ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

    হল ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও নামীদামী ক্লাবগুলির মধ্যে একটি। বছরের পর বছর বহু সাফল্যের মুখ দেখা এই ক্লাবটিকে তাই এখনো অধিকাংশ ফুটবল ভক্তরাই একটি ফুটবলিং পাওয়ারহাউজ হিসেবেই চেনেন।

    তবে, রেড ডেভিলদের ইতিহাসে যত অসাধারণ দলই থাক না কেন, তাদের সকলকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ক্লাবটির ১৯৯৯ সালের ট্রেবল জয়ী দলটি। এমন অর্জন যে তাদের ইতিহাসে আর নেই।

    স্যার এলেক্স ফার্গুসনের অধীনে থাকা ১৯৯৯ সালের সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটি যেকোন দিক দিয়েই ছিল একটি মারাত্মক দল, যার প্রত্যেকটি পজিশনেই ছিলেন একের অধিক বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তারা তাদের স্টাইলিশ ফুটবলের জন্য তো পরিচিত ছিলেনই, তাছাড়াও তাদের আরেকটি বিশাল পরিচায়ক ছিল তাদের চরম ইচ্ছাশক্তি। কোন একটি ম্যাচে তারা ওতটা ভালো খেলতে না পারলেও কোন না কোন ভাবে তারা জয় ছিনিয়ে আনতোই।

    তাদের এসব বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করেই স্কটিশ মায়েস্ট্রো স্যার এলেক্স ফার্গুসন এমন একটি দল গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন, যারা শুধুমাত্র প্রিমিয়ার লীগে আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছিল তাই নয়, বরং তাদের প্রত্যেকটি পজিশনে এমন শক্তিমত্তা ছিল যে, তারা যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতো, সেখানেই আরা ফেভারিটস হিসেবে আখ্যায়িত হতো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১৯৯৯ সালের সেই দলটি সব দিক দিয়েই ছিল পুরোপুরিভাবে পরিপূর্ণ একটি দল, এবং সেজন্যই তাদেরকে প্রিমিয়ার লীগ ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বোত্তম দল হিসেবেও মান্য করা হয়।

    এই নিবন্ধটিতে আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হল ১৯৯৯ সালের সেই অসামান্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটির সকল সদস্যদের স্মৃতিচারণ করা; সেই সাফল্যমণ্ডিত বছরে তারা কি করেছিলেন, এবং বর্তমানে তারা কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন বা কোন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন সেটি এক নজর দেখে নেওয়া। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? চলুন শুরু করা যাক।

    নিচে ১৯৯৯ সালের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হলঃ

     

    • গ্যারি নেভিল (Garry Neville):

      এই সাবেক ইউনাইটেড রাইট ব্যাক হলেন ক্লাবটির লম্বা ও সাফল্যমণ্ডিত ইতিহাসের সবচেয়ে অনুগত সার্ভেন্টদের মধ্যে একজন। বেশির ভাগ যুবা ফুটবল প্রেমীদের কাছেই গ্যারি নেভিল হলেন একজন ফুটবল ধারাভাষ্যকার মাত্র। কিন্তু, তিনি রেড ডেভিলদের ইতিহাসের শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ই ছিলেন না, বরং মাঝে তিনি ভ্যালেন্সিয়ার মত বিশাল একটি স্প্যানিশ ক্লাবের ম্যানেজার এর দায়িত্বও পালন করেছেন, যদিও সেখানে গিয়ে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।

     

    তিনি ছিলেন ইউনাইটেডের বিখ্যাত ‘৯২ এর ক্লাসের অংশ, এবং তার ধারাবাহিক পারফর্মেন্সগুলো তাকে ক্লাবটির মূল একাদশের একজন নিয়মিত মুখে পরিণত করে। এবং, সেবছর তাদের জেতা তিনটি প্রতিযোগিতাতেই তার অবদান ছিল একদমই অপরিহার্য।

     

    • পিটার স্মাইকেল (Peter Schmeichel):

      সবাই তাকে ‘দ্য বিগ ডেইন’ বলে ডাকতো, এবং একাধারে কোচ, খেলোয়াড় ও সমর্থকদের প্রিয়পাত্র ছিলেন পিটার স্মাইকেল। অনেকেই তাকে প্রিমিয়ার লীগ যুগের সর্বোত্তম গোলকিপার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। ১৯৯৮-৯৯ এর মৌসুমটিই ছিল তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ মৌসুম, যার পরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তবে, সেই মৌসুমটি জুড়েই তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন একের পর এক অনবদ্য সব পারফর্মেন্স। তিনটি শিরোপা জেতার পেছনেও তার অবদান ছিল অপরিসীম।

    বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত সেবারের চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে, যেটি ছিল তার ক্যারিয়ারের সবশেষ ম্যাচ, তিনি বায়ার্ন মিউনিখের প্রচন্ড তোপের মুখে পড়লেও একটিবারও বলকে নিজের জালে জড়াতে দেননি। বর্তমানে তিনি প্রিমিয়ার লীগের হয়েই একজন মিডিয়া বিশারদের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

     

    • ইয়াপ স্ট্যাম (Jaap Stam):

      অত্যন্ত লম্বা এই ডাচ সেন্টার ব্যাককে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সে সময়ে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি বিশাল ট্রান্সফার ফি এর বিনিময়ে পিএসভি আইন্ডহোভেন ১ থেকে দলে ভিড়িয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেই অসাধারণ ট্রেবল জয়ের পেছনে অন্যতম নায়ক ছিলেন এই স্ট্যাম।

     

    যদিও এমনটি মনে করা হয় যে, তার প্রয়োজনের অনেক পূর্বেই তিনি ইউনাইটেড ছেড়েছিলেন, তবে এটিও মাথায় রাখতে হবে যে, যে কয়েক বছরই তিনি রেড ডেভিলদের হয়ে খেলেছেন, তার মধ্যেই তিনি নিজের নামটি ক্লাবের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখে গিয়েছেন। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ফুটবল ম্যানেজমেন্টে প্রবেশ করেন, এবং ডাচ ক্লাব ফেয়ানুর্দ বা ইংলিশ দ্বিতীয় টিয়ারের দল রিডিং এর ম্যানেজার হিসেবে বেশ কিছু বছর কাটান।

     

    • রায়ান গিগস (Ryan Giggs):

      কিংবদন্তি এই ওয়েলশ উইংগারকে শুধু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই নয়, বরং পুরো প্রিমিয়ার লীগ যুগেরই সবচেয়ে সেরা উইংগার মানা হয়। ৯৩৬ বার তিনি রেড ডেভিলদের হয়ে মাঠে নেমেছেন, যা প্রিমিয়ার লীগে যেকোন খেলোয়াড়ের জন্যই সবচেয়ে বেশি এপেয়ারেন্স। ১৯৯৯ সালের এফএ কাপের ফাইনালে আর্সেনাল এর বিপক্ষে করা তার অনবদ্য গোলটির কথা এখনো পর্যন্ত যেকোন ইউনাইটেড সমর্থকের অন্তরেই গেঁথে আছে।

    সেবছর তার ক্লাবের তিনটি শিরোপা জেতার পেছনেই তার যে অবদান ছিল, তা অস্বীকার করা বা সেটিকে ছোট করে দেখার কোনই অবকাশ নেই।

    এছাড়া, যে ‘৯২ এর ব্যাচটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখ অনেক বেশি উজ্জ্বল করেছে, সেই ব্যাচের তিনিও একজন সদস্য। তারাই মূলত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবচেয়ে সফল সময়টিকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছেন। রেড ডেভিল হিসেবেই খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ফুটবল বিশেষজ্ঞের দায়িত্বও পালন করেন, আবার কিছু সময় তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সহকারী ম্যানেজার এর দায়িত্বও পালন করেন। এরপর তিনি ওয়েলস জাতীয় দলের হেড কোচও নির্বাচিত হোন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে আসা ধর্ষণ এবং মারামারির অভিযোগের কারণে তার কোচিং জীবনে একটি বিশাল রোডব্লক এর সৃষ্টি হয়।

     

    • পল স্কোলস (Paul Scholes):

      এই ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন ইংলিশ মিডফিল্ডার তার খেলোয়াড়ী জীবনে ছিলেন একজন সত্যিকারের বীরপুরুষ। তিনি যেমনি পারতেন একটি শোচনীয় পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্যাকেল করে সাক্ষাৎ বিপদ থেকে তার দলকে বাঁচাতে, তেমনি তিনি আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দেরকে অনেক দূর থেকে স্পট করতে পারতেন, এবং তাদের উদ্দেশ্যে দূরপাল্লার পিন-পয়েন্ট পাসও এগিয়ে দিতে পারতেন। এছাড়া, তার অসামান্য গতির দূরপাল্লার শটের কথাও আমরা সকলেই জানি।

     

    আইরিশ মিডফিল্ডার রয় কিন এর সাথে তার মিডফিল্ড যুগলবন্দীর কথা মোটেও নতুন কিছু নয়। তারা একসাথে এতটাই ভালো খেলতেন যে, মূলত তাদের কারণেই যেকোন দল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পেতো। তারা দু’জনই যেমনি ছিলেন শারিরিকভাবে শক্তিশালী, তেমনি ছিলেন বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়েও অনেকটাই এগিয়ে। সাবেক এই ইংলিশ তারকা এখন একজন ফুটবল পন্ডিত হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন, যদিও মাঝে তিনি কিছুদিনের জন্য স্যালফোর্ড সিটি নামক একটি ক্লাবে ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার সেই একমাত্র ম্যানেজারিয়াল ভেঞ্চারটিকে অবশ্য তিনি খুব তাড়াতাড়িই ভুলে যেতে চাইবেন।

     

    • রয় কিন (Roy Keane):

      সাবেক এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক ছিলেন ক্লাবটির জন্য একজন অল-অ্যাকশন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, যিনি পুরো মাঠ চষে বেড়াতে পারদর্শী ছিলেন। তার সেই চরম কর্মদক্ষতার পাশাপাশি তার অন্যান্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ারগুলি ছিল তার অসামান্য এগ্রেশন, এবং জেতার জন্য তার অখন্ডিত ইচ্ছাশক্তি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার বিচরণ শুধু মাঠের খেলায়ই ছিল না, বরং ড্রেসিং রুমের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও তার ভূমিকা ও প্রভাব ছিল অপরিসীম।

    যদিও তিনি ১৯৯৯ সালে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালটিতে খেলতে পারেননি, তবুও সেই একই বছর সেই একই টুর্নামেন্টে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে তিনি যে অসাধারণ ক্রীড়ানৈপূণ্য প্রদর্শন করেছিলেন, তা দেখে অনেকেই তাকে সর্বকালের সেরা মিডফিল্ডারের খেতাব প্রদান করে ফেলেন। নিঃসন্দেহে সেটি ছিল ফুটবল ইতিহাসে কোন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের সেরা পারফর্মেন্সগুলির একটি। অবসরের পর তিনি কিছুদিনের জন্য ফুটবল ম্যানেজমেন্টে প্রবেশ করলেও, সেখানে তিনি বেশিদিন টিকতে পারেননি। বর্তমানে অবশ্য তিনি স্কাই স্পোর্টসে ফুটবল বিশারদের ভূমিকা পালন করছেন, এবং সেখানেও তিনি দর্শকদের খুবই পছন্দের একজন চরিত্র হয়ে উঠেছেন।

     

    • ডেভিড বেকহ্যাম (David Beckham):

      গ্ল্যামারে ভরা এই সাবেক ইংলিশ উইংগার হলেন বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে আনকোরা ও জনপ্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তার সেই জনপ্রিয়তার কারণ শুধু মাঠে তার পারফর্মেন্স নয়, বরং আরো অনেক কিছু। ফুটবলের বাইরে তার নানান কার্যক্রম আধুনিক ফুটবলারদের জন্যও শুধুমাত্র খেলাধুলার বাইরেও অনেকভাবে অবদান রাখার পথ খুলে দেয়। 

     

    বেকহ্যাম, যিনিও কি না ইউনাইটেডের সেই বিখ্যাত ‘৯২ ব্যাচেরই সদস্য ছিলেন, ফুটবলের জন্য এক কথায় একজন পাগলই ছিলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তার বেন্ডিং ফ্রি কিক এবং কার্ভিং ক্রসগুলির কারণে। এবং, ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে সেই জাদুকরী ক্রসগুলির মধ্যেই দুটিকে কাজে লাগাতে সক্ষম হোন স্ট্রাইকার ওলে গানার সলসকিয়ের। সেটির উপর ভর করেই ক্লাবটি ট্রেবল জিততে পেরেছিল। অবসরের পর ডেভিড বেকহ্যাম যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করতে থাকেন, এবং মূলত ফুটবল প্রশাসনের দিকেই মনযোগ দেন। সেখানকার বিনোদন জগতে নিজেকে মেলে ধরার পাশাপাশি তিনি ইন্টার মায়ামি নামক সেখানকার একটি এমএলএস (মেজর লীগ সকার) ক্লাবের মালিকানার একটি অংশও কিনে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

     

    • ওলে গানার সলসকিয়ের (Ole-Gunnar Solskjaer):

      দেখতে একজন শিশুর মত হলেও, কাজের দিক দিয়ে যেকোন প্রাপ্তবয়স্ককে হার মানাতে সক্ষম ছিলেন এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড। সমসাময়িক খেলোয়াড় ও ম্যানেজারদের কাছে তিনি একজন গোল মেশিন হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ক্যাম্প ন্যু’তে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালের শেষ মুহূর্তে তার করা সমতাসূচক গোলটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ট্রেবল জয়ের স্বপ্নটিকে বাঁচিয়ে রাখে। 

     

    খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেওয়ার পর তিনি ফুটবল ম্যানেজমেন্টে প্রবেশ করেন, এবং এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, যদিও তিনি ক্লাবটিকে ম্যানেজার হিসেবে কোন শিরোপাই এনে দিতে পারেননি। তবুও, সেটি তার জন্য একটি বিশাল অর্জন ছিল। ২০২১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি এখনো পর্যন্ত স্বদিচ্ছায় চাকরিহীন অবস্থায় রয়েছেন।

     

    • এন্ডি কোল (Andy Cole):

      সাবেক এই ইউনাইটেড স্ট্রাইকার ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটানো তার অসংখ্য মৌসুমগুলি জুড়েই গোলের সামনে একটি বিশাল হুমকির নাম ছিলেন। সলসকিয়ের দলে আসার আগেও ডোয়াইট ইয়র্ক এর সাথে এন্ডি কোল এর অসাধারণ যুগলবন্দীর সাক্ষী পুরো দুনিয়া। তিনি একজন গোল মেশিন তো ছিলেনই, পাশাপাশি তিনি পুরো দলের জন্য জানপ্রাণ দেওয়া একজন খেলোয়াড়ও ছিলেন। তিনিও বর্তমানে একজন ফুটবল বিশারদ হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

     

    এখানে উল্লেখিত খেলোয়াড়েরা ছাড়াও সেবারের ইউনাইটেড দলে আরো অনেক কিংবদন্তি ও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়েরা বিদ্যমান ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নিক বাট, ডেনিস আরউইন, ডোয়াইট ইয়র্ক, মার্ক হিউস প্রমুখ। তালিকায় উল্লেখিত খেলোয়াড়েরা কিছুটা বেশি অবদান রাখলেও বাকিদের অবদানকেও কোন অংশেই ছোট করে দেখা যাবে না, কারণ একটি পরিপূর্ণ স্কোয়াড এবং রোটেটিং এর জন্য ভালো ভালো অপশন না থাকলে অবশ্যই রেড ডেভিলরা ট্রেবল জয়ের স্বপ্নটিও দেখার সাহস করতে পারতেন না।

    পড়ুন:  প্রিমিয়ার লীগঃ বিশ্বের সেরা সব ম্যানেজারদের একমাত্র ঠিকানা
    Share.
    Leave A Reply