প্রিমিয়ার লীগের ২০২২-২৩ মৌসুমটির ইতিমধ্যে শুভ সূচনা হয়ে গিয়েছে, এবং নতুন মৌসুমের প্রথম উইকেন্ডেই লীগটি ফুটবলপ্রেমীদের বেশ কিছু উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। প্রথম সপ্তাহের খেলা থেকে একটি বিষয় সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট যে, আমরা আরো একটি উত্তেজনা ও নাটকীয়তায় ভরা মৌসুমই দেখতে যাচ্ছি, এবং মৌসুমের সমাপ্তি অবধি প্রত্যেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বা মুহূর্ত নিয়েই আমরা আলোচনা করব আপনাদের সাথে। তাই, আমাদের সাথেই থাকুন।

প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ দলগুলোর বেশির ভাগের জন্যই প্রিমিয়ার লীগের প্রথম উইকেন্ডটি ছিল খুবই সহজ ও স্বস্তির। মৌসুমের পর্দা উন্মোচনকারী ম্যাচে শুক্রবার রাতে আর্সেনাল ২-০ গোলে হারায় ক্রিস্টাল প্যালেসকে। একই ভঙিমায় বর্তমান প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে অতি সহজেই ২-০ গোলে হারিয়েছে। তাদের হয়ে দুইটি গোলই করেছেন তাদের নতুন তারকা সাইনিং আর্লিং হাল্যান্ড। টটেনহ্যাম হটস্পার্সও এন্তোনিও কন্তে’র অধীনে ক্রমবর্ধমান উন্নতির পথেই রয়েছে। তারা ঘরের মাটিতে সাউথ্যাম্পটনের নিকট প্রথমে গোল হজম করা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে ম্যাচটি জিতে নিতে সক্ষম হোন।

তবে, এ সপ্তাহের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ফলাফলটি ছিল লিভারপুল বনাম ফুলহ্যামের ম্যাচটির, কারণ সদ্য প্রোমোটেড দল ফুলহ্যাম এর সাথে গত বছরের রানারস-আপ লিভারপুল ২-২ গোলে ড্র করে মৌসুমের শুরুতেই খেয়েছে হোঁচট। অবশ্য, বর্তমানে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে, তা হল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এরিক তেন হাগ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে তার কম্পিটিটিভ যাত্রা শুরু করেছেন ব্রাইটনের নিকট ২-১ গোলের হারের মধ্য দিয়ে।

প্রিমিয়ার লীগের ২০২২-২৩ মৌসুমের প্রথম গেমউইকের পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে আমরা উইকেন্ডের সকল ম্যাচের মধ্য থেকে সবচেয়ে বড় বড় ৫টি আলোচ্য বিষয় বের করতে পেরেছি, যেগুলি আমাদেরকে বিভিন্ন দল বা খেলোয়াড়দের সম্পর্কে অনেককিছুই শেখাতে সক্ষম। তাহলে চলুন, সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক!

 

আর্সেনাল এখন প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ একটি দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত (Arsenal look ready for business)

শুধুমাত্র একটি ম্যাচ দেখার পরেই তেমন কিছু বলা ঠিক নয়, কিন্তু মাঠের খেলার উপর ভিত্তি করে কিছু মন্তব্য না করলেই নয়, এবং মাঠের খেলায় সেলহাস্ট পার্কে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে আর্সেনাল ছিল এক কথায় অনবদ্য। পূর্বে আর্সেনালকে প্রায়ই দেখা গিয়েছে পরের মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে থাকতে, এবং খুবই চিন্তিত হয়ে খেলতে। তবে, এবারের আর্সেনাল দলকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে, যার ফলস্বরূপ তারা ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটের মাথায়ই গোল করে এগিয়ে যায়।

এছাড়া আর্সেনাল একটি ক্লিন শিট রাখতেও সমর্থ্য হয়েছে, যার জন্য তারা কৃতজ্ঞ থাকবে তাদের গোলকিপার এরোন র‍্যামসডেল এর প্রতি, যিনি কি না দুইটি অসাধারণ সেভ করে দলকে খেলায় রেখেছিলেন। আরেক দিকে, সেন্ট্রাল ডিফেন্সে গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহেইস এর সাথে আর্সেনালের হয়ে ডেব্যুতে নামা উইলিয়াম সালাইবা একটি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পারফর্মেন্স দিয়ে আর্তেতা’র ডিফেন্সিভ চিন্তা অনেকাংশেই কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

পড়ুন:  10টি সেরা নাইকি প্রিমিয়ার লিগের কিটস

কাগজে কলমে, অন্যান্য শীর্ষ দলের তুলনায় আর্সেনালের জন্য আগামী পাঁচটি ম্যাচ অপেক্ষাকৃতভাবে বেশ সহজই রয়েছে, এবং সেই ম্যাচগুলির ফলাফলই বলে দিবে তারা প্রকৃতরূপে এবছর ভালো কিছু অর্জনের ক্ষমতা রাখেন কি না।

এখনি মিকেল আর্তেতা’র এই যুবা দলের থেকে আকাশ পাতাল প্রত্যাশা করলেও চলবে না, কিন্তু তারা বার বারই এটি প্রদর্শন করে চলেছে যে, চলতি মৌসুমে তাদেরকে হারানো যেকোন দলের জন্যই বেশ শক্ত একটি কাজ হতে চলেছে, কারণ তাদের যেমন আছে গোল করার ক্ষমতা, ঠিক তেমনি তাদের নিকট আছে একটি শক্তিশালী ডিফেন্স (তাদের চারজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হলেন গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহেইস, বেন হোয়াইট, উইলিয়াম সালাইবা, এবং রব হোল্ডিং), যা ভেদ করা যেকোন দলের জন্যই কঠিন হবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।

 

আর্লিং হাল্যান্ড হইতে সাবধান! (Watch out for Erling Haaland)

সবার মুখে মুখে এখন শুধুই তার নাম, এবং তা হওয়ার পেছনে যথাযথ কারণও রয়েছে। ফুটবল বোদ্ধা ও সমর্থকরা গত সপ্তাহে লিভারপুলের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ডের কঠিন ম্যাচটির পর থেকেই হাল্যান্ডকে বিদ্রুপ করে চলেছে, কারণ সেই ম্যাচটিতে তাকে গোলের সামনে বেশ অপ্রস্তুত ও অকার্যকর মনে হয়েছিল। তাহলে, তার পরে এই যুবা নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তার প্রিমিয়ার ডেব্যুতে কি করলেন? তিনি তার সকল নিন্দুকদের মুখ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিলেন।

হাল্যান্ড সিটি’র হয়ে পেনাল্টি স্পট থেকে খেলার দীর্ঘকালীন ডেডলকটি ভঙ করেন, এবং খেলাটিতে সিটি’র জয় নিশ্চিতসূচক দ্বিতীয় গোলটিও তিনিই করেন। প্রথম গোলটির জন্য পেনাল্টিটিও তিনিই হাসিল করেছিলেন, তবে দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে কেভিন ডি ব্রুয়নাকে তার প্রাপ্য কৃতিত্ব না দিলেই নয়, কারণ তার দেওয়া ডিফেন্স চেড়া পাস থেকেই ঠান্ডা মাথার ফিনিশের মাধ্যমে ২-০ গোলের লিড নিয়ে ম্যাচটি সিটি’র নাগালে পুরোপুরিভাবে নিয়ে আসেন হাল্যান্ড।

লম্বা এই ফরোয়ার্ডের চেহারা ও চালচলনেই এক ধরণের ক্ষুধা দেখতে পাওয়া গিয়েছে পুরো ম্যাচজুড়েই। এই ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি নজরে পড়েছে যখন তিনি ডি বক্সের ভেতরে পড়ে যান, এবং সাথে সাথে উঠে পড়ে পেনাল্টি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হোন। খেলা শেষে ম্যান সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা হাস্যরসাত্মক ভঙিমায় বলেন যে, পেনাল্টিটি যদি দলের অন্য কেউ নিতে চাইতো, তাহলে হয়তো তাকে হাল্যান্ড একটি ঘুষিও মেরে দিতে পারতো।

এই মুহূর্তে এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ডই হচ্ছেন চলতি মৌসুমের গোল্ডেন বুট জয়ের জন্য বুকিদের মধ্যে হট ফেভারিট। তার শুভ সূচনা দেখে কিছুটা আঁচ পাওয়া যাচ্ছে যে বুকি’রা এক্ষেত্রে সঠিক প্রমাণিত হতে পারেন।

 

লিভারপুল কি সাদিও মানেকে বিক্রি করার কারণে পস্তাবে? (Will Liverpool regret selling Sadio Mane?)

কারোই এই পূর্বাভাস প্রদানের সাহস হয়নি যে সদ্য প্রোমোটেড দল ফুলহ্যামকে হারাতে লিভারপুলের মত দলের বেগ পেতে হতে পারে। তবে সেটিই হয়েছে, এবং লিভারপুলকে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ফুলহ্যাম একটি আত্মবিশ্বাসী পারফর্মেন্স উপহার দিতে পেরেছে, এবং এটি বললেও ভুল বলা হবে না যে, ৯০ মিনিটের খেলার মধ্যে বেশির ভাগ সময় তারাই খেলাটি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

পড়ুন:  জয়ী দলগুলি হঠাৎ করে আর জিততে পারে না কেন?

ফুলহ্যাম ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ যেভাবে শেষ করেছিলেন, এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগ ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছেন। লিভারপুলের বিরুদ্ধে দুইটি গোল করে এখন তিনি আর্লিং হাল্যান্ড এর সাথে সম্মিলিতভাবে প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

লিভারপুল ম্যাচের প্রথম দিকেই একটি গোল হজম করে ফেলে, এবং দ্বিতীয়ার্ধে সেটি পরিশোধও করে দেয়। তবে ফুলহ্যাম হাল না ছেড়ে আক্রমণ করতে থাকে, এবং আবারো একটি গোল করে এগিয়ে যায়। তবে, ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে লিভারপুলের প্রচন্ড চাপের মুখে ফুলহ্যাম মুখ থুবড়ে পড়ে, এবং খেলায় আসে ২-২ গোলের সমতা।

বেশ কিছু পরিস্থিতিতেই মনে হয়েছে যে অল রেডস’রা গোলের সামনে বেশ অকার্যকর। এবং সেখান থেকেই সাদিও মানে’র ব্যাপারটি আবারো ফিরে আসে, এবং সবার মনেই প্রশ্ন জাগে যে, তাকে এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে অন্য দলে যোগ দিতে দেওয়া কি লিভারপুলের উচিৎ হয়েছে? কাঁটা ঘায়ে নূন দেওয়ার মত করেই সাদিও মানে তার নতুন দল বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা ডেব্যুতেই একটি গোল করেছেন। এবং, আর সকলের মতই তিনি নিজেও অবাক হবেন এটি জেনে যে, তার সাবেক দল একটি সদ্য প্রমোটেড দলের বিরুদ্ধে ড্র করেছে।

 

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উপর এখনো অনেক কাজ করতে হবে এরিক তেন হাগকে (Erik Ten Hag has a lot of work to do with Manchester United)

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর ভক্ত সমর্থকরা যদি ভেবে থাকেন যে এরিক তেন হাগ আসার সাথে সাথেই ক্লাবটি আবারো সকল শিরোপার জন্য লড়াই করবে, তাহলে তাদের আরেকটু ভাবা উচিৎ। রেড ডেভিলরা তাদের নতুন মৌসুমের প্রথম খেলাতেই ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন এর বিরুদ্ধে ১-২ গোলে পরাজিত হয়েছে, এবং ম্যাচটির বেশির ভাগ অংশেই তারা ছিল অকার্যকর। তাদের মাঠের খেলায় আবারো দেখা গিয়েছে কিছু হাস্যকর ভুল এবং মনযোগের বড় ধরণের ঘাটতি। শুধু তাই নয়, নীতি নৈতিকতার দিকে থেকেও তাদের পরিস্থিতি ছিল শোচনীয়।

ইউনাইটেড মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনে’র উচিৎ ছিল একটি লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করা, যখন তিনি একজন ব্রাইটন খেলোয়াড়কে নির্মমভাবে বাজে ট্যাকেল করেছিলেন।

ক্লাবটিতে তার ভবিষ্যৎ এখনো হাওয়ায় ভাসলেও, বিশ্ব তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন, এবং সত্যি বলতে গেলে নিজের পুরোটা দিয়ে চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু, এই ৩৭ বছর বয়সী কিংবদন্তি খেলোয়াড়ও পারেননি তার দলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এনে দিতে।

পড়ুন:  হ্যারি কেন 'চেলসির ট্রেনিং গ্রাউন্ড থেকে 15 মাইল দূরে প্রাসাদ তৈরি করে

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এখনো তৈরি নয়, এবং তাদের উপর এখনো অনেক কাজ করা বাকি। এই ব্যাপারটি নিশ্চয় এরিক তেন হাগও খুব ভালো করেই জানেন, এবং গত রবিবার তিনি সেটি আরো স্পষ্টভাবে দেখেছেন। তবে, সবকিছু মেরামত করার জন্য খুব বেশি সময়ও পাবে না রেড ডেভিলরা, কারণ সামনে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে একটি দুর্গম ফিক্সচার লিস্ট। মৌসুমের প্রথম দুই মাসের খেলাগুলির ফলাফলই বলে দিবে তাদের পুরো মৌসুমের ভাগ্য।

তবে, একটি ব্যাপার নিশ্চিত, সেটি হচ্ছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ ও সমর্থকদের আরো বেশি ধৈর্য্যশীল হতে হবে, কারণ শুধুমাত্র একটি ম্যাচই অতিবাহিত হয়েছে, এবং এখনো সম্ভাবনা রয়েছে যে এরিক তেন হাগই সেই ম্যানেজার যিনি ইউনাইটেডকে আবারো ধারাবাহিকভাবে জয়ের ধারায় ফেরাবেন, এবং ওল্ড ট্রাফোর্ডে শিরোপা ফিরিয়ে আনবেন।

 

টটেনহ্যাম হটস্পার্স এবং নিউক্যাসেল ইউনাইটেড কি এবারের প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমে ডার্ক হর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে? (Can Tottenham Hotspurs and Newcastle United be dark horses this season?)

এটি কোনই গোপন বিষয় নয় যে, ইতালিয়ান কোচ এন্তোনিও কন্তে’র অধীনে টটেনহ্যাম হটস্পার্স অনেকটা উন্নতি করেছে, এবং ২০২২-২৩ মৌসুমের প্রথম প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচে তারা সেটি আবারো প্রমাণ করেছে। সাউথ্যাম্পটনের বিরুদ্ধে প্রথমে একটি গোল হজম করলেও তারা অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য প্রদর্শন করে কামব্যাক করেন, এবং শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয়।

অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ৪টি গোলের মধ্যে একটিও আসেনি দুই স্পার্স মহারথি হ্যারি কেইন এবং সন হিউং মিন এর পা থেকে। তাদের আক্রমণের ভঙিমা ছিল সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

অন্যদিকে, নিউক্যাসেল ইউনাইটেড গত মৌসুমটি যেভাবে শেষ করেছিল, নতুন মৌসুমটি ঠিক সেভাবেই শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচে তারা সদ্য প্রমোটেড দল নটিংহ্যাম ফরেস্টকে খুব সহজেই ২-০ গোলে হারাতে সক্ষম হয়েছে। তবে, যে নিয়ন্ত্রণ এর সাথে তারা পুরো ম্যাচটি খেলেছে, তা সত্যিই ছিল প্রচন্ড নজরকাড়া।

প্রিমিয়ার লীগের ভাবি শীর্ষ ২ হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলকেই বেশির ভাগ ফুটবল বোদ্ধারা এগিয়ে রাখবেন, এবং তা অনেকাংশে সমীচীনও। তবে, এন্তোনিও কন্তে’র মত একজন সিরিয়াল উইনার এর অধীনে খেলা টটেনহ্যাম হটস্পার্সকে একদমই হিসাবের বাইরে রাখাটাও হবে এক রকমের বোকামি।

আবার, হয়তো এটিই হবে আপনার পড়া সবচেয়ে আশ্চর্যজনক প্রেডিকশন, তবে আমরা মনে করি যে, এবার নিউক্যাসেল ইউনাইটেড প্রকৃতরূপেই শীর্ষ চারের লড়াইয়ে উপস্থিত থাকবে।

এবং, যদি তারা তাদের গত মৌসুমের শেষের দিকের ফর্ম ধরে রাখতে পারে, তাহলে এমনকি তারা শীর্ষ তিনের মধ্যেও জায়গা করে নিতে পারে। টটেনহ্যাম হটস্পার্স এবং নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের দল ও কোচিং স্টাফ তাই এবারের মৌসুমে বিষ্ময়কর কিছু উপহার দিবে বলেই আমরা মনে করছি।

Share.
Leave A Reply