প্রেডিকশন (Prediction)
যুক্তরাষ্ট্র ১ – ১ ওয়েলস
ভেন্যুঃ আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম
যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত দেশ ওয়েলস এর জন্য এবারের বিশ্বকাপটি হয়ে চলেছে অতি তাৎপর্যপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট, কারণ ১৯৫৮ সালের পর থেকে দেশটি কখনোই আর বিশ্ব ফুটবলের এই সর্বোচ্চ আসর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। দীর্ঘদিনের পুষিত সেই স্বপ্নটি তাদের এবার পূরণ হয়েছে।
ওয়েলস এর স্বর্ণযুগের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই অবসর নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এখন। ফুটবলীয় জীবন ত্যাগের পূর্বে তারা এই টুর্নামেন্টটিতে এমন কিছু ছাপ ছেড়ে যেতে চাইবেন যা কখনোই কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। আরেক দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুটবল দল বেশ কিছু বছর ধরে উত্তর আমেরিকা শাসন করার পর এবার শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবলে ভালো কিছু অর্জন করে দেখাতে চাইবে।
ফর্ম বিবরণীঃ যুক্তরাষ্ট্র (Form Guide: USA)
আর মাত্র কয়েক দিন পরই শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের ২২তম আসরে সর্বকনিষ্ঠ দল নিয়ে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া দেশটি হল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মূল খেলোয়াড়দের মধ্যে ১৫জনের বয়সই ২৪ বা তার চেয়ে কম, এবং তাদের দলে ৩০ উর্ধ্ব খেলোয়াড়ও রয়েছেন মাত্র একজন। তবে, বয়সে ছোট হলেও তাদের দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলে থাকেন, এবং নিয়মিত হারে দেশের হয়েও ভালো পারফর্ম করে থাকেন।
তবে, দেশের হয়ে খুব বেশি বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাদের নেই, যা তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের ফলাফলে আমরা দেখতে পাই। সেই ম্যাচগুলির মধ্যে বিশ্বকাপে অংশ নিবে এমন দু’টি দল কোস্টা রিকা এবং জাপান এর বিরুদ্ধে খেলা ম্যাচ দুইটিতেই তারা পরাজিত হয়। এই টুর্নামেন্টে যুক্তরাষ্ট্র কতদূর যেতে পারবে তার অনেকটাই নির্ভর করবে তাদের কোচ গ্রেগ বেরহাল্টার দলটির যুবা খেলোয়াড়দেরকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন সেটির উপর।
ফর্ম বিবরণীঃ ওয়েলস (Form Guide: Wales)
আরেক দিকে, বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রতিপক্ষ ড্রাগনস খ্যাত ওয়েলস দলটির ভিত্তি কিন্তু বেশ শক্ত। তাদের দলে রয়েছে অভিজ্ঞতার এক বিশাল ভান্ডার। তার উপর এটি হতে যাচ্ছে ৬৪ বছর পর এই টুর্নামেন্টটিতে তাদের প্রথম এপিয়ারেন্স। তাই বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘বি’ তে তাদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তারা যতটা না উত্তেজিত থাকবে, তার চেয়ে বেশি থাকবে চিন্তিত।
তবে, তাদের জন্য একটি বিশাল চিন্তার বিষয় হল তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম। বিশ্বকাপে প্রবেশের পূর্বে তাদের সেই বাজে ফর্মটিকে তারা যত তাড়াতাড়ি পেছনে ফেলে এগুতে পারবে, তাদের জন্য ততই ভালো হবে। কিন্তু, তাদের নড়বড়ে ডিফেন্সকে তুলোধুনো করে দেওয়ার মত শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। বিশ্বকাপের পূর্বে তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে কেবলমাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ওয়েলস।
ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)
এক দল যেখানে বয়সের দিক দিয়ে অনভিজ্ঞ, সেখানেই আরেক দল বিশ্বকাপে উপস্থিতির দিক দিয়ে অনভিজ্ঞ। তাই অনভিজ্ঞতাই এই দুই দলকে এক সুতোই গেঁথেছে। তবে, উভয় দলের নিকটই রয়েছে বেশ ভালো ভালো অ্যাটাকিং প্রতিভা, তাই তাদের উভয়ের কাছ থেকেই কমপক্ষে একটি করে গোল আশা করাই যায়। তবে, বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ বলে তারা কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙিতেও খেলতে পারে। তাই, ম্যাচটি একটি গোলসম্পন্ন ড্র হওয়া ছাড়াও একটি গোলশূন্য ড্র হওয়ার বড়সড় সম্ভাবনাও থেকেই যায়।