...

গত মৌসুমের ঠিক শেষ পর্যায়ে এসে চ্যাম্পিয়নস লীগে নাম লেখানোর লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পার্সের কাছে হেরে যাওয়ার পর, এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্সেনাল চাইবে আবারো একবার কিছু নতুন খেলোয়াড় কিনে তাদের দলকে আরেকটু শক্তিশালী করতে, এবং আগামী মৌসুমে ভালো করে তার পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলতে।

গ্যাবন ইন্টারন্যাশনাল পিয়ের-এমরিক অবামেয়াং গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ায় আর্সেনালে মাত্র একজনই প্রতিষ্ঠিত স্ট্রাইকার থেকে যান, যিনি হলেন আলেকজান্ডার ল্যাকাজেট। তবে, তিনিও গত সপ্তাহে আর্সেনাল ত্যাগ করে চলে যান তার সাবেক দল লিওঁতে, এবং আর্সেনালে রেখে যান স্ট্রাইকিং পজিশনের একটি বিশাল বড় শূন্যস্থান।

এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্সেনাল দুইজন স্ট্রাইকারকে সাইন করাবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু, গত কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে, তাদের যুবা তারকা ফরোয়ার্ড এডি এনকেটিয়াকে তারা একটি নতুন এবং বেশি টাকার চুক্তি অফার করতে যাচ্ছে, এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সেই চুক্তিটিতে স্বাক্ষরও করে ফেলবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে আর যাই হোক, অন্তত হলেও একজন স্ট্রাইকারকে তো আর্সেনাল অবশ্যই সাইন করাতে চাইবে আগামী মৌসুমকে সামনে রেখে, এবং তাদের টার্গেট হিসেবে একজন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের নামই বার বার উঠে আসছে, যাকে অনেকেই মনে করছেন আর্সেনালের জন্য একজন আদর্শ খেলোয়াড় হিসেবে। এই ব্রাজিলিয়ান তারকা হচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটি’র গ্যাব্রিয়েল জেসুস। অনেক বিশ্বস্ত সূত্রের মতেই আর্সেনালের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার টার্গেটদের লিস্টের এক নম্বরে আছেন এই স্ট্রাইকার।

Source: Twitter

২০২১-২২ মৌসুমটি শেষ হওয়ার মাত্র কিছুদিন আগেই গ্যাব্রিয়েল জেসুস তার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি মৌসুমশেষে কি করবেন তা তিনি ইতিমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন এবং সে ব্যাপারে ম্যানচেস্টার সিটির কর্তৃপক্ষের সাথেও তার আলাপ হয়েছে।

ফুটবল ইনসাইডার নামক একটি অনলাইন আউটলেটের মতে গ্যাব্রিয়েল জেসুস নাকি আর্সেনালের সাথে ব্যক্তিগত শর্তাবলিতে রাজিও হয়ে গিয়েছেন। জেসুস বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে সাপ্তাহিক বেতন হিসেবে পান ১১০,০০০ ইউরো। আর্সেনাল তাকে যে চুক্তি অফার করেছে তা অনুসারে তিনি গানারস’দের হয়ে প্রতি সপ্তাহে কামাবেন ১৯০,০০০ ইউরো, যা তার বর্তমান বেতন থেকে অনেকটাই বেশি।

তবে যাই হোক না কেন, এই চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়া থেকে এখনো কোটি মাইল দূরে, কারণ আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার সিটি এখনো ট্রান্সফার ফি নিয়ে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা যেখানে ৫৫ মিলিয়ন ইউরোর নিচে জেসুসকে ছাড়তে রাজি নন, ঠিক সেখানে আর্সেনালও তার জন্য ৪০ মিলিয়ন ইউরোর উপরে খরচ করতেও রাজি নয়।

ম্যান সিটির সাথে জেসুসের বর্তমান চুক্তিতে আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে, যা ম্যান সিটিকে ফেলে দিয়েছে একরকমের কঠিন পরিস্থিতিতে। এর মানে শুধু এই হতে পারে যে, হয় জেসুসকে তাদের এবছরই বিক্রি করতে হবে, নতুবা এক মৌসুম পরে তাকে বিনামূল্যে ছেড়ে দিতে হবে।

 

গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর্সেনালে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন (Gabriel Jesus will fit in properly at Arsenal)

যদিও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের উপর ম্যানচেস্টার সিটি যে মূল্যটি স্থাপন করেছে তা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে বাধ্য, তবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, ট্যাকটিক্স এর দিক থেকে দেখলে মনে হয় যে গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর্সেনালে খেলার জন্যই জন্ম নিয়েছেন।

প্রথমত, আর্সেনাল জেসুসের মধ্যে এমন একজন খেলোয়াড়কে পাবে যিনি একজন প্রমাণিত গোলস্কোরার। সিটির হয়ে তিনি বেশির ভাগ সময় দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও গোলের সামনে তার কৃতিত্ব সকল সিটি ভক্তের স্মৃতিতেই জ্বাজ্জল্যমান। ২০১৭ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস থেকে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় স্কাই ব্লু’দের হয়ে ২১০টি ম্যাচ খেলে মোট ৯৫টি গোল এবং সম্মানজনক ৩৭টি এসিস্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি খুবই অসাধারণ একটি রেকর্ড, বিশেষ করে যখন বিবেচনা করা হয় যে, সিটিতে কাটানো তার বেশির ভাগ মৌসুমেই তিনি ছিলেন সার্জিও আগুয়েরোর আন্ডার-স্টাডি।

সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ মৌসুমে অবশ্য তিনিই ছিলেন ম্যান সিটির দলের একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্ট্রাইকার, যদিও গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তারা হ্যারি কেইনকে কেনার যথাযোগ্য চেষ্টা করেছিল।

তারপরেও গ্যাব্রিয়েল জেসুস ম্যান সিটির জন্য একজন ধরাবাঁধা স্টার্টার ছিলেন না, কারণ পেপ গার্দিওলা পুরো মৌসুমজুড়েই ফিল ফোডেন, রহিম স্টার্লিং, রিয়াদ মাহরেজ, এবং এমনকি কেভিন ডি ব্রুয়নাকেও ফলস নাইন হিসেবে খেলানোর ফলে তাদের কোন স্ট্রাইকারকে দলে নেওয়ার তেমন প্রয়োজনই পড়েনি। গত মৌসুমে বরং গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে বেশির ভাগ সময়ই খেলতে হয়েছে রাইট উইংগার হিসেবে।

তবে, মৌসুমের শেষের দিকে পেপ গার্দিওলা জেসুসকে নিয়মিত মূল একাদশে খেলাতে শুরু করেন স্ট্রাইকার হিসেবে, যখন এই ব্যাপারটি খবরে আসতে শুরু করে যে মৌসুমশেষে আর্সেনাল তাকে ফলে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে যাচ্ছে। এবং, দলে নেওয়ার সাথে সাথেই তিনি গার্দিওলাকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে মূল স্ট্রাইকারের পজিশনে তিনিও কম পারদর্শী নন।

ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে জেসুস একটি মারাত্মক পারফর্মেন্স তুলে ধরেন, যেখানে তিনি চারটি চারটি গোল নিজে করেন এবং আরেকটি গোলের এসিস্ট নিজের নামে করে নেন। এর সুবাদে তাকে গার্দিওলা চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমি ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে মাঠে নামান স্ট্রাইকার হিসেবে, এবং সেখানেও তিনি নিরাশ করেন নি, করেছেন একটি গোল। তার সুন্দর ফর্ম ধরে রেখে তিনি লিডস ইউনাইটেডের বিরুদ্ধেও প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন, এবং সেখানেও স্কোরশিটে তার নামটি লিখাতে তিনি সক্ষম হোন।

এই ব্রাজিলিয়ান তারকা তাই এখন নিয়মিত খেলার সুযোগ খুঁজছেন, এবং আর্সেনালে তিনি সেই সুযোগটিই বড় আকারে পাবেন।

 

যেভাবে মিকেল আর্তেতা গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে আর্সেনালের একাদশে ব্যবহার করতে পারেন (How Mikel Arteta can deploy Jesus in the Arsenal lineup)

ট্যাকটিকাল দিক থেকে চিন্তা করলে, গ্যাব্রিয়েল জেসুস দিবেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতাকে এমন কিছু করার সুযোগ যা তিনি এখন পর্যন্ত গানারস’দের হয়ে করতে পারেননি, এবং তা হল তার দলের আক্রমণভাগ নিয়ে বিভিন্ন রকমের গবেষণা বা পরীক্ষা। এই ব্রাজিলিয়ান তারকা একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতে পারেন, যার মানে হল তিনি এডি এনকেটিয়ার সাথে দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে মাঠে নামতে পারবেন। এছাড়া তিনি উভয় উইংগে খেলতেও বেশ পারদর্শী, যেমনটি তিনি ম্যানচেস্টার সিটির পাশাপাশি ব্রাজিলের জাতীয় দলেও করে থাকেন। এর মানে হল এই যে, তিনি যেকোন ধরণের রণকৌশলেই জায়গা করে নিতে পারবেন, এবং যথাযথ ফলাফলও এনে দিতে পারবেন। তার গতি, ড্রিবলিং, এবং বলের পেছনে দৌড়ানোর প্রতি আগ্রহ তাকে আর্তেতা’র খেলার ধরণের জন্য আরো যোগ্য করে তোলে।

যদি আর্তেতা একজন একক স্ট্রাইকার হিসেবে জেসুসকে মাঠে নামান, তাহলে তার পেছনে এমিল স্মিথ-রো, মার্টিন ওডেগার্ড, বুকায়ো সাকা এবং গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি’র মত খেলোয়াড়দের পেয়ে তিনি খুব ভালো করবেন বলেই আশা করা যায়।

এছাড়া ভাষাগত দিক দিয়েও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের আর্সেনালে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে কোন সমস্যার সম্মুখীনই হতে হবে না, কারণ সেখানে আগে থেকেই রয়েছেন দুইজন ব্রাজিলিয়ান — গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহেইস এবং গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। তিনি হবেন দলের তৃতীয় গ্যাব্রিয়েল। এবং, তাছাড়াও দলে বেশ কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন যারা স্প্যানিশ ভাষায় বেশ পারদর্শী, যা প্রায় ল্যাতিনের কাছাকাছিই। এছাড়াও, যেহেতু আর্সেনালে কোচ হয়ে আসার পূর্বে মিকেল আর্তেতা ম্যানচেস্টার সিটিতে পেপ গার্দিওলা’র সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন, তাই তার সাথেও জেসুসের পূর্ববর্তী পরিচয় রয়েছে।

Source: Twitter

একটি বিষয়ে কোন দ্বিধাই নেই যে, গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে যখনই মাঠে নামানো হয়, তখনই তিনি তার ওয়ার্ক রেট দিয়ে তার কোচ এবং দলের সমর্থকদের মন জয় করে নেন। প্রকৃতপক্ষে, জেসুস প্রিমিয়ার লীগে যতগুলি ম্যাচে শুরু থেকে খেলেছেন তার মধ্যে ৫৮% ম্যাচেই তিনি গোল বা এসিস্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে এই পরিসংখ্যানটিতে তার চেয়ে এগিয়ে আছেন মাত্র তিনজন খেলোয়াড়, যারা হলেন সার্জিও আগুয়েরো, মোহাম্মদ সালাহ্, এবং থিয়েরি অঁরি। যদিও জেসুস বাকিদের থেকে কম ম্যাচ খেলেছেন, তবুও এই তিনজনের সাথে একই কাতারে থাকতে পারা যেকোন খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক গর্বের বিষয়। প্রিমিয়ার লীগে একজন অ্যাটাকারের মধ্যে আর কিই বা চাইতে পারেন একজন কোচ!

২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়টিকে কেনার মাধ্যমে আর্সেনাল এমন একজনকে দিলে পাবে যিনি তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টিতে প্রবেশ করছেন, এবং যার সামনে নিজেকে তুলে ধরার জন্য বেশ কিছু বছর এখনো পড়ে রয়েছে।

 

জেসুসকে পেতে হলে আর্সেনালকে অন্যান্য বিভিন্ন দলের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হবে (Arsenal will have to ward off interest from several sides)

বিশ্বজুড়ে বেশির ভাগ বুকমেকারের মতেই গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে দলে নেওয়ার দৌড়ে আর্সেনালই এগিয়ে। কিন্তু, যদি সর্বশেষ নানা খবরে একটু হলেও কান দেওয়া হয়, তবে বোঝা যাবে যে, যদি তার ব্যাপারে আর্সেনাল খুব জলদি কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে তিনি অন্য কোন দলেও পাড়ি জমাতে পারেন।

Source: Twitter

স্প্যানিশ আউটলেট ক্যাদেনা সের (Cadena Ser) দাবি করেছে যে, ম্যানচেস্টার সিটি ইতিমধ্যে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে অফারও করেছে। তবে, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সেই অফারটিকে ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যানও করে ফেলেছে। কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে যে, গ্যাব্রিয়েল জেসুস এর যে চুক্তির প্যাকেজটি রয়েছে (কর দেওয়ার পরে ৪.৩ মিলিয়ন ইউরো), তা পরিশোধ করা তাদের ক্ষমতার বাইরে।

তবে, আরেক দিকে, শোনা যাচ্ছে যে, চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতার পরে এখন রিয়াল মাদ্রিদের নিকট রয়েছে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি অসামান্য ট্রান্সফার বাজেট। এবং কিলিয়ান এমবাপ্পেকে একটুর জন্য সাইন করাতে না পারায় এখন তারা আক্রমণভাগের একজন খেলোয়াড়কে খুঁজছেন যিনি তাদের সিস্টেমে সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন।

ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্যই সর্বোচ্চ বিডারের কাছেই জেসুসকে বিক্রি করবে, এবং যদি রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে নেওয়ার জন্য অফার প্রদান করে, তাহলে আর্সেনাল তাদের সাথে আর্থিকভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার ক্ষমতা সঞ্চার করতে ব্যর্থ হবে বলেই আশা করা যায়। তবে, এটি ম্যানচেস্টার সিটি’র দিকে থেকে একটি চালও হতে পারে, যাতে করে আর্সেনাল খুব তাড়াতাড়িই কোন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়, এবং তাদের সকল চাহিদা নির্দ্বিধায় মেনে নেয়।

আর্সেনাল এখনও পর্যন্ত গ্যাব্রিয়েল জেসুসের স্বাক্ষরটি পাওয়ার দৌড়ে ফেভারিট, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সেটি বাস্তবে পরিণত করতে পারে কি না তাই এখন দেখার বিষয়। ২০১৭ সালে পালমেইরাস থেকে ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে জেসুস পাঁচ বছরে স্কাই ব্লু’দের হয়ে জিতেছেন মোট ১১টি শিরোপা, যার মধ্যে রয়েছে চার চারটি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা। সদ্য সমাপ্ত প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৪১টি ম্যাচ খেলে মোট ১৩টি গোল এবং ১২টি এসিস্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে কি আর্সেনালের যা কিছু আছে সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া উচিৎ নয় গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে দলে ভেড়ানোর লক্ষ্যে? সময়ই বলে দিবে এই প্রশ্নের উত্তর!

Share.

Leave A Reply

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.