বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে, ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইসকে ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের বেশ কিছু বড় বড় ক্লাবই নিজেদের দলে নিতে চায়। যদিও এসব গুজবের শুরু থেকেই রাইস তার পেশাদারিত্ব ধরে রেখে একের পর এক অনবদ্য পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে গিয়েছেন, তবুও এমনটি অনেকেই দাবি করেছেন যে, ডেক্লান রাইসও এখন চান একটি বড় ক্লাবের হয়ে খেলতে।

    তবে, ওয়েস্ট লন্ডনের ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড এখনও পর্যন্ত তাদের জায়গায় ঠাঁট সহকারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারা বার বার সকল ক্লাবকেই বলেছেন যে, রাইসকে তারা এখনি ছাড়তে রাজি নন। অবশ্য রাইস নিজে এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট হ্যামের সাথে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রয়েছেন।

    ওয়েস্ট হ্যাম বহুদিন ধরেই ট্রান্সফার সিজন আসলেই প্রস্তুত হয়ে থাকে রাইসের জন্য আসা অফারগুলিকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য। রাইসের জন্য উঠে পড়ে লাগা ক্লাবগুলিকে তাই তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তার ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর বাজার মূল্যের চেয়ে এক পয়সা কমেও তাকে ছাড়তে তারা নারাজ।

    তার আগের কয়েক মৌসুমের মতই গত মৌসুমেও ডেক্লাইন রাইস ছিলেন অনবদ্য। পুরো মৌসুমজুড়ে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় মোট ৫০ বার মাঠে নেমেছেন। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে তিনি এনে দিয়েছিলেন প্রিমিয়ার লীগ টেবিলে একটি সম্মানজনক (৭ম) স্থান, এবং ইউরোপা লীগেও তার দল পৌঁছেছিল সেমি ফাইনাল পর্যায়ে।

    লন্ডন থেকে ভেসে আসা বিভিন্ন সূত্রের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, চেলসিও চায় রাইসকে তাদের দলে ভেড়াতে; তবে হ্যামার্সরা তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে এবং জানিয়ে দিয়েছে যে, রাইসকে তারা বিক্রি করতে প্রস্তুত নয়। সেসকল রিপোর্ট এটিও দাবি করেছে যে, ডেক্লান রাইস নাকি তার কোচ ডেভিড ময়েস এবং ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি এবার ক্লাব ছাড়তে চান। বিভিন্ন সূত্রের মোতাবেক, রাইস ওয়েস্ট হ্যামে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দীহান, এবং তাই তিনি এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতেই ক্লাবটি ছাড়তে রাজি।

    যদিও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের জন্য তার ভালোবাসা রয়েছে নিরন্তর, তবুও একটি ব্যাপার আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, চেলসি’র সাথেও রয়েছে তার এক বিশাল যোগসাজেশ, কারণ সেখানকার একাডেমি থেকেই তার ফুটবল ক্যারিয়ারের গোড়াপত্তন ঘটেছিল। তবে, চেলসি অবশ্য তাকে ১৪ বছর বয়সেই ক্লাব থেকে রিলিজ করে দেয়, যার পর থেকে তিনি হ্যামার্সদের সাথেই রয়েছেন। যদিও ওয়েস্ট হ্যাম গত মৌসুমে ইউরোপা লীগের সেমি ফাইনালে খেলেছিল, তারপরও এটি একটি চিন্তার বিষয় যে, তাদের সর্বশেষ কোন মেজর শিরোপা এসেছিল ২০ বছরেরও আগে। এবং, অনেকেই ধারণা করছেন যে, সে কারণেই তিনি এমন কোন ক্লাবে পাড়ি জমাতে ইচ্ছুক যেখানে প্রতি বছরই এই হাইলি রেটেড মিডফিল্ডার বড় বড় সব শিরোপার জন্য লড়াই করতে পারবেন।

    পড়ুন:  ট্রান্সফার নিউজ: ডেক্লান রাইসের মূল্য কি £100 মিলিয়ন?

    সারা বিশ্বের ফুটবল বিশেষজ্ঞ ও সমর্থকরা এ ব্যাপারে এখনও সন্দীহান যে, কেনই বা ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড এমন একজন খেলোয়াড়কে জোড় করে দলে রেখেছে, যিনি কি না নিজের ভবিষ্যৎ অন্য কোন ক্লাবে দেখছেন। বাস্তবরূপে দেখতে গেলে, এখন যখন তারা রাইসের জন্য বেশ বড়সড় একটি মূল্য পেতে পারেন, তখনি তাদের তাকে বিক্রি করে দেওয়াই উত্তম। তাকে বিক্রি করার আরো অন্যান্য কারণ তুলে ধরার জন্য আমরা নিচের পুরো আলোচনাটি সাজিয়েছি। চলুন শুরু করা যাক।

    রাইস এখনও একজন তাগড়া যুবক এবং এখনই তার জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য পাওয়া সম্ভব (He is young and his value is still high now)

    এই ব্যাপারটি আসলেই খুবই হাস্যকর যে, ওয়েস্ট হ্যাম তাদের স্বপ্নেও এমন ভাবতে পারে যে ডেক্লান রাইসের জন্য কেউ ১৫০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে রাজি হতে পারে। হ্যাঁ, তিনি খুবই শক্তিশালী একজন খেলোয়াড়, তার পাসিং রেঞ্জও অনেক উচ্চ, আবার তিনি প্রায় প্রতি ৩ ম্যাচে একটি করে গোল করতেও সক্ষম, কিন্তু এটিও মনে রাখতে হবে যে, তিনি বর্তমান সময়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নন। এমনকি, এক্ষেত্রে এটিও উল্লেখ্য যে, তিনি শুধুমাত্র প্রিমিয়ার লীগেরও শ্রেষ্ঠ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নন।

    এছাড়া, এমনটি হওয়ারও সুযোগ আছে যে, তার আগে আসা এমন অনেক ইংলিশ প্রতিভার মত করেই ব্রিটিশ মিডিয়া তাকেও অনেক বেশি শূন্যে তুলে লাফাচ্ছে, এবং ‘হাইপ-আপ’ করছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত গিয়ে দেখা যাবে, বড় দলে গিয়ে তিনি একজন ফ্লপ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। আমাদেরকে ভুল বুঝবেন না, আমরাও রাইসের ভক্ত সমতুল্যই। তিনি একজন মানসম্মত খেলোয়াড় এবং সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি অবশ্যই ইংল্যান্ড দলের হয়ে কাতারের প্লেনেও উঠতে চলেছেন বলেই মনে হচ্ছে, কিন্তু বর্তমান ফুটবল বাজার তদারকি করে আমরা হলপ করে বলতে পারি যে, তার মূল্য ৭০ মিলিয়ন ইউরোর চেয়ে বেশি হওয়া একদমই সমীচীন নয়। এই নিবন্ধটি লিখার সময়ও বড় মাপের ফুটবল ট্রান্সফার সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ট্রান্সফার-মার্কেট ডট কমও তার উপর ৭০ মিলিয়ন ইউরোর প্রাইস ট্যাগই স্থাপন করেছে।

    ওয়েস্ট হ্যামের জন্য এখনি সময় তাকে বিক্রি করে একটি মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়ে নেওয়া, এবং সেটি দিয়ে রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে একজন বা দুইজন খেলোয়াড়কে কেনা, যিনি বা যারা গুণ্মানের দিক দিয়ে তার মত না হলেও যেকোন তার ধারেকাছে হোন। হ্যামার্সদের দলে রাইসের চেয়েও ভালো ভালো খেলোয়াড়েরা খেলেছেন অতীতে, কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর দলটি মোটেও ভেঙে চুরমার হয়ে যায়নি। পাওলো ডি ক্যানিও, কার্লোস তেভেজ, এবং এমনকি দিমিত্রি পায়েতও দলটিতে কিছুদিন খেলেই চলে গিয়েছেন, কিন্তু তাতে ক্লাবটির খারাপের চেয়ে ভালোই হয়েছিল বেশি। ওয়েস্ট হ্যামের উচিৎ এখনি রাইসের উপর ক্যাশ-ইন করে নেওয়া, এবং তার জন্য সেরা ডিলটি বেছে নেওয়া।

    পড়ুন:  ম্যাচউইক 30 পুরস্কার

    এ ব্যাপারে একদমই কোন সন্দেহ নেই যে, মিকাইল এন্তোনিও’র পাশাপাশি ডেক্লান রাইসই হলেন ওয়েস্ট হ্যামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাকে ছাড়া তাদের চলবেই না। পর্যাপ্ত পরিমাণে স্কাউটিং এবং রিক্রুটমেন্ট করতে পারলে হ্যামার্সরা রাইসের যোগ্য একজন উত্তরসুরী সহজেই খুঁজে পেতে পারেন।

    ওয়েস্ট হ্যাম তাদের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করলেও রাইসের বেতনের চাহিদা মিটাতে পারবে না (West Ham United will not be able to break the bank to increase his wages)

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, কিংবা চেলসি’র মত অর্থনৈতিক সক্ষমতা না থাকলেও, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড হল ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এবং ধনী ক্লাবগুলির মধ্যে একটি। এবং, সেটি তারা বার বার প্রমাণও করেছে গত চার বছর ধরে বিভিন্ন নামী দামী খেলোয়াড়দের বড় বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কেনার মাধ্যমে। তবে, ট্রান্সফার ফি এক কথা, বেতন প্রদান করা আবার সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন একটি কারবার, এবং এদিক থেকে তারা ম্যান সিটি বা চেলসি’র মত ক্লাবদের সাথে একদমই লড়াই করতে সক্ষম না।

    ডেক্লান রাইসই বর্তমানে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের সবচেয়ে বেশি বেতনধারী খেলোয়াড়, যার বেতন ১৫০,০০০ পাউন্ডের চেয়েও কিছুটা বেশি, যা তার পুরোপুরিভাবে প্রাপ্যও বটে। কিন্তু, এখন যদি আরো বড় বড় ক্লাবগুলি তাদের বড় বড় টাকার ঝুলি নিয়ে এসে তাকে আরো বেশি বেতন অফার করে এবং সাথে সাথে বিভিন্ন শিরোপা জেতার সুযোগও অফার করে, তাহলে কি তিনি তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন? আপনার অনুমান আর আমার অনুমান এক্ষেত্রে একই। যদিও তিনি হ্যামার্সদের দলের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতনধারী খেলোয়াড় (অন্য সবার চেয়ে কমপক্ষে ৫০,০০০ পাউন্ড বেশি), আরো বড় ক্লাবে গেলে তিনি এর দ্বিগুণ বেতনও পেতে পারেন।

    এমনও শোনা যাচ্ছে যে, ওয়েস্ট হ্যাম তাকে ৭ বছর মেয়াদী একটি দূর্দান্ত চুক্তি অফার করতে যাচ্ছে, যেটির ফলে তিনি ক্লাবটিতে প্রতি সপ্তাহে আয় করবেন ২০০,০০০ পাউন্ডেরও বেশি অর্থ। হ্যাঁ, ওয়েস্ট হ্যামের তেমনটি করার সামর্থ্য রয়েছে, কিন্তু তা করলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়বে, বেতন কাঠামো বিনষ্ট হয়ে যাবে, এবং অন্যান্য খেলোয়াড়েরাও বেশি বেতন দাবি করে বসবেন।

    ক্লাবটি স্কটিশ ম্যানেজার ডেভিড ময়েসের নেতৃত্বে আবারো বেশ বড় বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে, কিন্তু তাদের এই সাফল্যের কারণেই তারা এখন একটি বিশাল সিদ্ধান্তের সম্মুখীন — তাদের সেরা খেলোয়াড়দেরকে কি তারা বিক্রি করে দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ গুনবেন, নাকি তাদেরকে দলে রেখে তাদের বেতন বাড়াবেন? তাদের পরবর্তী পদক্ষেপটির উপরই হয়তো তাদের অদূর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। রাইস অবশ্যই সেই ধরণের খেলোয়াড়দের কাতারেই পড়েন, এবং তিনি যে ইউরোপের বড় কোন ক্লাবে শুধু বেশি টাকা কামানোর জন্য বা শিরোপা জেতার জন্যই যাবেন এমনটিও কিন্তু নয়, বরং তার ক্যারিয়ারটিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য হলেও তার কোন একটি শীর্ষ দলে যোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    পড়ুন:  এবছরও চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জিততে না পারলে কি পেপ গার্দিওলাকে চাকরিচ্যুত করা উচিৎ ম্যানচেস্টার সিটি'র?

    রাইসকে বিক্রয় করে প্রাপ্ত টাকা ওয়েস্ট হ্যাম তাদের সার্বিক উন্নয়নের কাজে ব্যয় করতে পারবে (His sale could bring more dividends)

    যদিও আমরা এই ব্যাপারটি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি যে, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড একটি স্বাবলম্বী বা ধনী ক্লাব, এবং ডেক্লাইন রাইসকে বিক্রি না করলেও তাদের খুব একটা ক্ষতি হবে না, বরং তারা শীর্ষ পর্যায়েই খেলে যেতে পারবে, তবুও একটি ব্যাপার উল্লেখ না করলেই নয়, এবং সেটি হচ্ছে যে, নতুন খেলোয়াড় কিনতে হলে এবং অন্যান্য পজিশনে শক্তি বাড়াতে হলে তাদের কিছু অর্থের প্রয়োজন।

    তারা যদি রাইসকে বিক্রয় করার মাধ্যমে কোন ভাবে ৯০ মিলিয়ন ইউরো বাগিয়ে নিতে পারে, তাহলে তারা সেই টাকা রাইসের পজিশন বা অন্য যেকোন পজিশনে ২-৩ জন বিশ্বমানের খেলোয়াড় কেনার পেছনে তা খরচ করতে পারবে।

    ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের দলটির দিকে এক নজর তাকালেই দেখা যায় যে, তাদের দলটিতে যৌবনের ছোঁয়া খুবই কম, কারণ তাদের দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই বয়স ৩০ ছুঁই ছুঁই বা তারও বেশি। যদি ডেভিড ময়েস এই ক্লাবটিতে তার একটি লেগ্যাসি তৈরি করতে চান, তাহলে তার এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকানো উচিৎ এবং কিছু প্রতিভাবান যুবা খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ানো উচিৎ।

    প্রায় সব ইউরোপীয় ক্লাবই এখনও পর্যন্ত কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছে তাদের অর্থায়ন ও হিসাব খাতে। তাই, ডেক্লান রাইসকে বিক্রি করে যদি ওয়েস্ট হ্যাম একটি বড় অঙ্কের অর্থ অর্জন করতে পারে, তাহলে সেটি ক্লাবটির অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় একটি বিশাল ভূমিকাও পালন করবে।

    উপসংহার (Conclusion)

    যদিও এই বর্তমানের ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড দলটি তৈরিই করা হয়েছে শক্তিশালী এবং বুদ্ধিদীপ্ত ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইসকে কেন্দ্র করে, হ্যামার্সদের এখন উচিৎ তার যোগ্য একজন উত্তরসুরী খোঁজা, বিশেষ করে যখন খেলোয়াড়টি নিজেই চাচ্ছেন ক্লাবটি ছেড়ে যেতে। এটি বুঝে ওঠাও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে যে, তাদের বর্তমান স্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে তার কোনই নিশ্চয়তা নেই, কারণ তারা ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ খাদকদের তালিকায় এখনো নাম লিখাতে পারেননি। তাই, আপাতত এখনকার জন্য হলেও তাদের দরকার ইউরোপ বা ইংল্যান্ডের আরো বড় বড় ক্লাবদের কাছে তাদের সেরা খেলোয়াড়দের বিক্রি করে অনেক অনেক অর্থ কামিয়ে নেওয়া। তবেই তারা কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপের একটি বড়সড় ফুটবলীয় শক্তিতে পরিণত হতে সক্ষম হবে।

    Share.
    Leave A Reply