সকলের জন্যই প্রিমিয়ার লীগের ২০২১-২২ মৌসুমটি ছিল উত্তেজনায় ভরা, এবং সেই উত্তেজনা জারি ছিল মৌসুমের একদম শেষ দিন পর্যন্ত। শিরোপার লড়াই তো মজার ছিলই, তার সাথে রেলিগেশনের লড়াইও ছিল একদম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেওয়ার মত উত্তেজনাময়। এসবের পাশাপাশি এবার শীর্ষ চারে থাকার লড়াইটিও ছিল বেশ মনে রাখার মত। সব মিলিয়ে সকল দলের ভক্ত সমর্থক এবং নিরপেক্ষ দর্শক সকলের জন্যই মৌসুমটি ছিল অবিস্মরণীয়।

যখনই একটি প্রিমিয়ার লীগ মৌসুম শেষ হয়ে যায়, ঠিক তার পরেই ইংলিশ ফুটবলের হর্তাকর্তারা মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় এর নাম এবং সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি করা একটি দল প্রকাশ করে। পরের মৌসুম শুরু হওয়া পর্যন্ত ভক্ত সমর্থকরা সেসব খেলোয়াড়দের নিয়ে এবং কেন তাদেরকেই বেছে নেওয়া হল সেই বিষয় নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত থাকে।

পিএফএ কর্তৃক প্রকাশিত এই প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার এবং টিম অব দ্য সিজন পুরষ্কারগুলি নিয়ে তাই ফুটবল সমর্থক এবং ফুটবল বোদ্ধাদের মধ্যে প্রতিবারই অনেক আকাঙ্খা জন্মে থাকে। কিন্তু, পিএফএ এবার যাদেরকে পুরষ্কৃত করেছে তাদেরকে বা সেসকল সিদ্ধান্তকে নিয়ে বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। বেশ কিছু আলোচনার বিষয়াবলিও তা থেকে উঠে এসেছে।

২০২১-২২ মৌসুমে ৩১টি গোল এবং ১৫টি এসিস্ট নিয়ে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় পুরষ্কার, অর্থাৎ পিএফএ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরষ্কারটি জিতে নিয়েছেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ্। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পিএফএ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরষ্কার। প্রথমবার তিনি এটি জিতেছিলেন ২০১৭-১৮ মৌসুমে তার অনবদ্য পারফর্মেন্স এর জন্য। এই পুরষ্কারটির ইতিহাসে এই নিয়ে ৯ বারের মত কোন লিভারপুলের খেলোয়াড় এই পুরষ্কারটি জিতলেন।

Source: Twitter

২০২১-২২ মৌসুমটি মোহাম্মদ সালাহ এর জন্য খুবই মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মৌসুম ছিল, কারণ তিনি শুধু পিএফএ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারই হোননি, এর সাথে সাথে তিনি আরও অনেক পুরষ্কারই জিতেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়ার লীগ গোল্ডেন বুট, প্লেমেকার অব দ্য ইয়ার, গোল অব দ্য সিজন, ফুটবল রাইটার’স এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ফুটবলার অব দ্য ইয়ার, প্রফেশনাল ফুটবল এসোসিয়েশন ফ্যান’স প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, এবং পিএফএ টিম অব দ্য সিজন, ইত্যাদি।

সালাহ অনেক ভালো একটি মৌসুম পার করলেও অনেকেই মনে করেন পিএফএ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরষ্কারটির আরো বড় হকদার ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির কর্ণধার কেভিন ডি ব্রুয়না। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় এটি নয়।

পিএফএ টিম অব দ্য সিজনে একজন খেলোয়াড় এর নাম অনুপস্থিত ছিল, এবং সেটি প্রকাশের পর থেকে সেই নামটি নিয়েই জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক একই বিষয় বলা যায় পিএফএ ইয়াং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরষ্কারটি নিয়েও, যেখানে ফিল ফোডেনকে পর পর দ্বিতীয় বারের মত পুরষ্কারটি প্রদান করা হয়েছে।

পড়ুন:  ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ফুলহ্যামের টিকে থাকার সুযোগ নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণ
Source: Twitter

এই পুরষ্কারগুলি প্রদান নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন প্রায়ই উঠে আসে। এসকল প্রশ্নের মধ্যে কিছু রয়েছে এগুলো কতটুকু যথাযথ তা নিয়ে, কোন কোন নির্ণায়কের ভিত্তিতে টিম অব দ্য সিজন নির্ণয় করা হয় তা নিয়ে, ইত্যাদি। কিন্তু, সর্বশেষ পুরষ্কারগুলি প্রতিবারের চেয়ে অনেকটা বেশিই প্রশ্ন তুলেছে, এবং সেগুলির উত্তর দেওয়ার কেউই নেই।

পিএফএ টিম অব দ্য সিজনঃ সনের না থাকা নিয়ে বিষ্ময় (PFA Team of the Season: Shock as Son misses out)

ম্যানচেস্টার সিটি হয়তো আরেকটি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা ঠিকই জিতেছে, কিন্তু ২০২১-২২ মৌসুমটির পিএফএ টিম অব দ্য সিজন এর বেশির ভাগ জুড়েই রয়েছে রানারস-আপ লিভারপুলের খেলোয়াড়েরা।

এই দলটি তৈরি হয় প্রিমিয়ার লীগের সকল খেলোয়াড়দের ভোটেই। এবারের দলে লিভারপুলের মোট ছয়জন খেলোয়াড় রয়েছেন। গোলকিপার হিসেবে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ার নাম্বার ওয়ান এলিসন বেকার, দলটির ডিফেন্সে রয়েভহেন দুই রেড ভার্জিল ভ্যান ডাইক এবং ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। মিডফিল্ডে থিয়াগো আলকান্তারাও ছিলেন লিভারপুলের একজন যোগ্য প্রার্থী, এবং আক্রমণভাগে ছিলেন অল রেড’দের দুই গতি দানব সাদিও মানে এবং মোহাম্মদ সালাহ্।

এর বাইরে, প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির দল থেকে এখানে রয়েছেন মোট ৩ জন। তাদের দলের কান্ডারী মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুয়না’র পাশাপাশি দলটিতে জায়গা করে নিয়েছেন প্লেমেকার বার্নার্ডো সিলভা এবং ফুল ব্যাক জাঁও ক্যান্সেলোও। বাকি দুইটি ফাকা জায়গা পূরণ করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং চেলসি’র একজন করে খেলোয়াড়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিনিধিত্ব করছেন এখানে স্ট্রাইকার পজিশনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, এবং চেলসি’র দিকে থেকে জায়গা পেয়েছেন তাদের বিদায়ী সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এন্তোনিও রুডিগার। এটি তারকোজ্জ্বল একটি একাদশ হলেও কিছু পজিশনে খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন কিন্তু থেকেই গিয়েছে।

Source: Twitter

প্রথম প্রশ্নটিই উঠেছে পিএফএ এর প্রকাশিত একাদিশটিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। একাদশটির বাকি সব খেলোয়াড়দের দিকে তাকালে একটি সাধারণ বিষয় খেয়াল করা যায় যে, তাদের সকলেই হয় কোন না কোন শিরোপা জিতেছেন, অথবা কোন স্বনামধন্য কাপের ফাইনালে খেলেছেন (ম্যান সিটির খেলোয়াড়েরা বাদে, কারণ তারা প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জিতেছেন)।

এটি আসলেই খুবই হাস্যকর একটি ব্যাপার যে, টটেনহ্যাম হটস্পার্স এর উইংগার সন হিউং মিনকে এ দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। পুরো মৌসুম জুড়েই তিনি তার দলের জন্য লীগের সকল দলের বিরুদ্ধেই অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য প্রদর্শন করেছেন। এটিও বলাই বাহুল্য যে, এই দক্ষিণ কোরীয় ফরোয়ার্ড এবারের মৌসুমে ২৩টি গোল করে লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ্ এর সাথে সম্মিলিতভাবে প্রিমিয়ার লীগের গোল্ডেন বুট পুরষ্কারও জিতেছেন। আপনি যখন আরেকটি বিষয় খেয়াল করবেন যে, সন প্রিমিয়ার লীগে করা তার সকল গোলই ওপেন প্লে থেকে করেছেন, অর্থাৎ তিনি পেনাল্টি থেকে কোন গোলই করেননি, তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে সালাহ্ এর চেয়েও তার গোল্ডেন বুটটিই বেশি মর্যাদাপূর্ণ।

পড়ুন:  ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং এর সুযোগ্য বিকল্প হলেন উইল্ফ্রিড এনদিদি

এর পাশাপাশি হিউন মিং সন তার দলকে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষ চারে পৌঁছিয়েই ছেড়েছেন, যার ফলে তারা আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলার সুযোগ পাবে। বরাবরের মতই এবারের মৌসুমেও এই গতিশীল উইংগার অনেকগুলি স্মরণীয় এবং চোখ ধাঁধাঁনো গোল করেছেন, এবং পিএফএ এর একাদশ থেকে তাকে বাদ দেওয়াটা একদমই যুতসই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সহমত পোষণ করেছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকল ফুটবল বোদ্ধারা।

Source: Twitter

এই একাদশ নিয়ে প্রশ্নের ঝড় আরো তুমুল আকার ধারণ করে যখন এ ব্যাপারটি আমলে নেওয়া হয় যে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে। তারা পুরো ২০২১-২২ মৌসুমে শুধুমাত্র ৫৮ পয়েন্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, যা কিনা পুরাতন “ফার্স্ট ডিভিশন” থেকে পরিবর্তন হয়ে ইংলিশ টপ ফ্লাইটের নাম “প্রিমিয়ার লীগ” হওয়ার পর থেকে একটি মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবচেয়ে নগন্য পয়েন্ট টোটাল। মৌসুমের এক পর্যায়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পর পর ৮টি ম্যাচে গোলশূন্য ছিলেন, এবং পিএফএ এর দলে তার অন্তর্ভুক্তি প্রচুর সমালোচলার সৃষ্টি করেছে, এমনকি স্বয়ং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্তদের মাঝেও, কারণ তার করা গোলগুলি হয়তো তাদের দলকে সম্পূর্ণরূপে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে, কিন্তু হিউন মিং সনের মত তার গোলগুলি তার দলকে কিছুই অর্জন করতে সাহায্য করেনি।

 

পিএফএ বর্ষসেরা যুবা খেলোয়াড়ঃ জিতেছেন ফিল ফোডেন, কিন্তু বুকায়ো সাকা কি বেশি উপযুক্ত ছিলেন না?

পিএফএ এর বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটির আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ অংশ ছিল ইয়াং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরষ্কারটির বিজয়ী। যদিও তার প্রতিভা এবং দক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্নই নেই, তবুও পর পর দ্বিতীয়বারের মত পুরষ্কারটি জিতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির ইয়াংস্টার ফিল ফোডেন। কিন্তু, বরাবরের মতই, তার জেতা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন এবং বলছেন যে, ফোডেনের চেয়েও যোগ্য খেলোয়াড় ছিল এই পুরষ্কারটি জেতার জন্য।

চেলসি’র মেসন মাউন্ট বা রিস জেমস থেকে শুরু করে লিভারপুলের ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, এরা সকলেই পুরষ্কারটির মনোনীত হয়েছিলেন, এবং অনেকের মতেই তারা ফোডেনের চেয়ে বেশি যোগ্য ছিলেন সেটি জেতার জন্য। তবে যে খেলোয়াড়টি এদের সবার চেয়ে বেশি যোগ্য ছিলেন, তিনি হলেন আর্সেনালের সূর্য সন্তান, বুকায়ো সাকা।

Source: Twitter

সম্পূর্ণ ২০২১-২২ মৌসুম জুড়ে ফিল ফোডেন প্রিমিয়ার লীগে তার দলের জন্য করতে পেরেছেন সর্বমোট ৯টি গোল এবং ৫টি এসিস্ট। অন্য দিকে, বুকায়ো সাকা তাদের উভয় ক্যাটেগরিতেই পেছনে ফেলে লীগ টেবিলের ৫ম স্থানে মৌসুম শেষ করা আর্সেনালের হয়ে করেছেন ১১টি গোল এবং ৭টি এসিস্ট।

পড়ুন:  গেমসপ্তাহ 33 এর জন্য FPL সেরা বাছাই

শুধু পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যদি আমরা চিন্তা ভাবনা না করতে চাই, এবং পুরো দলে তার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য যাচাই করতে চাই, তাহলেও দেখা যাবে যে, ম্যানচেস্টার সিটির জন্য ফিল ফোডেন যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব বহণ করেন আর্সেনালের জন্য বুকায়ো সাকা। এজন্যই টানা দ্বিতীয় বারের মত তিনিই জিতেছেন আর্সেনালের অভ্যন্তরীণ প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার পুরষ্কারটি। আর্সেনাল লিজেন্ড থিয়েরি অঁরি’র পর এই ২০ বছর বয়সী তাগড়া যুবকই এই পুরষ্কারটি পর পর দুই বছর জিতে নেওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন, যা তার বয়স বিচারে যে কারও জন্য চমৎকার একটি অর্জন।

এছাড়াও লক্ষ্য করা যায় যে, প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ ৬ দলের মধ্যে কোন দলের বিরুদ্ধে গোল তৈরি করা বা গোল করার ঘটনা ফিল ফোডেন সর্বশেষ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে, এনফিল্ডে লিভারপুলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, সেই সময়ের পর থেকে শীর্ষ ছয়ের দলগুলির বিরুদ্ধে ১০ ম্যাচে ৪টি গোল এবং ১টি এসিস্ট করার কৃতিত্ব রয়েছে বকায়ো সাকা’র।

সম্ভবত এখন পর্যন্ত সাকা’র বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা ও ক্রীড়াশৈলির সবচেয়ে বড় পরিচায়ক যে বিষয়টি তা হল, সাম্প্রতিক কালে প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ দুই দল ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুল উভয়েই তাকে দলে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে চেষ্টা চালিয়েছে। আর্সেনালের সাথে এই যুবা ফরোয়ার্ড এর চুক্তির আর মাত্র দুই বছর বাকি রয়েছে। আর্সেনাল যদি তাকে এখনি একটি নতুন চুক্তিতে বেঁধে না ফেলে, তাহলে সিটি ও লিভারপুল উভয়েই সেই সুযোগটির সদ্ব্যবহার করার জন্য মুখিয়ে থাকবে।

সাকাও যখন দেখেছেন যে তার নাম বেশ চর্চায় আসছে, তখন আর্সেনালের করা বড়সড় এবং অনেক বছরের একটি চুক্তিতে তিনি স্বাক্ষর করতে জেনে বুঝেই দেরি করছেন। তার গত দুই মৌসুমের অসাধারণ পারফর্মেন্স এর কারণে তার জন্য অনেক বড় অঙ্কের অফারই আসবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এখন আর্সেনাল সেসব অফারকে কতদিন নাকচ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে, তাই এখন দেখার বিষয়।

তবে, যেকোন নির্ণায়কের ভিত্তিতেই ভাবা হোক না কেন, এ ব্যাপারে আমাদের মনে কোনই সন্দেহ নেই যে, হিউন মিং সন পিএফএ টিম অব দ্য সিজনের অংশ হিসেবে এবং বুকায়ো সাকা পিএফএ ইয়াং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার হিসেবে অধিকতর উপযুক্ত বিকল্প ছিলেন। বিশ্বব্যাপী ফুটবল সমর্থকদের এমন তোপের মুখে পড়ে আগামী মৌসুম থেকে পিএফএ তাদের পুরষ্কারগুলির জন্য শ্রেষ্ঠ প্রার্থী নির্বাচনে আরো বেশি সচেতন হবে এমনটিই আমরা শুধু আশা করতে পারি। বাকিটি তাদেরই হাতে!

Share.
Leave A Reply