...

প্রেডিকশন (Prediction)

ইংল্যান্ড ২ – ১ যুক্তরাষ্ট্র

ভেন্যুঃ আল বাইত স্টেডিয়াম

নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের শুরু থেকেই এই দুই দলের মধ্যে একটি সার্বক্ষণিক শত্রুতা বজায় রয়েছে, যদিও গুরুত্বপূর্ণ ও বড় বড় সব ম্যাচে সবসময়ই ইংল্যান্ডকে বাজিমাত করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ম্যাচটিও হতে চলেছে দুই দলেরই নক আউট রাউন্ডে খেলার পথে বেশ বড়সড় একটি ধাপ, এবং এই ম্যাচে জয়লাভ করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের নিকট হতে ব্র‍্যাগিং রাইটস আবারো নিজেদের কোক্ষাগত করতেই চাইবে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষ জাতীয় দল ইংল্যান্ডকে আবারও রুখে দিয়ে অত্যন্ত উত্তেজিত ইংলিশ ভক্তদেরকে চুপ করিয়ে দিতেই চাইবে। এজন্যই এই ম্যাচটিকে ধরা হয়েছে এবারের কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের সবচেয়ে বিনোদনমূলক ম্যাচ হিসেবে।

ফর্ম বিবরণীঃ ইংল্যান্ড (Form Guide: England)

গ্রুপ পর্যায়ে নিজেদের প্রথম খেলায় বেশ শক্তিশালী ইরানের মুখোমুখি হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রচুর সাবধানতার সাথেই খেলতে নামবে ইংল্যান্ড। তবে, এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তারা বেশ আত্মবিশ্বাসীও হবে, কারণ টেকনিক্যাল, ট্যাকটিকাল, বা স্কোয়াড গভীরতার দিক দিয়ে ইংল্যান্ড তাদের প্রতিপক্ষের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের ট্যাকটিকাল দিক থেকে বেশ পারদর্শী হওয়াতে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট নিশ্চয় চাইবেন তার রক্ষণভাগকে গুছিয়ে নিতে, কেননা যুক্তরাষ্ট্র কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, ইংলিশ এই কোচ আরো চাইবেন এই ম্যাচে তার দলটিকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী খেলোয়াড় দিয়ে ভরাতে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বেশ কমবয়সী।

ফর্ম বিবরণীঃ যুক্তরাষ্ট্র (Form Guide: USA)

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড সম্পর্কে কিছুটা গবেষণা করলেই দেখতে পাবে যে, পূর্বে যেসকল ইংল্যান্ড দলকে তারা হারিয়েছে, বর্তমানের ইংল্যান্ড দল তার থেকে অনেকগুণ বেশি শক্তিশালী। ম্যাচটি হবে একরকম ইগো’র লড়াই, এবং যুক্তরাষ্ট্র কোচ গ্রেগ বেরহাল্টার নিশ্চয় চাইবেন এমন সব খেলোয়াড়দেরকেই মাঠে নামাতে যাদের ইগো তাদের প্রতিপক্ষের ইগোকে বাজিমাত করে দিতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্র দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলে থাকেন, তাই ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দেরকে তারা খুব ভালো করেই চেনেন, এবং অনেকের সাথে হয়তো তাদের বন্ধুত্বও রয়েছে। তাই, দলটির ক্রীড়াকৌশল সম্পর্কেও তাদের ভালো ধারণা থাকার কথা। এই ম্যাচটিতে ভালো কিছু অর্জন করতে হলে তাদের স্বভাবসুলভ ডিফেন্সিভ খেলা দূরে রেখে এই ম্যাচটিতে বল পজিশন ধরে রাখতে হবে ইউএস সেনাদের। নতুবা, তাদের জেতার বা ড্র করার আশা ঝেড়ে ফেলাই শ্রেয়।

ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

দুই দলের মধ্যকার পুরো ইতিহাস দেখলে ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখতে হবে, কিন্তু, যেমনটি আমরা পূর্বেও উল্লেখ করেছি, দুই দলের মধ্যকার সব বড় বড় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রই জয়লাভ করেছে। ইংল্যান্ড এবনহ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পূর্বের ১১টি ম্যাচের মধ্যে যে ৩টি ম্যাচ বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার সবগুলিই জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এবার সেই সমীকরণটি পরিবর্তন হতে চলেছে, কেননা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এবারের ইংল্যান্ড দলটি অনেকগুণ বেশি শক্তিশালী বলেই আমরা মনে করি।

Share.

Leave A Reply

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.