...

    আর মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরে অংশগ্রহণ করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন কোণা থেকে ৩২টি দল ছুঁটে আসবে।

    ফিফা বিশ্বকাপ মানেই হল বিশ্বের সব খ্যাতনামা তারকাদের মিলনমেলা, যেখানে তারা সকলেই চেষ্টা করে অসাধ্যকে সাধন করতে, এবং ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিয়ে অমর হয়ে যেতে।

    ফুটবল হল নানান মানুষের নানান গল্পে ভরা একটি খেলা, এবং সেসব গল্পের একটি বিশাল উৎপত্তিস্থল হল ফিফা বিশ্বকাপ। সেখানে একই সাথে থাকে সর্বোচ্চ ঝুকি এবং খেলার সর্বোচ্চ পর্যায়। শুধু বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলিই এসকল গল্পের অংশ হয় না, বরং সেখানে খেলা প্রত্যেকটি খেলোয়াড়েরই একেকটি লেগ্যাসি তৈরি হয়।

    যুবা খেলোয়াড়েরা বিশ্বকাপে যায় পুরো বিশ্বের কাছে নিজেদের নাম তুলে ধরতে, আবার অন্যদিকে এমনও অনেক খেলোয়াড় আছেন যারা এর আগে এক বা একাধিক বিশ্বকাপে খেলেছেন, এবং এবার তাদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে অংশ নিতে কাতারে যাচ্ছেন। পরের প্রকারের খেলোয়াড়েরা অবশ্যই চাইবেন এই অধরা শিরোপাটি জেতার আরেকটি শেষ চেষ্টা চালাতে।

    এসকল বিষয় মাথায় রেখে চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন ১০ জন ফুটবল তারকাকে, যাদের জন্য এবারের ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ ই হতে পারে তাদের ক্যারিয়ারের সর্বশেষ বিশ্বকাপ।

    ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো – পর্তুগাল (Cristiano Ronaldo – Portugal)

    “আমার জন্য খুব ভালো একটি ব্যাপার। আমি অবশ্যই কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ কে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ হিসেবেই গণ্য করছি।” কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ সম্পর্কে সম্প্রতি এমন মন্তব্যই করেছেন সুপারস্টার পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে নিয়ে এখন আর নতুন করে কাউকেই কিছু বলার নেই। তিনি ফুটবলের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, এবং তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তির কয়েক শত বছর পরও তিনি তাই থাকবেন।

    বিশ্ব ফুটবলে এমন খুব কম খেলোয়াড়ই রয়েছেন যারা কি না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো’র সমান অর্জন করতে পেরেছেন, এবং আগামী বহু যুগেও তার সমান অর্জন খুব কম খেলোয়াড়ই করতে পারবে। ৩৭ বছর বয়সী এই সুপারস্টার ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব অর্জন করেছেন। মহাদেশীয় পর্যায়ে তিনি তার দেশকে উয়েফা ইউরোর মত বিশাল সম্মানও জিতিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বিশ্বকাপ পর্যায়ে কখনোই সেমি ফাইনালের দায়রাটি পার করতে পারেননি, শিরোপা তো দূরেরই কথা।

    এটি হতে চলেছে তার ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফা বিশ্বকাপ, এবং এবারের আসরে তিনি আগা-গোড়া একটি প্রতিভাবান পর্তুগাল দল নিয়েই কাতার যাচ্ছেন। তার প্রধান দু’টি লক্ষ্য থাকবে অবশ্যই বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা, এবং বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া।

    লিওনেল মেসি – আর্জেন্টিনা (Lionel Messi – Argentina)

    এই বিশ্বকাপে আমরা একটি স্বর্ণযুগের সমাপ্তি দেখতে যাচ্ছি, কারণ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো’র পাশাপাশি তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির জন্যেও এটিই হবে তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ফিফা বিশ্বকাপ। এবং, ঠিক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো’র মতই, লিওনেল মেসিও আজীবন ফুটবলের এক বিশাল কিংবদন্তি হয়েই থেকে যাবেন।

    এছাড়াও, রোনাল্ডো’র মতই মেসিও মহাদেশীয় পর্যায়ে নিজের দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলেও, বিশ্বকাপ শিরোপায় নিজের হাতটি রাখতে পারেননি। এবারের বিশ্বকাপে তিনি সেটি করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন, সে ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই।

    দু’জনের গল্প এক জায়গায় মিলিতও তো হতে পারে। বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা বনাম পর্তুগাল এর খেলা হলে কেমন হয়?

    ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছিলেন মেসি ও তার দল আর্জেন্টিনা। কিন্তু, সেই ম্যাচে জার্মানির কাছে নির্মমভাবে হেরে তাদের কাঁদতে হয়েছিল। মেসিও তাই জানেন বিশ্বকাপ শিরোপার এত কাছে এসেও সেটি ছুঁতে না পারার কষ্টটি কেমন। আপনি যদি গত বিশ্বকাপে ফ্রান্সের নিকট আর্জেন্টিনার পরাজয়টি আমলে নেন, তাহলে দেখা যাবে যে, গত দুই বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনা হেরেছে সেবারের শিরোপাজয়ী দেশটির কাছেই।

    ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আসরে অবশ্য মেসি এবং তার সতীর্থরা কোনভাবেই চাইবেন না অন্যদের শিরোপা জয়ের সিঁড়ি হতে। এবার তারা নিজেরাই রাজা হতে চাইবেন। এছাড়া, ২০১৪ সালের পর আবারও মেসির সামনে বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জেতার হাতছানি। সেটিও তার জন্য একটি বিশাল প্রাপ্তিই হবে।

    রবার্ট লেভানডফস্কি – পোল্যান্ড (Robert Lewandowski – Poland)

    পোল্যান্ডের কিংবদন্তি এই স্ট্রাইকার হলেন এ যুগের অন্যতম সেরা একজন ফুটবলার, এবং সম্ভবত পোল্যান্ডের ফুটবলীয় ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। তবে, ফিফা বিশ্বকাপে তিনি এখনও পর্যন্ত নিজের ছাপ কিছুটাও ছাড়তে পারেননি।

    তার বয়স এখন ৩৪ পার হয়েছে। তাই, এমনটিও হতে পারে যে, কাতারে অনুষ্ঠিতব্য এই পোলিশ সুপারস্টার এর দ্বিতীয় বিশ্বকাপটিই তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ বিশ্বকাপ। তার প্রথম বিশ্বকাপটি তার জন্য একদমই ফলপ্রসূ হয়নি। রাশিয়ায় তার দল গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নেয়, এবং তিনি সেখানে একটি গোলও করতে ব্যর্থ হোন।

    পোল্যান্ড হয়তো এবার বিশ্বকাপ জেতার জন্য ফেভারিটস নয়, তবে রবার্ট লেভানডফস্কি নিশ্চয় চাইবেন তার (আনুমানিক) সর্বশেষ বিশ্বকাপে কিছুটা হলেও নিজের ছাপ রেখে যেতে।

    লুকা মদ্রিচ – ক্রোয়েশিয়া (Luka Modric – Croatia)

    ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জয়ী এবং রানার্স আপ মেডেলধারী এই সুপারস্টার এবারের বিশ্বকাপে নিশ্চয় চাইবেন আরেক ধাপ এগিয়ে তার দলকে বিশ্বকাপের শিরোপাটি জেতাতে।

    লুকা মদ্রিচ ইতিমধ্যে তার ক্যারিয়ারে মোট ৪টি ফিফা বিশ্বকাপ খেলেছেন, এবং লাখো ক্রোয়েশিয়ান ভক্তের মত তিনিই আশা করবেন যেন ৫ম বারে গিয়ে তিনি শিরোপাটি হাতে তুলতে পারেন। ৩৭ বছর বয়সী এই রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ইতিমধ্যে তার দেশের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ এপিয়ারেন্স হোল্ডারে পরিণত হয়েছেন, এবং তিনি নিশ্চয় মনে প্রাণে চাইবেন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে তার দেশকে একটি শিরোপা এনে দিতে।

    কারিম বেঞ্জেমা – ফ্রান্স (Karim Benzema – France)

    কারিম বেঞ্জেমা হলেন ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরষ্কার জয়ী সর্বশেষ খেলোয়াড়, অর্থাৎ বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় তিনিই। তিনি ইঞ্জুরির কারণে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের অংশ হতে পারেননি, তবে গত উয়েফা ইউরো ২০২০ এবং সদ্য সমাপ্ত উয়েফা নেশনস লীগে তিনি খুব ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সেই দলটিতে তিনি থাকলে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয় আরো সহজ ও বাঁধাহীন হতে পারত।

    ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তিনি ৩টি গোল ও ২টি এসিস্ট অর্জন করেছিলেন। তবে, তখনকার বেঞ্জেমা এবং এখনকার বেঞ্জেমার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। বর্তমানে তিনি তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্ম পার করছেন, এবং তিনি বল পায়ে পেলেই যেন গোলেএ সম্ভাবনা তৈরি হয়। কারিম এর কারিশমা দেখতে কাতার কি এখনো প্রস্তুত? সম্ভবত না।

    লুইস সুয়ারেজ – উরুগুয়ে (Luis Suárez – Uruguay)

    বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে সমালোচিত ঘটনাগুলির একটির জন্মদাতা লুইস সুয়েয়ারেজ এবার উরুগুয়ের হয়ে তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ বিশ্বকাপটি খেলতে কাতার যাচ্ছেন। ২০১০ সালে তিনি সেই সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন, যখন তিনি হাত দিয়ে একটি গোলমুখী বল ধরে ঘানাকে তাদের এবং যেকোন আফ্রিকান দেশের ইতিহাসে প্রথম সেমি ফাইনাল খেলা থেকে রুখে দিয়েছিলেন। এছাড়া, ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার জর্জিও চিয়েলিনি’র ঘাড়ে কামড় দিয়ে তিনি আরেক কীর্তি গড়েছিলেন।

    এটি অনেকটাই নিশ্চিত যে, গ্রুপ পর্যায়ে উরুগুয়ের শেষ ম্যাচটিতে তিনি খেলবেন সেই ব্ল্যাক ক্যাটস খ্যাত ঘানার বিপক্ষেই, যাদেরকে তিনি ১২ বছর আগে ঘায়েল করেছিলেন।

    বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে একজন বৈচিত্র্যময় এবং স্মরণীয় চরিত্র হয়েই চিরকাল থেকে যাবেন লুইস সুয়ারেজ। তার অন্যান্য কর্মের পাশাপাশি খেলার মাঠে উরুগুয়ের একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে তার অর্জনও মোটেও কম নয়। চিয়েলিনিকে কামড় দিয়ে বেশ কয়েক মাস নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পূর্বে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় দুইটি গোল করেছিলেন, যা সকলের মনেই আজও দাগ কেটে রেখেছে।

    তবে, তার ক্যারিয়ারের সবশেষ বিশ্বকাপটিকে তিনি সমালোচনায় না মুড়িয়ে অবশ্যই সফলতা দিয়েই মোড়াতে চাইবেন।

    এডিনসন কাভানি – উরুগুয়ে (Edinson Cavani – Uruguay)

    আমরা লুইস সুয়ারেজ এর পরেই উরুগুয়ে দলে তার স্ট্রাইক পার্টনার এডিনসন কাভানিকে এই তালিকায় স্থান দিতে চাই। সুয়ারেজ এর মত কাভানিও এই যুগের সেরা স্ট্রাইকারদের মধ্যে একজন।

    উরুগুয়ের হয়ে লুইস সুয়ারেজ এর পাশে তার ক্যারিয়ারের সবশেষ ফিফা বিশ্বকাপ আসরটিতে অংশ নিতে চলেছেন কাভানি। যদিও সুয়ারেজের মত তিনি বিশ্বকাপ ফুটবলে নিজেকে কিংবদন্তি’র খেতাব এনে দিতে পারেননি, তবুও মাঠের খেলায় টুর্নামেন্টটিতে তিনি নিজের বেশ কিছু ছাপ ঠিকই ছেড়েছেন। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে তিনি পর্তুগালের বিপক্ষে দুইটি অসাধারণ গোল করেছিলেন, যা উরুগুয়ে সমর্থকরা সহজে ভুলবেন না।

    ম্যানুয়েল নয়ার – জার্মানি (Manuel Neuer – Germany)

    জার্মানির অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়ার সম্প্রতি বলেছেন যে, তার শরীর যতদিন কুলাবে, ততদিন তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফুটবল খেলে যাবেন। তবে, খুব সম্ভবত এই আসন্ন বিশ্বকাপটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। নিঃসন্দেহে নয়ার জার্মান ফুটবলের একজন কিংবদন্তি, এবং এ যুগের শ্রেষ্ঠ গোলকিপারদের মধ্যে একজন।

    তিনি হলেন বর্তমানে বিশ্বখ্যাত “সুইপার-কিপার” এর জনক, যেটির পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার তিনি করেছিলেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে, যে আসরে জার্মানি তাদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ শিরোপাটি জিতেছিল। সেবারের আসরে তিনি সেরা গোলকিপারের খেতাব অর্থাৎ গোল্ডেন গ্লাভস পুরষ্কারটিও জিতেছিলেন।

    প্রথম জার্মান গোলকিপার হিসেবে তিনি ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, এবং তার জাতীয় দলের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার ক্লিন শিট রাখতে সক্ষম হয়েছেন। কাতারে তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপাটি জিততে পারলে সেটি তার জন্য হবে সবচেয়ে স্মরণীয় বিদায়।

    থিয়াগো সিলভা – ব্রাজিল (Thiago Silva – Brazil)

    ৩৮ বছর বয়সেও থিয়াগো সিলভা বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন হিসেবেই পরিলক্ষিত হোন। বর্তমান মৌসুমে ক্লাব পর্যায়ে তার একের পর এক অসাধারণ পারফর্মেন্সই বলে দিচ্ছে যে, বয়স তার জন্য শুধুমাত্র কিছু সংখ্যা। যখন তিনি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন, তখন তাকে সর্বকালের সেরা একজন ডিফেন্ডার হিসেবেই বিদায় দেয়া হবে।

    তার জাকজমকপূর্ণ খেলোয়াড়ী জীবন্র অধরা শিরোপা বলতে শুধু এই বিশ্বকাপ শিরোপাটিই রয়েছে। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপ হতে চলেছে, এবং সম্ভবত তার শেষ বিশ্বকাপও এটিই হতে চলেছে। তাই, সেই অধরা শিরোপা জেতার এবং বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ব্রাজিল সমর্থকদের মাতানোর এই শেষ সুযোগটি তিনি নিশ্চয় হাতছাড়া করতে চাইবেন না।

    নেইমার জুনিয়র – ব্রাজিল (Neymar Jr. – Brazil)

    মাত্র ৩০ বছর বয়সে এটিই হবে ব্রাজিলের হয়ে নেইমার জুনিয়রের তৃতীয় ও সর্বশেষ বিশ্বকাপ আসর।

    এবছরের শুরুতে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমার মনে হয় এটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। আমার তেমনটি মনে হওয়ার কারণ হল এই যে, আমি আর কতদিন এই পর্যায়ে ফুটবল খেলে যেতে পারব সে ব্যাপারে আমি একদমই নিশ্চিত নই। তাই আমি এবারউ চেষ্টা করব ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার, এবং আমার প্রাণপ্রিয় দেশের হয়ে শিরোপাটি জয়লাভ করেই দেশে ফেরার। সেই ছোট্টকাল থেকে এটিই আমার একমাত্র স্বপ্ন, এবং আশা করি এবার আমি সেটি পূরণ করতে পারব।”

    প্যারিস সেইন্ট জার্মেই অর্থাৎ পিএসজি’তে এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটি মৌসুম পার করছেন। বেশির ভাগ বুকমেকারের মতেই ব্রাজিল হল এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের জন্য সবচেয়ে ফেভারিট দল, এবং সেই দলের কান্ডারি বা কেন্দ্রবিন্দুই হলেন নেইমার। কাতারে হয়তো আমরা নেইমারের নিকট হতে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা পারফর্মেন্সগুলির একটিই দেখতে চলেছি। এখন শুধু সময়ই বলে দিতে পারবে, কি রয়েছে নেইমার এবং ব্রাজিলের ভাগ্যে।

    Share.

    Leave A Reply

    Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
    Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.