কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ উপলক্ষে প্রিমিয়ার লীগের ২০২২-২৩ মৌসুমটি এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য স্থগিত রয়েছে। এর ফলে ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগ ম্যানেজারেরা মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য একটি কঠিন অপেক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন, কারণ প্রিমিয়ার লীগের গেমউইক ১৬ এবং গেমউইক ১৭ (যখন আবার প্রিমিয়ার লীগের খেলা শুরু হবে) এর মধ্যে মোট ৪৩ দিনের গ্যাপ, যা তাদের পরিকল্পনাকে অনেকটাই পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে।

    অবশ্য বিশ্বকাপ উপলক্ষে ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগ ম্যানেজারদেরকে আনলিমিটেড ফ্র ট্রান্সফার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে সকলের স্কোয়াডই মোটামুটি সম্পূর্ণরূপে নতুন রূপ ধারণ করতে পারে।

    ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার এখন ধীরে ধীরে বিশ্বকাপ পারফর্মেন্স এর উপর ভিত্তি করে গেমউইক ১৭ এর জন্য তাদের দলটি প্রস্তুত করে ফেলতেই পারেন, কারণ বিশ্বকাপ শেষে লীগ ফুটবল আবার চালু হয়ে যাবে আগামী ২৬ই ডিসেম্বর থেকে।

    আমাদের মূল ফোকাস তাই থাকবে এমন সব খেলোয়াড়দের উপর যারা কি না বিশ্বকাপে আনআভাইলেবল ছিলেন, অর্থাৎ পুরো সময়টিই বিশ্রামে ছিলেন। এছাড়া, আমরা সাউথ্যাম্পটনের খেলোয়াড়দের উপরও নজর দিয়েছি, কারণ তাদের নতুন ম্যানেজারের নতুন ক্রীড়াকৌশলের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় তারা পাচ্ছে, এবং গেমউইক ২৩ পর্যন্ত তাদের প্রতিপক্ষগুলিও বেশ সহজই রয়েছে।

    গোলকিপার (Goalkeepers)

    নিক পোপ – নিউক্যাসেল ইউনাইটেড (৫.৩ মিলিয়ন পাউন্ড) [Nick Pope – Newcastle United (£5.3 million)]

    গোল হজম করার দিক দিয়ে এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে ভালো ডিফেন্স (মাত্র ৪টি গোল হজম করেছে) এর পেছনের মানুষ হলেন নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের নিক পোপ। এখন পর্যন্ত তার ঝুলিতে রয়েছে এবারের মৌসুমে লীগের সর্বোচ্চ ৭টি ক্লিন শিট, এবং ৬টি বোনাস পয়েন্ট।

    এবারের মৌসুমে ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগে সর্বোচ্চ স্কোর করা গোলকিপার হলেন নিক পোপ, এবং বিশ্বকাপের পরেও সেই ফর্মটি ধরে রাখার ক্ষমতা ও দক্ষতা তার রয়েছে। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তিনি থাকলেও তাকে মূল একাদশে খেলানোর সুযোগ খুব কমই দেখা যাচ্ছে।

    ডিফেন্ডার (Defenders)

    গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহেইস – আর্সেনাল (৫.২ মিলিয়ন পাউন্ড) [Gabriel Magalhães – Arsenal (£5.2 million)]

    পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই বিশ্রাম নিবেন আর্সেনালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহেইস, যা তাকে গেমউইক ১৭ এর জন্য খুবই ভালো একটি বাছাইয়ে পরিণত করে। এছাড়া, গেমউইক ১৭ থেকে শুরু করে সহজ ম্যাচের একটি লম্বা ধারায়ও প্রবেশ করতে চলেছে আর্সেনাল।

    এ পর্যন্ত ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগে তিনি মোট ৭২ পয়েন্ট অর্জন করেছেন, যা তার যোগ্যতার পরিচায়ক। এছাড়া, তিনি তার খেলা গত ৫টি ম্যাচেই ৩৬ পয়েন্ট তুলে নিয়েছেন, যা প্রিমিয়ার লীগের সেরা ডিফেন্সের এই মধ্যমণিকে গেমউইক ১৭ এর জন্য একজন মাস্ট-হ্যাভ খেলোয়াড়ে পরিণত করে।

    পড়ুন:  মূল ফিক্সচার যা আর্সেনালের প্রিমিয়ার লিগের আশা নির্ধারণ করবে

    ফ্যাবিয়ান শের – নিউক্যাসেল ইউনাইটেড (৪.৯ মিলিয়ন পাউন্ড) [Fabian Schar – Newcastle United (£4.9 million)]

    এবারের মৌসুমে ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগে একজন আন্ডারস্টেটেড রত্ন হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই ৩০ বছর বয়সী তারকা। ধারাবাহিকভাবে তিনি পয়েন্ট দিয়ে চলেছেন তার ম্যানেজারদেরকে।

    বিশ্বকাপ বিরতির আগে নিউক্যাসেল তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই ক্লিন শিট রেখেছে, এবং বিরতির পর কিছু সহজ ম্যাচ পাওয়ায় তাদের সেই রেকর্ডটিকে তারা আরো সমৃদ্ধ করতে পারবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। যেহেতু এবারের বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ড খুব দূর পর্যন্ত যেতে পারবে না বলেই মনে হচ্ছে, তাই তিনি বিশ্রামের জন্য বেশ খানিকটা সময়ও হাতে পাবেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

    এন্ডি রবার্টসন – লিভারপুল (৬.৮ মিলিয়ন পাউন্ড) [Andy Robertson – Liverpool (£6.8 million)]

    স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক এন্ডি রবার্টসন এবারের বিশ্বকাপ বিরতির পর অনেকটা স্পষ্ট চিত্তেই আবারও খেলতে নামবেন, এবং গেমউইক ১৬ তে দুইটি এসিস্ট দেওয়ার ফলে এবং গত ৩টি গেমউইকে সম্মিলিতভাবে ১৮ পয়েন্ট অর্জন করার পরে তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে ফিরবেন বলে আশা করা যায়।

    যেহেতু লিভারপুলের বেশ কিছু বড় বড় তারকা এই বিরতির পর ইঞ্জুরি থেকে সরাসরি দলে ফিরবেন, সেহেতু এমনটি বলাই যায় যে, গেমউইক ২০ পর্যন্ত তাদের সামনে কিছু সহজ ম্যাচই রয়েছে, এবং এন্ডি রবার্টসন নিশ্চয় অল রেডস’দের ডিফেন্স এবং আক্রমণ উভয় প্রান্তেই নিরলস পরিশ্রম করে অনেক পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।

    মিডফিল্ডার (Midfielders)

    জেমস ওয়ার্ড-প্রাউস – সাউথ্যাম্পটন (৬.২ মিলিয়ন পাউন্ড) [James Ward-Prowse – Southampton (£6.2 million)]

    ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগ ম্যানেজারদের জন্য একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে এই বিষয়টি যে, একটি দল বিশ্বকাপে কতদূর পর্যন্ত যাচ্ছে এবং বিশ্বকাপের পর সেই দলের প্রিমিয়ার লীগ খেলোয়াড়েরা কতটুকু বিশ্রাম পাচ্ছে। তবে, এমনও অনেক খেলোয়াড় রয়েছেন যারা বিশ্বকাপে খেলছেনই না, যেমন সাউথ্যাম্পটনের জেমস ওয়ার্ড-প্রাউস। নেথান জোনস এর অধীনে সাউথ্যাম্পটনের নতুন অধ্যায়ের শুরুতে তাই তিনিই হতে পারেন আপনার ফ্যান্টাসি দলের ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি।

    তাদের সর্বশেষ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন তিনিই, এবং লীগ পুনরায় শুরু হওয়ার পর তাদের পরবর্তী ৫টি ম্যাচে যথাক্রমে ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন, ফুলহ্যাম, নটিংহ্যাম ফরেস্ট, এভারটন এবং এস্টন ভিলা’র বিপক্ষেও গোলের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে থাকবেন সেইন্টস’রা।

    পড়ুন:  আর্সেনাল ইউসিএলে ফিরে আসে: গানারদের কাছ থেকে কী আশা করা যায়

    ডেয়ান কুলুসেভস্কি – টটেনহ্যাম হটস্পার্স (৮.০ মিলিয়ন পাউন্ড) [Dejan Kulusevski – Tottenham Hotspurs (£8.0 million)]

    টটেনহ্যাম হটস্পার্স এর হয়ে হালকা চোট নিয়ে টানা ৬ ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকার পরেও বিশ্বকাপ বিরতির আগে সর্বশেষ দুইটি ম্যাচ খেলতে নেমে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ এসিস্ট করতে সক্ষম হোন ডেয়ান কুলুসেভস্কি।

    ২২ বছর বয়সী এই উদীয়মান তারকা প্রিমিয়ার লীগের দ্বিতীয়ার্ধে আরো ভালো ও উজ্জ্বল পারফর্মেন্স উপহার দিতে পারবেন বলেই আমরা মনে করি, কেননা তিনি ফিট থাকলে গোল বা এসিস্ট করা তার জন্য এক ধরণের অভ্যাসই বলা চলে।

    মিগেল আলমিরোন – নিউক্যাসেল ইউনাইটেড (৫.৮ মিলিয়ন পাউন্ড) [Miguel Almiron – Newcastle United (£5.8 million)]

    বর্তমান মৌসুমে ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী এই প্যারাগুয়া৷ মিডফিল্ডার মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছেন। এবারের মৌসুমে তিনি ইতিমধ্যে তার গত ৩টি মৌসুমের সম্মিলিত গোল ট্যালিকে অতিক্রম করে ফেলেছেন।

    তার খেলা সর্বশেষ ৫টি ম্যাচে ৪টি গোল এবং ২টি এসিস্ট নিয়ে মিগেল আলমিরোন আসন্ন শীতে বেশির ভাগ ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগ ম্যানেজারেরই গো-টু খেলোয়াড় হবেন, কারণ বিরতির পরে অসাধারণ এই নিউক্যাসেল ইউনাইটেড দলটির জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ একটি ফিক্সচার তালিকাই অপেক্ষা করছে।

    মোহাম্মদ সালাহ্ – লিভারপুল (১২.৭ মিলিয়ন পাউন্ড) [Mohamed Salah – Liverpool (£12.7 million)]

    মৌসুমের শুরুটা বেশ ধীরগতিতে করলেও ধীরে ধীরে মোহাম্মদ সালাহ্ তার স্বভাবসুলভ ফর্মে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু তার দল লিভারপুল ধারাবাহিকভাবে খুব একটা সন্তোষজনক ফর্ম প্রদর্শন করতে পারেনি। বিশ্বকাপের সময়ে এই মূল্যবান বিরতিটি পেয়ে তাই এই মিশরীয় জাদুকর বেশ খুশিই হবেন। এছাড়া এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে ইঞ্জুরিতে থাকা লিভারপুলের বেশ কিছু খেলোয়াড় পূর্ণাঙ্গ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার সুযোগও পাবেন।

    তার খেলা সর্বশেষ ৩টি ম্যাচে সালাহ্ সর্বমোট ২৪টি ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগ পয়েন্ট অর্জন করতে সক্ষম হোন।

    ফরোয়ার্ড (Forwards)

    রোবার্তো ফিরমিনো – লিভারপুল (৮.১ মিলিয়ন পাউন্ড) [Roberto Firmino – Liverpool (£8.1 million)]

    বিরতির আগে এই ব্রাজিলিয়ান তারকা মোহাম্মদ সালাহ্ এর পেছনে একটি নবনিযুক্ত রোলে খেলছিলেন এবং অনেক ভালো পারফর্ম করছিলেন। এছাড়া, এবার ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি বিশ্রামের অনেক সুযোগও পাচ্ছেন। তাই মোহাম্মদ সালাহ্ এর পাশাপাশি তিনিও একদম ফ্রেশ অবস্থায় ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের হয়ে মাঠে নামবেন গেমউইক ১৭তে।

    পড়ুন:  ম্যানচেস্টার সিটি কি অবশেষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারবে?

    গত মৌসুমে লীগে তার গোল ট্যালি এবং ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগে তার পয়েন্ট ট্যালিকে এবারের মৌসুমে ইতিমধ্যে পার করে ফেলেছেন ফিরমিনো, এবং বিরতির পর মৌসুম পুনরায় শুরু হওয়ার পর এস্টন ভিলা, লেস্টার সিটি এবং ব্রেন্টফোর্ডের মত দলগুলির বিপকঝে তার আবারও একটি সুখকর সূচনা হবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।

    এন্থোনি মার্শিয়াল – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৬.৭ মিলিয়ন পাউন্ড) [Anthony Martial – Manchester United (£6.7 million)]

    এই ফরাসি ফরোয়ার্ডকেও আপনাদের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবেন না, কারণ এরিক তেন হাগের অধীনে তার রেকর্ড বেশ ভালো। ইঞ্জুরি সমস্যার কারণে তিনি এবারের মৌসুমে লীগে কেবলমাত্র ২০০ মিনিটের ফুটবল খেলতে পেরেছেন। তবে তার মধ্যেই তিনি ২টি এসিস্ট ও ২টি গোল করেছেন রেড ডেভিলদের হয়ে।

    ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো’র বিদায়ের পর এখন ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত রেড ডেভিল শিবিরের একমাত্র আউট-এন্ড-আউট স্ট্রাইকার হবেন মার্শিয়ালই। যেহেতু সবার নিকট অগণিত ফ্রি ট্রান্সফার এভেইলেবল রয়েছে, সেহেতু আমরা বলব যে তাকে দলে নিয়ে একটা ছোটখাট ঝুকি নেওয়াই যায়।

    আর্লিং হাল্যান্ড – ম্যানচেস্টার সিটি (১২.১ মিলিয়ন পাউন্ড) [Erling Haaland – Manchester City (£12.1 million)]

    যেহেতু প্রিমিয়ার লীগের এবারের মৌসুমের সেরা সাইনিং এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড চলতি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না, সেহেতু তাকে দলে নেওয়ার জন্য এফপিএল ম্যানেজারেরা হুমড়ি খেয়ে পড়বেন, সেটিই স্বাভাবিক। এমনটিই ধারণা করা যাচ্ছে যে, বক্সিং ডে এর আগে তাকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যানেজার নিজেদের দলে জায়গা করে দিবেন।

    গেমউইক ১৭ এর জন্য সবচেয়ে বেশি অধিনায়কত্ব প্রাপ্ত ফ্যান্টাসি খেলোয়াড়ও হলে আর্লিং হাল্যান্ডই। সবাই যখন তাকে দলে নিচ্ছেন, এবং অধিনায়কত্ব দিচ্ছেন, তখন আপনি কেন তা করবেন না?

    আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ – ফুলহ্যাম (৬.৮ মিলিয়ন পাউন্ড) [Aleksandr Mitrovic – Fulham (£6.8 million)]

    সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ হলেন তার দলের জন্য একজন নিশ্চিত স্টার্টার, যিনি যেকোন দলের বিপক্ষেই ভালো খেলতে সক্ষম, এবং ডেড বল পরিস্থিতি থেকে একজন মোক্ষম হাতিয়ার। যেহেতু এবারের বিশ্বকাপে সার্বিয়া বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারবে না বলেই মনে হচ্ছে, সেহেতু প্রিমিয়ার লীগ পুনরায় শুরুর পূর্বে মিত্রোভিচ বেশ খানিকটা বিশ্রামের সময়ও পাবেন বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।

    ফুলহ্যামের এই ট্যালিসমানিক সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ইতিমধ্যে ৯টি গোল করেছেন, এবং মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধেও তিনি তার সেই অনবদ্য ফর্মটি ধরে রাখতে পারবেন বলেই সকলের ধারণা।

    Share.
    Leave A Reply