প্রায় এক দশক যাবৎ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ড সমস্যাকে গণমাধ্যমে নানান আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এটি নিঃসন্দেহে একটি পরীক্ষিত তথ্য যে, ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটির মূল একাদশের প্রত্যেকটি পজিশনই মাঝে মাঝেই প্রতিভাশূন্য এবং দুস্থ হয়ে পড়ে, তবুও এটি বলাই বাহুল্য যে, মাঝ মাঠের মধ্যমনির পজিশনটিতেই তাদেরকে সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা গিয়েছে।

    হোসে মোরিনহো ক্লাবটির দায়িত্ব থেকে সেরে দাড়ানোর পর থেকে মূলত ক্লাবটির সেন্ট্রাল মিডফিল্ড পজিশনে শুধুমাত্র দু’জন খেলোয়াড়েরই আধিপত্য নজরে পড়েছে, যারা হলেন স্কট ম্যাকটমিনে এবং ফ্রেড। অনেকের মতে, দলের অধঃপতনের জন্য এই দুইজনই দায়ী।

    এই দুইজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ই ইউনাইটেড দলে কিছুটা হলেও শারিরিক সক্ষমতা এবং ড্রাইভ আনয়ন করেন। তবে, প্রশ্ন যখন আসে পাসিং একিউরেসি বা বুদ্ধিদীপ্ততার, তখন এই দুই মিডফিল্ডারই ইউনাইটেডকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে দেন। তাদের এই দূর্বলতার কারণে কয়েক বছর ধরে দলটিকে অনেক বড় বড় মাশুল দিতে হয়েছে।

    ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেড, যাকে কি না ৫২ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি বিশাল ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে দলে নেয় ইউনাইটেড, ইউক্রেনিয়ান ক্লাব শাখতার দোনিয়েত্স্ক থেকে যোগ দেওয়ার পর থেকে শুধুমাত্র নিজের অধারাবাহিকতার দৃষ্টান্তই রাখতে পেরেছেন দুনিয়ার সামনে। তবে, তার কার্যক্ষমতা বা ওয়ার্ক রেটকে কোনক্রমেই প্রশ্নের সম্মুখীন করা যাবে না। কিন্তু, এই ব্রাজিলিয়ান তারকার প্রধান দুর্বলতাগুলো হল তার কচ্ছপ গতি, বল পজিশন বা গেমপ্লে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে তার অপারগতা, এবং ফরোয়ার্ডদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে তার অপারগতা ইত্যাদি।

    এখানে আরো উল্লেখ্য যে, ফ্রেডের স্কটিশ সাথী, অর্থাৎ স্কট ম্যাকটমিনে, কিন্তু আবার বেশ সাদাসিধে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিখ্যাত একাডেমি থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করে মূল একাদশে সুযোগ পাওয়া এই খেলোয়াড় ক্লাবটির প্রতি তার আনুগত্য বার বার প্রমাণ করেছেন। তবে, ফুটবল শুধুই হৃদয় দিয়ে খেলা যায় না, বরং তা খেলতে হয় পা দিয়ে, বাস্তবের মাঠে। এবং, সেই মাঠের খেলায়ই বার বার তাকে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে ফুটবল বিশ্লেষক এবং রেড ডেভিল সমর্থকদের নিকট হতে। সেসকল সমালোচনার অবশ্য ভিত্তি অনেক মজবুত।

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বহুদিন ধরেই একজন খেলোয়াড় এর পেছনে লেগে আছে, যিনি হচ্ছেন এরিক তেন হাগের সাবেক প্রিয় শিষ্য ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, যিনি কি না বর্তমানে বার্সেলোনায় খেলে থাকেন। এমনটিই মনে করা হচ্ছে যে, ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটিতে সফল হওয়ার জন্য সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদই রয়েছে এই ডাচ মিডফিল্ডার এর মধ্যে। এছাড়া, ক্লাবটির বর্তমান দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের সাথে তুলনা করলে তিনি অবশ্যই একজন শ্রেয় অপশন। তবে, যেহেতু তিনি বার বারই বলে চলেছেন যে তিনি বার্সা ছাড়ার জন্য এখনও প্রস্তুত নন, সেহেতু এই ট্রান্সফারটি সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা এখন খুবই কম বলেই মনে হচ্ছে।

    পড়ুন:  কেন চেলসিকে ভিক্টর ওসিমেনের জন্য অল আউট করতে হবে

    তবে, তার পজিশনে আরেকজন খেলোয়াড় রয়েছেন যাকে এই পজিশনটিতে বর্তমানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের মধ্যে গোণা হয়, এবং তিনি হলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ক্যাসেমিরো। তার ব্যাপারে আলাদা করে বলার মত আসলে কিছুই নেই, কারণ তার সাফল্য, অর্জন, এবং রেকর্ডই তার হয়ে কথা বলে।

    এই ডিলটির ক্ষেত্রে অবশ্য একটি যথাযথ ধারণা হচ্ছে অনেকটা এমন যে, যেহেতু সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো কভার দরকার, এবং যেহেতু ডি ইয়ং এর ডিলটি সম্পন্ন করা তাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে, সেহেতু প্রচুর বেতন ও ট্রান্সফার ফি দিয়ে এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকে মন্ত্রমুগ্ধ করাটাই তাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এবং আদ্রিয়েন রাবিওঁ বা অন্যান্য অনেক অপশন যাচাই করার পর সেই পন্থাটিই তারা বেছে নিয়েছে।

    নতুন মৌসুমের প্রথম দুইটি ম্যাচে একদমই গড়পড়তা পারফর্মেন্স এর পর তাদের সমস্যায় জর্জরিত পজিশনটিতে নিয়মিত খেলানোর উদ্দেশ্যে একজন পরীক্ষিত ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে নিয়ে আসার জন্য যে পরিমাণ অর্থ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খরচ করেছে, তা মোটেও অবাক করার মত নয়।ল, বিশেষ করে আজকের ট্রান্সফার বাজারে। উপরে উল্লিখিত ম্যাচ দুটিতে তারা ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন এবং ব্রেন্টফোর্ডের নিকট শুধু হেরেছে তাই নয়, বরং খেলা দুটিতে তারা মোট ৬টি গোল হজম করেছে, এবং বিনিময়ে নিজেরা শুধু একটি গোল করতে পেরেছে (তাও আবার একটি আত্মঘাতী গোল)। তাই, ক্যাসেমিরো’র আগমণ তাদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় ছিল বলেই মনে হচ্ছে, এবং এমন একটি সাইনিং ক্লাবটির নিকট হতে অনেকটা প্রত্যাশিতও ছিল বৈকি।

    এই নিবন্ধটিতে আমরা এই ডিলটি নিয়ে সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করব, যার মাধ্যমে ৩০ বছর বয়সী ক্যাসেমিরো ওল্ড ট্রাফোর্ডে আসছেন। এছাড়াও আমরা দেখব এই ডিলটির ভালো-মন্দ দিকগুলি, এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে কি কি নতুনত্ব যোগ করতে পারবেন এই ব্রাজিলিয়ান সেটি। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক।

     

    ডিলটির মধ্যকার ইতিবাচক দিকসমূহ (Positives in the deal)

    এটি বলা এখন নিরাপদ যে, খেলোয়াড় এবং উভয় ক্লাব সকলের জন্যই এই ডিলটি বেশ সুখকর হবে বলেই মনে হচ্ছে। ৩০ এর কোঠায় পা দিয়েছেন এমন একজন খেলোয়াড়ের জন্য রিয়াল মাদ্রিদ বেশ বড় একটি অঙ্কের অর্থ পেতে যাচ্ছে। তাছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এমন একজন ডেস্ট্রয়ারকে পেতে যাচ্ছে যিনি তাদের দলের বর্তমান সমস্যাকে দূরীভূত করার সামর্থ্য রাখেন, এবং পাশাপাশি দলের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ গোল করতেও সক্ষম। আবার, যে খেলোয়াড়কে নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, সেই খেলোয়াড়টিও রিয়াল মাদ্রিদে তার বেতনের থেকে অনেকটাই বেশি বেতন পাবেন তার নতুন ক্লাবে।

    এবছরের শেষে অনুষ্ঠিতব্য কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে সুযোগ করে নেওয়ার জন্য ক্যাসেমিরো চাইবেন নিয়মিত আকারে ফুটবল খেলতে। যেহেতু রিয়াল মাদ্রিদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে কামাভিঙ্গা এবং চুয়ামেনি’র মত প্রতিভাবান যুবা খেলোয়াড়দেরকে দলে ভিড়িয়েছে, সেহেতু তাদের মূল একাদশে ক্যাসেমিরো’র নিয়মিত সুযোগ পাওয়ার কোনই নিশ্চয়তা নেই।

    পড়ুন:  ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপঃ কাতারের ৮টি স্টেডিয়াম সম্পর্কে আপনার যা কিছু জানার আছে

    তবে, এটিও না বললেই নয় যে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যতটা প্রয়োজন ক্যাসেমিরোকে, ক্যাসেমিরোর জন্য কিন্তু ততটা প্রয়োজনীয় নয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়াটা। দলটিতে বর্তমানে নতুন চিন্তাধারার খুব অভাব, একতাবদ্ধতা একদম তলানিতে, এবং তাদের এমন কাউকেই প্রয়োজন যিনি কি না যেকোন খেলায় মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে তুলে নিতে পারেন, এবং খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এই রোলটিতে সারা বছর ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারবেন এমন খেলোয়াড় এর সংখ্যা খুবই কম, কিন্তু ক্যাসেমিরো নিঃসন্দেহে তাদের মধ্যে একজন।

    ইউনাইটেড এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাদের বেশ কিছু মিডফিল্ডারকে বিদায় জানিয়েছে (যেমন হুয়ান মাতা, নেমানিয়া ম্যাটিচ এবং জেসি লিংগার্ড প্রমুখ), এবং সেসকল পজিশনে তাদের নতুন খেলোয়াড় খুব দরকার ছিল। এবং, এই পজিশনটিতে ক্যাসেমিরোকে পাওয়া তাদের জন্য দুইজন মিডফিল্ডারকে একসাথে পাওয়ার সমতূল্য। হ্যাঁ, ক্যাসেমিরো এতটাই ভালো একজন খেলোয়াড় এবং তাকে দলে নেওয়াটা ইউনাইটেড এর জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল!

     

    ডিলটির মধ্যকার নেতিবাচক দিকসমূহ (Negatives in the deal)

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের মিডফিল্ডের শক্তি বাড়ানোর জন্য যেমন মরিয়া হয়ে উঠেছে, তাতে যেকোন দলই তাদের নিকট হতে অধিক টাকা খসানোর ধান্দা করতেই পারে। তারা যে খেলোয়াড়কেই টার্গেট করছে, সেই খেলোয়াড়ের দামই অনেকগুণে বেড়ে যাচ্ছে। অন্যান্য সেসকল ক্লাবের জন্য এটি একটি সুসংবাদ হলেও এখানে ট্রান্সফার মার্কেট সম্পর্কে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের অভাবই বেশি নজরে পড়ছে।

    ক্যাসেমিরো’র বয়স এখন ৩০ বছর, এবং এবছরের শেষ নাগাদ তিনি ৩১ এ পা রাখবেন। অবশ্যই তিনি একজন বিশ্বজয়ী খেলোয়াড় এবং মাঠের খেলায় তিনি নানান প্রকার জাদু দেখাতে সক্ষম, কিন্তু এই বয়সে তার মূল্য কখনোই ৭০ মিলিয়ন ইউরো হতে পারে না। তাই, এটি এখন বলাই যায় যে, ইউনাইটেড আবারো একজন খেলোয়াড়ের পেছনে অতিরিক্ত খরচ করে ফেলেছে।

    এছাড়া, যদিও তিনি স্প্যানিশ লা লিগা’র মত একটি সেরা লীগে বহু বছর ধরে ভালো খেলে এসেছেন, তবুও কিন্তু তিনি এর আগে কখনোই প্রিমিয়ার লীগে খেলেননি। এখন, যেহেতু তাকে ইউনাইটেড তাদের একটি বিশাল সমস্যার তাৎক্ষনিক সমাধান হিসেবে দলে নিচ্ছে, সেহেতু তাদেরও এমন কোন নিশ্চয়তা দরকার যে তিনি দলে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই দলটির সাথে এবং প্রিমিয়ার লীগের সাথে মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলা শুরু করে দিবেন। কিন্তু, এমন কোন নিশ্চয়তাই তারা পাবে না, কারণ ক্যাসেমিরো এই লীগটিতে মোটেও পরীক্ষিত নন। এছাড়া, এটিও সত্য যে, এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এরিক তেন হাগের ফার্স্ট চয়েজ ছিলেন। তাহলে, এই ব্যাপারে কি করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ক্যাসেমিরো তেন হাগের ক্রীড়াকৌশলের সাথে খুব সহজেই এবং খুব জলদিই মানিয়ে নিতে পারবেন?

    পড়ুন:  কেন ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ডেক্লান রাইসকে বর্তমান ট্রান্সফার উইন্ডোতে বিক্রি করে দিলে একটি বুদ্ধিমানের মত কাজ করবে?

    যদিও আমরা আশাবাদী যে এই ডিলটি সম্পন্ন হওয়ার ফলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর মিডফিল্ড আগের চেয়ে অনেকটাই শ্রেয় হবে, তবে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং এর পেছনে এতদিন নষ্ট করার ফলে ক্লাব হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যে পরিমাণ ক্ষতি ও বিদ্রুপের সম্মুখীন হয়েছে, তা পূরণ করার জন্য কেবলমাত্র এই একটি সাইনিং যথেষ্ট নয়।

     

    আমরা ক্যাসেমিরো’র নিকট হতে কি প্রত্যাশা করতে পারি এবং কিভাবে তিনি এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে সহজেই মানিয়ে নিবেন? (What can we expect from Casemiro and how does he fit into this Manchester United team?)

    ক্যাসেমিরো যোগ দেওয়ায় একটি বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত, এবং সেটি হল যে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এখন থেকে আরো বেশি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, কারণ তার ইন্টারভেনশন স্কিলস প্রিমিয়ার লীগের অন্য যেকোন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের চেয়ে শ্রেয়। এর ফলে ইউনাইটেড আরো বেশি আক্রমণাত্মক ভঙিতে খেলতে পারবে, এবং যদি ফ্রেডকে তার স্বদেশী ক্যাসেমিরো’র সাথে খেলানো হয়, তাহলে হয়তো আমরা ফ্রেড এর একটি উন্নত চেহারাই দেখতে পাব, কারণ তিনি রক্ষণের চেয়ে আক্রমণে বেশি আগ্রহী বলেই মনে হয়।

    ক্যাসেমিরো তার অসাধারণ ইচ্ছাশক্তি এবং অনবদ্য এগ্রেশন এর জন্যই বেশি পরিচিত, এবং প্রিমিয়ার লীগের মত একটি ফিজিক্যাল লীগে উক্ত পজিশনে ভালো করতে হলে এই দুইটি গুণ যেকোন খেলোয়াড়ের মধ্যেই অনেক বেশি প্রয়োজন। যদিও তার অভ্যাস রয়েছে মাঝে মাঝে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকারক কিছু ট্যাকেল করার, তবুও প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ কোন খেলোয়াড়কে কড়া মার্কিং এর অধীনে রাখা বা পকেটে পুড়ে রাখার বিষয়টিতে তার চেয়ে শ্রেয় আর কেউ নেই।

    দলটিতে তার যোগদানের ফলে এই ব্যাপারটি এখন প্রায় নিশ্চিত হয়েছে যে, এখন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রত্যেকটি ম্যাচে ফ্রেড বা ম্যাকটমিনে’র মধ্যে যেকোন একজন নিশ্চয় বেঞ্চে জায়গা করে নিবেন, কারণ ক্যাসেমিরো অবশ্যই নিয়মিত মূল একাদশে খেলার মতই একজন খেলোয়াড়। তিনি তার ডিফেন্ডারদেরকে যথাযথ কভার দিবেন, এবং এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন যেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন ও ব্রুনো ফার্নান্দেজকে ডিফেন্স নিয়ে বেশি চিন্তা করতে না হয়, এবং যেন তারা গোলের সুযোগ সৃষ্টির দিকেই বেশি নজর দিতে পারেন৷

    মোট কথা হল এই যে, ক্যাসেমিরো একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, এবং তাকে দলে পাওয়াতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিশ্চিত বস্ত্রহরণ থেকে বেঁচে যাবে বলেই মনে হচ্ছে, যার সূচনা হয়েছিল মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মত একটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের কাছ থেকে কখনোই তেমনটি কাম্য নয়। যদিও এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই যে, ক্যাসেমিরো এখনকার জন্য একটি ভালো অপশন, তবুও প্রশ্ন থেকেই যায় — এই পর্যায়ে আর কতদিনই বা তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে পারবেন? সময়ই এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে দিবে।

    Share.
    Leave A Reply