প্রেডিকশন (Prediction)

    কানাডা ১ – ৩ মরক্কো

    ভেন্যুঃ আল থুমামা স্টেডিয়াম

    গ্রুপ ‘এফ’ এর সবশেষ এই ফিক্সচারটিতে মাঠে নামবে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার পর গ্রুপের অন্য দুইটি আন্ডারডগ দল। ছয় বছর আগে এই দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ ম্যাচটিতে কানাডাকে ৪-০ গোলে নাকানিচুবানি খাইয়েছিল মরক্কো। এবার তাই কানাডা মুখিয়ে থাকবে মরক্কোর কাছে প্রমাণ করার জন্য যে, সেই পরাজয়টির পর থেকে তারা কতটা উন্নতিসাধন করেছেন নিজেদের খেলায়। তবে, তারপরও গ্রুপের অন্য দুইটি পাওয়ারহাউজ দলের বিপক্ষে খেলার পর নর্থ আফ্রিকান দলটির উপর সবার প্রত্যাশা এমনই থাকবে যে তারা গ্রুপটির সর্বনিম্ন র‍্যাংকধারী দলকে সহজেই হারাতে পারবে।

    ফর্ম বিবরণীঃ কানাডা (Form Guide: Canada)

    যদিও কাগজে কলমে এই দুই দলের মধ্যে মরক্কো অনেকটাই এগিয়ে, তবে কানাডা অবশ্যই চাইবে না যেন মাঠের খেলায়ও তেমনটিই ঘটে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর এবার কেবলমাত্র বিশ্বকাপ ফুটবলে তাদের দ্বিতীয়বারের মত আগমণ, তাই তাদের উপর কারোরই তেমন প্রত্যাশা নেই। তবে, প্রত্যাশার চাপ না থাকলেও তারা চাইবে সবাইকে তাদের গতিশীল ফুটবল দিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে।

    মেপল লিভস এর দেশটি মোটামুটি ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপে প্রবেশ করেছে। বিশ্বকাপের পূর্বে খেলা তাদের সর্বশেষ ৮টি ম্যাচের মধ্যে তারা কোন ম্যাচে ড্র না করে ৪টি ম্যাচে জিতেছে, এবং বাকি ৪টিতে হেরেছে। সেই সময়কালে কানাডা ১৩টি গোল করেছে ঠিকই, কিন্তু কোস্টা রিকা, পানামা, হন্ডুরাস এবং উরুগুয়ের মত দলগুলির কাছে তারা মোট ৬টি গোল হজমও করেছে।

    ফর্ম বিবরণীঃ মরক্কো (Form Guide: Morocco)

    বিশ্বকাপে প্রবেশের ঠিক আগেই মরক্কো তাদের কোচ পরিবর্তন করেছে, এবং এবারের বিশ্বকাপ আসরে সেটির ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব আমরা পড়তে দেখতে পারি। তবে, পূর্বের কোচের ডিফেন্সিভ ট্যাকটিক থেকে সরে এসে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের পুনরায় দলে নিয়ে তারা রাউন্ড অব ১৬ তে যাওয়ার একটি বড়সড় সুযোগ নিতেই পারে।

    পড়ুন:  শেষ পর্যন্ত শিরোপার আশা বজায় রাখবে

    আটলাস লায়নস খ্যাত মরক্কো এই পুরো বছরটি জুড়েই বেশ অসাধারণ ফুটবল খেলেছে, যদিও জানুয়ারি মাসে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে মিশরের নিকট শেষ মুহূর্তের গোলটি হজম করে তারা কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয়। এছাড়া, এই বছরে তাদের একমাত্র অন্য পরাজয়টি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে (৩-০ গোলের ব্যবধানে)। সেটি বাদ দিলে, এবছরে খেলা তাদের বাকি ৬টি ম্যাচের মধ্যে মরক্কান’রা ৪টিতে জয় পেয়েছে, এবং ২টিতে করেছে ড্র। তবে, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই যে, বিশ্বকাপের আগে তাদের খেলা সর্বশেষ ৩টি ম্যাচেই ক্লিন শিট রাখতে সক্ষম হয়েছিল মরক্কো।

    ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

    ওয়ালিদ রাগ্রাগুই এর দলটি নিঃসন্দেহে কাগজে কলমে ম্যাচটি জেতার জন্য হট ফেভারিটস, কিন্তু ম্যাচটিতে কি হবে তার একটি বিশাল অংশ নির্ভর করছে বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে কানাডা কেমন খেলতে পারে সেটির উপর। উভয় দলের জন্যই এই কঠিন গ্রুপ থেকে জয়ের ধ্বনি নিয়ে বের হয়ে আসাটা বেশ কষ্টসাধ্য হতে চলেছে, এবং এই ম্যাচটিতে তারা রক্ষণাত্মক না আক্রমণাত্মক ভূমিকায় নিজেদেরকে পেশ করবে সেটি নির্ভর করবে আগের দুই ম্যাচে গ্রুপ ফেভারিটদের বিপক্ষে তারা কেমন করে সেটির উপর। এখন শুধু এই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটির জন্য অপেক্ষার পালা।

    Share.
    Leave A Reply