প্রিমিয়ার লীগকে পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট ফুটবল লীগ হিসেবে মান্য করার পেছনে একটি অন্যতম প্রধান কারণ রয়েছে। সেটি হচ্ছে এই লীগের প্রত্যেকটি দলের মধ্যকার অসামান্য প্রতিযোগিতা এবং ভক্তদের আশা ভরসার ফলে তৈরি হওয়া খেলোয়াড়দের উপরের চাপ। এই লীগের প্রত্যেকটি খেলাই হয় উত্তেজনায় ভরপুর এবং প্রত্যেকটি দলই বেশ গুণমানসম্পন্ন, যা পৃথিবী বা ইউরোপের অন্য কোন লীগেই তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাস থেকে একটি নিদর্শন পাওয়া যায়, এবং সেটি হল, সব খেলোয়াড় এই লীগে টিকতে পারেন না। অনেক বছর ধরেই আমরা দেখে আসছি যে, অনেক খেলোয়াড়ই এমন অন্য কোন দেশের লীগ থেকে এসে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে যোগ দেন সুন্দর ও…
Author: admin
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যেকোন খেলোয়াড়ের জন্যই প্রিমিয়ার লীগ হল সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার নাম। একজন খেলোয়াড়ের মাহাত্ম্য প্রায়ই মাপা হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখে যে সেই খেলোয়াড় কখনো প্রিমিয়ার লীগে খেলেছেন কি না, এবং খেলে থাকলে কেমন ছিল তার এই লীগে পারফর্মেন্স। প্রিমিয়ার লীগের গুরুত্ব বিশ্ব ফুটবলে এতটাই বেশি! যদিও সকল পজিশনেই খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে তাদের সেরাটাই মাঠে বের করে দিতে বাধ্য করে এই প্রিমিয়ার লীগ, তবুও বলাই বাহুল্য যে, স্ট্রাইলার বা ফরোয়ার্ড বা গোলস্কোরার, অর্থাৎ এক কথায় আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের জন্য এই লীগটি আসলেই অনেক বেশি দয়াহীন, কারণ তারাই হলেন পুরো দলের ভালো খেলাকে গোলে পরিণত করার যন্ত্র। যদি তারা…
প্রিভিউ (Preview): এই নিবন্ধটিতে আমরা এই যুগের সবচেয়ে প্রতিভাবান যুবা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম একজনকে নিয়ে আলোচনা করব, যার নাম ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান এই আশ্চর্য বালক ইউরোপজুড়ে দুই মৌসুম ধরেই নাম করে আসছেন। তিনি একসময় খেলতেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেংগোতে, যেখানে প্রায়ই তিনি গোল করতেন, বা এসিস্ট পেতেন। কিন্তু দলটির হয়ে কোপা লিবের্তাদোরেস প্রতিযোগিতার ফাইনালে করা একটি গোলই তার ভাগ্য পুরোপুরি বদলে দেয়। সেটি এমনই একটি গোল ছিল যা যেকোন ফুটবল ভক্ত একটি গ্রুপ চ্যাটে প্রেরণ করে বন্ধুদের সাথে উদ্যাপন করতে পছন্দ করেন। ভিনিসিয়াসের ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে চলুন যাওয়া যাক মূল আলোচনায়। রিয়াল মাদ্রিদের বেমানান মুকুটধারী (Real Madrid’s Misfit Crown) ২০১৮…
ভূমিকা (Intro) একবার নয়, দুইবার নয়, লিওনেল মেসি’র ক্যারিয়ার জুড়ে বহুবার অনেকেই তাকে তুচ্ছ করে বলেছেন যে তার ক্যারিয়ার এবার শেষ, আর তিনি তার পুরনো ফর্ম ফিরে পাবেন না। কিন্তু, প্রতিবারই এই আর্জেন্টাইন জাদুকর সেসকল নিন্দুকের বাড়া ভাতে পানি ঢেলে দিয়ে ফর্মে ফিরেছেন, বিশ্বকে সাক্ষী রেখে একের পর এক মানসম্পন্ন এবং অলৌকিক পারফর্মেন্স দিয়েছেন। তিনি এমন একজন খেলোয়াড় যিনি পুরনো বোতলে রাখা পুরনো মদের মতই সময়ের বিবর্তনে আরো সুস্বাদু হয়ে চলেছেন। তার খেলা দেখলে যে কারো মনে একটি কথাই ফিরে ফিরে আসে, “কি করে পারো তুমি লিওনেল, কি করে পারো!” তা তিনি ২০ বছর বয়সী একজন পাওয়ার প্যাকড ড্রিবলারই হোন,…
২০২০-২১ মৌসুমে স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার প্লে-অফ জিতে প্রমোশন অর্জনের মাধ্যমে ব্রেন্টফোর্ড এফসি পরিণত হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসের ৫০তম ক্লাবে। শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ার লীগে তাদের ডেব্যু মৌসুমও ছিল সাফল্যে ভরপুর, যেখানে তাদের ক্রীড়াশৈলির মাধ্যমে তারা অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন। ব্রেন্টফোর্ডের পূর্বে ৮ বছর ধরে এমনটি হয়নি যে কোন ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ থেকে প্রিমিয়ার লীগে এসে লীগ টেবিলের ১৫তম স্থানের চেয়ে উঁচুতে থেকে মৌসুম শেষ করতে পেরেছে। ব্রেন্টফোর্ড বেশ দাপটের সাথেই তাদের প্রথম মৌসুমে খেলেছে, এবং তাদের ড্যানিশ কোচ থমাস ফ্র্যাঙ্ক এর নেতৃত্বে ১৩তম অবস্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে। গত বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বরে, আবার বর্তমান বছরের জানুয়ারি…
২০১৯-২০ মৌসুমে রেলিশনের শিকার হওয়ার পর দুই মৌসুম ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় টিয়ার “চ্যাম্পিয়নশিপে” কাটানোর আবারো প্রিমিয়ার লীগে ফিরে এসেছে এএফসি বোর্নমাউথ। প্রিমিয়ার লীগে প্রমোশন এর লড়াইটি আগের বারের মত এবার তাদের জন্য ততটাও অসাধারণ ছিল না। গতবার যখন তারা ২০১৪-১৫ সালে প্রিমিয়ার লীগে প্রমোশন অর্জন করেছিল, সেবার তারা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রায় সকল দলকেই উড়িয়ে দিয়ে প্রতিযোগিতাটির শিরোপা ঘরে তুলেই প্রিমিয়ার লীগে প্রবেশ করেছিল। তাদের খেলার সেই দুর্জয় স্টাইলের উপর ভর করেই তারা প্রিমিয়ার লীগে নিজেদের একটি জায়গা তৈরি করে নেয়, এমনকি ২০১৬-১৭ মৌসুমে তারা তাদের শ্রেষ্ঠ মৌসুমে লীগ টেবিলের ৯ম স্থানে অবস্থান করতেও সক্ষম হয়। কিন্তু, ২০১৯-২০ মৌসুমের শুরু থেকেই বোঝা…
বরাবরই প্রিমিয়ার লীগের “দর্শনার্থী দল” হিসেবে খ্যাত ফুলহ্যাম এবার আবারো চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে ফিরে এসেছে ইংলিশ টপ ফ্লাইট বা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। আরও একটি বার তারা নিশ্চিত করতে চাইবে যেন তারা এক মৌসুম প্রিমিয়ার লীগে কাটিয়েই আবার রেলিগেটেড না হয়ে যায়, এবং উপরে উল্লিখিত তকমাটি তাদের জন্য স্থায়ী না হয়ে যায়। তারা প্রিমিয়ার লীগে ফিরে এসেছে গত মৌসুমে ইংলিশ দ্বিতীয় টিয়ার বা ইএফএল স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাটি জেতার পর। উক্ত প্রতিযোগিতাটি জেতার পথে তারা একটি অসাধারণ ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল, যার ফল হিসেবে তারা মৌসুমশেষে ৯০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হয়েছিল এবং একই সাথে মৌসুমের ৪৬টি ম্যাচে করতে পেরেছিল…
একবার নয়, বরং পর পর দুইবার এমন হয়েছে যে পগবা রেড ডেভিলদের হয়ে খেললেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং তার মধ্যে কোনপ্রকার বনিবনাই হয়নি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই দফায় খেলতে এসেই দর্শক ও ভক্তদের শুধু তিনি উপহার দিতে পেরেছেন এক গাদা সমালোচনা এবং অনেকখানি অনিশ্চয়তা। তবে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার সর্বশেষ স্পেলের পরে তিনি দলটির সমর্থকদের মুখে একটি তিক্ত স্বাদই রেখে যেতে পেরেছেন, এবং তার সাম্প্রতিক কিছু উক্তিও সেটির জন্য দায়ী। ঘটনাক্রমে এটিও মানতেই হয় যে, পল পগবাকে নিয়ন্ত্রণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও বেশ কিছু ভুল ছিল। এর মধ্যে অন্যতম হল খেলোয়াড়টির সাথে শুরু থেকেই একটি ভঙ্গুর সম্পর্ক তৈরি করা, যা গত কয়েক বছরে খুবই বড়…
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কেন্দ্র করে বর্তমান ট্রান্সফার উইন্ডোতে যে খেলোয়াড়টির নাম বার বার সামনে আসছে তিনি আর কেউ নন, বরং এরিক তেন হাগ এর পুরনো সতীর্থ ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, যিনি বর্তমানে বার্সেলোনাতে খেলে থাকেন। এমনটিই ধারণা করা যাচ্ছে যে, ক্লাবটির নতুন ম্যানেজার এরিক তেন হাগ এই ২৫ বছর বয়সী তারকাকে নিয়ে আবারো একসাথে কাজ করতে চাচ্ছেন, এবং ২০২২-২৩ মৌসুমকে সামনে রেখে তিনি যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটি তৈরি করছেন সেখানে ডি ইয়ংকেই কেন্দ্রবিন্দু বানাতে চাচ্ছেন। এর আগে যখন তারা একসাথে একই দলে কাজ করেছেন, তখন তারা আয়াক্স আমস্টারডামকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন, যে সেই দলটিকে ২০১০ এর দশকের সেরা…
আর্সেনাল যখন ২০১৯ সালে তাদের ক্লাব রেকর্ড ফি ৭২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে যুবা তারকা নিকোলাস পেপেকে কিনেছিল, তখন তা চারিদিকে বেশ সাড়া ফেলেছিল, এবং ক্লাবটি জুড়ে এই ট্রান্সফার নিয়ে বেশ ইতিবাচক পরিবেশও তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে তাদের সমর্থকদের মাঝে। ফরাসি দল লিল এর হয়ে তিনি তখন মাত্র আরেকটি অসাধারণ মৌসুম শেষ করেছিলেন, এবং আর্সেনালে এসে তিনি সরাসরি প্রথম একাদশে ঢুকে পড়বেন, এবং সাথে সাথেই তার ক্রীড়ানৈপূণ্যের মাধ্যমে মাঠের পর মাঠ মাতাবেন, এমনটিই আশা করেছিল আর্সেনাল ভক্তরাসহ প্রায় সকল ফুটবল বোদ্ধারাও। তারা আরো ভেবেছিল যে পেপেই আর্সেনালের আক্রমণভাগে সেই ধারটি জোগাবেন যার তাদের দলে বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘাটতি ছিল।…