ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City)
প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা আবারো মাঠে নামতে প্রস্তুত। কমিউনিটি শিল্ডে লিভারপুলের বিরুদ্ধে একটি গড়পড়তা পারফর্মেন্স প্রদর্শনের পর তারা গত সপ্তাহে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে একটি পেশাদার পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে ২-০ গোলের জয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
সিটি’র নতুন হাই-পারফর্মেন্স স্ট্রাইকার আর্লিং হাল্যান্ড, যিনি কি না গত সপ্তাহে লিভারপুলের বিরুদ্ধে একটি সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করায় অনলাইন জগতে প্রচন্ড রকমের ভৎসনা’র শিকার হোন, ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে ম্যাচটির মধ্য দিয়ে আবার নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। ম্যাচটি জুড়ে নিয়মিত হারে তিনি হ্যামার্স ব্যাক লাইনকে এককভাবে জরাজীর্ণ করে ফেলেন, এবং তার কর্মদক্ষতার ফল হিসেবে তিনি দুই দুইটি গোলও নিজের পকেটে ভরেছেন।
সিটিজেন’দের পরবর্তী প্রতিপক্ষ হল স্কট পার্কারের এএফসি বোর্নমাউথ দলটি, যাদেরকে অনেকেই রেগিগেশন এর জন্য ফেভারিট মনে করছেন, বিশেষ ট্রান্সফার মার্কেটে তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে। এছাড়া, তাদের দলে কোন পরীক্ষিত প্রিমিয়ার লীগ খেলোয়াড় আগে থেকেও নেই। তবে, প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমটি তারা শুরু করেছে বেশ উদ্দীপনার সাথেই। গত সপ্তাহে স্টিভেন জেরার্ডের এস্টন ভিলা দলের বিরুদ্ধে তারা ২-০ গোলের জয় হাসিল করে নেয়, যা তাদের নিন্দুকদের কিছুটা হলেও চুপ করাবে।
তবে যাই হোক না কেন, চেরিস খ্যাত বোর্নমাউথের বিরুদ্ধে পেপ গার্দিওলা’র রেকর্ড খুবই ভালো, এবং তিনি অবশ্যই চাইবেন যেন তার দল এবারো সেই ধারাটি বজায় রাখতে পারে।
এএফসি বোর্নমাউথ (AFC Bournemouth)
দ্য চেরিস, যে নামে অনেকেই বোর্নমাউথকে আদর করে ডাকে, তাদের নতুন মৌসুমটি খুবই সুন্দর ভঙিমায় শুরু করতে সক্ষম হয়েছে। শুরুতেই লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী মিড টেবিল দল এস্টন ভিলা’র সম্মুখীন হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিল যে চেরিস’রা ম্যাচটিতে ধরাসয়ী হবে। তবে, তারা স্টিভেন জেরার্ডের দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই যে, স্কট পার্কার এর যুবা দলটিতে গুণমানের কিছুটা অভাব এখনো থেকেই গিয়েছে। এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাদের কার্যকারিতা অনেকটাই কম ছিল, যা তাদের সমর্থকদেরকে ছাড়াও অনেককেই অবাক ও হতাশ করেছে।
তবে, গত সপ্তাহে তাদের শক্তিশালী পারফর্মেন্স এর পরে তাদেরকে পুরোপুরিভাবে মুছে ফেলা যে কারো জন্যই নেহাৎ বোকামি হবে।
তাদের পরবর্তী লড়াইটি অনুষ্ঠিত হবে এতিহাদ স্টেডিয়ামে, যেখানে তারা একটি বিপজ্জনক ম্যানচেস্টার সিটি দলের সম্মুখীন হবে। ম্যাচটিতে তারা একটি পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরতে পারলেও গর্বিত অনুভব করবে। তাই ধারণা করা যাচ্ছে যে, তারা হয়তো এতিহাদ স্টেডিয়ামে গিয়ে নিজেদের বাসটি পার্ক করে ম্যান সিটিকে প্রতিহত করার চেষ্টায়ই লিপ্ত থাকবে।
প্রেডিকশন (Prediction)
বোর্নমাউথ একটি শুভ সূচনা নিশ্চয় করেছে, কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি এবং একজন ইন-গর্ম আর্লিং হাল্যান্ড এর সামনে তারা খুব একটা কার্যকর হতে পারবে না বলেই আমরা মনে করি। ম্যানচেস্টার সিটি যদি প্রথম গোলটি খুব তাড়াতাড়িই পেয়ে যায়, তাহলে বোর্নমাউথের সামনে অনেক দীর্ঘ ৯০টি মিনিট অপেক্ষা করবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।
ম্যানচেস্টার সিটি ৩ – ০ এএফসি বোর্নমাউথ
২.৫ গোলের উর্ধ্বে
ম্যানচেস্টার সিটি -২.০ (এশিয়ান হ্যান্ডিক্যাপ)