প্রেডিকশন (Prediction)

    ফ্রান্স ২ – ১ ইংল্যান্ড

    ভেন্যুঃ আল বাইত স্টেডিয়াম

    ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম নক আউট রাউন্ডে একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স। সব মিলিয়ে, বিশ্বকাপে এটি হবে তাদের মধ্যকার তৃতীয় ম্যাচ। বিশ্বব্যাপী ফুটবল প্রেমীদের জন্য এই ম্যাচটি বিনোদনের একটি বিশাল উৎস হতে চলেছে। এছাড়া, এবারের কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর সর্বোচ্চ গোলদাতা দুইটি দল এই ম্যাচটিতে অংশগ্রহণ করছে, তাই সমর্থকরা প্রচুর শট, গোলের সুযোগ এবং এমনকি অনেকগুলি গোলও আশা করতে পারেন ম্যাচটি থেকে।

    খেলার ফলাফল যাই হোক না কেন, এই ম্যাচে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) খুব ব্যস্ত থাকবেন বলেই মনে হচ্ছে, আমরা এটিও মনে করি যে, আগামী বেশ কয়েক মাস ধরে এই ম্যাচ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলতে থাকবে।

    ফর্ম বিবরণীঃ ফ্রান্স (Form Guide: France)

    লা ব্লুস খ্যাত ফ্রান্স জাতীয় দল এবারের বিশ্বকাপে ইতিমধ্যে মোট ১০টি গোল করেছে, যার মধ্যে ৫টিই এসেছে কিলিয়ান এমবাপ্পে’র পা থেকে। এছাড়া, আবারের আসরে মোট ৩টি গোল করে অলিভিয়ে জিরুঁ পরিণত হয়েছেন ফ্রান্সের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতায়। মাঠের অপর প্রান্তে, তারা গোল হজম করেছে মাত্র ৪টি।

    এ থেকে বোঝা যায় যে, তাদের দলে রয়েছে অসামান্য ভারসাম্য, এবং খুব তাড়াতাড়ি খেলা নিষ্পন্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা। ইংল্যান্ডের থ্রি লায়নস’দের জন্য ২০১৮ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন’রা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে দল বেশি ইচ্ছাশক্তি প্রকাশ করতে পারবে, সে দলই জয়যুক্ত হবে।

    ফর্ম বিবরণীঃ ইংল্যান্ড (Form Guide: England)

    থ্রি লায়নস’রা এবারের বিশ্বকাপ আসরে সর্বমোট ১২টি গোল করতে সক্ষম হয়েছে, এবং বিনিময়ে গোল হজম করেছে মাত্র ২টি। তবে, এটিও বলাই বাহুল্য যে, তাদের রক্ষণভাগ এখনো তেমন কোন বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হয়নি, কেননা এ পর্যন্ত তারা যেসকল দলের বিপক্ষে খেলেছে, তার মধ্যে কেউই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার ঝুঁকি নেয়নি।

    পড়ুন:  ফুলহ্যাম বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিভিউ এবং প্রেডিকশনঃ রেড ডেভিলদের দরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়

    ফ্রান্স একান্তই গভীর জলের মাছ, এবং এ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের অন্যান্য প্রতিপক্ষদের থেকে সম্পূর্ণরূপেই আলাদা। এই ব্যাপারটি ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট তার খেলোয়াড়দেরকে প্রতিনিয়তই স্মরণ করে দিয়ে যাবেন, যতদিন না খেলাটি মাঠে গড়াচ্ছে। তবে, ইংল্যান্ড দলের যে বিষয়টি নিয়ে সমর্থকরা নিশ্চিত থাকতে পারেন সেটি হল যে, গোল তৈরি করার এবং ফিনিশ করার ক্ষমতাসম্পন্ন বহু খেলোয়াড় তাদের দলে রয়েছে।

    ম্যাচটিতে যা যা ঘটতে পারে (How the game could go)

    যদি শুধুমাত্র চলমান এই টুর্নামেন্টের কথা ধরা হয়, তাহলে অবশ্যই এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখতে হবে, কেননা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা তারাই।

    তবে, ফ্রান্সই হবে এবারের বিশ্বকাপে তাদের প্রথম প্রকৃত পরীক্ষা, এবং এটি দেখার জন্যই পুরো পৃথিবী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে যে, ইংল্যান্ড ফ্রান্সের সমকক্ষ হওয়ার যোগ্য কি না, বা তারা ফ্রান্সের থেকে কোন অংশে শ্রেয় কি না। তবে, ম্যাচটি এক পর্যায়ে দু’দলের মধ্যে একটি মানসিক লড়াইয়ে পরিণত হবে, এবং সেই লড়াইয়ে আমরা মনে করি ফ্রান্সই কিছুটা এগিয়ে থাকবে।

    Share.
    Leave A Reply