...

    প্রেডিকশন (Prediction)

    নেদারল্যান্ডস ২ – ০ যুক্তরাষ্ট্র

    ভেন্যুঃ খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

    নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার একটি দর্শনীয় ম্যাচ দিয়ে এবারের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের রাউন্ড অব ১৬ শুরু হতে চলেছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে এটিই হবে এই দুই দলের মধ্যকার প্রথম ম্যাচ, এবং বিশ্বকাপের বাইরে এই দুই দল এর আগে মোট ৬ বার একে অন্যের সম্মুখীন হয়েছে। তবে, এর আগের বিশ্বকাপ আসরগুলিতে রাউন্ড অব ১৬ এর ম্যাচসমূহে যুক্তরাষ্ট্র যেমন ফুটবল উপহার দিয়েছে, তাতে এই ম্যাচ থেকে তাদের তেমন উঁচু কোন প্রত্যাশা না রাখাই ভালো। 

    নেদারল্যান্ডস এর বিপক্ষে তাদের অতীতের রেকর্ডও খুব গর্ব করার মত নয়, এবং এবারের বিশ্বকাপ আসরেও তারা নিজেদেরকে পুরোপুরিভাবে মেলে ধরতে পারেনি এখনো। তবুও, বিশ্বকাপের মত আসরে যেকোন কিছুই সম্ভব, এবং তেমন একটি অঘটন ঘটানোর মত শক্তিমত্তা এই যুক্তরাষ্ট্র দল্র রয়েছে। সব মিলিয়ে, একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের অপেক্ষাতেই রয়েছে পুরো পৃথিবী।

    ফর্ম বিবরণীঃ নেদারল্যান্ডস (Form Guide: Netherlands)

    বিশ্বকাপের মত দয়াহীন একটি টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্যায়ের তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুইটিতে জয় এবং একটিতে ড্র — যেকোন দলের জন্যই এটি একটি অহংকার করার মত ফলাফল। তবে, নিজেদের গ্রুপের মানসম্পন্ন দুটি দলের মধ্যে একটির বিপক্ষে (সেনেগাল) ডাচ’রা জয় পেয়েছে, এবং আরেকটির বিপক্ষে (ইকুয়েডর) তারা শুধুমাত্র ড্র’ই করতে পেরেছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাদের মনমতো ফলাফলটি পাওয়ার জন্য ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসীই হবেন ডাচ কোচ লুইস ভ্যান গাল, কারণ এবার তাদের উদ্দেশ্য হল টানা ৪টি বিশ্বকাপের মধ্যে তৃতীয় বারের মত বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল খেলা।

    ফর্ম বিবরণীঃ যুক্তরাষ্ট্র (Form Guide: USA)

    গ্রুপ ‘বি’ এ নিজেদের শেষ ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে ১-০ গোলের ক্ষীণ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইংল্যান্ডের পেছনে থেকে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে তারা রাউন্ড অব ১৬ তে নিজেদের নাম লিখিয়েছে। 

    অনেকেই প্রেডিক্ট করেছিলেন যে, কনকাকাফ এলাকার দলটি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে অগ্রসর হবে, তবে সেই অর্জনটি নিশ্চিত করতে যে তাদের এতটা বেগ পেতে হবে সেটি কেউই ধারণা করতে পারেনি। ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কষ্টার্জিত ড্র দু’টির কারণে যুক্তরাষ্ট্র একটি অযাচিত পজিশনে পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই দুই ম্যাচে তারা যে ইচ্ছাশক্তি এবং সাহসিকতা প্রদর্শন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়, এবং সেটির কারণেই যেকোন প্রতিপক্ষের জন্যই তারা বিপজ্জনক। এছাড়া, ইরানের বিপক্ষে জয়টি তুলে নিয়ে তারা এটিও প্রমাণ করেছে যে, প্রয়োজন হলে তারা কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলে জয়ও তুলে নিতে পারে।

    ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

    দুই দলের মধ্যকার ইতিহাসের কথাই বলুন, আর এই ম্যাচের আগে দল দুইটির শক্তিমত্তার কথাই বলুন, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কাগজে কলমে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

    আমেরিকানদের চেয়ে ম্যাচটিতে অনেকগুণ বেশি বল পজিশন রাখার ও খেলা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ডাচ’দের রয়েছে৷ তাই, এমনটি প্রত্যাশা করাই যায় যে, গোলের সামনে অধিকতর সুযোগও তারাই তৈরি করতে পারবে। পরাজয় ঠেকাতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে খুবই ফিজিক্যাল ফুটবল (গায়ের জোড় খাটিয়ে) খেলতে হতে পারে। তবে, সবকিছু বিবেচনা করে আমরা এটিই ধারণা করছি যে, শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসকে রুখে দিতে পারবে না গ্রেগ বার্থাল্টার এর দলটি, এবং ২-০ গোলে ম্যাচটি হেরে তারা আবারও বিশ্বকাপের রাউন্ড অব ১৬ থেকে বিদায় নেবে।

    Share.

    Leave A Reply

    Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
    Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.