বরাবরই প্রিমিয়ার লীগের “দর্শনার্থী দল” হিসেবে খ্যাত ফুলহ্যাম এবার আবারো চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে ফিরে এসেছে ইংলিশ টপ ফ্লাইট বা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। আরও একটি বার তারা নিশ্চিত করতে চাইবে যেন তারা এক মৌসুম প্রিমিয়ার লীগে কাটিয়েই আবার রেলিগেটেড না হয়ে যায়, এবং উপরে উল্লিখিত তকমাটি তাদের জন্য স্থায়ী না হয়ে যায়। তারা প্রিমিয়ার লীগে ফিরে এসেছে গত মৌসুমে ইংলিশ দ্বিতীয় টিয়ার বা ইএফএল স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাটি জেতার পর। উক্ত প্রতিযোগিতাটি জেতার পথে তারা একটি অসাধারণ ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল, যার ফল হিসেবে তারা মৌসুমশেষে ৯০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হয়েছিল এবং একই সাথে মৌসুমের ৪৬টি ম্যাচে করতে পেরেছিল…
Author: admin
একবার নয়, বরং পর পর দুইবার এমন হয়েছে যে পগবা রেড ডেভিলদের হয়ে খেললেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং তার মধ্যে কোনপ্রকার বনিবনাই হয়নি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই দফায় খেলতে এসেই দর্শক ও ভক্তদের শুধু তিনি উপহার দিতে পেরেছেন এক গাদা সমালোচনা এবং অনেকখানি অনিশ্চয়তা। তবে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার সর্বশেষ স্পেলের পরে তিনি দলটির সমর্থকদের মুখে একটি তিক্ত স্বাদই রেখে যেতে পেরেছেন, এবং তার সাম্প্রতিক কিছু উক্তিও সেটির জন্য দায়ী। ঘটনাক্রমে এটিও মানতেই হয় যে, পল পগবাকে নিয়ন্ত্রণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও বেশ কিছু ভুল ছিল। এর মধ্যে অন্যতম হল খেলোয়াড়টির সাথে শুরু থেকেই একটি ভঙ্গুর সম্পর্ক তৈরি করা, যা গত কয়েক বছরে খুবই বড়…
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কেন্দ্র করে বর্তমান ট্রান্সফার উইন্ডোতে যে খেলোয়াড়টির নাম বার বার সামনে আসছে তিনি আর কেউ নন, বরং এরিক তেন হাগ এর পুরনো সতীর্থ ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, যিনি বর্তমানে বার্সেলোনাতে খেলে থাকেন। এমনটিই ধারণা করা যাচ্ছে যে, ক্লাবটির নতুন ম্যানেজার এরিক তেন হাগ এই ২৫ বছর বয়সী তারকাকে নিয়ে আবারো একসাথে কাজ করতে চাচ্ছেন, এবং ২০২২-২৩ মৌসুমকে সামনে রেখে তিনি যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটি তৈরি করছেন সেখানে ডি ইয়ংকেই কেন্দ্রবিন্দু বানাতে চাচ্ছেন। এর আগে যখন তারা একসাথে একই দলে কাজ করেছেন, তখন তারা আয়াক্স আমস্টারডামকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন, যে সেই দলটিকে ২০১০ এর দশকের সেরা…
আর্সেনাল যখন ২০১৯ সালে তাদের ক্লাব রেকর্ড ফি ৭২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে যুবা তারকা নিকোলাস পেপেকে কিনেছিল, তখন তা চারিদিকে বেশ সাড়া ফেলেছিল, এবং ক্লাবটি জুড়ে এই ট্রান্সফার নিয়ে বেশ ইতিবাচক পরিবেশও তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে তাদের সমর্থকদের মাঝে। ফরাসি দল লিল এর হয়ে তিনি তখন মাত্র আরেকটি অসাধারণ মৌসুম শেষ করেছিলেন, এবং আর্সেনালে এসে তিনি সরাসরি প্রথম একাদশে ঢুকে পড়বেন, এবং সাথে সাথেই তার ক্রীড়ানৈপূণ্যের মাধ্যমে মাঠের পর মাঠ মাতাবেন, এমনটিই আশা করেছিল আর্সেনাল ভক্তরাসহ প্রায় সকল ফুটবল বোদ্ধারাও। তারা আরো ভেবেছিল যে পেপেই আর্সেনালের আক্রমণভাগে সেই ধারটি জোগাবেন যার তাদের দলে বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘাটতি ছিল।…
সকলের জন্যই প্রিমিয়ার লীগের ২০২১-২২ মৌসুমটি ছিল উত্তেজনায় ভরা, এবং সেই উত্তেজনা জারি ছিল মৌসুমের একদম শেষ দিন পর্যন্ত। শিরোপার লড়াই তো মজার ছিলই, তার সাথে রেলিগেশনের লড়াইও ছিল একদম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেওয়ার মত উত্তেজনাময়। এসবের পাশাপাশি এবার শীর্ষ চারে থাকার লড়াইটিও ছিল বেশ মনে রাখার মত। সব মিলিয়ে সকল দলের ভক্ত সমর্থক এবং নিরপেক্ষ দর্শক সকলের জন্যই মৌসুমটি ছিল অবিস্মরণীয়। যখনই একটি প্রিমিয়ার লীগ মৌসুম শেষ হয়ে যায়, ঠিক তার পরেই ইংলিশ ফুটবলের হর্তাকর্তারা মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় এর নাম এবং সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি করা একটি দল প্রকাশ করে। পরের মৌসুম শুরু হওয়া পর্যন্ত ভক্ত সমর্থকরা সেসব খেলোয়াড়দের নিয়ে…
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড তাদের নিজেদের ভক্তদের সাথে সাথে বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ও জনপ্রিয় লীগ অর্থাৎ প্রিমিয়ার লীগের সকল ভক্তদের জন্যই একটি মজার ২০২২-২৩ মৌসুমের আশ্বাস দিচ্ছে, বিশেষ করে ২০২১-২২ মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য প্রদর্শনের জের ধরে। গত মৌসুমের সেই অন্তিম ভাগটির দিকে তাকালেই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, টাইনসাইডের ম্যাগপাই’রা আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ চারে থাকার জন্য অন্যতম সেরা এক দাবিদার। এ সবকিছুর শুরু নিউক্যাসেলের জন্য তখনই হয়েছিল যখন ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পি আই এফ) নামক একটি কনসোর্টিয়াম, অ্যামান্ডা স্টেভলি’র নেতৃত্বে পিসিপি ক্যাপিটাল পার্টনারস, এবং ডেভিড ও সাইমন রিউবেন এর নেতৃত্বে আর বি স্পোর্টস…
বিভিন্ন সূত্রের মোতাবেক, বেনফিকা ফরোয়ার্ড ডারউইন নুনেজকে কেনার দৌড়ে ইংলিশ দল লিভারপুল এখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই চুক্তিটি চূড়ান্ত এবং স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। অল রেডস’দের এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার পরিকল্পনার অনেকটা জুড়েই থাকবে একজন ফরোয়ার্ডকে সাইন করানো। এবং তা থেকেই বোঝা যায় যে কেন তারা একজন যুবা ফরোয়ার্ডকে কেনার জন্য এত টাকা খরচ করতেও রাজি। ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে লিভারপুলের অসাধারণ সাফল্য গাঁথার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তাদের ফরোয়ার্ড লাইনের তিন অ্যাটাকারের, যারা হলেন মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে এবং রোবার্তো ফিরমিনো। তাদের চমৎকার পারফর্মেন্সগুলি লিভারপুলের ভক্ত সমর্থকদের মনে অনেক দিন গেঁথে থাকবে। কিন্তু, অনেকটা কাব্যিক হলেও সত্য…
গত মৌসুমের ঠিক শেষ পর্যায়ে এসে চ্যাম্পিয়নস লীগে নাম লেখানোর লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পার্সের কাছে হেরে যাওয়ার পর, এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্সেনাল চাইবে আবারো একবার কিছু নতুন খেলোয়াড় কিনে তাদের দলকে আরেকটু শক্তিশালী করতে, এবং আগামী মৌসুমে ভালো করে তার পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলতে। গ্যাবন ইন্টারন্যাশনাল পিয়ের-এমরিক অবামেয়াং গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ায় আর্সেনালে মাত্র একজনই প্রতিষ্ঠিত স্ট্রাইকার থেকে যান, যিনি হলেন আলেকজান্ডার ল্যাকাজেট। তবে, তিনিও গত সপ্তাহে আর্সেনাল ত্যাগ করে চলে যান তার সাবেক দল লিওঁতে, এবং আর্সেনালে রেখে যান স্ট্রাইকিং পজিশনের একটি বিশাল বড় শূন্যস্থান। এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্সেনাল দুইজন স্ট্রাইকারকে সাইন করাবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু,…
রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ সারা পৃথিবীর মানুষের নানান কার্যক্রমে পরিবর্তন এনেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যাঘাতও ঘটিয়েছে। ফুটবলও সেই পরিবর্তনের বাইরে নয়। বিশেষ করে ইংলিশ ক্লাব চেলসি’র বর্তমান বিরূপ পরিস্থিতি তাদের ভক্তদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। রোমান আব্রামোভিচ, যিনি কিনা ২০০৩ সাল থেকে চেলসি’র মালিক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন, হচ্ছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের খুবই ঘনিষ্টদের মধ্যে একজন, অথবা এমনটি সন্দেহ করছে ব্রিটিশ সরকার। এবং তারই ভিত্তিতে, ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ডে আব্রামোভিচের সব সম্পত্তিকে বাজেয়াপ্ত ঘোষনা করেছে ব্রিটিশ সরকার, যার মধ্যে অন্যতম হল চেলসি ফুটবল ক্লাব। ব্লুস’রা আব্রামোভিচকে বিদায় জানাচ্ছে এমন একটি নাটকের মধ্য দিয়ে, যে…
এমন একটি সময় ছিল যখন সব ভালো ভালো ইউরোপীয় দলই আক্রমণভাগে দুইজন করে স্টাইকার খেলাতো। কিন্তু, ২০১০ এর দশকে এসে এই প্রবণতাটি একেবারেই কমে যায়, এবং সেইসব দলগুলিই মিডফিল্ডে জনবল বাড়ানো শুরু করে এবং একজন স্টাইকার বিসর্জন দেয়। খুব কমসংখ্যক বড় দলকেই দেখা যেত দুইজন স্টাইকার নামাতে, কিন্তু অনেকদিন বাদে এখন আবার দুইজন স্ট্রাইকার খেলানোর ঐতিহ্য ফুরে আসছে ধীরে ধীরে। দুইজন স্ট্রাইকার খেলানোর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এই সিস্টেমে খেললে দলটির গোলের অভাব হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, এবং দুইজনই মানসম্পন্ন স্ট্রাইকার হলে নিয়মিত গোলের বন্যা বওয়াতে পারবে সেই দল। এছাড়া, দলের মিডফিল্ড বা ডিফেন্সে কোন বুদ্ধিদীপ্ত খেলোয়াড়…
