কোনপ্রকার অশুভ ঘটনা না ঘটলে আর্সেনাল সাইন করাতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি’র লেফট ব্যাক ওলেক্সান্ডার জিনচেঙ্কোকে। ট্রান্সফারটি সম্পন্ন হলে সেটি হবে এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে করা আর্সেনালের ৫ম সাইনিং। এই দলবদলটি নিয়ে আর্সেনাল সমর্থকদের মধ্যে প্রচন্ড উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। 

তাসের সেটে যেমন জোকার কাজ করে, ঠিক তেমনি এই মুভটি দিয়ে আর্সেনাল একই সাথে কয়েকটি পজিশন কভার করার আশা করছে। ইউক্রেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জিনচেঙ্কো হলেন একজন অসাধারণ মানসিকতাসম্পন্ন খেলোয়াড়, যিনি সবসময় জয় হাসিলের জন্যই খেলেন, এবং যিনি ইতিমধ্যে প্রিমিয়ার লীগে একজন জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়।

বর্তমান গানারস ম্যানেজার মিকেল আর্তেতা ম্যানচেস্টার সিটিতে থাকাকালীন সময়ে জিনচেঙ্কোর সাথে কাজ করেছেন, এবং নিশ্চয় সেখানেই তার ক্রীড়াকৌশলে মুগ্ধ হয়েছিলেন আর্তেতা। বিভিন্ন প্রেস কনফারেন্সেও তাকে এই ইউক্রেনিয়ান ট্যালিসমান এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে। জিনচেঙ্কো ফুটবল মাঠের বিভিন্ন এলাকায় খেলে থাকেন। তিনি ম্যান সিটি’র হয়ে অধিকাংশ সময় লেফট ব্যাক পজিশনে খেললেও তার আগের দলগুলিতে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেছেন, এবং ইউক্রেন জাতীয় দলের হয়েও তিনি মিডফিল্ডেই খেলে থাকেন। বলাই বাহুল্য, সকল পজিশনেই তিনি সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। আর্তেতা জিনচেঙ্কোর খেলার এই দিকটার অনেক বড় ভক্ত, এবং সেজন্যই তিনি আর্সেনাল কর্তৃপক্ষকে তার জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

যদিও বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটি এই ইউক্রেনিয়ানকে রিপ্লেস করার জন্য ব্রাইটন এন্ড হোভ এলবিয়ন এর লেফট ব্যাক মার্ক কুকুরেয়াকে বাছাই করে ফেলেছে, এবং তাকে দলে নেওয়ার জন্য তারা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত, তবুও সেই ট্রান্সফারটি তারা সম্পন্ন করবে না, যতক্ষণ না আর্সেনাল জিনচেঙ্কোর পুরো ট্রান্সফার ফি পরিশোধ করছে। স্প্যানিশ ফুল ব্যাক কুকুরেয়াকে ব্রাইটন থেকে কিনতে হলে প্রিমিয়ার লীগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে বহু পয়সা খসাতে হবে, কারণ ব্রাইটনের সাথে তার চুক্তির মেয়াদ এখনো ৪ বছর বাঁকি রয়েছে, আর তাই তারা তাকে বিক্রি করার জন্য কোন তাড়াহুড়োর মধ্যেও নেই। আর্সেনালের নিকট জিনচেঙ্কোকে বিক্রি করে দিলে তারা সেই অর্থনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হবে যার দ্বারা তারা কুকুরেয়াকে দলে ভেড়াতে পারবে। 

জিনভেঙ্কো কেনার এই ডিলটি বহু আর্সেনাল সমর্থক ও ফুটবল পন্ডিতদের জন্যই বেশ বোধগম্য হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে আর্সেনাল দলের কোন কোন পজিশনে ঘাটতি আছে তা দেখলে বোঝা যায় যে, জিনচেঙ্কো তার মধ্যে থেকে অধিকাংশ সমস্যাই দূর করতে সক্ষম। আর্সেনালের স্কোয়াডে নিশ্চিতরূপে লেফট ব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ড এই দুই পজিশনেই অনেক বেশি শক্তি বাড়ানোর দরকার রয়েছে, এবং এই এক ইউক্রেনিয়ানই হতে পারেন তাদের উভয় পজিশনের সমাধান।

কিয়েরান টিয়ার্নি তারপরও দলটির ফার্স্ট চয়েজ লেফট ব্যাক হিসেবেই থাকবেন, যদিও ইঞ্জুরির এবং ফিটনেস সমস্যার কারণে তাকে মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে গত দুই মৌসুমজুড়ে। গানাররা সেই সমস্যাটিকেই সমাধান করার জন্য জিনচেঙ্কোকে দলে নিয়েছে, যাতে তিনি টিয়ার্নির অনুপস্থিতির সময়গুলিতে কাজে আসেন। যদিও লেফট ব্যাক পজিশনটিতে খেলার যোগ্য আরেকজন খেলোয়াড় তাদের স্কোয়াডে আছেন, যার নাম নুনো তাভারেজ, কিন্তু গত মৌসুমে তাকে বেশ বেগ পেতে দেখা গিয়েছে, এবং খুব সম্ভবত আর্সেনালে তার সময় এখন শেষের দিকেই।

পড়ুন:  গেমসপ্তাহ 4 এর জন্য FPL সেরা বাছাই

কেন আর্সেনাল জিনচেঙ্কোর জন্যই উঠে পড়ে লেগেছিল? (Why Arsenal went for Zinchenko?)

ম্যানচেস্টার সিটি’র হয়ে এই ইউক্রেনিয়ান মাইস্ট্রো লেফট ব্যাক পজিশনটি প্রায় নিজের নামেই করে নিয়েছিলেন এবং নিয়মিত সুযোগ পেলে হয়তো কিয়েরান টিয়ার্নিকে পেছনে ফেলে আর্সেনালেও তিনি প্রথম চয়েজ লেফট ব্যাক হয়ে উঠতে পারবেন।

প্রকৃতপক্ষে, পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে তিনি স্কটিশ ফুল ব্যাক টিয়ার্নির থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছেন। গত মৌসুমে জিনচেঙ্কো টিয়ার্নির থেকে বেশ কিছু ক্যাটেগরিতেই এগিয়ে ছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাচপ্রতি এসিস্টের হার, একিউরেট পাসেস, একিউরেট ক্রসেস, এবং ফরোয়ার্ড রানস।

তবে, এটিও ঠিক যে, আমাদের এ সবকিছুর ব্যাপারে ওতটা নিশ্চিত হলেও চলবে, কেননা এই ইউক্রেনিয়ান এতদিন এমন একটি দলে খেলে এসেছেন যে দলটি পুরো লীগকেই ডমিনেট করে আসছে। এবং, তার পরিসংখ্যানগুলিও আশানুরূপ, কারণ তিনি একটি শিরোপা জয়ী দলেই খেলেছেন এতদিন।

অধিকন্তু, এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে, এই খেলোয়াড়টির আর্সেনালে যোগ দেওয়ার একটি মোক্ষম কারণ হল বেশি বেশি গেমটাইম পাওয়া, এবং তার সাম্প্রতিক সব সাক্ষাৎকার দেখে মনে হয়েছে যে, তিনি আর্সেনালের মিডফিল্ডেই নিয়মিত খেলতে চান।

এমনকি ম্যানচেস্টার সিটি’র স্প্যানিশ ম্যানেজার পেপ গার্দিওলাও তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকবারই এমনটি জানিয়েছেন যে, জিনচেঙ্কোর জন্য একটি মিডফিল্ড বা অ্যাটাকিং রোলই বেশি উপযুক্ত, কারণ তার মধ্যে প্রচুর বুদ্ধিদীপ্ততা ভরে ভরে রয়েছে।

এবছরের এপ্রিল মাসেই গার্দিওলা বলেছিলেন, “জিনি (জিনচেঙ্কো) অ্যাটাকিং পজিশনগুলিতে স্পেস এর বিভিন্ন পকেট খুঁজে সে জায়গাগুলিতে প্রবেশ করতে পছন্দ করেন। অবশ্যই, সেটিই তার প্রকৃত পজিশনও বটে। যখন আমরা ওলেককে ইউক্রেন থেকে ক্লাবে এনেছিলাম, তখন আমরা তাকে একজন নাম্বার ১০ হিসেবেই এনেছিলাম — ফিল ফোডেন যে পজিশনে খেলেন, সেখানে খেলার জন্য, একজন ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। তবে, আমাদের প্রয়োজন কালভেদে পরিবর্তন হয়েছিল, কারণ আমাদের নিকট বেশ কয়েক বছর ধরে কোন প্রতিষ্ঠিত লেফট ব্যাক ছিল না। ওলেক এর মতই ফ্যাবিয়ান ডেল্ফও পজিশনটিতে খুবই ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছিলেন। এবং, ঐ পজিশনে এই দুইজনেরই সফল হওয়ার পেছনে মূল কারণ হল, তারা ফুটবলকে খুবই ভালোভাবে বোঝেন, তারা এ ব্যাপারে সুশিক্ষিত। ওলেক জানে ওর কাছে দলের কি প্রত্যাশা রয়েছে, এবং দলে তার দায়িত্ব কি।”

আগামী মৌসুমে ভালো করতে হলে গানারস’দের পুরো স্কোয়াডকেই ভালো করতে হবে, কারণ তারা আগামী মৌসুমে ইউরোপা লীগেও খেলবে। সেই লম্বা মৌসুম পার করার জন্য ওলেক্সান্ডার জিনচেঙ্কো’র মত একজন বহুমুখী খেলোয়াড় তাদের বেশ কাজে আসতে পারেন। রক্ষণভাগ, মিডফিল্ড, এমনকি আক্রমণেও সাহায্য করতে পারেন, প্রকৃতপক্ষে এমন খেলোয়াড় আধুনিক ফুটবলে খুব কমই পাওয়া যায়। যেহেতু আর্সেনালের দলে বিভিন্ন পজিশনে বহু ইঞ্জুরি সমস্যা বিদ্যমান, সেহেতু এমন একজন খেলোয়াড় তাদেরকে বহুমুখী কভার প্রদান করবে।

পড়ুন:  ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ফুলহ্যামের টিকে থাকার সুযোগ নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণ

আর্সেনালে তিনি ট্যাকটিকাল দিক দিয়ে কিভাবে খাপ খাইয়ে নিবেন? (How will he fit in tactically at the club?)

যেহেতু এখানে যে খেলোয়াড়কে নিয়ে কথা হচ্ছে তিনি একজন বহুমুখী খেলোয়াড়, সেহেতু বিভিন্ন পজিশনে ইঞ্জুরি দেখা দিলে তা কভার করা এখন আর্তেতা’র জন্য কিছুটা হলেও সহজ হবে। জিনচেঙ্কো লেফট ব্যাক পজিশনে সিটি’র হয়ে অনেক অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন, এবং তার সিটি ক্যারিয়ার জুড়েই তিনি বার বার প্রমাণ করেছেন যে, তার মধ্যে না আছে গতির কোন ঘাটতি, আবার না আছে শারিরিক শক্তির কোন অভাব। এবং, এ সকল কিছুর উর্ধ্বে, তার রয়েছে একিউরেট পাস খুঁজে বের করা ও পাসটি গন্তব্যে পৌঁছানোর অসাধারণ ক্ষমতা।

আর্সেনাল ম্যানেজার অবশ্যই এই ইউক্রেনিয়ান তারকার শক্তিমত্তা ও ক্ষমতা সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন, কারণ তিনি ম্যানচেস্টার সিটিতে পেপ গার্দিওলা’র ডান হাত হিসেবে বেশ কয়েক মৌসুম পার করেছিলেন। তবে, এটি এখনো একটি অজানা বিষয় যে, কিভাবে আর্তেতা এই ২৫ বছর বয়সী তারকাকে নিয়মিত আর্সেনাল দলে জায়গা করে দিবেন। 

বর্তমানে আর্সেনালের নিকট লেফট ব্যাক পজিশনে দুইটি বিকল্প রয়েছে — কিয়েরান টিয়ার্নি এবং নুনো তাভারেজ। প্রথম জন গানারস’দের র‍্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে, যখন তিনি সেল্টিক থেকে নর্থ লন্ডনে পাড়ি জমান। তবে তার গানারস ক্যারিয়ার এখন পর্যন্ত ইঞ্জুরি ও ফিটনেসজনিত সমস্যায় ভরপুর হওয়ায় খুব একটা এগুতে পারেনি, যদিও কম সময়েই তিনি সমর্থকদের মন ঠিকই জয় করে নিয়েছেন।

আর্সেনালের ফিজিও দলের সাবেক একজন সদস্য — গ্যারি লেউইন — এটি দাবি করেছেন যে এই স্কটিশ ফুল ব্যাক প্রিমিয়ার লীগের অতিরিক্ত শারিরিক চাহিদার সাথে মানিয়ে নিতে হিমসিম খাচ্ছেন। এখানে এই ব্যাপারটিও উল্লেখ না করলেই নয় যে, ক্লাবটিতে কাটানো সময়ের মধ্যে এমনও একটি মৌসুম তিনি পার করেননি যেখানে তিনি ২৭টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন গানারস’দের হয়ে।

অন্যদিকে, তাভারেজ নিশ্চয় নিজেও তার ভাগ্যকে মেনে নিয়েছেন যে, জিনচেঙ্কো দলে আসায় তিনি এখন থার্ড চয়েজ লেফট ব্যাকে পরিণত হতে চলেছেন। যখন থেকেই জিনচেঙ্কো আর্সেনালে যোগ দেওয়ার গুজব শোনা গিয়েছে, তখন থেকেই নাকি এই পর্তুগিজ ফুল ব্যাক নতুন ক্লাব খোঁজার কাজে লেগে পড়েছেন।

ট্রান্সফার মিলে এই খেলোয়াড়কে লিগা উনের (ফরাসি লীগ) বিভিন্ন ক্লাবের সাথে লিংক করা হয়েছে, বিশেষ করে মার্সেই এর সাথে। কিন্তু, এখন এসে মনে হচ্ছে যে, সেসকল লিংক ফলপ্রসূ হয়নি এবং হবেও না। পরিস্থিতি অনুযায়ী এখম তাকে আর্সেনাল স্কোয়াডেই থাকতে হবে এবং আর্তেতা’র অধীনে দলে তার জায়গা অর্জনের জন্য লড়াই করতে হবে।

পড়ুন:  প্রিমিয়ার লিগে পরিসংখ্যানকে বরখাস্ত করছেন ম্যানেজার

তবে, যদি আসলেই স্প্যানিয়ার্ড আর্তেতা তার নতুন সাইনিং জিনচেঙ্কোকে লেফট ব্যাক পজিশনে খেলার সুযোগ দেন, তবে হয়তো খেলোয়াড় এবং দল উভয়ের জন্যই তা অধিক শুভকর হবে, কারণ তিনি ফরোয়ার্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই পারদর্শী, এবং তার দেওয়া অসাধারণ সব ক্রস কাজে লাগিয়ে আর্সেনালের নতুন ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস অনেক গোল করার সুযোগও পাবেন বলেই আশা করা যায়।

জিনচেঙ্কোকে নিয়ে আর্সেনাল কিভাবে দল সাজাবে? (How will Arsenal line up with Zinchenko?)

যদিও তিনি তার ম্যান সিটি ক্যারিয়ার জুড়েই লেফট ব্যাক পজিশনে খেলেছেন, তবুও তার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা বার বার দাবি করেছেন যে তার সেরা পজিশন হল অ্যাটাকিং মিডফিল্ড। এই বিভাগে আমরা এমন কিছু উপায় পর্যবেক্ষণ করব যেগুলির মাধ্যমে আর্তেতা জিনচেঙ্কোকে আর্সেনালের মূল দলে সুযোগ করে দিতে পারেন।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বর্তমানে জিনচেঙ্কোর প্রকৃত পজিশনটি (অ্যাটাকিং মিডফিল্ড) আর্সেনালের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় ইতিমধ্যেই দখল করে রেখেছেন। মার্টিন ওডেগার্ড, এমিল স্মিথ রো, এবং আরেক নতুন সাইনিং ফাবিও ভিয়েরা তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই এটির সম্ভাবনাই বেশি যে, এই ইউক্রেনিয়ান ফুটবলার আরেকটু ডিফেন্সিভ রোলে থমাস পার্টে বা গ্রানিত জাকা’র সাথে খেলতে চলেছেন।

মিকেল আর্তেতা আর্সেনালের হয়ে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনটিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকেন, এবং সেখানে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এর রোলে যদি জিনচেঙ্কোকে দেখা যায়, তাহলে সেটিও খেলোয়াড়টির জন্য খারাপ হবে না, কারণ ইউক্রেন জাতীয় দলের হয়ে তিনি অনেকবারই সেই পজিশনটিতে খেলেছেন, এবং সবার মনও জয় করেছেন।

নাম্বার ৮ পজিশনটি যদি তার ধরাছোঁয়ার বাইরেও থাকে, তাহলে আমরা আগেও উল্লেখ করেছি যে, কিয়েরান টিয়ার্নি’র অনুপস্থিতিতে তাকে লেফট ব্যাক পজিশনটিতেও তিনি একজন আস্থাবান এবং যোগ্য বিকল্প। ডিফেন্সিভ দিক থেকে, লাইন ক্লিয়ার করা, অফসাইড ফাঁদে ফেলা, বা ক্লিন ট্যাকল করা — এ সবকিছুতেই তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছেন ম্যান সিটিতে থাকাকালীন। আবার, আক্রমণে যাওয়ার সময় তিনি হলেন একজন বিপজ্জনক ড্রিবলার, পাসার, ক্রসার, এবং এমনকি শুটারও।

জিনচেঙ্কো’র আক্রমণাত্মক মনোভাবকে মাথায় রেখে তাকে লেফট সাইডেড উইং ব্যাক, এবং এমনকি লেফট উইংগার হিসেবে খেলানোটাও সমীচীনই হবে। এভাবেও তিনি তার দূরদর্শীতা প্রকাশ করতে পারবেন, কিন্তু দলের উইং থেকে।

যদিও তা হয়তো আর্তেতা শুধুমাত্র এমার্জেন্সি পরিস্থিতিতেই প্রয়োগ করবেন, তবে উপরের আলোচনা থেকে একটি ব্যাপার স্পষ্ট, এবং সেটি হচ্ছে — জিনচেঙ্কো হচ্ছেন অতি বৈচিত্র‍্যময় একজন খেলোয়াড়, যিনি বিভিন্ন পজিশনে খেলতে সক্ষম, এবং অদূর ভবিষ্যতে যিনি আর্সেনালের অনেক কাজে আসবেন বলেই ধারণা করা যায়।

Share.
Leave A Reply