প্রেডিকশন (Prediction)

জাপান ২ – ২ ক্রোয়েশিয়া (অতিরিক্ত সময় শেষে) | জাপান ৩ – ৪ ক্রোয়েশিয়া (পেনাল্টি শুট আউট)

ভেন্যুঃ আল জানুব স্টেডিয়াম

বিশ্বকাপের রাউন্ড অব ১৬ তে একটি নিয়মিত মুখ হল সামুরাই ব্লুস খ্যাত জাপান, কেননা গত ৬টি বিশ্বকাপের মধ্যে ৩টিতেই তারা টুর্নামেন্টটির এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে। তবে, এবারের বিশ্বকাপে এই প্রতিভাবান জাপান দলটি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর যে সম্ভাবনাটি তৈরি করেছে, তা হয়তো তারা এর আগে কোন বিশ্বকাপেই জাগাতে পারেনি।

নিজেদের পারফর্মেন্স এর জোড়েই তারা এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ডার্ক হর্সে পরিণত হয়েছে। ক্রোয়েশিয়া গত বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল। তারপরও এবার তারা হাজিমে মরিয়াসু’র দলটির বিপক্ষে প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ফর্ম বিবরণীঃ জাপান (Form Guide: Japan)

জার্মানি এবং স্পেনের মত দল, যারা কি না বিশ্বকাপের সবচেয়ে ঐতিহাসিক দু’টি দল হিসেবে পরিচিত, তাদের উভয়ের বিপক্ষেই গ্রুপ পর্যায়ে কামব্যাক জয় ছিনিয়ে এনে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাউন্ড অব ১৬ তে পৌঁছে গিয়েছে জাপান।

কর্মদক্ষতার উপরেই তাদের পুরো গেমপ্ল্যান টিকে রয়েছে, এবং সেটির সবচেয়ে চমৎকার উদাহরণ তারা দিয়েছে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচটিতে। সেখানে তারা পুরো ম্যাচে মাত্র ১৮% পজিশন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল, কিন্তু তারপরও ম্যাচের সবচেয়ে ভালো গোলের সুযোগগুলি তারাই তৈরি করতে পেরেছিল। তারা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও একই রকম ট্যাকটিক অনুসরণ করেই খেলবে। তবে, ক্রোয়েশিয়া তাদের মিডফিল্ড এর শক্তিমত্তা, এবং টেকনিক্যাল ক্ষমতা দিয়ে জাপানকে প্রতিহত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।

ফর্ম বিবরণীঃ ক্রোয়েশিয়া (Form Guide: Croatia)

ক্রোয়েশয়া গ্রুপ পর্যায়ে বেশ ভালো পারফর্ম করেছে, এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা রাউন্ড অব ১৬ পর্যায়েও পৌঁছে গিয়েছে। তবে, বলাই বাহুল্য, তাদের ফিনিশিং আরো ভালো হতেই পারতো। তবে, এবারের বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ তৈরিকারী খেলোয়াড়টি কিন্তু তাদের দলেরই ইভান পেরিসিচ, যিনি ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে তৈরিকৃত তার অসাধারণ খ্যাতিটি ধরে রাখতে পেরেছেন।

পড়ুন:  ব্রেন্টফোর্ড বনাম ওলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স প্রিভিউ এবং প্রেডিকশনঃ ব্রেন্টফোর্ডের লক্ষ্য লীগ টেবিলের শীর্ষভাগ

সব মিলিয়ে, ক্রোয়েশিয়া খুবই ধারাবাহিক একটি দল, যারা কি না কাউন্টার অ্যাটাকে খুব কমই ধরা পড়ে থাকে। জাপানের মত একটি দল, যারা কি না নিজেদের গতি এবং কাউন্টার অ্যাটাকিং ক্ষমতার উপর নির্ভর করেই এ পর্যন্ত এসেছে, তাদের বিপক্ষে সবচেয়ে ভালো ও উপযোগী হাতিয়ারটি তাই ক্রোয়েশিয়ার নিকটই রয়েছে।

ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

ক্রোয়েশিয়া ম্যাচটির অধিকাংশ সময় জুড়ে বল পজিশন নিজেদের দখলে রাখলেও উভয় দলই প্রায় সমান পরিমাণে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারবে। জাপান বেশ কিছু মুহূর্তে পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে ক্রোয়াট’দেরকে বধ করার চেষ্টা চালাবে, এবং সফলও হবে, কিন্তু ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে, এবং শারিরিক ও মানসিক স্থিতিশীলতার একটি লড়াইয়ে পরিণত হবে। ফলে, খেলা শেষে ইউরোপীয় দলটিই জয়ের হাসি মুখে নিয়ে মাঠ ছাড়বে বলেই আমরা ধারণা করছি।

Share.
Leave A Reply