প্রেডিকশন (Prediction)

ফ্রান্স ৩ – ২ ডেনমার্ক

ভেন্যুঃ স্টেডিয়াম ৯৭৪

এটি এমন একটি ফিক্সচার যা আমরা ইতিমধ্যে এবছর দুইবার দেখতে পেয়েছি, কারণ ফ্রান্স এবং ডেনমার্ক উয়েফা নেশনস লীগে দুইটি ম্যাচ খেলেছিল। সেই দুই ম্যাচে ডেনমার্কই ফ্রান্সকে ডমিনেট করেছে। তারা ম্যাচ দুইটি যথাক্রমে ২-০ ও ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল।

ডেনমার্ক তাই ভাববে যে ফ্রান্সকে হারানোর সকল পন্থাই তাদের জানা রয়েছে এবং প্রচুর আত্মবিশ্বাস নিয়েই তারা ম্যাচটিতে খেলতে নামবে, এবং অন্যদিকে ফ্রান্স নিশ্চয় চাইবে আবারো প্রমাণ করে দিতে যে অতীতকে নিয়ে পড়ে থাকলে চলে না, এবং বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে পারফর্ম করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। তার উপর ফ্রান্স আবার বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, এবং তাদের শিরোপাটি ধরে রাখার সকল চেষ্টাই তারা করবে, সেটিই স্বাভাবিক।

ফর্ম বিবরণীঃ ফ্রান্স (Form Guide: France)

বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে কাতার ভ্রমণের পূর্বে ফ্রান্সের প্রস্তুতিটি আরো অনেক ভালো হতে পারতো। উয়েফা নেশনস লীগে ৬টি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জয় কখনোই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছ থেকে শোভা পায় না। এবছর সব ধরণের আন্তর্জাতিক ফুটবলেই যেমনি গোল করতে বেগ পেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, তেমনিভাবে প্রতিপক্ষকে তাদের বিরুদ্ধে গোল করা থেকে রুখে দিতেও ব্যর্থ হয়েছে তারা।

তারা সেই ৬টি ম্যাচে কেবলমাত্র ৫টি গোল করতে সক্ষম হয়, এবং বিনিময়ে নিজেরা হজম করে সর্বমোট ৭টি গোল। তারা যদি টুর্নামেন্টের একদম শুরুতেই নিজেদেরকে গুছিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গত দুইবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের মত তাদেরকেও গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিতে হতে পারে।

ফর্ম বিবরণীঃ ডেনমার্ক (Form Guide: Denmark)

ডেনমার্ক তাদের উয়েফা নেশনস লীগ ক্যাম্পেইন এর সমাপ্তি টানে এই ফ্রান্সকে নির্মমভাবে হারানোর মধ্য দিয়েই। সেই নেশনস লীগের মৌসুমে তারা ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই জয়লাভ করে, এবং বাকি দুইটিতে তারা হেরে যায়। এর মধ্যে তারা সর্বমোট ৯টি গোল করতে সমর্থ হয়, এবং বিনিময়ে নিজেদের জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনে ৫ বার।

পড়ুন:  এভারটন বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিভিউ

শুধুমাত্র সাম্প্রতিক ফর্মের ভিত্তিতে বিচার করলে এই ম্যাচটিতে জেতার জন্য তারাই ফেভারিটস হিসেবে গণ্য হবে, কিন্তু আসলেই কি বিষয়টি তেমন? এই প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলার পূর্বে তারাও বেশ কয়েকবারই ভাববে বলে আমাদের মনে হয়, কেননা বিশ্বকাপের মত বিশাল মঞ্চে ফ্রান্স এর ইতিহাস কিন্তু অন্য কথাই বলে।

ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

যে কারো প্রেডিকশন অনুসারেই এই গ্রুপটি থেকে ফ্রান্স ও ডেনমার্কই পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য ফেভারিটস। অর্থাৎ, এমনটি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি যে, এই ম্যাচের জয়ী দলই হবে এই গ্রুপটির চ্যাম্পিয়ন।

ম্যাচটিতে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক কাড়াকাড়ি লেগে থাকবে, এবং সেটি চলতে থাকবে মাঠের সবকটি অর্ধেই এবং যেকোন পজিশনেই। কিন্তু, সেই নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা ফ্রান্সই হাসবে বলে আমাদের ধারণা।

লা ব্লুস’দের সাম্প্রতিক ডিফেন্সিভ রেকর্ডের ভিত্তিতে দেখতে গেলে এটি মানতেই হবে যে, তারা এই ম্যাচটিতে ক্লিন শিট রাখতে পারবে না। এছাড়া, এই ড্যানিশ দলটিও জানে কিভাবে ফ্রান্সকে হারাতে হয়। তাই, ফরাসিদের ভরসা করে থাকতে হবে কারিম বেঞ্জেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পে’র মত খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের উপর। উভয়পক্ষেই বেশ কিছু গোল আমরা দেখতে পেতে পারি এই ম্যাচে। সব মিলিয়ে একটি পাঁচ গোলের থ্রিলার দেখতে পেলে তো মোটেও খারাপ হয় না, তাই না?

Share.
Leave A Reply