প্রেডিকশন (Prediction)

জাপান ১ – ১ কোস্টা রিকা

ভেন্যুঃ লুসেইল আইকনিক স্টেডিয়াম

গ্রুপ ই এর এই দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিক্সচার থেকে আমরা হয়তো কেবলমাত্র এটিই জানতে পারব যে, এই গ্রুপটি থেকে কোন দল তৃতীয় স্থান দখল করতে পারে, কেননা গ্রুপের অন্য দুইটি দল হল স্পেন এবং জার্মানি, যারা হল কি না গত ৩টি বিশ্বকাপের মধ্যে দু’টির চ্যাম্পিয়ন (যথাক্রমে ২০১০ এবং ২০১৪)।

ফর্ম বিবরণীঃ জাপান (Form Guide: Japan)

জাপান চলতি বছরে সর্বমোট ১০টি ম্যাচ খেলেছে, এবং তন্মধ্যে তারা মোট ৬টি ম্যাচে জয়লাভ করতে পেরেছে। বাকি ৪ ম্যাচের মধ্যে তারা ২টিতে ড্র করেছে, এবং ২টিতে পরাজয় বরণ করেছে। সেই রেকর্ডটিকে মাথায় রেখে ভাবলে, এবারের বিশ্বকাপে বেশ ভালো ফর্ম নিয়েই প্রবেশ করছে এশিয়ার দলটি।

ব্লু স্যামুরাই খ্যাত জাপান দলটি পর পর দুইটি বিশ্বকাপের নক আউট পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়েই কাতারে প্রবেশ করেছে, এবং তেমনটি অর্জন করতে হলে এই ম্যাচটিতে তাদেরকে যে করেই হোক জিততেই হবে।

ফর্ম বিবরণীঃ কোস্টা রিকা (Form Guide: Costa Rica)

পুরো ২০২২ সালে মাত্র একবার পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছে কোস্টা রিকা। এবছরে খেলা তাদের সর্বমোট ১০টি ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে ৭টিতে, এবং ড্র করেছে ২টিতে। এ প্রক্রিয়ায় তারা মোট ১২টি গোল করতে সমর্থ্য হয়, এবং বিনিময়ে হজম করে মাত্র ৬টি গোল। এছাড়া, এই সময়কালে তারা সর্বমোট ৭টি ক্লিন শিটও রাখতে সক্ষম হয়। এবারের কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এ তারা একটি অতি শক্তিশালী ডিফেন্স নিয়েই প্রবেশ করবে, যার ফলে যেকোন দলের ক্ষেত্রেই তাদেরকে হারানোটা হবে বেশ শক্ত।

অবশ্যই এবারের বিশ্বকাপে তাদের মূল লক্ষ্যই হবে নিজেদের ইতিহাসে কেবলমাত্র দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ নক আউট পর্বে ওঠা। এর আগে, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তারা এক স্বপ্নযাত্রা অতিক্রম করেছিল, যখন তারা শুধু নক আউট পর্বে নয়, বরং বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু, এবার একটি বিপজ্জনক গ্রুপে স্থান পাওয়ায় সেটির পুনরাবৃত্তি করা তাদের জন্য বেশ দুষ্করই হবে।

পড়ুন:  এস্টন ভিলা বনাম নিউকাসলের ম্যাচ রিপোর্ট

ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

যদি এই দুই দলের মধ্যকার অতীত ইতিহাস তুলে ধরা হয়, তাহলে জয়ের পাল্লা শুধু জাপানের দিকেই বেশি ভারী হবে না, বরং পুরো পাল্লাটিই তাদের দিকে ঝুঁকে থাকবে। এ পর্যন্ত এই দুই দলের মধ্যকার সবকটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচেই জাপান কমপক্ষে এক গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। কিন্তু, এটি কোন ফ্রেন্ডলি ম্যাচ নয়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মঞ্চ — ফিফা বিশ্বকাপ।

উভয় দলই জানে তাদের জন্য এই ম্যাচটি কতটা মাইনে রাখে, এবং তাই তারা কোনভাবেই কোন ছাড় দিতে রাজি হবে না। ম্যাচটি হবে খুবই ধীরগতির, কিন্তু মজার। উভয় দলই একবার করে প্রতিপক্ষের দূর্গ ভেদ করতে সক্ষম হবে, এবং ম্যাচটি ড্র হবে বলেই আমরা মনে করি। তবে, পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য সেটি উভয় দলের ক্ষেত্রেই যথেষ্ট হবে না, এমনটিই ধারণা করা যাচ্ছে।

Share.
Leave A Reply