক্লাব ছিল নিউ ইয়র্ক কসমস নামক একটি ক্লাব, যেখানে তিনি ৬৪টি ম্যাচ খেলে সর্বমোট ৩৭টি গোল করতে সমর্থ হয়েছিলেন।
নিজের অনবদ্য ক্যারিয়ারে মোট ৮৪০টি ম্যাচ খেলে ৭৭৫টি গোল নিয়ে পেলে সব ধরণের ফুটবল থেকে তার অবসর ঘোষণা করেন। বল পায়ে তিনি ছিলেন একজন নিখাদ জাদুকর, যিনি বলকে নিজের কথামত চালাতে পারতেন। তার মত কোন খেলোয়াড় এই বিশ্ব আর কখনো দেখেনি, এবং ভবিষ্যতেও দেখবে বলে আন্দাজ করা যাচ্ছে না।
পেলে’র সত্যিই কোন তুলনা হয় না। তার সাফল্যের আশেপাশে যেতে পেরেছেন, এমন খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়াও অনেক কঠিন। তবে, অন্তত তার সাথে একই টেবিলে বসতে পারবেন এমন বেশ কিছু খেলোয়াড়কে আমরা চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি।
ডিয়েগো মারাডোনা – আর্জেন্টিনা (Diego Maradona – Argentina)
পেলে’র লেগ্যাসিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন এমন প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন প্রয়াত আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ডিয়েগো মারাডোনা। পেলের মতই, মারাডোনা’র ক্যারয়ারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলি এসেছিল বিশ্বকাপের মঞ্চেই।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি একান্তই নিজ হস্তে বিশ্বকাপ শিরোপাটি এনে দেন আর্জেন্টিনাকে। সেবারের সেই আসরে তিনি নিজে মোট ৫টি গোল করেছিলেন, এবং সতীর্থদের জন্য আরো ৫টি গোল তৈরি করে দিয়েছিলেন।
লিওনেল মেসি – আর্জেন্টিনা (Lionel Messi – Argentina)
মেসিই হলেন সেই খেলোয়াড় যিনি পেলে’র একই ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গোল করার রেকর্ডটি ভাঙতে পেরেছেন। অবশ্যই তাকে এই আলোচনায় সামিল করতেই হবে।
লিওনেল মেসি তার দেশের হয়ে এখনও তার প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার দেখা পাননি, তবে এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই যে, বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের মাঝে তিনিও জায়গা করে নিবেন। ৭ বারের ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরষ্কার জয়ী এই ফুটবলার যদি বিশ্বকাপের শিরোপাটি নিজের নামে করতে পারেন, তাহলে অনেকের মতে তিনি পেলেকেও ছাড়িয়ে যেতে পারেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো – পর্তুগাল (Cristiano Ronaldo – Portugal)
লিওনেল মেসি’র ব্যাপারে যা বলা যায়, এই মানুষটির ক্ষেত্রেও প্রায় একই কথাই বলা যায়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো হলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে তিনি ৮০০টিরও বেশি গোল করতে সমর্থ হয়েছেন। তাই, যদি কেউ তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অভিহিত করে, তাহলে সেই কৃতিত্বেরও সম্পূর্ণ হকদার হলেন রোনাল্ডো।
কাতারে সম্প্রতি নিজের ক্যারিয়ারের সবশেষ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টটি খেলে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এবারের শিরোপাটি জিততে পারলে তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারতো না। তবে, বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও তার সোনালী ক্যারিয়ারটিকে ছোট করে দেখারও কোনই অবকাশ নেই।