২০২০-২১ মৌসুমে স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার প্লে-অফ জিতে প্রমোশন অর্জনের মাধ্যমে ব্রেন্টফোর্ড এফসি পরিণত হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসের ৫০তম ক্লাবে। শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ার লীগে তাদের ডেব্যু মৌসুমও ছিল সাফল্যে ভরপুর, যেখানে তাদের ক্রীড়াশৈলির মাধ্যমে তারা অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন। ব্রেন্টফোর্ডের পূর্বে ৮ বছর ধরে এমনটি হয়নি যে কোন ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ থেকে প্রিমিয়ার লীগে এসে লীগ টেবিলের ১৫তম স্থানের চেয়ে উঁচুতে থেকে মৌসুম শেষ করতে পেরেছে। ব্রেন্টফোর্ড বেশ দাপটের সাথেই তাদের প্রথম মৌসুমে খেলেছে, এবং তাদের ড্যানিশ কোচ থমাস ফ্র্যাঙ্ক এর নেতৃত্বে ১৩তম অবস্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে। গত বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বরে, আবার বর্তমান বছরের জানুয়ারি…
Author: admin
২০১৯-২০ মৌসুমে রেলিশনের শিকার হওয়ার পর দুই মৌসুম ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় টিয়ার “চ্যাম্পিয়নশিপে” কাটানোর আবারো প্রিমিয়ার লীগে ফিরে এসেছে এএফসি বোর্নমাউথ। প্রিমিয়ার লীগে প্রমোশন এর লড়াইটি আগের বারের মত এবার তাদের জন্য ততটাও অসাধারণ ছিল না। গতবার যখন তারা ২০১৪-১৫ সালে প্রিমিয়ার লীগে প্রমোশন অর্জন করেছিল, সেবার তারা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রায় সকল দলকেই উড়িয়ে দিয়ে প্রতিযোগিতাটির শিরোপা ঘরে তুলেই প্রিমিয়ার লীগে প্রবেশ করেছিল। তাদের খেলার সেই দুর্জয় স্টাইলের উপর ভর করেই তারা প্রিমিয়ার লীগে নিজেদের একটি জায়গা তৈরি করে নেয়, এমনকি ২০১৬-১৭ মৌসুমে তারা তাদের শ্রেষ্ঠ মৌসুমে লীগ টেবিলের ৯ম স্থানে অবস্থান করতেও সক্ষম হয়। কিন্তু, ২০১৯-২০ মৌসুমের শুরু থেকেই বোঝা…
বরাবরই প্রিমিয়ার লীগের “দর্শনার্থী দল” হিসেবে খ্যাত ফুলহ্যাম এবার আবারো চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে ফিরে এসেছে ইংলিশ টপ ফ্লাইট বা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। আরও একটি বার তারা নিশ্চিত করতে চাইবে যেন তারা এক মৌসুম প্রিমিয়ার লীগে কাটিয়েই আবার রেলিগেটেড না হয়ে যায়, এবং উপরে উল্লিখিত তকমাটি তাদের জন্য স্থায়ী না হয়ে যায়। তারা প্রিমিয়ার লীগে ফিরে এসেছে গত মৌসুমে ইংলিশ দ্বিতীয় টিয়ার বা ইএফএল স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাটি জেতার পর। উক্ত প্রতিযোগিতাটি জেতার পথে তারা একটি অসাধারণ ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল, যার ফল হিসেবে তারা মৌসুমশেষে ৯০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হয়েছিল এবং একই সাথে মৌসুমের ৪৬টি ম্যাচে করতে পেরেছিল…
একবার নয়, বরং পর পর দুইবার এমন হয়েছে যে পগবা রেড ডেভিলদের হয়ে খেললেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং তার মধ্যে কোনপ্রকার বনিবনাই হয়নি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই দফায় খেলতে এসেই দর্শক ও ভক্তদের শুধু তিনি উপহার দিতে পেরেছেন এক গাদা সমালোচনা এবং অনেকখানি অনিশ্চয়তা। তবে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার সর্বশেষ স্পেলের পরে তিনি দলটির সমর্থকদের মুখে একটি তিক্ত স্বাদই রেখে যেতে পেরেছেন, এবং তার সাম্প্রতিক কিছু উক্তিও সেটির জন্য দায়ী। ঘটনাক্রমে এটিও মানতেই হয় যে, পল পগবাকে নিয়ন্ত্রণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও বেশ কিছু ভুল ছিল। এর মধ্যে অন্যতম হল খেলোয়াড়টির সাথে শুরু থেকেই একটি ভঙ্গুর সম্পর্ক তৈরি করা, যা গত কয়েক বছরে খুবই বড়…
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কেন্দ্র করে বর্তমান ট্রান্সফার উইন্ডোতে যে খেলোয়াড়টির নাম বার বার সামনে আসছে তিনি আর কেউ নন, বরং এরিক তেন হাগ এর পুরনো সতীর্থ ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, যিনি বর্তমানে বার্সেলোনাতে খেলে থাকেন। এমনটিই ধারণা করা যাচ্ছে যে, ক্লাবটির নতুন ম্যানেজার এরিক তেন হাগ এই ২৫ বছর বয়সী তারকাকে নিয়ে আবারো একসাথে কাজ করতে চাচ্ছেন, এবং ২০২২-২৩ মৌসুমকে সামনে রেখে তিনি যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটি তৈরি করছেন সেখানে ডি ইয়ংকেই কেন্দ্রবিন্দু বানাতে চাচ্ছেন। এর আগে যখন তারা একসাথে একই দলে কাজ করেছেন, তখন তারা আয়াক্স আমস্টারডামকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন, যে সেই দলটিকে ২০১০ এর দশকের সেরা…
আর্সেনাল যখন ২০১৯ সালে তাদের ক্লাব রেকর্ড ফি ৭২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে যুবা তারকা নিকোলাস পেপেকে কিনেছিল, তখন তা চারিদিকে বেশ সাড়া ফেলেছিল, এবং ক্লাবটি জুড়ে এই ট্রান্সফার নিয়ে বেশ ইতিবাচক পরিবেশও তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে তাদের সমর্থকদের মাঝে। ফরাসি দল লিল এর হয়ে তিনি তখন মাত্র আরেকটি অসাধারণ মৌসুম শেষ করেছিলেন, এবং আর্সেনালে এসে তিনি সরাসরি প্রথম একাদশে ঢুকে পড়বেন, এবং সাথে সাথেই তার ক্রীড়ানৈপূণ্যের মাধ্যমে মাঠের পর মাঠ মাতাবেন, এমনটিই আশা করেছিল আর্সেনাল ভক্তরাসহ প্রায় সকল ফুটবল বোদ্ধারাও। তারা আরো ভেবেছিল যে পেপেই আর্সেনালের আক্রমণভাগে সেই ধারটি জোগাবেন যার তাদের দলে বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘাটতি ছিল।…
সকলের জন্যই প্রিমিয়ার লীগের ২০২১-২২ মৌসুমটি ছিল উত্তেজনায় ভরা, এবং সেই উত্তেজনা জারি ছিল মৌসুমের একদম শেষ দিন পর্যন্ত। শিরোপার লড়াই তো মজার ছিলই, তার সাথে রেলিগেশনের লড়াইও ছিল একদম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেওয়ার মত উত্তেজনাময়। এসবের পাশাপাশি এবার শীর্ষ চারে থাকার লড়াইটিও ছিল বেশ মনে রাখার মত। সব মিলিয়ে সকল দলের ভক্ত সমর্থক এবং নিরপেক্ষ দর্শক সকলের জন্যই মৌসুমটি ছিল অবিস্মরণীয়। যখনই একটি প্রিমিয়ার লীগ মৌসুম শেষ হয়ে যায়, ঠিক তার পরেই ইংলিশ ফুটবলের হর্তাকর্তারা মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় এর নাম এবং সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি করা একটি দল প্রকাশ করে। পরের মৌসুম শুরু হওয়া পর্যন্ত ভক্ত সমর্থকরা সেসব খেলোয়াড়দের নিয়ে…
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড তাদের নিজেদের ভক্তদের সাথে সাথে বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ও জনপ্রিয় লীগ অর্থাৎ প্রিমিয়ার লীগের সকল ভক্তদের জন্যই একটি মজার ২০২২-২৩ মৌসুমের আশ্বাস দিচ্ছে, বিশেষ করে ২০২১-২২ মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য প্রদর্শনের জের ধরে। গত মৌসুমের সেই অন্তিম ভাগটির দিকে তাকালেই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, টাইনসাইডের ম্যাগপাই’রা আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ চারে থাকার জন্য অন্যতম সেরা এক দাবিদার। এ সবকিছুর শুরু নিউক্যাসেলের জন্য তখনই হয়েছিল যখন ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পি আই এফ) নামক একটি কনসোর্টিয়াম, অ্যামান্ডা স্টেভলি’র নেতৃত্বে পিসিপি ক্যাপিটাল পার্টনারস, এবং ডেভিড ও সাইমন রিউবেন এর নেতৃত্বে আর বি স্পোর্টস…
বিভিন্ন সূত্রের মোতাবেক, বেনফিকা ফরোয়ার্ড ডারউইন নুনেজকে কেনার দৌড়ে ইংলিশ দল লিভারপুল এখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই চুক্তিটি চূড়ান্ত এবং স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। অল রেডস’দের এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার পরিকল্পনার অনেকটা জুড়েই থাকবে একজন ফরোয়ার্ডকে সাইন করানো। এবং তা থেকেই বোঝা যায় যে কেন তারা একজন যুবা ফরোয়ার্ডকে কেনার জন্য এত টাকা খরচ করতেও রাজি। ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে লিভারপুলের অসাধারণ সাফল্য গাঁথার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তাদের ফরোয়ার্ড লাইনের তিন অ্যাটাকারের, যারা হলেন মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে এবং রোবার্তো ফিরমিনো। তাদের চমৎকার পারফর্মেন্সগুলি লিভারপুলের ভক্ত সমর্থকদের মনে অনেক দিন গেঁথে থাকবে। কিন্তু, অনেকটা কাব্যিক হলেও সত্য…
গত মৌসুমের ঠিক শেষ পর্যায়ে এসে চ্যাম্পিয়নস লীগে নাম লেখানোর লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পার্সের কাছে হেরে যাওয়ার পর, এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্সেনাল চাইবে আবারো একবার কিছু নতুন খেলোয়াড় কিনে তাদের দলকে আরেকটু শক্তিশালী করতে, এবং আগামী মৌসুমে ভালো করে তার পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলতে। গ্যাবন ইন্টারন্যাশনাল পিয়ের-এমরিক অবামেয়াং গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ায় আর্সেনালে মাত্র একজনই প্রতিষ্ঠিত স্ট্রাইকার থেকে যান, যিনি হলেন আলেকজান্ডার ল্যাকাজেট। তবে, তিনিও গত সপ্তাহে আর্সেনাল ত্যাগ করে চলে যান তার সাবেক দল লিওঁতে, এবং আর্সেনালে রেখে যান স্ট্রাইকিং পজিশনের একটি বিশাল বড় শূন্যস্থান। এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্সেনাল দুইজন স্ট্রাইকারকে সাইন করাবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু,…