তাদের গত ২ ম্যাচে চেলসি’র নিকট এফএ কাপের সেমি ফাইনালে এবং নিউক্যাসেলের নিকট প্রিমিয়ার লীগে পরাজয় বরণ করার পর ক্রিস্টাল প্যালেস তাদের ঘরের মাঠে লিডস ইউনাইটেডকে আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছে এই উইকেন্ডে। লিডস ইউনাইটেড তাদের সর্বশেষ সম্ভাব্য ১২ পয়েন্টের মধ্যে থেকে ১০ পয়েন্ট অর্জন করলেও এখনো তারা রেলিগেশন এর সম্ভাবনা থেকে পুরোপুরি নিরাপদ না। নতুন ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে তারা তাদের ভালো পারফর্মেন্স ধরে রাখতে পারে কি না সেটিই এখন দেখবার বিষয়।
Author: admin
এবারের মার্সিসাইড ডার্বিতে দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, কারণ লিভারপুল ও এভারটন বর্তমানে টেবিলের একদম বিপরীত পার্শ্বে অবস্থান করছে এবং তাদের লড়াইও তাই সম্পূর্ণ ভিন্ন। লিভারপুল বর্তমানে সবকটি প্রতিযোগিতাতেই টিকে রয়েছে এবং সেগুলিতে জেতার জন্যই খেলে যাচ্ছে, আর ফ্রাংক ল্যাম্পার্ডের এভারটন দল বর্তমানে খেলছে একটি জয়ের জন্য যা তাদেরকে রেলিগেশন জোন থেকে কিছুটা নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাবে। তাদের সর্বশেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে ধরাসয়ী করে লিভারপুল তাদের টানা ১১তম জয় বাগিয়ে নিয়েছে। এভারটন এই ম্যাচে উচ্চাশা নিয়ে না নামলেও তারা চাইবে অন্তত তাদের গত ম্যাচে লেস্টারের বিপক্ষে ১-১ ড্র’য়ের দরুণ করা পারফর্মেন্সটি ধরে রাখতে এবং লিভারপুলকে একটি…
রেলিগেশনের ঝুঁকিতে থাকা বার্নলি তাদের সর্বশেষ ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় হাসিল করে এখন ১৭তম স্থানে থাকা এভারটনের থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, ওলভস সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা খারাপ ফর্মে রয়েছে, কারণ তারা তাদের গত ৮টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই পরাজয় বরণ করেছে। অবশ্য তারা তাদের তারকা স্ট্রাইকার রাউল হিমেনেজকে এই ম্যাচে ফিরে পাবে। হিমেনেজ এই মৌসুমে তার দ্বিতীয় লাল কার্ডটি হজম করে ওলভসের হয়ে গত দুই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি।
যদিও ব্রাইটন এবং সাউথ্যাম্পটন যথাক্রমে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের ১০ম এবং ১৩তম স্থানে অবস্থান করছে, তবুও তাদের মধ্যে রয়েছে মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধান। প্রিমিয়ার লীগের মধ্য টেবিলে এবার এমনই প্রতিযোগিতা! ব্রাইটন এবং সাউথ্যাম্পটন তাদের সর্বশেষ ম্যাচে যথাক্রমে ম্যান সিটি এবং বার্নলির নিকট পরাজয় বরণ করেছে। তবে দুই দলেরই এখনো আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগীতায় খেলার সম্ভাবনা টিকে রয়েছে, এবং তাই তারা এই ম্যাচটি জেতার জন্য একরকম আপ্রাণ চেষ্টা করবে বলেই ধারণা করা যায়।
গাণিতিক দিক থেকে দেখতে গেলে বলতে হয় যে নরউইচ সিটি এখনো নিশ্চিতরূপে রেলিগেটেড হয়ে যায়নি, এবং তাদের প্রিমিয়ার লীগে টিকে থাকার সম্ভাবনা অল্প হলেও এখনো আছে। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে হলে তাদেরকে একটানা কিছু ম্যাচ জিততে হবে, এবং সেই ধারার শুরু হতে হবে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে তাদের আগামী খেলাটি থেকেই। অন্য প্রান্তে থাকা নিউক্যাসেল এখন রয়েছে এ সিজনে তাদের সেরা ফর্মে। সিজনের শুরুতে তারা রেলিগেশনের জন্য ফেভারিটদের মধ্যে একটি দল হলেও বর্তমানে তারা নিজেদের ভাগ্য ৩৬০° ঘুরিয়ে ফেলেছে এবং তারা লীগ টেবিলের ১১তম স্থানে অবস্থান করছে। তারা তাদের গত দুই ম্যাচ জিতলেও তার আগে তারা একটানা তিনটি ম্যাচ হেরেছিল।…
পেপ গার্দিওলার ম্যান সিটি দল এখন তাদের প্রত্যেকটি ম্যাচেই জয় ছাড়া কিছুই চাইবে না, কারণ যেভাবেই হোক তারা লিভারপুলের থেকে ১ পয়েন্ট এগিয়েই থাকতে চাইবে। সিটি এবং ওয়াটফোর্ডের মধ্যে এর পূর্বে ১৪টি মুয়াচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার ১৪টিতেই জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ওয়াটফোর্ড, আরেক দিকে, এই ম্যাচটিতে খেলতে নামবে তাদের আগের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ২-১ গোলে হারার পর। তারকায় ভরা সিটিকে হারাতে হলে তাদের তাই এক ধরণের মিরাক্কেলই করতে হবে।
এই ম্যাচটিতে খেলতে নামার আগে লেস্টারের জন্য খুশির সংবাদ হল তাদের তারকা স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি বহু সপ্তাহ হাঁটুর ইঞ্জুরি নিয়ে মাঠের বাইরে থাকার পর এই সপ্তাহে শেষমেষ ট্রেনিংয়ে নেমেছেন। এস্টন ভিলার বিপক্ষে হয়ত সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে বেঞ্চে দেখা যেতে পারে। লেস্টারের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের ডিফেন্স, যার কারণে তারা তাদের গত দুই ম্যাচেই নিউক্যাসেল এবং এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ অংশে গিয়ে গোল হজম করেছে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট খুইয়েছে। এই ম্যাচে তারা একই ভুল করা থেকে বিরত থাকতেই চাইবেন। এস্টন ভিলা ম্যানেজার হিসেবে স্টিভেন জেরার্ড একটি উড়ন্ত সূচনা করলেও, বিগত কয়েক সপ্তাহে ভিলেইনরা তাদের ফর্ম বাজেভাবে…
এবারের প্রিমিয়ার লীগ সিজনের সেরা আকর্ষণ ব্রেন্টফোর্ড স্পার্সের বিপক্ষে একটি ভালো খেলা উপহার দিয়ে তাদের মিড-টেবিল মর্যাদা ধরে রাখতে চাইবে। টেবিলের প্রথমভাগের (শীর্ষ ১০) প্রবেশপথ তাদের জন্য খোলা, কারণ তারা ১০ম স্থানে থাকা লেস্টার হতে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে। তবে, এই ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের প্রতিপক্ষ টটেনহ্যামের জন্য এই ম্যাচটি জেতা অধিকতর জরুরি, কেননা আগামী সিজনে চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলার দৌড়ে তারা এবং তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী আর্সেনাল একটি দ্বিমুখী লড়াইয়ে লিপ্ত বললে ভুল হবেনা। পয়েন্টের দিক থেকে তারা একদম সমান এবং প্রত্যেকটি ম্যাচ জিতলেই শুধু স্পার্স আগামী সিজনে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফুটবল নিশ্চিত করতে পারবে।
দের নামে এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে বেশি ড্র করার রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও কেন বার্নলি রেলিগেশনের সাথে লড়াই করছে তা বোঝা বড়ই দায়। এখন তাদের রেলিগেশন থেকে বাঁচতে হলে ম্যাচ জেতা শুরু করতে হবে, এবং তাদের পরবর্তী খেলায় সাউথ্যাম্পটনের সাথেই সে ধারার শুরু হলে তাদের জন্যই ভালো। সাউথ্যাম্পটনের খাতায় এবারের মৌসুমে একটি অদ্ভুত রেকর্ড রয়েছে। তারা টেবিলের একদম নিচের তিন দলের বিপক্ষে খেলা তাদের সর্বশেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দুইটি ম্যাচেই হেরেছে। সেই ধারার ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে বার্নলির জন্য একটি সুখবরই অপেক্ষা করছে।
ম্যানচেস্টার সিটির জন্য এখনো প্রত্যেক ম্যাচেই জিয় হাসিল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের নিকট হতে নিজেদেরকে কিছুটা এগিয়ে নিতে এবং একই সাথে চ্যাম্পিয়নস লীগেও নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে। ব্রাইটন গত সপ্তাহজুড়ে আকষ্মিকভাবে আর্সেনাল এবং টটেনহ্যাম উভয়কেই হারানোর আগে একটি বাজে সময় পার করেছিল, যেখানে তারা ৭ ম্যাচ খেলে ৬টিতেই হেরেছিল। গ্রাহাম পটারের দল চাইবে ম্যানচেস্টার সিটি’র সকল পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে, যার ফলে তারা সিজনের শেষের দিকে এসে আগামী সিজনে যেকোন একটি ইউরোপীয় প্রতিযোগীতায় নাম লেখানোর একটি শেষ চেষ্টা করতে পারে।