প্রেডিকশন (Prediction)

    ভেন্যুঃ এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম

    ডেনমার্ক ২ – ০ তিউনিশিয়া

    উভয় দলের জন্যই কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ হতে চলেছে তাদের ইতিহাসের ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ, তবে এই ম্যাচটিতে প্রবেশের পূর্বে তিউনিশিয়ার চেয়ে ডেনমার্কই অধিকতর আত্মবিশ্বাসী থাকবে। সেটির পেছনে মূল কারণই হল পূর্বের বিশ্বকাপ আসরগুলিতে তাদের ভালো পারফর্মেন্স। ডেনমার্ক তাদের ইতিহাসে এর পূর্বে বিশ্বকাপে মোট ২০টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে ৯টিতেই তারা জিতেছে, ড্র করেছে ৫টিতে, এবং হেরেছে মাত্র ৫টিতে।

    অন্যদিকে, তিউনিশিয়া এর আগে বিশ্বকাপে মোট ১৫টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে তারা জিততে পেরেছে মাত্র ২টিতে, ৪টিতে তারা করেছে ড্র, এবং বাকি ৯টিতেই হেরেছে। আবার, যেখানে ডেনমার্ক বেশির ভাগ আসরেই গ্রুপ পর্যায় পার করেছে, সেখানে তিউনিশিয়া কখনোই বিশ্বকাপের নক আউট পর্যায়ে খেলতে পারেনি। এবার তারা সেই তথ্যটি পরিবর্তন করার লক্ষ্যেই মাঠে নামবে।

    ফর্ম বিবরণীঃ ডেনমার্ক (Form Guide: Denmark)

    এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সকল ইউরোপীয় দলের জন্যই প্রস্তুতি টুর্নামেন্টের কাজ করেছে উয়েফা নেশনস লীগ, এবং সেই প্রতিযোগিতাটিতে খুব ভালো পারফর্ম করেছে ডেনমার্ক।

    টুর্নামেন্টটিতে ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে দুই লেগেই স্মরণীয় জয় অর্জন করেছিল তারা। তা থেকে এই বোঝা যায় যে, প্রতিপক্ষের শক্তি সামর্থ্য যাই হোক না কেন, ডেননার্ক তাদেরকে যেকোন দিন হারিয়ে দিতে পারে। সেই প্রস্তুতি পর্বে শুধুমাত্র ক্রোয়েশিয়াই তাদেরকে রুখে দিতে পেরেছে।

    ফর্ম বিবরণীঃ তিউনিশিয়া (Form Guide: Tunisia)

    বিশ্বকাপে প্রবেশের পূর্বে বিভিন্ন সময়ে খেলা তাদের সর্বশেষ ৬টি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে ৩টিতেই জিতেছে তিউনিশিয়া। এক বিখ্যাত ম্যাচে তারাগত আফ্রিকান কাপ অব নেশনস এ নাইজেরিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল। এছাড়া, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তারা আরেক আফ্রিকান পাওয়ার হাউজ মালিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছিল।

    তবে, বোধগম্য হলেও তাদের জন্য কিছুটা লজ্জার বিষয় এই যে, যখন একটি প্রস্তুতি ম্যাচে তারা ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন তারা ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল। তাদের শক্তিমত্তা অনুসারে সেটি মেনে নিলেও সেই ম্যাচটি থেকে একটি ধারণা পাওয়া গিয়েছে যে, বড় দলের বিপক্ষে তারা কেমন পারফর্ম করতে পারে।

    পড়ুন:  ম্যান সিটি বনাম রিয়াল মাদ্রিদ: গার্দিওলা আরও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠবেন

    ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

    এই দুই দল কেবলমাত্র দ্বিতীয় বারের মত একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে। ২০০২ সালে প্রথমবার একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে তিউনিশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ডেনমার্ক। সেই ফলাফল এবং সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করে এটি বলাই যায় যে, এই ম্যাচে ডেনমার্কই জেতার জন্য ফেভারিট, তবে তিউনিশিয়া যদি প্রত্যাশার অনেক উপরে পারফর্ম করতে পারে, তাহলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারে।

    Share.
    Leave A Reply