২০২২-২৩ প্রিমিয়ার লীগ মৌসুমে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের ১২তম স্থানে রয়েছে চেলসি। সম্ভাব্য শিরোপা প্রত্যাশী একটি দলের জন্য এটি একটি বাজে সূচনা বললেও ভুল বলা হবে না। সেই তিন ম্যাচে তাদের করা মোট তিনটি গোলের মধ্যে আবার শুধু একটিই এসেছে ওপেন প্লে থেকে। গোলের সুযোগ সৃষ্টির দিক দিয়ে, ফটমব এর তথ্য অনুসারে, চেলসি প্রত্যাশিত গোলের (xG) রেটিং এ পেয়েছে মাত্র ৪.১। এই বাজে রেটিং নিয়ে তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে সম্মিলিতভাবে পুরো লীগের মধ্যে ১০ম স্থান অধিকার করতে পেরেছে।
এখন পর্যন্ত চেলসি’র হয়ে তিন জন আলাদা আলাদা খেলোয়াড় গোল করতে পেরেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে একজনও ফরোয়ার্ড নন। তাদের গোলস্কোরারদের মধ্যে রিস জেমস এবং জর্জিনহো হলেন দলটির জন্য গোলের নিয়মিত উৎস। এছাড়া, এবারের মৌসুমে তাদের আরেক গোলস্কোরার, নতুন সাইনিং ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি, কেবলমাত্র তার চেলসি ক্যারিয়ার শুরু করেছেন, এবং তার হোম ডেব্যুতেই তিনি গোল করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত সপ্তাহে ইয়োর্কশায়ারে সফরকালে চেলসি এল্যান্ড রোডে জেসি মার্শের লিডস ইউনাইটেড দলের কাছে ৩-০ গোলে ধরাসয়ী হয়েছে। এটি এমন একটি ম্যাচ ছিল যেখানে অল ব্লুস’রা তাদের প্রতিপক্ষের কাছে সকল বিভাগেই হার মেনেছিল। লিডস এর করা অসংখ্য প্রশ্নের বিপরীতে তারা কোন প্রকার জবাবই ছুঁড়ে দিতে পারেনি। তবে, ম্যাচটির শুরু তারা করেছিল খুবই সুন্দর তরিকায়। রাহিম স্টার্লিং একবার লিডসের জালে বলও জড়ান, কিন্তু গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচশেষে দেখা গিয়েছে যে, চেলসি পুরো ম্যাচজুড়ে সর্বমোট ১৪টি শট মারতে সক্ষম হয়, যার মধ্যে মাত্র তিনটি শট অন-টার্গেট ছিল। তাদের মোটমাট প্রত্যাশিত গোলের অনুপাত (xG) ছিল ০.৮৮। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ লিডস ইউনাইটেড চেলসি’র গোল অভিমুখে ৬টি অন-টার্গেট শট মারতে সক্ষম হয়, এবং তাদের প্রত্যাশিত গোলের অনুপাত (xG) ছিল ২.২২। ম্যাচটিতে সর্বমোট ৬১% পজিশন রাখার পরও চেলসি পুরো ম্যাচজুড়ে তেমন কোন গোলের সুযোগ তৈরিই করতে পারেনি।
চেলসি’র অকার্যকর ফরোয়ার্ডেরা — বা মূলত দলটিতে ফরোয়ার্ডের অভাব (Chelsea’s underfiring forwards — or the lack of them)
সহজ ভাষায় ও কম কথায় বলতে গেলে, প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ভয় পাওয়ানোর মত কিছুই বর্তমানে করতে পারছে না চেলসি’র ফরোয়ার্ডেরা। এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে চেলসি তাদের দুই স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু ও টিমো ভার্নারের মধ্য থেকে দু’জনকেই বিক্রি করে দেয়, কারণ ম্যানেজার থমাস টুখেলের নতুন মৌসুমের পরিকল্পনায় তাদের দুজনের কেউই ছিলেন না। চেলসি’র ফরোয়ার্ড লাইন সামলানোর গুরু দায়িত্ব তাই এখন এসে পড়েছে যুবা খেলোয়াড় কাই হাভার্টজ এর কোমল ঘাড়ে। তবে, স্বভাবত একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হওয়ায় এই নতুন রোলে তিনি পুরোপুরিভাবে সিদ্ধহস্ত নন বলেই ধারণা করা যায়।
জার্মান এই ফরোয়ার্ড এখন পর্যন্ত এবারের মৌসুমে কোন গোলের দেখা পাননি, এবং সম্ভবত শুধুমাত্র টটেনহ্যাম হটস্পার্স এর বিরুদ্ধে ৪৫ মিনিটের জন্যই ভালো খেলা উপহার দিতে পেরেছেন। কিন্তু, সেই ৪৫ মিনিটের মধ্যেও তিনি তার দলকে এগিয়ে দেওয়ার একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করেন।
গত মৌসুমে হাভার্টজ সর্বমোট ৪৫টি ম্যাচ খেলে ১৩টি গোল করতে সক্ষম হোন, এবং বর্তমান ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকু ও ব্লুস মিডফিল্ড মেসন মাউন্টের সাথে সম্মিলিতভাবে চেলসির সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটি পান। জার্মান এই যুবা তারকা হয়তো থমাস টুখেলের ক্রীড়াকৌশলের জন্য একজন মানানসই খেলোয়াড়, কিন্তু তারপরও পজিশনটিতে তার আউটপুট বর্তমানে খুবই বাজে। আবার, যখন আপনি এই ব্যাপারটিকেও বিবেচনায় নিবেন যে ইতিমধ্যে ক্লাবটি ছেড়ে যাওয়া রোমেলু লুকাকু ও টিমো ভার্নার সম্মিলিতভাবে গত মৌসুমে চেলসি’র হয়ে ২৩টি গোল করেছিলেন, তাহলেই আপনি আরো ভালো করে বুঝবেন যে, বর্তমানে কাই হাভার্টজ এর উপরই দলের গোলস্কোরিং এর সবটুকু দায়ভার এসে বর্তিয়েছে।
২০১৭ সালে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ডিয়েগো কস্টা দল ছাড়ার পর থেকে চেলসি’র দলে এক মৌসুমে ২০ গোল করার মত কোন স্ট্রাইকারই জায়গা করে নিতে পারেনি। তাকে রিপ্লেস করার উদ্দেশ্যে অবশ্য চেলসি’র ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি খরচ করা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তারপরও তারা সেই যোগ্য রিপ্লেসমেন্ট খুজে পাননি। আলভারো মোরাতা এবং রোমেলু লুকাকু দুজনেই ক্লাবটির জন্য রেকর্ড সাইনিং ছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা সেখানে সফল হতে পারেননি।
ফরোয়ার্ড না থাকার বিষয়টি অবশ্য তাদেরকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা টুর্নামেন্ট জেতা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। দুই মৌসুম আগে তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জিতেছিল, এবং তার পরের বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাও তারাই জিতে নিয়েছিল। তবে, গত মৌসুমে তারা লিভারপুলের নিকট দুইটি ঘরোয়া কাপ ফাইনালেই পেনাল্টি শুট আউটে গয়ে পরাজিত হয়েছিল। এটির পেছনেও প্রধান কারণ ছিল মূল ৯০ মিনিটে গোল করতে না পারা, অর্থাৎ স্ট্রাইকারের ঘাটতি।
থমাস টুখেল তার চেলসি দলটিকে এমনভাবেই তৈরি করে নিয়েছেন, যাতে করে দলটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু, গোলকধাঁধাঁটি থেকে শুধু একটি অংশই বর্তমানে লাপাতা, এবং সেটি হল একজন গোলস্কোরিং স্ট্রাইকার, যিনি কি না বিভিন্ন বিপদের মুহূর্তে গোল করে দলটিকে বিপদমুক্ত করতে পারবেন। লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি’র থেকে নিজেদের দূরত্বটা কমানোর জন্য তাদেরকে এই পজিশনটির দিকে তৎক্ষনাৎ নজর দিতে হবে এবং একটি সমাধান বের করতে হবে, নতুবা সেই দূরত্বটি আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাই হাভার্টজ বর্তমানে স্ট্রাইকার হিসেবে অকার্যকর (Kai Havertz is not working out for Chelsea)
হয়তো কাই হাভার্টজ ভবিষ্যতে একজন সেরা গোলস্কোরারে পরিণত হবেন। তবে, এই মুহূর্তে তিনি এমন কোনই পারফর্মেন্স উপহার দিতে পারছেন না, যার ফলে চেলসি তার উপর ভরসা টিকিয়ে রাখতে পারে। বর্তমানে গোলস্কোরিং এর বিভাগটিতে তিনি গড়পড়তা একটি অপশন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন। খুব কম করে হলেও চেলসি’র এখন প্রয়োজন এমন একজন স্বল্প মেয়াদী স্ট্রাইকারকে, যিনি দলটিতে প্রবেশ করবেন, এবং সাথে সাথে গোল করা শুরু করতে পারবেন। এতে হাভার্টজ এর উপর থেকে চাপ অনেকটা কমবে, এবং তিনি নিজের খেলায় উন্নতি আনার সুযোগ পাবেন।
হাভার্টজ এর আশেপাশে থাকা চেলসি’র অন্যান্য অ্যাটাকিং খেলোয়াড়দের পরিসংখ্যানও খুব একটা আশার ব্যত্যয় ঘটায় না। এবারের মৌসুমে আবারও মেসন মাউন্টকে গোল ও এসিস্ট করার দিক দিয়ে অনেক বড় বড় সংখ্যা উপহার দিতে হবে। গত মৌসুমে তিনি যে ১৩টি গোল এবং ১৬টি এসিস্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন, এবার চেলসিকে কোন অর্জন বা শিরোপা এনে দিতে হলে তাকে তার চেয়েও বেশি গোল ইনভলভমেন্ট অর্জন করতে হবে।
তাদের নতুন সাইনিং রাহিম স্টার্লিংকে প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে নামীদামী খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হিসেবে ধরা হয়, এবং এখন পর্যন্ত চেলসি’র খেলা তিনটি ম্যাচে তিনি দলটির সবচেয়ে ভালো পারফর্মার ছিলেন। তবে, তিনি এখনো ক্লাবটির হয়ে কোন গোলের দেখা পাননি। এবং, সেটির পেছনে মূল কারণ হচ্ছে দলটির সাথে ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তার আরো কিছুটা সময় দরকার। তবে, তিনি হলেন এমন একজন খেলোয়াড়, সর্বশেষ কয়েক মৌসুমে যার গোল আউটপুট অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেটির পেছনে অবশ্য মূল কারণ হল, ম্যানচেস্টার সিটি দলে তার গেমটাইম কমে যাওয়া। তবে তারপরেও তার গোল ইনভলভমেন্ট এর পরিসংখ্যান বেশ ভালোই ছিল, কারণ বর্তমানের ম্যান সিটি দলে কোন কাঠপুতুলকে দাঁড়া করিয়ে দিলেও সেটি গোল করে বসবে বলেই মনে হয়।
আর্মান্ডো ব্রোজা একজন প্রতিভাবান যুবা স্ট্রাইকার, যিনি গত মৌসুমে সাউথ্যাম্পটনে একটি সুন্দর লোন স্পেল অতিবাহিত করেছেন। তবে, এই মৌসুমে তিনি এ পর্যন্ত মাত্র ১৫ মিনিটের গেমটাইমই পেয়েছেন, একজন সাবস্টিটিউট হিসেবে। যদিও সেইন্ট মেরি’স স্টেডিয়ামে তার লোন স্পেলটি সফল ছিল, তবুও গত মৌসুমে ৩৮ ম্যাচে ৯ গোল করার রেকর্ডটি তাকে তৎক্ষনাৎ থমাস টুখেলের দলে মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার যোগ্য করে তোলে না। আমেরিকান উইংগার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ গিত মৌসুমে চেলসি’র হয়ে ৮টি গোল করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে তিনি দলটিতে খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন না। আবার, হাকিম জিয়েশ ও ক্যালাম হাডসন-অদই এর মত খেলোয়াড়েরা চেলসি ছাড়ার জন্য মুখিয়ে আছেন।
আক্রমণভাগে গোল করার মত খেলোয়াড়দের বেলায় চেলসি’র মজুদ খুবই ক্ষীণ। বর্তমানে চলমান ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাদেরকে যেভাবেই হোক এক বা একাধিক ফরোয়ার্ড খেলোয়াড় দলে ভেড়াতেই হবে। ৩১ই আগস্ট মাঝরাতে ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার আগে তাদের একজন ওয়াইড ফরোয়ার্ডও কেনা প্রয়োজন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোন স্ট্রাইকারদেরকে চেলসি এখনো সাইন করাতে পারবে? (Which strikers can Chelsea still sign?)
এবারের ট্রান্সফার উইন্ডো’র পুরোটা জুড়েই বিভিন্ন স্ট্রাইকারকেই চেলসি’র সাথে লিংকড হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, সেসকল খেলোয়াড়দের মধ্যে যার ব্যাপারে চেলসি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে, তিনি হলেন সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও আর্সেনাল স্ট্রাইকার পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং। নানা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ৩৩ বছর বয়সী এই আফ্রিকান স্ট্রাইকার চেলসিতে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন, এবং তাদের সাথে ব্যক্তিগত শর্তাবলিতে রাজিও হয়েছেন। কিন্তু, চেলসি এবং অবামেয়াং এর বর্তমান ক্লাব বার্সেলোনা তার ট্রান্সফার ফি নিয়ে কোনপ্রকার সম্মতি এখনও প্রদান করতে পারেনি। গ্যাবনিজ এই স্ট্রাইকারের জন্য লা লিগা’র ক্লাবটি ৩০ মিলিয়ন ইউরো চেয়ে বসে আছে, যা চেলসি তাদেরকে দিতে নারাজ।
৩৩ বছর বয়সী অবামেয়াং একজন প্রমাণিত ও পরীক্ষিত স্ট্রাইকার, যিনি ফ্রেঞ্চ লিগা উন, জার্মান বুন্দেসলিগা, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, এবং লা লিগা অর্থাৎ ইউরোপের সেরা চারটি লীগেই নিয়মিত আকারে গোল করে এসেছেন। অল ব্লুস’দের শিবিরে তিনি একজন শক্তিশালী সংযোজন হবেন বলেই মনে হচ্ছে, যদিও তিনি তাদের জন্য কোনভাবেই একটি স্থায়ী সমাধান নন। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় তিনি ১৩টি ম্যাচে স্টার্ট করে সর্বমোট ১১টি গোল করেছেন। তার আগে চেলসি’র ক্রস টাউন রাইভাল আর্সেনালের হয়ে তিনি ১৬৩টি ম্যাচ খেলে ৯২টি গোল কএতে সমর্থ্য হোন।
এছাড়া, চেলসি’র আরেকটি টার্গেট হচ্ছেন এভারটন ফরোয়ার্ড এন্থোনি গর্ডন, যাকে তারা একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসেবেই গণ্য করছে। এটি এমন একটি ডিল হতে চলেছে, যার জন্য অল ব্লুস’দেরকে প্রায় ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হতে পারে (৫০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল ফি + ১০ মিলিয়ন পাউন্ড এড-অনস)। এই ট্রান্সফারটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে চেলসি বেশ আত্মবিশ্বাসী, এবং নানা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, গর্ডন নিজেও চেলসিতে যোগ দেওয়ার জন্য অনেক আগ্রহী।
যেহেতু চেলসি’র তৎক্ষনাৎ প্রচুর গোল দরকার, সেহেতু তাদের উচিৎ স্বল্প মেয়াদী সমাধান হলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পিয়ের এমেরিক অবামেয়াংকে দলে ভেড়ানো, অর্থাৎ তার ট্রান্সফারটি সম্পন্ন করা। সেটি যদি তারা করতে পারে, তাহলে কাই হাভার্টজ এর উপর থেকে চাপও অনেকটা কমবে, আবার চেলসিকে গোল স্কোরিং এর জন্য তার দিকে তাকিয়েও থাকতে হবে না। এবারের মৌসুমে যদি চেলসি কোনপ্রকার শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখেও থাকে, সেটি পূরণের জন্য তাদেরকে একের অধিক ফরোয়ার্ড সাইন করাতে হবে। হাভার্টজ যদি তাদের আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দেন, তাহলে তাদের শিরোপার স্বপ্ন শুরুতেই বিনষ্ট হয়ে যাবে বলেই ফুটবল বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। চেলসি’র এখন উচিৎ তাই ভবিষ্যতের দিকে এক চোখ রেখে বর্তমানের দিকে আরেক চোখকে নিয়োজিত রাখা। এতে করে তারা ভবিষ্যতে অনেক শিরোপাও জিততে পারবে, আবার বর্তমানেও তাদেরকে বড় কোন লজ্জার শিকার হতে হবে না।