...

    এস্টন ভিলা (Aston Villa)

    ভিলেইনরা আরো একটি ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে, এবং প্রত্যাশার চাপ এখন আস্তে আস্তে স্টিভেন জেরার্ডের উপর জেঁকে বসছে।

    এমিরেটস স্টেডিয়ামে খেলার প্রথমার্ধেই একটি রিবাউন্ড থেকে গোল করে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তারা পুরো প্রথমার্ধজুড়েই ভিলা’র উপর প্রভাব বজায় রাখে, এবং আরো অনেক সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারে না। 

    তবে যাই হোক, দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ ম্যাচের ৭০ মিনিট পূর্ণ হওয়ার পর এস্টন ভিলা’র মিডফিল্ডার ডগলাস লুইজ কর্নার থেকে একটি আশ্চর্যজনক এবং চমকপ্রদ গোল করে খেলায় সমতা ফেরান। তবে, সেই সমতা বেশিক্ষণ টিকেনি, কারণ প্রথমার্ধে একটি সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করা গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ম্যাচের ৭৭ মিনিটের মাথায় একটি গোল করে আর্সেনালকে আবারো লিড এনে দেন, এবং পুরো এমিরেটস স্টেডিয়ামকে আনন্দে আত্মহারা করে তোলেন।

    আবারও হারার ফলে এস্টন ভিলা এখন বিপদে। এটি ১৯৯৭ সালের পর থেকে কোন মৌসুমে ভিলেইনদের জন্য সবচেয়ে বাজে সূচনা। এভাবে চলতে থাকলে স্টিভেন জেরার্ডের জন্য এস্টন ভিলা ম্যানেজার হিসেবে অন্তিম ঘন্টা ঘনিয়ে আসছে বললেও ভুল বলা হবে না।

     

    ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City)

    ঘরোয়া আধিপত্য বিস্তার ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে ম্যানচেস্টার সিটি’র কোনই জুড়ি নেই। সবসময়ই প্রিমিয়ার লীগের যেকোন দলের ডিফেন্সকে চিঁড়ে একাকার করে দেওয়ার মত সকল অস্ত্রই পেপ গার্দিওলা’র নিকট ছিল, কিন্তু গত মৌসুমে তার নিকট ছিল না শুধু একটি মোক্ষম অস্ত্র — একজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকার। এবারের মৌসুম শুরুর আগে তাই সিটি সমর্থকদের মনেও একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল — কে হবেন তাদের পরবর্তী “আগুয়েরো”?

    সেই প্রশ্নটির কি সুন্দর জবাবই না দিয়েছেন পেপ গার্দিওলা ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর জিকি বেগিরিস্তেইন। বিশ্বসেরা যুবা নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আর্লিং হাল্যান্ডকে এবার দলে ভিড়িয়েছে ম্যান সিটি, এবং প্রিমিয়ার লীগ জীবনে একটি উড়ন্ত সূচনাও করেছেন এই দানবাকৃতির স্ট্রাইকার। গোল করা থেকে নিজেকে থামাতেই যেন পারছেন না তিনি!

    তার খেলা ৫টি ম্যাচে তিনি ইতিমধ্যে ৯টি গোল করে ফেলেছেন। সিটি’র সর্বশেষ ম্যাচে তিনি তার টানা দ্বিতীয় হ্যাট্রিক তুলে নেন, এবং ম্যাচটিতে তার দলকে একটি অসহায় নটিংহ্যাম ফরেস্ট এর বিরুদ্ধে ৬-০ গোলের সহজ জয় এনে দেন। 

    কেউ কি এই অনবদ্য আর্লিং হাল্যান্ডকে রুখে দিতে পারবে? বর্তমানে এই প্রশ্নটির উত্তর হল “না”। এখন দেখা যাক এস্টন ভিলা এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করতে পারে কি না।

     

    প্রেডিকশন (Prediction)

    একদিকে এস্টন ভিলা ঘরের মাঠ হোক বা পরের মাঠ, কোন প্রকার ভালো খেলাই উপহার দিতে পারছে না। তাদের ফরোয়ার্ডরা গোল পাচ্ছেন না, আবার ডিফেন্ডাররা গোল আটকাতেও পারছেন না। 

    অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার সিটি’র ডিফেন্সে কিছুটা সমস্যা থাকলেও ম্যানুয়েল আকাঞ্জি’র সাইনিং এর পর সেদিক থেকেও তারা এখন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আর তাদের ফরোয়ার্ড বা মিডফিল্ডারদের কথা আবার নতুন করে বলার মত কিছুই নেই। এক কথায় তারা রয়েছেন ফর্মের  তুঙ্গে। তাই, এই ম্যাচটিতে আমরা ম্যানচেস্টার সিটি’র একটি সহজ জয় ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।

    এস্টন ভিলা ০ – ৩ ম্যানচেস্টার সিটি

    ২.৫ গোলের উর্ধ্বে

    ম্যানচেস্টার সিটি -২.০ (এশিয়ান হ্যান্ডিক্যাপ)

    Share.

    Leave A Reply

    Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
    Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.