প্রেডিকশন (Prediction)

নেদারল্যান্ডস ২ – ০ ইকুয়েডর

ভেন্যুঃ খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

ফিক্সচারের কাঠিন্যের দিক থেকে বলা যেতে পারে যে, নেদারল্যান্ডস বোধ হয় এবারের বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্যায়ের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যবান দল, কারণ তাদেরকে পর পর দুইটি ম্যাচ খেলতে হবে যথাক্রমে সেনেগাল ও ইকুয়েডর এর বিপক্ষে। তবে, যেহেতু তারা শিরোপা প্রত্যাশী একটি দল, সেহেতু বলাই যায় যে, এটি নিজেদেরকে প্রমাণ করার একটি সুযোগও বটে নেদারল্যান্ডস এর জন্য। এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট একটি নেদারল্যান্ডস, কিন্তু সেনেগালের মত ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের দম বা স্ট্যামিনাও অনেক বেশি হওয়ায় এই ম্যাচের শেষের দিকে হাপিয়ে পড়তেই পারে ডাচ’রা। নেদারল্যান্ডস এবার তাদের বিশ্বকাপ খরা কাটানোর পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে, এবং তাই এসব ম্যাচেও তাদেরকে খুব সাবধানতার সাথেই খেলতে হবে, কারণ একটু সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগিয়ে জায়ান্ট কিলিং করার সামর্থ্য ইকুয়েডরের রয়েছে।

ফর্ম বিবরণীঃ নেদারল্যান্ডস (Form Guide: Netherlands)

সেনেগালের বিপক্ষে একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করার পর নেদারল্যান্ডস নিশ্চয় চাইবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে, এবং গতি কমিয়ে বল পজিশনের নিয়ন্ত্রণ নিতে। কিন্তু, সেটি করা তাদের জন্য খুব কঠিনই হতে চলেছে, কারণ দক্ষিণ আমেরিকার দলটি একদমই সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, এবং সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগাতে বেশ পারদর্শীও বটে।

তবে, সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচটির চেয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটিতে নেদারল্যান্ডস এর রক্ষণভাগ কিছুটা হলেও কম বিপদের সম্মুখীন হবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে, কেননা ইকুয়েডরের সাম্প্রতিক অফেন্সিভ রেকর্ড খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। ডাচ’দের আক্রমণভাগও ইকুয়েডরের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী, এবং প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে ফাঁক-ফোকড় খুঁজে পেতে তারা বেশ পারদর্শী। তবে ডাচ’দের কোচ লুইস ভ্যান গালকে অবশ্যই মনযোগ দিতে হবে ইকুয়েডর এর কাউন্টার অ্যাটাকিং দক্ষতার উপর, কারণ অতীতে তার অধীনে থাকা দলগুলিকে পাল্টা আক্রমণের বিরুদ্ধে খুব একটা সুবিধা করে নিতে দেখা যায়নি।

পড়ুন:  ক্রিস্টাল প্যালেস বনাম ব্রেন্টফোর্ড প্রিভিউ

ফর্ম বিবরণীঃ ইকুয়েডর (Form Guide: Ecuador)

এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে ইকুয়েডর অনেকটাই পরিষ্কার মস্তিষ্ক নিয়ে প্রবেশ কএতে পারবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে, কারণ প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হল কাতার, যারা কি না শক্তিমত্তার দিক দিয়ে তাদের থেকে অনেকটাই ছোট একটি দল।

কাউন্টার অ্যাটাকে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাতে তারা বেশ পারদর্শী হলেও ফিনিশিং এ নিজেদের দূর্বলতাই হতে পারে তাদের পতনের কারণ। সেনেগালের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস এর ম্যাচটি তাদের জন্য একটি শিক্ষণীয় ভূমিকা পালন করতে পারে, এবং সেই ম্যাচের ফলাফলও যদি তাদের পক্ষে যায়, তাহলে ইকুয়েডর এই ম্যাচটিতে নেদারল্যান্ডসকে অনেক সমস্যার সসম্মুখীনই করতে পারে, এবং ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের নক আউট পর্যায়ে নিজেদেরকে উত্তীর্ণ করতে পারে।

ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

ফুটবল যদিও একটি অনিশ্চয়তার খেলা, তবুও সেই দিকটি কাজে লাগিয়ে ইকুয়েডরএই ম্যাচটিতে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারবে বলে আমরা মনে করি না। যেকোন ফুটবল বিশেষজ্ঞ বা বুকমেকারের মতেই এই ম্যাচটিতে নেদারল্যান্ডসের জেতার সম্ভাবনাই বেশি। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পর নেদারল্যান্ডস এবার চাইবে আরেক ধাপ এগিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপাটি ঘরে তুলতে, এবং সেই ইতিহাস গড়ার পথে ডাচ ভক্তরা রাউন্ড অব ১৬ এর প্রস্তুতি শুরু করে দিতেই পারেন।

Share.
Leave A Reply