ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন (Brighton & Hove Albion) সিগালস খ্যাত ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন এখন পর্যন্ত এবারের মৌসুমের একটি উড়ন্ত সূচনা করেছে, এবং তারই জের ধরে তাদের সর্বশেষ ম্যাচে ক্রেভেন কটেজে ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেও সবাই ভেবেছিল যে, ম্যাচটি থেকে তারা কমপক্ষে একটি পয়েন্ট হলেও অর্জন করতে পারবেই পারবে। তবে, গ্রাহাম পটার এবং তার শিষ্যরা সকলের সেই ধারণাটিকে ভুল প্রমাণিত করেন, এবং মার্কো সিলভার দূর্দান্ত আক্রমণাত্মক ফুলহ্যাম ফলের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েন। ফুলহ্যাম যেন তাদের সকল গোলাবারুদ ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়েই সেদিন খেলতে নেমেছিল। গোলের ধারা শুরু হয় ফুলহ্যামের ট্যালিসমানিক সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড এর হাত ধরেই, যিনি তার মৌসুমের ৫ম গোলটি…
Author: admin
লেস্টার সিটি (Leicester City) লেস্টারের জন্য এবারের প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমটি খুবই কঠিন হতে চলেছে। তাদের মৌসুমের শুরুটা খুবই দুশ্চিন্তার উদ্রেক ঘটায়। সবকিছু দেখে এমনটিই মনে হয় যে৷ তাদের সামনে অনেক বড় কোন বিপদ অপেক্ষা করছে। চলমান ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাদের অলসতা বা একগুঁয়ে স্বভাব তাদের জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি বইয়ে এনেছে বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়া, তাদের জন্য আরো বড় দুশ্চিন্তার কারণ হল এই যে, ট্রান্সফার মৌসুমের শেষের দিকে এসে তাদের বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়ই দল ছাড়তে চাচ্ছেন। অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, তাদের সর্বশেষ ম্যাচটি এমন একটি দলের বিরুদ্ধে ছিল (চেলসি) যারা কি না ফক্সেস’দের সবচেয়ে নামীদামী খেলোয়াড় অর্থাৎ ওয়েসলি ফোফানাকে…
লিভারপুল মৌসুমের প্রথম তিনটি ম্যাচে এনফিল্ডের জায়ান্টরা বেশ হড়কেছে, এবং পয়েন্টও হারিয়েছে। তাদের প্রথম ম্যাচে তারা ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করে। ম্যাচটিতে ফুলহ্যামের সার্বিয়ান স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ জোড়া গোল করেন। লিভারপুলের পক্ষে মোহাম্মদ সালাহ্ ও ডারউইন নুনেজ সমতাসূচক গোলগুলি করেন। এরপর তারা ক্রিস্টাল প্যালেসকে এনফিল্ডে আমন্ত্রণ জানায় এই মানসিকতা নিয়ে যে এবার তারা অবশ্যই জয়ের ধারায় ফিরবে। তবে, তাদের গুঁড়ে বালি দিয়ে প্যালেস উইংগার উইল্ফ্রিড জাহা গোল করে বসেন, আর ১০ জনের লিভারপুল লুইস ডিয়াজের সমতাসূচক গোলের উপর ভর করে একটি পয়েন্ট পুনরুদ্ধার করে। সম্প্রতি তারা স্ট্রাগলিং দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নিকট হারার পর অনেক ফুটবল বোদ্ধা ও বিশ্লেষকরাই বলেছিলেন…
ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড (West Ham United) হ্যামার্স খ্যাত ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড শেষ পর্যন্ত তাদের মৌসুমের প্রথম জয়টি তুলে নিতে সমর্থ্য হয়েছে। এস্টন ভিলা’র বিপক্ষে ম্যাচটির একদম শেষ অংশে গিয়ে পাবলো ফর্নালস এর করা গোলটির উপর ভর করেই তারা জয়ের দেখা পায়। ১-০ গোলের জয়ে সেটিই ছিল একমাত্র এবং জয়সূচক গোল। সেই ফলাফলটির দরুণ তারা তাদের মৌসুমের বাজে সূচনার অবসান ঘটায়। এর আগে তারা ম্যানচেস্টার সিটি, নটিংহ্যাম ফরেস্ট, এবং ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন এর কাছে হেরেছিল। এস্টন ভিলা’র বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচটিতে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে খেলা চলছিল। ওয়েস্ট হ্যাম যেখানে মৌসুমের প্রথম জয়ের জন্য হন্যে হয়ে উঠেছিল, সেখানে এস্টন…
ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City) পর পর দুইটি ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। তারা দুইটি ম্যাচেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচগুলিতে পরাজয়ের শিকার হয়নি। এবং, তাদের সর্বশেষ ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে তারা পুরো পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে কেন তারা প্রিমিয়ার লীগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ক্রিস্টাল প্যালেস এবং প্যাট্রিক ভিয়েরা নিশ্চয় ভেবেছিলেন যে, তারা ম্যানচেস্টার সিটি’র বিরুদ্ধে এতিহাদ স্টেডিয়ামে আরেকটি দূর্ঘটনা ঘটাতে প্রস্তুত, কিন্তু আর্লিং হাল্যান্ডের মনে অন্য পরিকল্পনাই ছিল। তার হ্যাট্রিকের উপর ভর করে সিটিজেন’রা ম্যাচটিতে একটি অসাধারণ কামব্যাক করে, এবং শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের একটি অসাধারণ জয় তুলে নেয়। সিটি’র হয়ে চারটি ম্যাচ খেলে আর্লিং হাল্যান্ড ইতিমধ্যে ৬টি গোল করতে সক্ষম…
আর্সেনাল (Arsenal) গত শনিবার আর্সেনালকে একটি জয় হাসিল করার জন্য বেশ খাটতে হয়েছিল, যখন তারা এমিরেটস স্টেডিয়ামে ফুলহ্যামের মুখোমুখি হয়েছিল। খেলাটিতে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও আর্সেনাল কামব্যাক করে, এবং পুরো তিন পয়েন্ট নিজেদের নামে করে নিয়েই মাঠ ছাড়ে। গানারস’রা সেই ম্যাচটিতে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়েই প্রবেশ করেছিল, এবং সকলেই প্রত্যাশা করেছিল যে, তারা তাদের লন্ডন রাইভাল ফুলহ্যামকে খুব সহজেই হারিয়ে দিতে পারবে। ম্যাচটির শুরু থেকেই মিকেল আর্তেতা’র শিষ্যরা নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহেইস এর মনযোগে খানিকক্ষণের ঘাটতিকে কাজে লাগিয়ে ফুলহ্যাম স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ দ্বিতীয়ার্ধে একটি ঠান্ডা মাথার ফিনিশের মধ্য দিয়ে তার দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই আর্সেনালের…
এএফসি বোর্নমাউথ (AFC Bournemouth) তাদের পরবর্তী ম্যাচটির আগেই এএফসি বোর্নমাউথকে রেলিগেশনের জন্য ফেভারিট হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় সারির লীগ চ্যাম্পিয়নশিপে ফেরার জন্য তাদের অডস বা সম্ভাবনাও এখন আকাশচুম্বী। তারা মৌসুমের সূচনা করেছিল একটি ইতিবাচক ভঙিতেই, যখন তারা ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে এস্টন ভিলাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে তাদের ফিক্সচার তালিকা তাদেরকে ঘোর বিপদে ফেলে দিয়েছে, কারণ তাদেরকে একের পর এক বড় দলের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে, এবং সেটির প্রভাব তাদের -১৪ গোল ব্যবধানেই প্রকাশ পাচ্ছে। প্রিমিয়ার লীগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি’র বিরুদ্ধে তারা চারটি গোল হজম করে, এবং পুরো ম্যাচজুড়ে একটি অর্থবহ আক্রমণও তারা করতে পারেনি, বরং পুরো…
লিডস ইউনাইটেড (Leeds United) বর্তমান প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমে লিডস ইউনাইটেড খুবই চমৎকার ফর্মে রয়েছে। এবং তারই জের ধরে সবাই প্রত্যাশা করেছিল যে তারা সিগালস খ্যাত ব্রাইটন এর বিরুদ্ধেও তাদের অসাধারণ ফর্মের ধারা বজায় রাখতে পারবে। চেলসি’র মত একটি কালজয়ী ক্লাবকে নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর লিলি হোয়াইট বাহিণীর আত্মবিশ্বাসও যে তুঙ্গে রয়েছিল, সে ব্যাপারেও কোনই সন্দেহ নেই। তবে, তারা কি ব্রাইটনের বিরুদ্ধে ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে এল্যান্ড রোডের সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে? প্রশ্নটির সহজ উত্তর হল, “না”। অ্যামেক্স স্টেডিয়ামে তাদের বেশ গড়পড়তা পারফর্মেন্সটি দেখে কখনো মনেই হয়নি যে তারা গ্রাহাম পটারের দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে। তারই ফলস্বরূপ,…
সাউথ্যাম্পটন (Southampton) ইংলিশ সাউথ কোস্টে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রবেশ করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সাউথ্যাম্পটন খুবই সুন্দর সময়ই কাটাচ্ছিল বটে। তাদের সর্বশেষ ম্যাচে তারা শে এডামস এর অসাধারণ জোড়া গোলের উপর ভর করে লেস্টার সিটিকে হারিয়েছিল, তাও আবার কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে। তবে, গত শনিবার তারা সেটির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে ব্যর্থ হয়, কেননা তারা সম্মুখীন হয় এক পুনঃজ্জীবিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তার আগের উইকেন্ডেই তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের বিরুদ্ধে একটি চমকপ্রদ জয় হাসিল করে নেয়, এবং সেই জয় থেকে তারা কি পরিমাণ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিল তা সাউথ্যাম্পটনের বিরুদ্ধে তাদের পারফর্মেন্স দেখেই বোঝা গিয়েছে। তবে, তাদের জন্য সেইন্টস’দের বিরুদ্ধে জয় হাসিল করা একদমই সহজ…
ক্রিস্টাল প্যালেস (Crystal Palace) ম্যানচেস্টার সিটি’র বিরুদ্ধে এতিহাদ স্টেডিয়ামে হারার পর নিশ্চয় প্যালেস খেলোয়াড় ও সমর্থকরা তাদের ভাগ্যকেই দূষছেন। প্যাট্রিক ভিয়েরার সৈন্যরা খুব জলদিই ম্যানচেস্টার সিটি’র বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে নিজেদের জায়গা করে নেয়, এবং দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে তাদের রক্ষণভাগ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিতে সক্ষম হয় পেপ গার্দিওলা’র শিষ্যরা, যার ফলস্বরূপ তারা ৪-২ গোলে ম্যাচটি জিতে নেয়। ম্যাচের প্রথমেই সিটি ডিফেন্ডার জোন স্টোনস একটি আত্মঘাতী গোল করে ক্রিস্টাল প্যালেসকে এগিয়ে দেন, এবং ২০ মিনিটের মাথায় এবেরিকে এজে’র নেওয়া কর্নার কিকে মাথা ছুঁইয়ে প্যালেস এর লিডকে দ্বিগুণ করে দেন ডিফেন্ডার জোয়াকিম এন্ডারসেন। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে তাদের স্বভাবসুলভ আচরণ…
