প্রেডিকশন (Prediction)
দক্ষিণ কোরিয়া ১ – ২ পর্তুগাল
ভেন্যুঃ এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম
গ্রুপ এইচ এর ম্যাচডে ৩ এর এই ফিক্সচারে আমরা ২০০২ সালের পর আবারো একে অপরের মুখোমুখি হতে দেখতে পাব দক্ষিণ কোরিয়া ও পর্তুগালকে। সেবারের ম্যাচটিতে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে পর্তুগালকে হারাতে সক্ষম হয়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া এবার তাদের টানা ৯ম বিশ্বকাপ আসরে অংশগ্রহণ করতে চলেছে, এবং একমাত্র এশিয়ান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে খেলা দলও তারাই। তবে, এই ম্যাচটিতে বিশ্বের ৯ম র্যাংকড দল ও গ্রুপ ফেভারিটস পর্তুগালের বিপক্ষে তারা একটি বিশাল পরীক্ষার সম্মুখীন হতে চলেছে।
ফর্ম বিবরণীঃ দক্ষিণ কোরিয়া (Form Guide: South Korea)
বিশ্বকাপ পর্যায়ে যেকোন এশিয়ান দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তায়গুক ওয়ারিয়র্স খ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ারই। এবারের বিশ্বকাপ হতে চলেছে তাদের ইতিহাসের ১০ম বিশ্বকাপ আসর। পাওলো বেন্তো’র দলটি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো ফর্ম প্রদর্শন করেছে৷ তাদের খেলা সর্বশেষ ১২টি ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে ৮টিতে, ড্র করেছে ২টিতে, এবং পরাজিত হয়েছে ২টিতে। তবে, বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্যায়ে তাদের অতীত রেকর্ড মোটেও সন্তোষজনক নয়।
তবে, গত বিশ্বকাপে এই কোরিয়া দলই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল। সেখান থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েই তারা এই ম্যাচটিতে খেলতে নামবে।
ফর্ম বিবরণীঃ পর্তুগাল (Form Guide: Portugal)
চার বছর পূর্বের পর্তুগালের থেকে বর্তমান পর্তুগাল দলটি অনেক বেশি শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ। এছাড়া, এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য তাদের আরেকটি মোটিভেশন হল এই যে, এটিই হতে পারে তাদের কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো’র সবশেষ বিশ্বকাপ। তবে, তাদের ফরোয়ার্ড ও মিডফিল্ড লাইন খুবই শক্তিশালী হলেও রক্ষণভাগ নিয়েই তাদের দুশ্চিন্তা হওয়ার কথা।
তবে, সব মিলিয়ে, কাগজে কলমে দক্ষিণ কোরিয়ার মত দলকে হারানোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল অস্ত্র-সরঞ্জামই রয়েছে পর্তুগালের নিকট। বিশ্বকাপের আগে তাদের খেলা সর্বশেষ ১০টি ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে ৫টিতে, এবং ড্র করেছে ২টিতে। তাই, ফর্মও অনেকটা তাদের পক্ষেই রয়েছে।
ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)
সকলেরই প্রত্যাশা এই যে, আইবেরিয়ান দল পর্তুগাল এই ম্যাচটিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ এইচ এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া মোটেও ফেলে দেওয়ার মত প্রতিপক্ষ নয়, তবুও পর্তুগাল চাইবে ম্যাচটিতে ভালো খেলে জয় অর্জন করে এমন একটি মোমেন্টাম তৈরি করতে যা তাদেরকে রাউন্ড অব ১৬ তে ভালো খেলতেও সাহস জোগাবে। ২০০৬ সালে সেমি ফাইনাল খেলার পর থেকে আর তারা বিশ্বকাপের রাউন্ড অব ১৬ পর্যায়টি পার করতে পারেনি।