যা যা থাকছে (Table of contents)
- ভূমিকা
- এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ……যা যা হয়তো আপনার নজর এড়িয়ে গিয়েছে
- বেঞ্জেমা’র বিশ্বকাপের ইতি
- আর্জেন্টিনা’র বৈচিত্র্যময় সিদ্ধান্ত
- ইন্টারনেটে ভাইরাল মেসি এবং রোনাল্ডো
- বিশ্বকাপে ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড নিষিদ্ধকরণ
২০২২ বিশ্বকাপ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে, এবং বিশ্বকাপ আসলেই সাথে সাথে চলে আসে আরো বহুধরণের কীর্তিকলাপ, তথ্য ও উপাত্ত। বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক যেকোন ঘটনাই পায় অনেক প্রাধান্য এবং সেসব সম্পর্কিত তথ্যও হয় বেশ সমৃদ্ধশালী। তবে, এখানে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ করব যা হয়তো বিশ্বকাপের আমেজের মাঝে আপনার নজর এড়িয়ে গিয়েছে। তাহলে আর দেরি কিসের? চলুন, শুরু করা যাক!
টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ মিস করতে চলেছেন কারিম বেঞ্জেমা (Karim Benzema misses third straight World Cup)
টানা তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে ছিটকে গেলেন ফরাসি সুপারস্টার কারিম বেঞ্জেমা। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ উপলক্ষে তার করা প্রথম ট্রেনিং সেশনেই তিনি একটি গুরুতর ইঞ্জুরির ভাগিদার হোন, এবং বিশ্বকাপ শুরুর পরে জানা গিয়েছে যে, তিনি আর এবারের বিশ্বকাপে যোগ দিতে পারছেন না। ইঞ্জুরিতে পড়ার পর সকল ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর পর জানা যায় যে, তার হাঁটুর চোটটি বেশ গুরুতর, এবং সেটির কারণে এই ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা এবারের বিশ্বকাপে আর অংশই নিতে পারবেন না।
বিশ্বকাপে অংশ নিতে না পারায় তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে বেঞ্জেমা একটি আবেগঘন বক্তব্য রাখেন, যা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বেশ সাড়া ফেলে। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “আমার জীবনে আমি কখনোই হাল ছেড়ে দেইনি। তবে, আজ আমাকে আমার দল সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে, কারণ আমি সবসময়ই তেমনটি করে এসেছি। এছাড়া, আমি এটিও চাই যেন আমার জন্য দলের কোন ক্ষতি পোহাতে না হয়, এবং যেন আমার জায়গায় আরেকজন যোগ্য কেউ খেলতে পারে এবং দলকে বিশ্বকাপ জেতায় সাহায্য করতে পারে। আমাকে এত শত হৃদয় ছোঁয়া বার্তা পাঠানোর জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।”
তার এই ইঞ্জুরিটি ফ্রান্সের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক, কেননা দলটি এর আগেই ইঞ্জুরির নিকট হারিয়েছে নিজেদের দুই ফার্স্ট চয়েজ মিডফিল্ডার পল পগবা ও এনগোলো কান্তে’কে, যারা কিনা গত বিশ্বকাপ শিরোপাটি জেতায় ফ্রান্সের মূল অস্ত্র ছিলেন। এছাড়া, আরবি লাইপজিগ এর ইন ফর্ম ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোফার এনকুংকুও পারছেন না এবারের বিশ্বকাপে খেলতে। তবে, কোন এক অজানা কারণে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম জানিয়েছেন যে, তিনি কারিম বেঞ্জেমার বদলি হিসেবে এখনই কাউকে দলে জায়গা দেবেন না।
টিএফ১ নামক একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, “হ্যাঁ, অবশ্যই এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল ঝটকা। বিশ্বকাপে ভালো খেলার জন্য কারিম সবকিছুই ঠিকঠাক করছিল। কিন্তু, অঘটনটি ঘটে যায় একটি ট্রেনিং সেশনে, যা ছিল পুরোপুরি দুর্ভাগ্যজনক। দুঃখজনকভাবে, পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে দেখা গিয়েছে যে, তার হাঁটুতে কিছুটা চিড় ধরেছে, এবং সেটি ঠিক হতে হতে হয়তো বিশ্বকাপই শেষ হয়ে যাবে। এটি হতাশাজনক হলেও সত্যি যে, ট্রেনিংয়ে এধরণের ঘটনা অনেকই ঘটে, এবং সেটিই হয় খেলোয়াড়দের জন্যও অত্যন্ত দুঃখজনক।
“এটি তার আগের কোন ইঞ্জুরির পুনরাবৃত্তি নয়, তবে সেটিও আমাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারছে না। আমরা ইতিমধ্যেই ক্রিস্টোফারকে (এনকুংকু) হারিয়েছি, এবং সবাই সে ব্যাপারে অনেক দুঃখিতও বটে। তবে, আমাদের একটি গেমপ্ল্যান রয়েছে, এবং আমাদের নিকট যে স্কোয়াডটি রয়েছে, তার সকল সদস্যই জানে আমরা কাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছি, এবং তাদের হারাতে গেলে কি কি করতে হতে পারে। এখনো আমাদের দলটি একটি পূর্ণাঙ্গ ও শক্তিশালী দল, এবং তাদের উপর আমার যথেষ্ট ভরসা রয়েছে।”
আর্জেন্টিনা ফাইভ স্টার হোটেলে না থেকে ছাত্র হোস্টেলে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় (Argentina chose to live in student halls rather than five star hotels)
আআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা অন্যান্য যেকোন দলের মত কোন ফাইভ স্টার হোটেলে না থেকে, কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হোস্টেলগুলিতে নিজেদের ঘাঁটি গাড়বে, এবং সেখানে তারা তাদের ট্রেনিং সেশনগুলোও সম্পন্ন করবে৷ এছাড়া, আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে আরো একটি কারণ হল এই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলের মাঠে তারা বার্বিকিউ স্থাপন করতে পারবে, এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী ডিশ “আসাদোস” তৈরি করতে পারবে।
একটি আসাদোস ডিশ বানাতে সাধারণত প্রয়োজন পড়ে গরু, শুকর ও মুরগীর মাংস, এবং চোরিজো ও মরসিলা। এসবকিছু একসাথে নিয়ে ফাঁকা জায়গায় খোলা আগুনের মধ্যে গ্রিল করে তৈরি করতে হয় আসাদোস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যে জায়গাটিতে এই আসাদোস রেসিপি তৈরি করা হবে তা ইতিমধ্যেই তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, এবং আসাদোস তৈরির জন্য একজন দক্ষ রাধুনীও আর্জেন্টিনা থেকেই দলের সাথে যোগ দিয়েছেন, যাতে করে এই ঐতিহ্যবাহী ডিশটির প্রকৃত স্বাদ খেলোয়াড়েরা উপভোগ করতে পারে। যে ধরণের গরুর মাংস ব্যবহার করে এই আসাদোস বানানো হবে সেটিও তারা আর্জেন্টিনা থেকেই নিয়ে এসেছে, কারণ আর্জেন্টিনিয়ান বিফকে বিশ্বের সেরা বিফগুলির মধ্যে একটি মানা হয়।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে, এবং সেটির বিশাল ক্যাম্পাস সত্যিই মনোরম ও শান্তিময়। বিশ্ববিদ্যালয়টির নানা ধরণের ফ্যাসিলিটি দেখলেই বোঝা যায় কেন এটিকে সকলে এত বেশি কদর দেয়৷ ৯০টি কক্ষ বিশিষ্ট এই ক্যাম্পাস হোস্টেলটিতে রয়েছে একটি অলিম্পিক সাইজ সুইমিং পুলের সুব্যবস্থা, এবং ১০,০০০ জন দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ফুটবল স্টেডিয়াম।
লুই ভিটন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে মেসি এবং রোনাল্ডো’র দাবা খেলা নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় তোলপাড় (Louis Vuitton ad breaks the internet with Ronaldo and Messi playing chess)
কাপড় ও প্রসাধনী সামগ্রীর ব্র্যান্ড লুই ভিটন এবারের বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক পূর্বেই তাদের এই বিজ্ঞাপন চিত্রটির মাধ্যমে সারা বিশ্বে ঝড় তুলেছে। অনেকে বলছেন এটিই নাকি ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ও প্রভাবশালী স্থিরচিত্র। ছবিটিতে দেকগা যায় যে, সর্বকালের সেরা দুই ফুটবলার ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসি একসাথে বসে দাবা খেলছেন। শুধু তাই নয়, লুই ভিটনের নিজস্ব একটি স্যুটকেস এর উপর দাবা বোর্ডটি রেখে তাদের দুইজনকেই বেশ মনযোগের সাথেই খেলতে দেখা যাচ্ছে।
লুই ভিটন ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছে, “জয় হল মানুষের মনের একটি অবস্থা মাত্র। বিশ্বের সবচেয়ে নামীদামী স্পোর্টিং শিরোপাগুলির জন্য ট্রাংক বা স্যুটকেস বানানোর পর এবার আমিরা উদযাপন করতে চাই এই দুই বিশ্ব মাতানো ফুটবলারদের, যাদের জন্য হয়তো এটিই সর্বশেষ বিশ্বকাপ হত্র চলেছে।”
ছবিটিকে আরো খতিয়ে দেখলে বোঝা যায় যে, তারা কোন সাধারণ খেলা খেলছেন না, বরং তাদের বোর্ডে দাবার গুটিগুলো ঠিক সেই অবস্থানেই আছে যেমনটি ছিল একটি বিখ্যাত দাবা ম্যাচে। ম্যাগনাস কার্লসেন এবং হিকারু নাকামুরা’র মধ্যকার ২০১৭ সালের সেই বিখ্যাত দাবা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হিসেবেই শেষ হয়।
ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ড নিষিদ্ধকরণ (One love armbands banned)
ইংল্যান্ড, ওয়েলস, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্কসহ বেশ কিছু ইউরোপীয় দলের অধিনায়কদেরই কথা ছিল এবারের বিশ্বকাপে ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ড পড়ে খেলতে নামার, যাতে করে সমকামীদের প্রতি কাতারের যে কঠোর আইন রয়েছে, সেটির মৌন বিরোধীতা তারা করতে পারে। তবে, এই বিষয়ে কাতার সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা তাদের সেই সিদ্ধান্তটি থেকে শেষমেষ সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। তাদের সরে আসার আরেকটি প্রধান কারণ হল ফিফা’র অভিনব একটি বিধান, যার ফলে উয়েফার অধীনে থাকা দেশগুলির কোন অধিনায়ক ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ড পড়ে খেলতে নামলে তাকে সাথে সাথে একটি হলুদ কার্ড দেখানো হবে। ফিফা আরো ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা অধিনায়কদের জন্য তাদের নিজস্ব একটি আর্মব্যান্ড তৈরি করেছে, যেখানেও নানা ধরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তারা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
ডাচ ফুটবল এসোসিয়েশন, যারা কি না এই ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা, তারাই সবার আগে একটি স্টেটমেন্ট রিলিজ করে জানিয়ে দেয় যে কেন তারা এই ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ড পড়া থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে আনছে।
ডাচ ফুটবল এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রদত্ত সম্পূর্ণ স্টেটমেন্ট (Dutch FA’s Statement in full)
“ডাচ ফুটবল এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে আমরা বলতে পারি যে, আমরা এবং আমাদের নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা ওয়ান-লাভ এর মাধ্যমে একটি ইতিবাচক বার্তাই পাঠাতে চাই, যার মূলে থাকবে সবার সাথে প্রীতিময় সম্পর্ক এবং সব ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার আওয়াজ। আমরা সেটি এবারের বিশ্বকাপে করতে চাই ইংল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, এবং ডেনমার্কের মত দেশগুলিকে সাথে নিয়ে।
“উয়েফা’র ওয়ার্কিং গ্রুপ, ডাচ ফুটবল এসোসিয়েশন যার একটি অংশ, গত ১৯ই সেপ্টেম্বর ফিফাকে অনুরোধ করে ওয়ান-লাভ অধিনায়ক আর্মব্যান্ডকে মেনে নিতে। আজ, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার আগের দিন এসে ফিফা আমাদের সকলকে জানিয়েছে যে, ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ড পড়ে কোন অধিনায়ক খেলতে নামলে তাকে সাথে সাথে হলুদ কার্ড দেখানো হবে৷ আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি এই ভেবে যে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারি নাই।
“আমরা ওয়ান-লাভের অন্তর্নিহিত বার্তাটির সাথেই থাকব এবং সেটিকে ছড়াতেই থাকব, কিন্তু এটিও ভোলা যাবে না যে বিশ্বকাপে আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হল যতগুলো সম্ভব ম্যাচে জয়লাভ করা। তাই, আমরা কখনোই চাইবো না যে আমাদের দলের অধিনায়ক একটি হলুদ কার্ড নিয়ে খেলতে নামুক। তাই, দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমাদেরকে বলতে হচ্ছে যে, উয়েফা, ডাচ ফুটবল এসোসিয়েশন এবং আমাদের দলটি এই পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়াতে আজ বাধ্য হচ্ছি।
“আমরা পূর্বে ভেবেছিলাম যে, ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ড পড়ে খেলতে নামলে আমাদের এসোসিয়েশনকে হয়তো জরিমানা গুণতে হবে, এবং সেটির জন্য আমরা প্রস্তুতও ছিলাম। তবে, আমরা এটি কখনোই ভাবিনি যে ফিফা এই হলুদ কার্ড এর নিয়মটি কার্যকর করতে পারে। আমরা মনে করি তাদের এই সিদ্ধান্তটি আমাদের এই সুন্দর খেলাটি, যা কি না লাখ লাখ মানুষকে একত্রিত করে, তার মূলমন্ত্রের বিরোধীতা করে। আমাদের সহযোগী অন্যান্য দেশগুলির সাথে মিলে আমরা অদূর ভবিষ্যতে ফিফা’র সাথে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে বিশদ আলোচনা করব।”
উয়েফা’র ওয়ার্কিং গ্রুপও ফিফাকে নিয়ে ও তাদের এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারাও একটি স্টেটমেন্ট প্রকাশ করেছে।
“ফিফা খুব স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছে যে আমাদের খেলোয়াড়েরা যদি ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ড পড়ে খেলতে নামে তাহলে তাদেরক্র শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। জাতীয় ফুটবল এসোসিয়েশনগুলি থেকে কেউই চাইবে না যে তাদের দলের অধিনায়ক মাঠে নামার সাথে সাথে হলুদ কার্ডের মত শাস্তির সম্মুখীন হোক, এবং তাই আমরা আমাদের অধিনায়কদের বলে দিয়েছি যেন তারা এবারের ফিফা বিশ্বকাপে কোন ম্যাচেই সেই আর্মব্যান্ডটি পড়ে খেলতে না নামে।
“সাধারণত ফুটবল কিট সংক্রান্ত সকল ধরণের নিয়ম অমান্য করার জন্য যে ধরণের জরিমানা গুণতে হয় সেটির জন্য আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম এবং আর্মব্যান্ডটি পরিধান করার ব্যাপারেও আমরা বদ্ধপরিকরই ছিলাম। কিন্তু, আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারি না যেখানে তাদেরকে হলুদ কার্ড দেখতে হতে পারে, বা মাঠ ত্যাগ করতে হতে পারে।
“আমরা ফিফা’র এই সিদ্ধান্তে প্রচন্ড অসন্তুষ্ট, কারণ আমরা মনে করি এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয় — আমরা গত সেপ্টেম্বরেও ফিফাকে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছি যে আমরা ওয়ান-লাভ আর্মব্যান্ডটির প্রচার করতে চাই, যাতে সব ধরণের সেক্সুয়ালিটি’র মানুষজন নিজেদেরকে খেলাটির সাথে যুক্ত করতে পারে, কিন্তু ফিফা’র কাছ থেকে আমরা কোন প্রকার রিপ্লাই পাইনি এ ব্যাপারে। আমাদের খেলোয়াড় এবং কোচেরা সকলেই অনেক মর্মাহত। তারা ফুটবলে সকলের অন্তর্ভুক্তির পক্ষের মানুষ, এবং এই বার্তাটি আমরা সকলেই ভবিষ্যতেও প্রচার করতে চাই।”