প্রেডিকশন (Prediction)

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২ – ১ ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড

    ২.৫ গোলের উর্ধ্বে

    ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড +১.৫০ (এশিয়ান হ্যান্ডিক্যাপ)

    গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ (Key notes)

    • ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লীগে তাদের খেলা সর্বশেষ ১৪টি হোম ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র একটিতে পরাজিত হয়েছে (৮টি জয়, ৫টি ড্র)। ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা তার আগের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে অবশ্য তারা ৬টিতেই হেরেছিল। ২০২০ সালের জুন মাসের পর থেকে তারা প্রথমবারের মত পর পর তিনটি হোম ম্যাচে ক্লিন শিটের অপেক্ষায় রয়েছে (সেবার পর পর ৪টি ম্যাচে ক্লিন শিট রেখেছিল তারা)।
    • ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড তাদের খেলা সর্বশেষ ১৭টি অ্যাওয়ে প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচের মধ্যে কেবলমাত্র ২টিতেই ক্লিন শিট রাখতে পেরেছে। এছাড়া, তারা তাদের খেলা সর্বশেষ ১৪টি অ্যাওয়ে প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতেই জয়লাভ করতে পেরেছে (২টি ড্র, ১০টি পরাজয়)।
    • এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে সকল দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা (মোট ৩২টি)। বর্তমানে তাদের ম্যাচপ্রতি হলুদ কার্ড দেখার গড় হল ২.৯টি, যা কি না প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে একটি মৌসুমে যেকোন দলের জন্যই সর্বোচ্চ।
    • প্রিমিয়ার লীগে এবারের মৌসুমে শুধুমাত্র ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন (৫ বার), এবং আর্সেনালই (১০ বার) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (১৬ বার) চেয়ে কম সংখ্যক বার নিজেদের মূল একাদশে পরিবর্তন এনেছে। গত মৌসুমে রেড ডেভিলরা সম্মিলিতভাবে লীগের চতুর্থ সর্বোচ্চ সংখ্যক বার পরিবর্তন করেছিল (১০৬ বার)।

    ফর্ম বিবরণী (সর্বশেষ ৫টি ম্যাচ) [Form Guide (Last 5 matches)]

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডঃ ড্র – জয় – ড্র – জয় – পরাজয়

    ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডঃ জয় – পরাজয় – ড্র – জয় – জয়

    ম্যাচটি সম্পর্কিত কিছু তথ্য (Match Facts)

    • ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে তাদের খেলা সর্বশেষ ৪টি ম্যাচেই জয়লাভ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। হ্যামার্সদের বিপক্ষে ২০০৮ এবং ২০১২ সালের মাঝামাঝি টানা ৮ ম্যাচের জয়ের ধারার পরে এটিই তাদের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবচেয়ে বড় হয়ের ধারা।
    • ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাদের সর্বশেষ ১৪টি সফর থেকে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড কেবলমাত্র ৩টি পয়েন্ট হাসিল করতে পেরেছে, যার মধ্যে তাদের অনুকূলে কোন জয়ও নেই (৩টি ড্র, ১১টি পরাজয়)। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাদের সর্বশেষ সেই জয়টি এসেছিল ২০০৭ সালের মে মাসে। ১-০ গোলের সেই জয়ে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন কার্লোস তেভেজ।
    • ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রিমিয়ার লীগের অন্য যেকোন দলের চেয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি বার পরাজিত হয়েছে (২১ বার)। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শুধুমাত্র টটেনহ্যাম হটস্পার্স এর বিপক্ষেই এর চেয়ে বেশি হোম ম্যাচে জয়লাভ করেছে (২৪টি)।
    • ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের ম্যানেজার ডেভিড ময়েস প্রিমিয়ার লীগে কোন দলের হয়েই ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে পারেননি। এ পর্যন্ত ১৫ বার মাঠটিতে সফর করে তিনি ৪টি ড্র এবং ১১টি পরাজয়ের স্বাদই পেয়েছেন শুধু। সেই ১০ ম্যাচে তার দলগুলি শুধুমাত্র ১০টি গোল করতে পেরেছে। তার মধ্যে ৪০% গোলই এসেছিল ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে, যখন তিনি এভারটনের হয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে ৪-৪ গোলে ড্র করেছিলেন।
    পড়ুন:  এভারটন বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিভিউ

    যেসকল গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের উপর সবার নজর থাকবে (Key players to watch out for)

    মার্কাস র‍্যাশফোর্ড – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (Marcus Rashford – Manchester United)

    ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড এর বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মার্কাস র‍্যাশফোর্ড যে তিনটি গোল করেছেন তার সবকটিই তিনি স্কোর করেছেন একজন সাবস্টিটিউট হিসেবে। গত মৌসুমে এই ফিক্সচারে তিনি ৯০তম মিনিটে একটি অসাধারণ জয়সূচক গোল করেছিলেন, তাও সেই সাবস্টিটিউট হিসেবে নামার পরেই।

    প্রিমিয়ার লীগে কোন নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে এর চেয়ে বেশি গোল করেছেন আর মাত্র পাঁচজন খেলোয়াড়ই — জুলিয়ান হোয়াকিম (৫টি, ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে), ওলে গানার সলসকিয়ের (৪টি, নটিংহ্যাম ফরেস্ট এর বিপক্ষে), হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজ (৪টি, চেলসি’র বিপক্ষে), অলিভিয়ে জিরুঁ (৪টি, সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে), রবি কিন (৪টি, ম্যান সিটি’র বিপক্ষে)।

    মিকাইল এন্তোনিও – ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড (Michail Antonio – West Ham United)

    যত নতুন স্ট্রাইকারই আসুক না কেন, এই জামাইকান ফরোয়ার্ডই এখনও ওয়েস্ট হ্যাম দলের মূল কান্ডারি হিসেবে গণ্য হচ্ছেন, কারণ মূলত সাবস্টিটিউট হিসেবে বেশির ভাগ ম্যাচে নামলেও প্রিমিয়ার লীগে ২টি গোল নিয়ে এবারের মৌসুমে সম্মিলিতভাবে তিনিই ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলদাতা।

    Share.
    Leave A Reply