লিভারপুল (Liverpool)

    মঙলবার রাতে এনফিল্ডে রেড ডেভিলদের আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দূর্দান্ত ফর্মে থাকা লিভারপুল দল। এটি হবে প্রিমিয়ার লীগ যুগের ৬০তম নর্থ-ওয়েস্ট ডার্বি। খেলাটি প্রথমত মধ্য-মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও লিভারপুলের এফএ কাপের ম্যাচ থাকার কারণে তা এক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। ওয়েম্বলিতে গত শনিবার এফএ কাপের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে তারা ১০ বছর পর প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠেছে। সর্বশেষ তারা এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছিল ২০১২ সালে, যখন কেনি ডালগ্লিশ দলটির দায়িত্বে ছিলেন। সেবার তারা রানার-আপ হিসেবেই প্রতিযোগিতাটি শেষ করেন।

    গত কয়েক মাস ধরে লিভারপুল রয়েছে স্বপ্নের মত ফর্মে। যেকোন দিন যেকোন দলকে সম্পূর্ণভাবে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে, এবং সিজনের শুরুতে যে চারটি প্রতিযোগিতায় লিভারপুলের নাম ছিল, তার প্রত্যেকটিই জেতার সম্ভাবনা এখনো তারা ধরে রেখেছে। যদিও তাদের জন্য প্রায় প্রতি তিন বা চার দিন পর পরই একটি করে খেলা চলে আসছে, তবুও ইয়ুর্গেন ক্লপের সৈন্যকে রুখে দেওয়া বর্তমানে যেকোন দলের জন্যই বেশ কষ্টসাধ্য হবে বলেই বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United)

    রেড ডেভিলদের নরউইচের বিপক্ষে গত শনিবারের ৩-২ গোলের জয়, এবং একই সাথে একই দিনে ৪র্থ পজশনের লড়াইয়ে তাদের সরাসরি দুই প্রতিদ্বন্দী আর্সেনাল ও টটেনহ্যামের পরাজয় হঠাৎ করে ম্যান ইউনাইটেড ভক্তদের মনে আবারো একটি আশার উদ্রেক ঘটিয়েছে। তাহলে সেই সোনার হরিণ “চ্যাম্পিয়নস লীগ ফুটবল” কি তারা পেতে যাচ্ছে সামনে বছর? যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে এখনো বলবে যে তেমনটি হওয়ার চেয়ে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ টটেনহ্যামের থেকে তারা ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে এবং আর্সেনালের চেয়ে ১ ম্যাচ বেশি খেলে তারা আর্সেনালের সাথে পয়েন্টের দিক দিয়ে কাঁটায় কাঁটায় সমান।

    রেড ডেভিলরা একটি দূর্বিসহ নরউইচ দলের বিরুদ্ধে অতি কষ্টে একটি জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে, যা সম্ভব হত না যদি বরাবরের মত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সময়মত একটি হ্যাট্রিক না করতেন। তার বদৌলতেই ইউনাইটেড নিজেদের বাজে ডিফেন্সিভ পারফর্মেন্সটি ছাপিয়ে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। গত ৫টি প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচে এই ইউনাইটেড ডিফেন্স মোট ১০টি গোল হজম করেছে। লুক শ, রাফায়েল ভারান, ফ্রেড, ম্যাকটমিনে এবং কাভানি – এই পাঁচজনের সকলেই ইঞ্জুরির কারণে এই ম্যাচটির জন্য সম্পূর্ণরূপে ফিট নন।

    পড়ুন:  ম্যান সিটি বনাম লিসেস্টার: টাইটেল চ্যালেঞ্জার এবং রেলিগেশন সংগ্রামকারী দল বিশাল বিপরীতে মিলিত হয়

     

    প্রেডিকশন (Prediction)

    বুলেট ট্রেনের গতিতে ছুঁটতে থাকা লিভারপুলকে হারানোর শক্তি-সামর্থ্য এখন কোন দলেরই নেই বললেই চলে। যদিও ডার্বি ম্যাচে খারাপ থেকে খারাপতর দলও বিশেষ পারফর্মেন্স উপহার দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারপরও মূল একাদশের বেশ কিছু খেলোয়াড় অনুপস্থিত থাকায়, ম্যানেজার পরিবর্তনের গুজবের মাঝখানে এবং এক কথায় ভালো ফর্মের ধারে কাছে না থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য হাই-ফ্লায়িং লিভারপুলকে রুখে দেওয়া প্রায় অসম্ভবই মনে হচ্ছে। তবে, ফুটবল অনিশ্চয়তার খেলা এবং সেদিনের পারফর্মেন্সের উপরেই সবকিছু নির্ভর করবে। তবে, যদি আমাদেরকে প্রেডিকশন করতে বলা হয়, তাহলে আমরা বলব যে, লিভারপুল এই ম্যাচটিতে কমপক্ষে ২ গোলের ব্যবধানে জিতবে।

    লিভারপুল ৩ – ১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

    লিভারপুল -১.২৫ (এশিয়ান হ্যান্ডিক্যাপ)

    ৩ গোলের উর্ধ্বে

     

    Share.
    Leave A Reply