২০২০-২১ মৌসুমে স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার প্লে-অফ জিতে প্রমোশন অর্জনের মাধ্যমে ব্রেন্টফোর্ড এফসি পরিণত হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসের ৫০তম ক্লাবে।

    শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ার লীগে তাদের ডেব্যু মৌসুমও ছিল সাফল্যে ভরপুর, যেখানে তাদের ক্রীড়াশৈলির মাধ্যমে তারা অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন। ব্রেন্টফোর্ডের পূর্বে ৮ বছর ধরে এমনটি হয়নি যে কোন ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ থেকে প্রিমিয়ার লীগে এসে লীগ টেবিলের ১৫তম স্থানের চেয়ে উঁচুতে থেকে মৌসুম শেষ করতে পেরেছে। ব্রেন্টফোর্ড বেশ দাপটের সাথেই তাদের প্রথম মৌসুমে খেলেছে, এবং তাদের ড্যানিশ কোচ থমাস ফ্র‍্যাঙ্ক এর নেতৃত্বে ১৩তম অবস্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে।

    গত বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বরে, আবার বর্তমান বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে দুইটি খারাপ ফলাফলের ধারার কারণে ক্ষণিকের জন্য হলেও এমন দুশ্চিন্তা ব্রেন্টফোর্ডের ক্যাম্পে তৈরি হয়েছিল যে তারাও হয়তো রেলিগেশনের দিকেই এগুচ্ছে। কিন্তু তারা সেই বিপদ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। এমনকি, ব্রেন্টফোর্ডে থমাস ফ্র‍্যাঙ্ক এর অসাধারণ কাজের ফল হিসেবে তিনি পিএফএ এর ম্যানেজার অব দ্য ইয়ার পুরষ্কারটির জন্যও মনোনীত হোন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল প্রিমিয়ার লীগ দলই জানে যে ব্রেন্টফোর্ড আসলেই একটি শক্ত দল, যাকে খুব সহজে তো হারানো যাবেই না, বরং যাদের বিরুদ্ধে জয় পেতে হলে বেশ খাটতে হবে।

    তবে, প্রশ্ন থেকেই যায় যে, তারা কি পারবে তাদের গত মৌসুমের ১৩তম স্থানে ফিনিশটিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে বা তাদের লীগ পজিশনে কোন উন্নতিসাধন করতে?

    এখানে আমরা সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করব যা যা করলে ব্রেন্টফোর্ড ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষ ১০ এ থাকতে পারবে।

    প্রিমিয়ার লীগে ব্রেন্টফোর্ডের ২০২১-২২ মৌসুম নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা (Review of Brentford’s 2021-22 league campaign)

    দ্য বিস খ্যাত ব্রেন্টফোর্ড প্রিমিয়ার লীগে তাদের প্রথম মৌসুমটি বেশ চতুরভাবেই নিয়ন্ত্রণ করেছে। চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রিমিয়ার লীগে আসা যেকোন প্রমোটেড দলই তাদের খেলার মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নতুন নতুন সাইনিং দিয়ে দল ভরিয়ে ফেলে, কারণ প্রিমিয়ার লীগের দলগুলির গুনমান বর্তমানে আসলেই অনেক বেশি। তবে, ব্রেন্টফোর্ড এমন ধারার ভিপরীতে চলে মাত্র তিনজন খেলোয়াড়কে সাইন করায়, এবং তাদের যেই দলটি আগের মৌসুমে তাদেরকে প্রমোশন অর্জন করিয়েছিল, তাদের উপরই ক্লাবটি মূলত আস্থা স্থাপন করে।

    এছাড়া, তাদের সর্বশেষ চ্যামপিয়নশিপ মৌসুমের মতই তারা আইভান টনিকে কেন্দ্র করেই দলটি সাজিয়েছিল, যিনি কি না প্রিমিয়ার লীগে ১২টি গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। তবে তাদের দলে এমন ৫ জন খেলোয়াড় ছিলেন, যারা মৌসুমজুড়ে তিনটি বা তার বেশি গোল তৈরি করতে সমর্থ্য হয়েছিলেন। এ থেকেই বোঝা যায় যে, থমাস ফ্র‍্যাঙ্ক এমন মানসিকতা নিয়েই এগিয়েছিলেন যে দলের সকলেই যেন তাদের স্থান থেকে যথাযথ পারফর্ম করে যায়, যাতে করে তারা ইংলিশ টপ ফ্লাইটে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারে।

    পড়ুন:  FPL Top Picks for Gameweek 31

    এছাড়া তারা তাদের গোলগুলি করার জন্য সব ধরণের সেট পিস এর উপর অনেক বেশি গুরুত্ব দিতো, এবং যে মুহূর্তে তারা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে দলে নিতে সক্ষম হয়, তখন থেকে সেট পিস থেকে তাদের করা গোলের সংখ্যাও অনেকটা বৃদ্ধি পায়। প্রিমিয়ার লীগ ভক্তরা আগে থেকেই জানেন যে এরিকসেন এর ডেলিভারি কতটা মারাত্মক হতে পারে। তার হাত ধরেই মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রেন্টফোর্ড সেট পিস থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টিকারী দলে পরিণত হয়।

    এছাড়া থমাস ফ্র‍্যাঙ্ক এর একটি কোচিং টেকনিক সকলেরই পছন্দ হয়েছে, এবং সেটি হচ্ছে যে প্রতিপক্ষের উপর নির্ভর করে তিনি দলের ফর্মেশনও পরিবর্তন করতেন। মৌসুমের শুরুতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন ৩-৫-২ ফর্মেশনটি, যার উপর ভর করে প্রিমিয়ার লীগে তারা তাদের প্রথম সাতটি ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র একটিতে পরাজয় বরণ করে। এর পরের ২০টি ম্যাচে তিনি আর এই ফর্মেশনটি ব্যবহার করেননি, তবে প্রতিপক্ষ ভেদে তিনি নানা ফর্মেশনে দলকে খেলতে শিখিয়েছিলেন পুরো মৌসুমজুড়েই।

    মৌসুমের শেষের ১১টি ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ড খেলে ৪-৫-১ ফর্মেশনে, এবং তার মধ্যে থেকে ৭টি ম্যাচেই তারা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। মৌসুম শেষে দেখা গিয়েছে যে, সেই সাতটি জয়ই তাদেরকে রেলিগেশন থেকে বাঁচিয়েছে, এবং ১৩তম স্থানে উঠিয়ে দিয়েছে। এছাড়া, মৌসুনের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্রেন্টফোর্ডকে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাসিক কাউন্টার অ্যাটাকিং ফুটবলও খেলতে দেখা গিয়েছে, আবার কখনো কখনো তারা খেলেছেন পজিশন ফুটবল, তবে সেখানেও তাদের বল সামনে বাড়ানোর গতি ছিল অন্য যেকোন দলের থেকে অনেক বেশি।

    গত মৌসুমে তাদের হেরে যাওয়া ১৮টি ম্যাচেও তারা প্রানপণ চেষ্টা করেছিলেন, এবং তাদেরকে হারানো কোন দলই এমনটি বলতে পারবে না যে ব্রেন্টফোর্ডকে হারানো খুব সহজ ছিল। তবে, এর মানে এই নয় যে, তাদের দলের কোন স্থানেই উন্নতিসাধন করা একেবারেই সম্ভব নয়। যেকোন দলেরই এমন এমন জায়গা থাকেই, যেখানে উন্নতিসাধন করা জরুরি হয়ে পড়ে। থমাস ফ্র‍্যাঙ্কও তার দলের এমনি সব জায়গা খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় লেগে পড়েছেন নিশ্চয়ই।

    সেকেন্ড সিজন সিন্ড্রম থেকে কিভাবে মিলবে রক্ষা? (Getting rid of the second season syndrome)

    যেকোন লীগেই কোন দলের শীর্ষ ১০ এ ফিনিশ করার ক্ষেত্রে দুইটি উপকরণ দরকার হয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি তা হল এ ব্যাপারে বিশ্বাস রাখা যে তারা লীগটিতে বিলং করে। এটিই একটি তফাত তৈরি করে দেয় এই ব্যাপারে যে, দলটি তাদের যেকোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাথা উঁচু করে মাঠে নামতে পারবে নাকি শুধু এই উদ্দেশ্যে মাঠে নামবে যেন তারা কোন গোল হজম করে না বসে। বেশির ভাগ তুলনামূলক ছোট দলগুলিই পরের মানসিকতা নিয়ে খেলে, যা তাদের পতনের কারণও হয়ে দাঁড়ায়।

    পড়ুন:  4 Incidents in the English Premier League_ When Rivalries Became Too Heated

    আর দ্বিতীয় উপকরণটি হল বেশি বেশি গোল করতে পারার ক্ষমতা। এর মানে হচ্ছে, থমাস ফ্র‍্যাঙ্ক এর এমন একজন বা একাধিক খেলোয়াড়কে কিনতে হবে যিনি বা যারা আইভান টনি’র উপর থেকে গোল করার চাপটি কমিয়ে নিজেরা কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারবেন। পুরো দলটিকে একটি ইউনিট হিসেবে খেলানোতে এবং প্রতি ম্যাচেই বেশ কিছু করে সুযোগ তৈরি করাতে ফ্র‍্যাঙ্ক তার পারদর্শীতা খুব ভালো করেই প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু পুরো ২০২১-২২ মৌসুমে তার ফল ৩৮টি ম্যাচ খেলে গোল করতে পেরেছে মাত্র ৪৮টি, অর্থাৎ গড়ে প্রতি ম্যাচে তারা করেছে ১.৩ টি করে গোল, যা মোটেও শীর্ষ ১০ এ নাম লেখানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে গোলের সামনে আরো ঘাতক রূপ ধারণ করতে হবে।

    তবে, থমাস ফ্র‍্যাঙ্ককে এ ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে যে, বেশির ভাগ প্রমোটেড দলই প্রিমিয়ার লীগে তাদের দ্বিতীয় মৌসুমে এসব উপকরণ নিজেদের খেলায় ঢুকাতে গিয়ে সেকেন্ড সিজন সিন্ড্রমে আক্রান্ত হয়।

    সেকেন্ড সিজন সিন্ড্রম হল এমন একটি মানসিকতা যার ফলে প্রমোটেড কোন দল তাদের প্রথম মৌসুমে রেলিগেশন থেকে বাঁচার পর দ্বিতীয় মৌসুমে এসে মনে করে যে এখন আরো উন্নতি করা যেতে পারে, এবং এমনটি ভাবার কারণেই তারা পতনের শিকার হয়, এবং রেলিগেশন এর বেড়াজালে আবদ্ধ হয়। একই ভাবে খেলে অন্য রকম ফলাফল আশা করা একটি ভিন্ন জিনিস, আবার আগের মৌসুমের থেকে খেলার ধরণ সম্পূর্ণরূপে বদলে ফেলা আরেক জিনিস। পরেরটি অবশ্যই খুবই বিপজ্জনক এবং বহু দলের পতনের কারণ।

    ট্রান্সফার মার্কেটে হানা দেওয়ার পূর্বে থমাস ফ্র‍্যাঙ্কের উচিৎ হবে এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করা যেন তার দলের খেলোয়াড়েরদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জন্য দলটি ঘোর বিপদে না পড়ে। কারণ, যারাই তাদের খেলার ধরণে আকাশ পাতাল পরিবর্তন এনেছে, তাদেরই ভরাডুবি হয়েছে (বা তারাই সেকেন্ড সিজন সিড্রমে আক্রান্ত হয়েছে) — ইতিহাসও এমনটিরই সাক্ষী দেয়।

    যখন তারা নতুন মৌসুম শুরু আগে গত মৌসুমে তাদের পারফর্মেন্স রিভিউ বিয়ে বসবে, তখন তাদের সকলেরই ইচ্ছা হবে এমন সবকিছু ঠিক করার, যেসবে কখনো কোন ত্রুটিই ছিল না। তবে, থমাস ফ্র‍্যাঙ্ককে এটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, তার দল যেই খেলা খেলে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৭টি ম্যাচ জিতেছিল৷ সেই খেলায় যেন এত বেশি পরিবর্তনও না আনেন যেন তাদের পুরো খেলার ধরণটাই সবার কাছে নতুন লাগে।

    পড়ুন:  Gameweek 24-এর জন্য FPL সেরা বাছাই

    ব্রেন্টফোর্ডের ট্রান্সফারসমূহঃ কোন কোন পজিশনে শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন (Brentford transfers: positions to strengthen)

    থমাস ফ্র‍্যাঙ্ক এর জন্য খুবই জরুরি হবে গত মৌসুমের শেষ অংশে তার দলের সেরা খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের লোন চুক্তিটিকে একটি পার্মানেন্ট চুক্তিতে পরিণত করা, কারণ এই ড্যানিশ মিডফিল্ডার আবারও বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছেন যে তিনি ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এখনো খেলতে সক্ষম। চারপাশে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছে এরিকসেনকে দলে পাওয়ার জন্য, এবং থমাস ফ্র‍্যাঙ্ক এর জন্য এই ৩০ বছর বয়সী তারকাকে মানানো কঠিন হয়ে যেতে পারে, কারণ এরিকসেনের ক্যারিয়ারে হয়তো আর একটি বড় ট্রান্সফারই বাকি রয়েছে এবং তাকে ব্রেন্টফোর্ড কমিউনিটি স্টেডিয়ামে রাখার মত আর্থিক ক্ষমতাও হয়তো ব্রেন্টফোর্ড এর নেই।

    ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে কমপক্ষে আরও একটি মৌসুম ব্রেন্টফোর্ডে খেলার জন্য মানানোর পাশাপাশি থমাস ফ্র‍্যাঙ্ককে আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পজিশনে খেলোয়াড় কিনতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে ফুল ব্যাক, সেন্টার ব্যাক, এবং ফরোয়ার্ড।

    গত মৌসুমে বেশ ভালোই কর্মদক্ষতা ও প্রতিভার ঝলক দেখালেও ব্রায়ান এম্বুয়েমোকে এখনো প্রিমিয়ার লীগের জন্য উপযুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মনে হচ্ছে না। আইভান টনির সাথে তিনি যদি খেলতে নামেনও, একজন নতুন ফরোয়ার্ড যদি এসে বেঞ্চে অবস্থান করেন, তাহলেও সেটি এম্বুয়েমোর আরো ভালো খেলার জন্য একটি ইচ্ছা বা আগ্রহ তৈরি করবে বলেই আশা করা যায়। এছাড়াও এর ফলে মৌসুমজুড়ে ব্রেন্টফোর্ডের গোলস্কোরিং অপশনও অনেকটা বাড়বে বলেই মনে হয়।

    সবকিছুর সাথে সাথে একজন নতুন মিডফিল্ডারও ব্রেন্টফোর্ডের জন্য দরকার, কারণ একটি মৌসুম চলাকালীন সময়ে কেউ না কেউ ইঞ্জুরিতে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। তাদের সবচেয়ে বেশি দরকার একজন ভালো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, যিনি তাদের ডিফেন্স এবং অ্যাটাকের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারবেন। যদি তারা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে দলে ভিড়িয়েও ফেলেন, তবুও তারা বল সামনে এগিয়ে নিতে কিছুটা হিমসিম খেতে পারেন, যেমনটি তাদের সাথে গত মৌসুমেও হয়েছিল। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই তাদের একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খুব দরকার।

    তবে, গত মৌসুমের একদম শেষে করা থমাস ফ্র‍্যাঙ্কের মন্তব্য অনুসারে, ব্রেন্টফোর্ড এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে বেশ চতুরতার সাথে আগাবে, এবং তাদের মূল লক্ষ্য হবে গত মৌসুমে তাদের হয়ে যেসকল খেলোয়াড়েরাই খেলেছিলেন, তাদের সকলকেই দলে রাখা, এবং কিছু কিছু জায়গায় দুই একজন নতুন খেলোয়াড়কে সংযুক্ত করা।

    এটিই এখন দেখার বিষয় যে, তারা কোন কোন পজিশনে শক্তিমত্তা বারানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে, সবকিছু বিবেচনা করে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ ১০ এ জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্যে ঠিক পথেই এগুচ্ছে ব্রেন্টফোর্ড। এখন বাঁকিটা সময়ই বলে দিবে।

    Share.
    Leave A Reply