প্রিভিউ (Preview): এই নিবন্ধটিতে আমরা এই যুগের সবচেয়ে প্রতিভাবান যুবা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম একজনকে নিয়ে আলোচনা করব, যার নাম ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান এই আশ্চর্য বালক ইউরোপজুড়ে দুই মৌসুম ধরেই নাম করে আসছেন। তিনি একসময় খেলতেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেংগোতে, যেখানে প্রায়ই তিনি গোল করতেন, বা এসিস্ট পেতেন। কিন্তু দলটির হয়ে কোপা লিবের্তাদোরেস প্রতিযোগিতার ফাইনালে করা একটি গোলই তার ভাগ্য পুরোপুরি বদলে দেয়। সেটি এমনই একটি গোল ছিল যা যেকোন ফুটবল ভক্ত একটি গ্রুপ চ্যাটে প্রেরণ করে বন্ধুদের সাথে উদ্যাপন করতে পছন্দ করেন। ভিনিসিয়াসের ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে চলুন যাওয়া যাক মূল আলোচনায়।
রিয়াল মাদ্রিদের বেমানান মুকুটধারী (Real Madrid’s Misfit Crown)
২০১৮ সালে, নতুন মৌসুম শুরুর প্রাককালে রিয়াল মাদ্রিদ ঘোষণা দেয় তাদের নতুন একটি সাইনিং এর, খেলোয়াড়ের নাম — ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সকলের অপরিচিত, যুবা এক খেলোয়াড় তিনি, তেমন কেউই তাকে চিনতেন না। ব্রাজিল থেকে ইউরোপে খেলতে আসা হাজারটি যুবা খেলোয়াড়ের মতই তিনিও একজন — এমনই ভেবেছিলেন সবাই। কোথাও থেকেই তেমন কোন সাড়া তিনি জাগাতে পারছিলেন না, এবং রিয়াল ভক্তরাও ভেবেই নিয়েছিলেন যে, “হ্যাঁ, এই এসেছেন আরেক মশাই!” ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ততদিনে দল ছেড়েছেন, চলে গিয়েছিলেন জিনেদিন জিদানও (কোচের পদ থেকে)। রিয়াল মাদ্রিদের ভোঁতা আক্রমণভাগে ছিল না কোনই বড় নাম (ফ্লপ সাইনিং ইডেন হাজার্ড ব্যতীত)।
তার প্রথম মৌসুমেই ভিনিসিয়াস জুনিয়র শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন। সেই মৌসুম শেষে তিনি ৩৬ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৭টি গোল এবং তার সাথে তার নামের সাথে জুড়ে ছিল ১৩টি এসিস্টও। প্রথমবার বড় দলের হয়ে খেলতে নামা একজন যুবা খেলোয়াড় হিসেবে এটি অনেক বড় অর্জনই বলা যায়।
তবে, এর পরের মৌসুম, অর্থাৎ ২০১৯-২০ মৌসুমটি ছিল ভিনিসিয়াস এর জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মৌসুম। তার জন্য সেই মৌসুমটি একটি দুঃস্বপ্নের মত ছিল বললেও ভুল হবে না হয়তো। সে বছর তিনি ৩৮টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৫টি গোল এবং ৪টি এসিস্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি সেবার গোল করার প্রচুর সহজ সহজ সুযোগের অসদ্ব্যবহার করেছিলেন এবং গোলের সামনে সবসময় তাকে বিভ্রান্ত দেখা যেত। তার নামের ব্যাপারে আমরা জানি না, তবে সেই সিজনে তার বেশির ভাগ গোলমুখী শটই আকাশমুখে সঞ্চারিত হয়েছিল। মাদ্রিদে তার নাম এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, অনেকে তাকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর যোগ্য উত্তরসুরী তো দূরে থাক, তার এক পায়ের সমতূল্যও মনে করতে নারাজ ছিলেন।
যুবা এই ব্রাজিলিয়ানের পায়ে ছিল অদম্য গতিশক্তি, এবং ড্রিব্লিং করবার অসাধারণ দক্ষতা। কিন্তু, যখনই তিনি গোলমুখে শট নিতেন, তখনই সমর্থকরা কষ্টের ও হতাশার দীর্ঘশ্বাস ছাড়তেন। তাকে নিয়ে বাঁধভাঙা কটুক্তি না হলেও অনেক সমালোচনাই হয়। এ সবকিছুই এজন্য হচ্ছিল না তিনি প্রতি মৌসুমে ৪০টি করে গোল করতে পারছিলেন না বলে, বরং এই কারণে যে তিনি এত সহজ সহজ সব সুযোগ একটির পর একটি মিস করছিলেন। তবে, এই যুবা উইংগারের জন্য পথ আরো দুর্গম হওয়া তখনো বাকি ছিল, কারণ এর পরের মৌসুমটি তার জন্য আরো বেশি হতাশাজনক ছিল। সেই মৌসুমে তিনি খেলেছিলেন মোট ৪৭টি ম্যাচ, এবং করতে সক্ষম হয়েছিলেন কেবলমাত্র ৬টি গোল ও ৭টি এসিস্ট। ম্যানেজাররা ভিনিসিয়াসের উপর আস্থা রাখছিলেন ঠিকই, কিন্তু উপরওয়ালা এমন এমন তাস তার হাতে দিচ্ছিলেন যে তিনি কোনভাবেই সেগুলি দিয়ে কিস্তিমাত করতে পারছিলেন না।
কার্লো এনচেলত্তি কিভাবে ভিনিসিয়াসের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন? (How did Carlo Ancelotti get the best out of Vinicius?)
যেকোন অনবদ্য গল্পেই মূল চরিত্রের শুরুটা খুব একটা ভালো হয় না। তারা হারে, কাঁদে, হোঁচট খায়, এবং প্রচুর হতাশার শিকার হয়, কিন্তু একটি দিক দিয়ে তাদের কোনই ঘাটতি থাকে না, এবং সেটি হল উদ্দীপনা এবং পুরো বিশ্বকে ভুল প্রমাণ করার জিদ। এবং, মাদ্রিদের এই ইয়াং তারকার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটিই হয়েছে।
২০২১-২২ মৌসুমটি দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল, এবং রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তাদেরই সাবেক ইতালিয়ান কোচ কার্লো এনচেলত্তি। যখন তিনি দলের ট্রেনিং সেশনগুলিতে যোগ দিতেন, তখন প্রায়ই দেখা যেত যে তিনি ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে কিছু না কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন, এবং ভিনিসিয়াস তা খুব মনযোগ সহকারে শুনছেন। ভিনিসিয়াস জুনিয়র নিজেই পরে বলেছিলেন যে, এনচেলত্তি তাকে বার বার বলতেন যেন তিনি বল পাওয়ার পর ও থেকে ৩টির বেশি টাচ যেন না নেন, এবং তার পরেই যেন তিনি পাস দিয়ে দেন বা শট নিয়ে নেন।
এই ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটি ভিনিসিয়াস খুব ভালোভাবেই তার খেলায় অন্তর্ভুক্ত করেন এবং সাথে সাথে ভালো ফলাফলও পেতে শুরু করেন। এবার সেই মৌসুমটি চলে এসেছিল, যখন ব্রাজিলের এই স্বর্ণবালক শেষ পর্যন্ত তার ভাগ্যকে বদলাতে পেরেছেন, এবং হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফুটবল দেবতাকে বলতে পেরেছেন, “কিস্তিমাত!” ইন-ফর্ম স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমার সাথে তিনি এক অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন, এবং একসাথে তারা সেই মৌসুমটিতে যা যা অর্জন করেছেন, তা স্বয়ং রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরাসহ কেউই আশা করেনি।
ভিনিসিয়াস জুনিয়র – ফিরে আসার গল্প (Vinicius Junior – The Redemption)
২০২১-২২ মৌসুম, অর্থাৎ ভিনিসিয়াসের ফিরে আসার মৌসুমে তিনি সর্বমোট ৫২টি ম্যাচে খেলে বিষ্ময়করভাবে ২২টি গোল এবং ২০টি এসিস্ট তুলে নেন। গোল ও এসিস্ট মিলিয়ে ৪২টি গোলমুখী একশন, এমনটি আমরা শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ বা রবার্ট লেওয়ান্ডোস্কির কাছ থেকেই আশা করে আসছি। এটিও বলতেই হয় যে, রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জেতার পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিল ভিনিসিয়াস জুনিয়রেরই। প্রতিযোগিতাটিতে তিনি এই মৌসুমেই করেছেন ৪টি গোল এবং দিয়েছেন ৭টি এসিস্ট।
এটি সত্যিই বিষ্ময়কর যে একটি মৌসুমের ব্যাবধানে একজন ফুটবলার কতটা বদলে যেতে পারেন! ২০২১-২২ মৌসুমের প্রথম লা লিগা ম্যাচে দেপোর্তিভো আলাভেস এর বিরুদ্ধে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৪র্থ গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং ঘরের বাইরে মৌসুমের প্রথম তিনটি পয়েন্টও তিনি নশ্চিত করেন। এরপর এক ধাক্কায় যদি আমরা ২০২২ এর ২৮ই মে’তে চলে আসি, তাহলে সেই যুবা ভিনিসিয়াস জুনিয়রই লিভারপুলের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে একমাত্র গোলটি করে রিয়াল মাদ্রিদের ১৪তম এবং তার নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ইউরোপীয় শিরোপাটি ঘরে তোলেন। আশা করা যায়, এটি তার ক্যারিয়ারের বহু ভবিষ্যৎ সাফল্যের মাত্র শুরু! এ সবকিছুর মাঝে, কার্লো এনচেলত্তির কৃতিত্বও ভুলে গেলে হবে না। তার দেওয়া পরামর্শ অবশ্যই ভিনিকে প্রচুর সাহায্য করেছে, এবং তার ফলই এখন রিয়াল মাদ্রিদ ভোগ করছে।
ভিনি’র নিকট হতে আর কি আশা করা যায়? (What more to expect from Vini?)
অবশ্যই এই বিষয়টি মানতেই হবে যে, এটি কেবলমাত্র একটি মৌসুমই ছিল, এবং আমরা পূর্বেও বহুবারই দেখেছি যে, এমন অনেক খেলোয়াড়ই ওয়ান সিজন ওয়ান্ডার (এক মৌসুমই ভালো খেলেছেন এমন) হিসেবে পরিলক্ষিত হোন। এজন্যই অত্যন্ত ধারাবাহিক খেলোয়াড়েরা যেমন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসি’দেরকে ফুটবলের অঘোষিত দেবতা মানা হয়। ১৫ বছর বা তারও বেশিদিন ধরে একই লেভেলে বা স্ট্যান্ডার্ডে খেলে যাওয়া সত্যিই খুবই অবাক করা বিষয়, এবং এই দুইজন এখনো সেই লেভেলেই খেলে যাচ্ছেন।
এমনকি নেইমার জুনিয়রের মত খেলোয়াড়ও, যাকে ধরা হয়েছিল ফুটবল বিশ্বের পরবর্তী সেনসেশন হিসেবে, গত তিন বছর ধরে ক্রমেই একটি নিম্নমুখী ঢাল বেয়ে নেমে যাচ্ছে পারফর্মেন্স এর দিক দিয়ে।
এখন আমরা আপনাকে বলব কেন আমরা বার বার এসকল উদাহরণ টেনে আনছি। এর কারণ হচ্ছে, ভিনিসিয়াস জুনিয়র এর সামনে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাঁকি। যদি আসলেই তিনি তার প্রতিভার কদর দিতে পারেন এবং ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেন, তাহলে আগামী ১০ বছরে আমরা অনেক আশ্চর্যজনক কিচগুই দেখতে পাব তার কাছ থেকে, কারণ তার বয়স এখন মাত্র ২১ বছর।
চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং লা লিগায় তার চমৎকার সব পারফর্মেন্স দেখে এখন সবাই-ই বুঝতে পেরেছেন যে, এই ব্রাজিলিয়ান জাদুকর শুধুমাত্র রঙঢঙ এবং গতিশীলতার ধারক বাহকই নন, বরং একজন পূর্ণাঙ্গ ফুটবলারও। তার খেলার একটি অত্যন্ত নজরকাড়া অংশ হচ্ছে গোলের সামনে তার অসধারণ প্রবৃত্তি, যা এক বছর আগে কারো নজরেই পড়েনি। বাম পার্স্বের উইং দিয়ে তার বৈদ্যুতিক গতির ঝলকানির বদৌলতে এখন তিনি একের পর এক এসিস্ট তুলে নিতেও শিখে গিয়েছেন। এবং, যখন ডি-বক্সের মধ্যে থাকেন করিম বেঞ্জেমার মত একজন ঘাতক স্ট্রাইকার, তখন উইংগারদের কাজ আসলেও অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ভিনিসিয়াসের দেওয়া বেশির ভাগ ক্রসকেই এবারের মৌসুমে গোলে পরিণত করতে দেখা গিয়েছে করিম বেঞ্জেমাকে।
মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বা নেইমারদের মত লেভেলে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন, এখনি এমনটি বলা কি একধরণের বোকামি হয়ে যায় না? জ্বি, অবশ্যই। তবে এ ব্যাপারটিও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না যে, আর্লিং হাল্যান্ড এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের পরে এই ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে দেখেই মনে হচ্ছে যে, হ্যাঁ, আগামীর আরেক মহাতারকাকে আমরা খুঁজে পেয়েছি।
সামনে প্রচুর সাফল্য অপেক্ষমান (Glory ahead)
এখন যখন ২০২১-২২ মৌসুনটি শেষ হয়ে গিয়েছে, তখন নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ভিনিসিয়াসকে এখন শুধু ভবিষ্যতের জন্য একজন প্রস্পেক্ট হিসেবে দেখলেই চলবে না, বরং তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী একটি ক্লাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন, এবং তার পেছনের পুরো ইতিহাস আমরা আপনাকে বলেছি। তবে, এখানে আরেকটি দিক রয়েছে। ভিনিই ছিলেন গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম একাদশের সকল খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতনপ্রাপ্ত খেলোয়াড়। কিন্তু, এমন অসাধারণ একটি মৌসুম পার করার পর স্বাভাবিকভাবেই তার জন্য বিভিন্ন ক্লাবের নিকট হতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ট্রান্সফার অফার আসতে শুরু করেছে, এবং সেসকল ক্লাবই ভিনিসিয়াস অনেক বেশি বেতন দেওয়ার অফারও করে চলেছে। এমন একটি বাজারে যেখানে ফুটবলারদের পেছনে বিলিয়নের পর বিলিয়ন টাকা খরচ করে যাচ্ছে ছোট বড় সকল ক্লাবের মালিকেরা, সেখানে বছরপ্রতি মাত্র ৩.৫ মিলিয়ন ইউরো বেতনে ভিনিসিয়াসের মত প্রতিভাকে দলে রাখতে চাইলে অনেক বড় বোকামিই করছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান হর্তাকর্তা ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বদৌলতে (যিনি কি না ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন) এমনটিই শোনা যাচ্ছে যে, ভিনিসিয়াস রিয়াল মাদ্রিদের সাথে একটি নতুন চুক্তিতে শীঘ্রই আবদ্ধ হতে চলেছেন। এর ফলে এই ব্রাজিলিয়ান গতিদানব পাবেন আগের চেয়ে অনেক বেশি বেতন, এবং তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলি কাটাতে পারবেন জাদুকরী সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
উপসংহার (Conclusion)
ভিনিসিয়াসের রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারের গহীন গহ্বরে লাফ দিয়ে আমরা সবকিছু জেনে নিলাম। কোন ফুটবলার বা যেকোন খেলোয়াড়ের জন্যই প্রতিনিয়ত একইভাবে অতি উঁচু লেভেলে পারফর্ম করে যাওয়া এবং খেলাধুলার জগতের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন মিডিয়া ও সমর্থকদের তোপের মুখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার। কিন্তু, রিয়াল মাদ্রিদ হচ্ছে একটি প্রতিভা যাচাইকরণের কারখানা। এবং এমন চাপ ও চাহিদা সামাল দিতে পারবে এমন সব প্রতিভাকে যাচাই করে দলে ঢুকানো এবং নিজেদেরকে মেলে ধরার সকল সুযোগই তারা দিয়ে থাকেন বর্তমানে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সেই মাঠে অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ই তৈরি হতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
আসছে বেশ কিছু বছর ধরে মনে রাখতে হবে এমন একটি নামই হল “ভিনিসিয়াস জুনিয়র”। এই নিবন্ধের মাধ্যমে আপনি জেনেছেন রিয়াল মাদ্রিদে ভিনিসিয়াসের শুরুটা কেমন ছিল, এবং কিভাবে তিনি তার প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এক কথায়, রিয়াল মাদ্রিদে ভিনিসিয়াসের ক্যারিয়ারের আদ্যপান্ত আপনি এখন সবই জানেন। একদম শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনারাই সেরা! এমন আরো মানসম্মত কন্টেন্ট পেতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন!