প্রেডিকশন (Prediction)

নটিংহ্যাম ফরেস্ট ১ – ২ এস্টন ভিলা

২.৫ গোলের উর্ধ্বে

এস্টন ভিলা +১.০ (এশিয়ান হ্যান্ডিক্যাপ)

 

গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ (Key notes)

  • এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে নটিংহ্যাম ফরেস্ট যে ২১টি গোল হজম করেছে, তার মধ্যে ৯টি (৪৩%) গোলই এসেছে ডি বক্সের বাইরে থেকে। এটি এই বিষয়ে প্রিমিয়ার লীগের সকল দলের মধ্যেই সর্বোচ্চ সংখ্যা। তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের সবকটিতেই তারা কমপক্ষে একটি গোল এমন হজম করেছে, যা প্রতিপক্ষের কোন খেলোয়াড় তাদের ডি বক্সের বাইরে থেকে মেরে করেছে। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে এমন নজির আর দ্বিতীয়টি নেই।
  • এল্যান্ড রোডে তাদের সর্বশেষ ম্যাচে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে এস্টন ভিলা’র হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন ফুল ব্যাক এশলি ইয়াং। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে তৈরি করা তার ৬টি গোলের সুযোগের পরই এই ম্যাচটির অবস্থান। তার বয়স এখন ৩৭ বছর ৮৫ দিন। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স এর বিপক্ষে খেলা একটি ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি পল স্কোলস (৩৭ বছর, ১৪৪ দিন) সমপরিমাণ গোলের সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারপরই অবস্থান করে নিলেন এশলি ইয়াং, যিনি কি না উক্ত ম্যাচটিতেও পল স্কোলস এর সাথে খেলেছিলেন।

 

ফর্ম বিবরণী (সর্বশেষ ৫টি ম্যাচ) [Form Guide (Last 5 matches)]

নটিংহ্যাম ফরেস্টঃ পরাজয় – পরাজয় – পরাজয় – পরাজয় – পরাজয়

এস্টন ভিলাঃ ড্র – জয় – ড্র – পরাজয় – পরাজয়

 

ম্যাচটি সম্পর্কিত কিছু তথ্য (Match Facts)

  • ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হওয়ার পর এবারই প্রথম নটিংহ্যাম ফরেস্ট এবং এস্টন ভিলা একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে। তাদের মধ্যকার সর্বশেষ সেই ম্যাচটিতে এস্টন ভিলা ৩-১ গোলের একটি দূর্দান্ত অ্যাওয়ে জয় তুলে নিয়েছিল। সেই মৌসুমে ভিলা পার্কে অনুষ্ঠিত তাদের মধ্যকার অপর ম্যাচটি ৫-৫ গোলে ড্র হয়েছিল।
  • প্রিমিয়ার লীগে ১৯৯২ থেকে শুরু করে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এস্টন ভিলা’র বিরুদ্ধে খেলা ১০টি ম্যাচের মধ্যে নটিংহ্যাম ফরেস্ট কেবলমাত্র একটিতেই জয়লাভ করতে পেরেছিল (৪টি ড্র, ৫টি পরাজয়)। ১৯৯৪ সালের অক্টোবর মাসে যে একটি ম্যাচে এস্টন ভিলা’র বিরুদ্ধে নটিংহ্যাম ফরেস্ট জিতেছিল, সেই ম্যাচটিতে রেফারি হিসেবে ছিলেন কিথ কুপার, যিনি কি না কাকতালীয়ভাবে বর্তমান ফরেস্ট কোচ স্টিভ কুপার এর বাবা।
পড়ুন:  কোপেনহেগেন বনাম ম্যানচেস্টার সিটি প্রিভিউ

 

যেসকল গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের উপর সবার নজর থাকবে (Key players to watch out for)

জেসি লিংগার্ড – নটিংহ্যাম ফরেস্ট (Jesse Lingard – Nottingham Forest)

ফর্ম ক্ষণিকের হলেও ক্লাস কিন্তু সার্বজনীন। প্রচুর প্রত্যাশা নিয়ে জেসি লিংগার্ডকে এক বছরের চুক্তিতে দলে ভেড়ালেও এখন পর্যন্ত কোনরকম ফর্মের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি। তবে, তার প্রতিভার ভান্ডার বেশ বড় হওয়ায় এমনটি আশা করাই যায় যে তিনি শীঘ্রই ফর্মে ফিরবেন, এবং সেটি এস্টন ভিলা’র বিপক্ষে ঘটলেও অবাক হবে না কেউই।

 

ওলি ওয়াটকিন্স – এস্টন ভিলা (Ollie Watkins – Aston Villa)

গতিশীল এবং সুচতুর এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডও এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত নিজেকে পুরোপুরিভাবে তুলে ধরতে পারেননি। এস্টন ভিলাকে প্রিমিয়ার লীগে থাকতে হলে যে করেই হোক ওয়াটকিন্সকে ফর্মে ফেরাতে হবে। ইংল্যান্ড এর বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য হলেও এখন সময় এসেছে তার প্রতিভার ঝুলিটি খোলার। ফর্মে ফেরার জন্য নটিংহ্যাম ফরেস্ট এর চেয়ে ভালো প্রতিপক্ষ আর কে হতে পারে?

Share.
Leave A Reply