এখন যখন চলমান প্রিমিয়ার লীগ মৌসুম একদম মাঝামাঝি পৌঁছে গিয়েছে, তখন আমরাও চলে এসেছি এবারের মৌসুমের সবচেয়ে ঘটনাবহুল গেমউইক নিয়ে আলোচনা করতে। প্রিমিয়ার লীগের সকল পর্যায়ে একটি বিশাল ছাপ ছেড়ে যাওয়া সেই গেমউইক ২০ নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
আমরা এখন মৌসুমের সবচেয়ে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে গিয়েছি, এবং এই পর্যায়ে এসে প্রত্যেকটি দলের জন্য প্রত্যেকটি ম্যাচই অনেক মাইনে রাখে। সকল দলই প্রিমিয়ার লীগে খেলার চাপ এখনই সবচেয়ে বেশি হারে টের পাবে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে তাদেরকে, এবং যদিও এখনও মৌসুমের অনেকটাই বাকি, তবুও আমরা ইতিমধ্যে ধারণা পেতে শুরু করেছি যে মৌসুম শেষে লীগ টেবিলের হুলিয়াটি কেমন হতে পারে।
শুধু লীগ টেবিলের শীর্ষেই নয়, বরং টেবিলের মধ্যভাগে এবং নিম্নভাগেও এখন দলগুলির একটিই চেষ্টা — নিজেদের লক্ষ্যগুলিকে পূর্ণতা দেওয়া। তবে, আমাদের আজকের এই নিবন্ধটির মূল উদ্দেশ্য হল টেবিলের শীর্ষভাগ বা শিরোপা লড়াই নিয়ে আলোচনা করা।
খুবই বিষ্ময়কর হলেও এটি সত্য যে, বর্তমানে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষ চারটি দলের মধ্যে তিনটি দলই গত মৌসুমে শীর্ষ চারের বাইরে ছিল, এবং যে তিনটি দল গত মৌসুমে শীর্ষ চারে ছিল, তারা এখন শোচনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে।
প্রিমিয়ার লীগের গেমউইক ২০ এর ভিত্তিতে তাই এখন আমরা দেখব যে, সেই গেমউইকের (বেশ মজার) ফলাফলগুলির প্রভাব এবারের প্রিমিয়ার লীগ শিরোপার লড়াইয়ে কিভাবে ও কতটুকু পরিমাণে পড়তে পারে। এছাড়া৷ আমরা আরো দেখব যে, অদূর ভবিষ্যতে আরো কি কি ঘটতে পারে।
টটেনহ্যাম হটস্পার্স স্টেডিয়ামে জয় হাসিল করে আট পয়েন্টের ব্যবধান গড়ল আর্সেনাল (Arsenal snap winless run at Tottenham to open right point lead)
আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব বর্তমানে একটি নতুনের জোয়ারে ভাসছে। গেমউইক ২০ এ তারা খানিকটা পথ সফর করে খেলতে গিয়েছিল তাদের প্রতিবেশী টটেনহ্যাম হটস্পার্স এর মাঠে, যেখানে তারা এর আগের ৭টি সফরের একটিতেও জয় পায়নি, এমনকি একটি ক্লিন শিটও রাখতে পারেনি। এবার অবশ্য ভাগ্য তাদের সাথ দিয়েছে। তারা জয়ও হাসিল করেছে, এবং সাথে সাথে ক্লিন শিটটিও। একের পর এক এমন চমৎকার সব জয়ও যদি তাদেরকে শিরোপার হকদার হিসেবে গড়ে তুলতে না পারে, তাহলে তারা নিজেদেরকে আর কিভাবে প্রমাণ করতে পারে সেটি আমাদের জানা নেই।
ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় হুগো লরিসের একটি মারাত্মক ভুলের কারণে এগিয়ে যায় আর্সেনাল, এবং একটি শক্তিশালী সূচনা করে ম্যাচটিতে। প্রথমার্ধের বাকি সময় জুড়েও আর্সেনালই ম্যাচটিতে কর্তৃত্ব বিস্তার করে রাখে। এডি এনকেটিয়া গোল করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যান, আবার থমাস পার্টে’র করা একটি অসাধারণ দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তবে, তারা তাদের প্রাপ্য দ্বিতীয় গোলটির দেখাও খুব জলদিই পেয়ে যায়, যখন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে শট নিয়ে হুগো লরিসকে প্রতিহত করেন এবং স্পার্সের জালে বল ঢুকান।
টটেনহ্যাম দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদেরকে কিছুটা খুঁজে পায়, এবং খেলার একটি নির্দিষ্ট অংশে তারা গোলে বেশ কিছু শটও মারে, তবে আর্সেনাল গোলরক্ষক এরোন র্যামসডেল প্রত্যেকটি শটকেই প্রতিহত করতে সমর্থ হোন। পুরো ম্যাচজুড়ে তিনি স্পার্স খেলোয়াড়দের করা মোট ৭টি শট রুখে দেন, এবং সেটির জন্য আর্সেনাল ডিফেন্ডাররা তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।
মিকেল আর্তেতা’র শিষ্যরা চ্যাম্পিয়ন’দের মতই মানসিকতা প্রদর্শন করেন, এবং একটি শত্রুভাবাপন্ন স্টেডিয়ামে গিয়ে কোন প্রকার ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় নিয়ে ঘরে ফেরেন। এই ফলাফলটিই প্রমাণ করে যে, এবারের মৌসুমে মানসিকতার দিক দিয়ে প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী দলটি হল আর্সেনাল।
এই ফলাফলটির মধ্য দিয়ে তারা ম্যান সিটি’র সাথে একটি আট পয়েন্টের বিশাল ব্যবধান তৈরি করে ফেলেছে। মৌসুমের শেষের দিকে যখন তারা দুইবার ম্যানচেস্টার সিটি’র মুখোমুখি হবে, তখনও নিজেদের ভাগ্য তাদের নিজেদের হাতেই থাকবে।
ডার্বি পরাজয়টিই কি ছিল ম্যানচেস্টার সিটি’র কফিনের শেষ লোহা? (Was that the final nail in Manchester City’s Coffin?)
অবশ্যই না। কিন্তু, মৌসুমের শেষ নাগাদ এই পরাজয়টির প্রকৃত মূল্য বোঝা যেতে পারে।
নিজেদের সবচেয়ে পুরনো শত্রু প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ডার্বি ম্যাচে পরাজয়টি ম্যান সিটি’র জন্য একটি বিশাল মানসিক ধাক্কা, যার কারণ শুধুমাত্র ফলাফলটিই নয়, বরং আরো অনেক কিছু। যে পরিস্থিতিতে কিছু সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে গিয়েছে, বিশেষ করে সমতাসূচক গোলটিকে নিয়ে যে পরিমাণে বিতর্কেরও উদ্ভব হয়েছে, তাতে যেকোন দলেরই ভেঙে পড়াটাই স্বাভাবিক। তবে, এটিও উল্লেখ না করলেই নয় যে, ম্যাচটিতে তাদের পারফর্মেন্সও খুব একটা প্রশংসার দাবিদার ছিল না।
সিটিজেনরা হয়তো পুরো ম্যাচটি জুড়ে মোট ৭১% বল পজিশন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কখনোই তারা নিজেদের দখলে নিতে পারেনি। ম্যাচের শুধুমাত্র একটি অংশেই তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা নিতে পেরেছিল, এবং সেটি হল হাফ টাইমের পরের ১৫ মিনিট। সেই সময়ের মধ্যে তারা যে চাপটি তৈরি করতে পেরেছিল, তারই ফলস্বরূপ সাবস্টিটিউট জ্যাক গ্রিলিশ ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন।
ফিল ফোডেন এর খারাপ ফর্ম এই ম্যাচটিতেও বজায় ছিল, এবং তাকে বদলি করে ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় জ্যাক গ্রিলিশকে মাঠে নামান পেপ গার্দিওলা। এবং, মাঠে নামার মাত্র ৩ মিনিটের মাথায়ই যখন তিনি গোল করে বসেন, তখন ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রথমার্ধে যে ট্যাকটিক অনুসরন করে খেলছিল, তার আগা-মাথা বুঝে গিয়েছে সিটি। কিন্তু, বিধির বিধান কিছুটা ভিন্নই ছিল সেদিন!
ইউনাইটেডের ৪ মিনিটের ঝড়ো বাতাসে উড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটির আগে নিজেরা প্রথম গোল করেছে এমন টানা ৪২টি প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচ জুড়ে ম্যান সিটি পরাজয়ের স্বাদ পায়নি। এই ম্যাচে সেই রেকর্ডটির একটি হতাশাজনক ইতি ঘটেছে।
যদিও নিজের সর্বশেষ দু’টি ম্যাচে আর্লিং হাল্যান্ড মোট ৪টি গোল করেছেম, তবুও গেমউইক ২০ এবং তার আগের কয়েকটি ম্যাচে তার ফর্ম খুব একটা ভালো ছিল না। গত গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে ভেড়ায় ম্যান সিটি এই আশায় যে, তিনিই তাদের অপূর্ণতাকে পরিপূর্ণতায় রূপান্তরিত করবেন। এবারের মৌসুমে ইতিমধ্যে ২৫টি প্রিমিয়ার লীগ গোল করা এই স্ট্রাইকার অবশ্যই প্রমাণ করছেন যে, তিনি একজন অসাধারণ গোলস্কোরার। তবে, দুই একটি ম্যাচে তিনি খুব একটা ভালো না খেললেই দলের ফলাফলে সেটির ছাপ পড়ে যায়, এবং সেটিই বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটি’র সবচেয়ে বড় চিন্তার জায়গা।
এক পর্যায়ে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় পর পর তিনটি ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছিলেন না, এবং সেই ম্যাচগুলিতে তিনি দলের বিল্ড-আপ প্লে’তেও খুব রকটা অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না। ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তিনি পুরো ম্যাচ জুড়ে মাত্র ২০ বার বলে ছোঁয়া দিতে পেরেছিলেন, যা সেদিন যেকোন আউটফিল্ড খেলোয়াড়ের জন্য সর্বনিম্ন ছিল। এছাড়া, তিনি ডি গেয়া’র গোল অভিমুখে কেবলমাত্র একটি শটই মারতে পেরেছিলেন।
গেমউইক ২০ই এমন প্রথম ঘটনা নয়, যেখানে আর্লিং হাল্যান্ড ম্যানচেস্টার সিটি’র বিল্ড-আপ প্লে’তে অংশ নিতে হিমসিম খেয়েছেন। কিন্তু, এমন ক্ষেত্রেও তিনি সাধারণত গোল ঠিকই করেন। এই ম্যাচটিতে অবশ্য ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডাররা সিটিকে চাপের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছিল, যার ফলে আর্লিং হাল্যান্ডও তেমন ভালো কোন সার্ভিস পাননি। এই ধরণের ম্যাচগুলিতেও গোলের দেখা পেতে হলে এবং দলকে জয়ী করতে হলে এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ডকে তার অসাধারণ স্ট্রাইকিং প্রবৃত্তির সাথে আরো নতুন নতুন ট্যাকটিক বা ফর্মুলা যুক্ত ও কার্যকর করতে হবে।
টটেনহ্যাম হটস্পার্স এর বিপক্ষে আর্সেনালের জয়ের অর্থ এই যে, গেমউইক ২০ এর পর থেকে প্রিমিয়ার লীগের শিরোপাটি আর্সেনালের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে, এবং ম্যান সিটিকে সেটি পুনরুদ্ধার করতে হলে তারপর থেকে মৌসুমের বাকি সবকটি ম্যাচেই জয়লাভ করতে হবে, এবং আশায় বুক বেঁধে থাকতে হবে যেন আর্সেনাল চাপের মুখে ভেঙে পড়ে, এবং অন্যদের কাছেও পয়েন্ট হারায়।
পুনঃজ্জীবিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অগ্রসর হচ্ছে টেবিলের শীর্ষের দিকে (Will Manchester United’s resurgence lead them to the top of the mountain?)
অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সেই ম্যাচটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের চরিত্র এবং ধৈর্য্যের পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে। মাত্র তিন মাস আগেই তারা এই একই প্রতিপক্ষের নিকট ৬-৩ গোলে ধরাসয়ী হয়েছিল, এবং তারা সেটির প্রতিশোধও তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই জয়টির মধ্য দিয়ে তারা ম্যানচেস্টার সিটি’র থেকে মাত্র এক পয়েন্টের দূরত্বে চলে এসেছিল, এবং আর্সেনালের থেকে ৯ পয়েন্টের। কত তাড়াতাড়ি যে কারো ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে!
ম্যাচটির প্রথমার্ধে ইউনাইটেড এর গেমপ্ল্যান পুরোপুরিভাবে কাহে দিয়েছিল, কেননা পুরো হাফ জুড়ে ম্যান সিটি কেবলমাত্র ২টি শট অন-টার্গেটে মারতে পেরেছিল, এবং তারা নিজেরাও কাউন্টার অ্যাটাকে ২টি ভালো সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্যান সিটি খেলা ডমিনেট করতে শুরু করে, এবং তার পুরষ্কারস্বরূপ একটি গোলও তারা পেয়ে যায়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ইউনাইটেড নিজেদের প্রাধান্য নতুন করে বিস্তার করতে সক্ষম হয়, এবং অসাধারণ আক্রমণাত্মক শক্তি প্রদর্শন করে ঘুরে দাঁড়ায়, এবং ম্যাচটি থেকে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচটিতে তাদের প্রত্যাশিত গোলের সংখ্যা ছিল ১.৭২টি, এবং তারা সিটি’র গোলে মোট ৪টি শটও মেরেছিল। অন্যদিকে তারা সিটি’র প্রত্যাশিত গোলের সংখ্যাকে ০.৬৫ এ নামিয়ে এনেছিল, এবং তাদেরকে বাধ্য করেছিল মাত্র একটি শট অন-টার্গেটে মারতে। পেপ গার্দিওলা ৬ বছর ধরে ম্যানচেস্টার সিটিকে ম্যানেজ করছেন, এবং এই সময়ের মধ্যে এত কম শট কখনোই তার দল অন-টার্গেটে মারতে পারেনি।
এমন অনেক প্রশ্নই অনেকে করছিলেন যে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অপরাজিত থাকার ধারাটি থেকে যা মনে হচ্ছে, তেন হাগের দলটি কি আসলেও তেমন শক্তিশালী কি না। এই যাত্রায় তারা যেসকল দলের মুখোমুখি হয়েছিল, তার অধিকাংশই ছিল এমন যাদের বিরুদ্ধে তাদের জয়টিই প্রত্যাশিত। সিটি’র বিপক্ষে ম্যাচটি তাই তাদের জন্য একটি বিশাল অগ্নীপরীক্ষা ছিল, এবং এর মধ্য দিয়েই তাদের প্রকৃত ক্ষমতা বুঝতে পারা গিয়েছে। এটি এখন বলাই যায় যে, তারা সেই পরীক্ষাটিতে খুব ভালোভাবেই উতরে গিয়েছে।
তার পরে অবশ্য তাদের সর্বশেষ দুইটি ম্যাচে লন্ডনের দুইটি ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেস এবং আর্সেনালের বিপক্ষে তারা যথাক্রমে ড্র করে এবং পরাজিত হয়৷ সেই ম্যাচ দুইটি জিততে পারলে তারা আর্সেনালের থেকে মাত্র তিন পয়েন্টের দূরত্বে চলে আসতে পারতো। কিন্তু, ক্যাসেমিরোর ইঞ্জুরি এবং ডিফেন্সে অপরিপক্কতার কারণে তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়। তবে, যেহেতু তারা প্রমাণ করেছে যে, তারা বহু ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকতে পারে, এবং বড় বড় দলের বিপক্ষে ভালো খেলে জিততেও পারে, তাই শিরোপার লড়াই থেকে তাদেরকে এখনও বাদ দেওয়া যাচ্ছে না।
আগস্টে মৌসুম শুরু হওয়ার পর অনেকেই এমনটি মনে করছিলেন যে, এরিক তেন হাগকে কিছুদিনের মধ্যেই এরিক টেন মান্থস (দশ মাস) বলে অভিহিত করা হতে পারে। সেখান থেকে শুরু করে জানুয়ারি মাসে আজ তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে শিরোপার লড়াইয়ে নিয়ে এসেছেন। মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত আগামী কয়েক মাসে যত যাই ঘটুক না কেন, এটি নিঃসন্দেহে স্বীকার করাই যায় যে, এরিক তেন হাগই হলেন সেই ম্যানেজার যাকে গত দশ বছর ধরে খুঁজছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।