কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ শুরুর আগে স্বভাবতই সারা বিশ্বজুড়ে এখন এক ধরনের রমরমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। বিশ্বকাপকে নিয়ে মাতামাতি এবার যেন অনেকগুণে বেড়ে গিয়েছে, কারণ ৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই টুর্নামেন্টটি এবার প্রথমবারের মত আরব বিশ্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বহুল প্রতীক্ষিত টুর্নামেন্টটি শুরু হওয়ার পূর্বেই প্রচুর ফুটবল প্রেমী ও বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু করে দিয়েছেন যে, টুর্নামেন্টটিতে কি কি ঘটতে পারে।

যদিও ফুটবল খুবই অনিশ্চয়তার একটি খেলা, এবং যেকোন দিন যেকোন দল অঘটন ঘটিয়ে দিতেই পারে, তবুও আমরা এই নিবন্ধটিতে চেষ্টা করেছি এটি তুলে ধরতে যে, কোন গ্রুপ থেকে কোন কোন দল পরের রাউন্ডে যেতে পারে। আমরা এসকল প্রেডিকশন করেছি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে এবং কাগজে কলমে দলগুলির শক্তিমত্তা বিচার করে।

তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এবারের কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর গ্রুপ পর্যায় থেকে কোন কোন দল পরবর্তী রাউন্ডে অগ্রসর হতে পারে।

গ্রুপ ‘এ’ (Group A)

কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর গ্রুপ পর্যায়ের প্রেডিকশনে আমাদের প্রথম রায় হল এই যে, গ্রুপ “এ” থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে নেদারল্যান্ডস। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে না পারার কষ্ট তারা এবারের বিশ্বকাপে কিছুটা হলেও মোচন করার চেষ্টা করবে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনোই ডাচ’রা গ্রুপ পর্যায় থেকে বিদায় নেয়নি, এবং এবারও টুর্নামেন্টটিতে অনেক দূর যাওয়ার মত দল তাদের নিকট রয়েছে। এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় যে দল রাউন্ড অব ১৬ তে অগ্রসর হতে পারে তারা হল বর্তমান আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল, যারা কি না বর্তমানে ফিফা’র সর্বোচ্চ র‍্যাংকড আফ্রিকান দল।

যদিও এই গ্রুপটিতে স্বাগতিক দেশ কাতারও উপস্থিত, তবুও আমরা মনে করি কাতার ও ইকুয়েডর উভয়ের থেকেই শক্তিমত্তার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে নেদারল্যান্ডস এবং সেনেগাল।

গ্রুপ ‘বি’ (Group B)

কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ২২তম ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এর সকল গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় একটি গ্রুপ হল এই গ্রুপ “বি”। এখানে উপস্থিত দলগুলির মধ্যে যেমনি রয়েছে ভৌগোলিক প্রতিযোগিতা, তেমনি রয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক শত্রুতা এবং আরো অনেক ধরণের রাইভালরি। গ্রুপটিতে অন্তর্ভুক্ত দলগুলি হল ইংল্যান্ড, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ওয়েলস।

গ্যারেথ সাউথগেট ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে দুইটি টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড অংশগ্রহণ করেছে, তার উভয়টিতেই তারা সেমি ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে। এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও তারা সর্বমোট ১০টি ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে জয়লাভ করেছে, অর্থাৎ বেশ ভালো ফর্ম প্রদর্শন করেছে। তাই, এই গ্রুপ থেকে এক নম্বর দল হিসেবে তাদেরই উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

পড়ুন:  ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেন এখন আর বড় বড় তারকা খেলোয়াড়দের আকর্ষণ করতে পারে না?

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দলটিতে শেষ মুহূর্তে এসে ফর্মের ঘাটতি এবং ইঞ্জুরিজনিত বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তারপরও এই গ্রুপে ইংল্যান্ডকে বাজিমাত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে এমন দল শুধু তাদের নিকটই রয়েছে। তাদের দলটি টগবগে যুবা রক্ত ও প্রতিভায় একদম পরিপূর্ণ। তাদের দলে রয়েছে ওয়েস্টন ম্যাককেনি (জুভেন্টাস), জিওভানি রেইনা (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), সার্জিনো দেস্ত (এসি মিলান), টাইলার এডামস (লিডস ইউনাইটেড), ব্রেন্ডেন এরোনসন (লিডস ইউনাইটেড) এর মত খেলোয়াড়েরা, এবং মাঠে তাদের নেতৃত্ব দিবেন চেলসি ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ, যার জন্য কোন প্রকার ভূমিকারই প্রয়োজন নেই।

গ্রুপ ‘সি’ (Group C)

গ্রুপ “সি” এর অন্য যেকোন দল যদি ভাবে যে গত বিশ্বকাপের মত এবারের বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্যায়ে খুব একটা ভালো খেলতে পারবে না এবং তাদেরকে পরের রাউন্ডে ওঠার সুযোগ করে দিবে, তাহলে সম্ভবত তারা একটি বড় ভুলই করছে, কারণ ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জেতার পর থেকে আর্জেন্টিনা দলটির মধ্যে যে প্রকারের ঐক্যবদ্ধতা দেখা গিয়েছে, তা সত্যিই অনবদ্য।

দেশটির দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি এমন একটি দল গঠন করেছেন, যার মূল শক্তিই হল একতাবদ্ধতা এবং টিম স্পিরিট। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তারা দক্ষিণ আমেরিকা বিভাগ থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বিশ্বকাপে এসেছে (প্রথম পজিশনে ছিল ব্রাজিল), এবং বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়টি তারা খুব সহজেই পার করে ফেলবে বলেই সকলের ধারণা। তারা ব্যতীত এই গ্রুপ থেকে যে দলটি পরবর্তী রাউন্ডে অগ্রসর হওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রাখে সেটি হল মেক্সিকো, যারা কি না তাদের অংশগ্রহণকৃত সর্বশেষ ৮টি বিশ্বকাপের সবকটিতেই গ্রুপ পর্যায় পার করেছে।

দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা মনে করি না যে, পোল্যান্ড এবং সৌদি আরবের নিকট উপরিউক্ত দল দুটিকে হারানোর বা তাদের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটানোর মত যথেষ্ট শক্তিমত্তা রয়েছে।

গ্রুপ ‘ডি’ (Group D)

বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল ফ্রান্সের এই গ্রুপটি প্রথম নজরে বেশ সহজ সরল দেখালেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি বিপজ্জনক গ্রুপ। ফ্রান্স এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার জন্যও ফেভারিট, এবং ১৯৬২ সালে ব্রাজিলের পর এবার তাদের সামনে সুযোগ পর পর দুটি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার। তাদের নিকট সেটি করার মত দলও রয়েছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাদের দলে তারকার প্রাচুর্য। কাকে রেখে কাকে খেলাবেন দিদিয়ের দেশম? মূল একাদশ বাছাই করাটাই যেন তার জন্য দায়। এছাড়া, গত তিনটি বিশ্বকাপেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলগুলি গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিয়েছে, যা লা ব্লুস’দের জন্য এক ধরণের হুমকিস্বরূপই বটে।

পড়ুন:  হ্যারি কেন এর প্রতিস্থানে টোটেনহ্যাম আর্সেনাল থেকে যে নিষিদ্ধ তার উদ্ধারের জন্য চিন্তা করছে

১৯৯৮ সাল থেকে ধরলে ফ্রান্স মোট তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে, যা তাদের শক্তিমত্তার একটি বিশাল পরিচায়ক। ফলে, এবারও নিঃসন্দেহে তারাই গ্রুপটির শীর্ষস্থান দখল করার জন্য ফেভারিট। এছাড়া, তাদের দলে রয়েছেন এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী কারিম বেঞ্জেমা, কিলিয়ান এমবাপ্পে, এবং অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি’র মত অসাধারণ সব প্রতিভা। সামর্থ্যের দিক দিয়ে গ্রুপের অন্যান্য দলগুলি তাদের ধারেকাছেও নেই।

তবে, বর্তমান এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’দেরকে চলতি বছরেই দুইবার হারিয়েছে ডেনমার্ক। ইউরো ২০২০ এর সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলা ১০টি ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই জিতেছে ড্যনিশ’রা। অস্ট্রেলিয়া এবং তিউনিশিয়া মোটেও কোন সহজ প্রতিপক্ষ না হলেও ড্যানিশ ডাইনামাইট’দের নিকট তাদেরকে বাজিমাত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিমত্তা রয়েছে বলেই আমরা মনে করি। তাই, বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ আসরে ডেনমার্ক ৫ম বারের মত নক আউট স্টেজে খেলবে বলেই আমাদের ধারণা।

গ্রুপ ‘ই’ (Group E)

এই গ্রুপটিকে এবারের বিশ্বকাপের “গ্রুপ অব ডেথ” বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। গ্রুপটিতে রয়েছে ৪ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, যারা গত বিশ্বকাপে তাদের হতাশার গ্লানি মুছে এবার কামব্যাক করার জন্য মরিয়া। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তারা ১০টি ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই জয়লাভ করে প্রথম দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে।

স্পেন চেষ্টা করবে গ্রুপটির শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে জার্মানিকে শেষ পর্যন্ত প্রতিযগিতা দিতে। সেটি করার জন্য যথেষ্ট অস্ত্রসস্ত্র রয়েছে তাদের মজুদে। লুইস এনরিকে বেশ কয়েক বছর ধরে দলটিকে পুনর্গঠন করছেন এবং গত ইউরোতে তিনি প্রমাণও করেছেন যে তার যুবা দলটি মোটেও কোন পুশ-ওভার নয়। ২০২০ সালে উয়েফা নেশনস লীগের একটি ম্যাচে ডাই ম্যানশ্যাফট খ্যাত জার্মানি দলকে তারা ৬-০ গোলেও হারিয়েছে।

এই দুই জায়ান্ট দল যখন গ্রুপের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়বে, তখন জাপান ও কোস্টা রিকা’র মত দুই আন্ডারডগ কি পারবে তাদেরকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলতে? উভয় দলই বেশ ভালো ফুটবল খেলার সামর্থ্য রাখলেও জার্মানি এবং স্পেনের শক্তিমত্তার কাছে তারা হার মানবে বলেই আমাদের ধারণা। তবে, নিঃসন্দেহে ২০২২ বিশ্বকাপের সকল গ্রুপের মধ্যে এই গ্রুপটিতেই অঘটন ঘটার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

গ্রুপ ‘এফ’ (Group F)

যদিও বেলজিয়াম তাদের খেলা সর্বশেষ দুইটি বিশ্বকাপেই কমপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল স্টেজ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দলের প্রচুর দূর্বলতা সামনে এসেছে। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় তাদের সোনালী যুগের খেলোয়াড়দের বয়স বেড়ে যাওয়াটাকে।

পড়ুন:  মিড-সিজন পর্যালোচনাঃ হাল্যান্ড কি ম্যানচেস্টার সিটি'র উন্নতিসাধন করতে পেরেছেন?

তবুও, কেভিন ডি ব্রুয়না এবং রমেলু লুকাকুর মত খেলোয়াড়দের উপর ভর করে তারা কানাডা এবং মরক্কোর মত দলগুলিকে পেছনে ফেলতে পারবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে, যদিও গ্রুপটিতে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে তারা গত বিশকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার পেছনে থাকবে বলেই আমরা মনে করি।

লুকা মদ্রিচ এর সতীর্থরা চাইবে গতবারের মত এবারও সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তারা ১০টির মধ্যে ৭টি ম্যাচেই জিতেছে, এবং উয়েফা নেশনস লীগেও তারা মারাত্মক ফর্ম পার করেছে। বেলজিয়ামের করা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ভুলকে কাজে লাগিয়েও তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে।

গ্রুপ ‘জি’ (Group G)

ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলা তাদের সর্বশেষ ১৫টি গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে (পর পর ৫টি বিশ্বকাপে) অপরাজিত রয়েছে, যা তাদের জন্য একটি সুখকর অবস্থান, কারণ এবারও তাদের বিশ্বকাপ গ্রুপে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড, এবং ক্যামেরুনের জন্য তারাই হল “দ্য টিম টু বিট”।

ব্রাজিলকে হারানো ঐ তিন দলের জন্যই হবে খুব কঠিন একটি ব্যাপার। তবে, পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে ব্রাজিলকে হারানোটা তাদের জন্য বাধ্যতামূলকও নয়। তবে, সেই তিন দলের মধ্যে সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী হবে সুইজারল্যান্ড, কারণ তাদের খেলা সর্বশেষ ৪টি বিশ্বকাপ আসরেই তারা গ্রুপ পর্যায়ের বাঁধা অতিক্রম করতে পেরেছে।

তাদের নিজস্ব বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের গ্রুপে এবার সুইস’রা ইতালির মত জায়ান্ট দলকে পেছনে ফেলেছে। এই টুর্নামেন্টে কিভাবে কি করতে হয় তার কিছুটা ধারণা তাদের নিকট রয়েছে, যা ওয়ার্ল্ড কাপ নিউ বয়েজ সার্বিয়ার নিকট নেই বললেই চলে।

গ্রুপ ‘এইচ’ (Group H)

২০১৬ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ এইচ থেকে রাউন্ড অব ১৬ তে কোয়ালিফাই করার জন্য ফেভারিট হলেও তাদের সামনে দক্ষিণ কোরিয়া, উরুগুয়ে এবং ঘানা’র মত দলের বিরুদ্ধে তিনটি কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।

দক্ষিণ আমেরিকার দল উরুগুয়ে বরাবরই বিশ্বকাপে তাদের সেরা ফুটবলটি খেলে আসছে। তাদের খেলা সর্বশেষ ৭টি বিশ্বকাপের মধ্যে ৫টিতেই তারা গ্রুপ পর্যায়ের বাঁধা অতিক্রম করেছে। তবে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ঘানাও কিন্তু মোটেও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই উরুগুয়েকে সতর্ক থাকতে হবে।

গত কয়েকটি বিশ্বকাপের তুলনায় এবারের বিশ্বকাপে লা সেলেস্তে খ্যাত উরুগুয়ের দলটি বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে, তাই এবার গ্রুপ পর্যায় থেকে তাদের বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম বলে আমরা মনে করি। এই গ্রুপটি থেকে তাই পর্তুগাল এবং উরুগুয়েকেই আমরা রাউন্ড অব ১৬ তে দেখতে পাচ্ছি।

Share.
Leave A Reply