কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ থেকে আমরা আর মাত্র এক মাস দূরে অবস্থান করছি। আগামী নভেম্বরের ২০ তারিখে মধ্যপ্রাচ্যের বালুকাময় মাটিতে ৩২টি দেশের জাতীয় দল এসে ঘাঁটি গাড়বে ফুটবলের সবচেয়ে বড় পুরষ্কারটি ঘরে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই। এটিই হতে যাচ্ছে ফুটবলের ইতিহাসের সর্বপ্রথম শীতকালীন বিশ্বকাপ।

অন্য সকল বড় টুর্নামেন্টের মতই এবারের বিশ্বকাপটিও ভরে রয়েছে নানা ধরণের আলোচনা ও সমালোচনায়, এবং বিভিন্ন গল্প দিয়ে। ফ্রান্স কি পারবে পর পর দুইটি বিশ্বকাপ জিতে নিতে, নাকি মেসি বা রোনাল্ডোর মধ্য থেকে একজন তার দেশকে এনে দিতে পারবে বিশ্বকাপ জয়ের সম্মান? এগুলো হল এমন কিছু প্রশ্ন, যার উত্তর আমরা সময়মতই পেয়ে যাব, কিন্তু এই নিবন্ধটিতে আমরা বেশি জোড় দিব সেই ব্যাপারটিতে যেটির কারণে যেকোন বিশ্বকাপই আরো উত্তেজনাময় হয়ে ওঠে, এবং যেটি অদূর ভবিষ্যৎকে খুব ভালোভাবেই তুলে ধরে থাকে। কোন যুবা খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্টে নিজের প্রতিভার সম্পূর্ণ আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারবে?

বছরের পর বছর ধরে আমরা দেখেছি যে, বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে প্রচুর যুবা খেলোয়াড় নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিয়েছেন। এই বিশাল ইভেন্টে ভালো পারফর্ম করে অনেক ইয়াং খেলোয়াড়ই বড় বড় ক্লাবে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন, এবং পুরো বিশ্বের সামনে নিজের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন। তাই, একইভাবে, এবারের বিশ্বকাপে খেলার জন্যও এমন বেশ কিছু প্রতিভাবান যুবা খেলোয়াড় কাতারে পাড়ি জমাতে যাচ্ছেন, যাদের নিকট সুযোগ থাকবে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার। এই মঞ্চ থেকে উঠে এসেই পুরো পৃথিবী কাঁপিয়েছেন ফুটবলের বহু কিংবদন্তীরা।

এই নিবন্ধে আমরা এমনি কিছু প্রতিভাবান যুবা খেলোয়াড়দের দিকে নজর দিব, যারা ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে মাঠ কাঁপাতে প্রস্তুত।

মোহাম্মদ কুদুস – ২২ বছর বয়সী, ঘানা (Mohammed Kudus – 22 years old, Ghana)

আয়াক্সের এই প্রতিভাবান ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার একটি ব্রেক আউট মৌসুম পার করছেন, এবং ইউরোপে বর্তমান মৌসুমের সেরা যুবা খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি অন্যতম।

ঘানার আক্রা শহরে জন্ম নেওয়া এই খেলোয়াড় ২০২০-২১ মৌসুমে নর্ডজিল্যান্ড নামক একটি ড্যানিশ ক্লাব থেকে আয়াক্সে যোগ দেন, এবং তখন থেকেই তিনি এই ঐতিহাসিক ডাচ ক্লাবটিতে নিজেকে ঝালাই করে নিয়েছেন। এবছর প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার পর কুদুস তার মধ্যে থাকা অগাধ গুণমানের প্রমাণ দিয়েছেন। বর্তমান আয়াক্স দলে তিনিই বলতে গেলে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার। এবারের মৌসুমে আয়াক্সের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলে তিনি ইতিমধ্যে ৭টি গোল ও ২টি এসিস্ট অর্জন করে নিয়েছেন।

কুদুস তার জাতীয় দলের হয়ে অভিষিক্ত হোন মাত্র ২০ বছর বয়সেই, এবং তখন থেকে আজ পর্যন্ত তিনি ঘানা’র হয়ে ১৮ বার খেলতে নেমেছেন। এর মধ্যে তিনি জাতীয় দলের হয়ে নিজের ঝুলিতে ৫টি গোল ও ৩টি এসিস্টও ভরেছেন। কুদুস খুবই বৈচিত্র্যময় একজন খেলোয়াড়, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে আয়াক্সের হয়ে ফলস নাইন পজিশনেও খেলেছেন, কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে তিনি সাধারণত মিডফিল্ডেই খেলে থাকেন।

পড়ুন:  ম্যাচউইক 28 পুরষ্কার

এবারের বিশ্বকাপে তিনি ব্ল্যাক ক্যাটস খ্যাত ঘানা’র জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় হতে চলেছেন। গ্রুপ স্টেজ থেকে নক আউট স্টেজে উঠতে হলে, বা বিশ্বকাপে ভালো কিছু অর্জন করতে হলে ঘানা সমর্থকরা তার দিকেই চেয়ে থাকবে।

রাফায়েল লেয়াও – ২৩ বছর বয়সী, পর্তুগাল (Rafael Leao – 23 years old, Portugal)

অত্যন্ত প্রতিভাবান ও স্কিলফুল এই পর্তুগিজ উইংগারকে কে না চিনে। তার জন্য কোন ভূমিকারই প্রয়োজন নেই। এসি মিলানের এই যুবা ফরোয়ার্ড ইতিমধ্যে বিশ্বের সেরা একজন যুবা খেলোয়াড় হিসেবেই পরিলক্ষিত হোন, এবং তিনি এমন এক পর্তুগাল দলের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন, যাদেরকে কি না প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জয়ের জন্য ফেভারিট মানা হচ্ছে।

আলমাদা শহরে জন্ম নেওয়া এই লেফট উইংগার ২০১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ক্লাব লিল থেকে ইতালিয়ান জায়ান্টস এসি মিলানে যোগ দেন, এবং ২০২১-২২ মৌসুমে এসে তিনি নিজেকে পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হোন। গত মৌসুমে তিনি ৪২টি ম্যাচে অংশ নিয়ে সর্বমোট ১৪টি গোল এবং ১২টি এসিস্ট তুলে নেন। গত মৌসুমে ২০১০-১১ মৌসুমের পর থেকে রসোনেরি’দের প্রথম স্কুদেতো বা সিরি আ শিরোপা জেতার পেছনে তিনিই অন্যতম কারণ ছিলেন।

এবারের মৌসুমেও তিনি বেশ ভালো সূচনা করেছেন, এবং ইতিমধ্যে ১২টি ম্যাচ খেলে ৪টি গোল এবং ৬টি এসিস্ট নিজের নামে করে নিয়েছেন। তিনি তার এই ভালো ফর্মটিকে বিশ্বকাপেও নিয়ে যেতে চাইবেন। জাতীয় পর্যায়েও তিনি সেই লেফট উইংগার এর পজিশনটিকে নিজের করে নিয়েছেন, এবং টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে তার দলকে সাফল্যের মুখ দেখানোর দায়িত্বটাও অনেকটাই তার ঘাড়ে থাকবে।

গত বছর তার জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর থেকে ১১টি ম্যাচ খেলে তিনি এখনো কোন গোলের দেখা পাননি। তবে, সেই গোল খরাটি কাটানোর জন্য বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো মঞ্চই বা আর কোনটি হতে পারে?

কোডি গাকপো – ২৩ বছর বয়সী, নেদারল্যান্ডস (Coady Gakpo – 23 years old, Netherlands)

বর্তমান মৌসুমের শুরুতে এই মাল্টি ট্যালেন্টেড উইংগার বেশ চমৎকার ফর্ম পার করছেন। ডাচ এরিদিভিজি’র ক্লাব পিএসভি আইন্ডহোভেন এর হয়ে এবারের মৌসুমে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলেই তিনি ১২টি গোল ও ৮টি এসিস্ট অর্জন করে ফেলেছেন। তার পারফর্মেন্স এর মাধ্যমেই গাকপো দেখিয়ে দিয়েছেন কেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মত বড় বড় ক্লাব গত ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাকে কেনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল।

আইন্ডহোভেনেই জন্ম নেওয়া এই খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত তার পুরো ক্যারিয়ারই কাটিয়েছেন পিএসভি’তে। গত মৌসুমটি ছিল তার জন্য ব্রেক আউট মৌসুম, কারণ সেবার তিনি পিএসভি’র হয়ে সর্বমোট ৩৬টি ম্যাচ খেলে ১৭টি গোল এবং ১৩টি এসিস্ট অর্জন করেছিলেন, এবং পথিমধ্যে ডাচ কাপের শিরোপাটিও ঘরে তুলেছিলেন।

পড়ুন:  ট্রান্সফার মার্কেটের অরাজকতার জন্য প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলিই দায়ী!

তিনি নেদারল্যান্ডস এর হয়ে গত বছর অভিষিক্ত হোন, এবং তার পর থেকে তিনি অরানিয়া’দের হয়ে ৯টি ম্যাচ খেলে ৩টি গোল ও ২টি এসিস্ট তুলে নেন। একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সব গূনমানই রয়েছে গাকপো’র মধ্যে, এবং ইতিমধ্যে তাকে দেখে মনে হচ্ছে যে তার সেই অগাধ প্রতিভাকে তিনি ঠিকমত কাজেও লাগাতে পারছেন। কাতার বিশ্বকাপে যদি তিনি ডাচদের হয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমরা তাকে কোন বড় ক্লাবেও দেখতে পাব, এ ব্যাপারে কোনই দ্বিধা নেই।

ফিল ফোডেন – ২২ বছর বয়সী, ইংল্যান্ড (Phil Foden – 22 years old, England)

এই মুহূর্তে যদি আপনি বলেন যে, ফিল ফোডেন হল বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে একজন, তাহলে তেমন কেউই আপনার সাথে তর্কে লিপ্ত হবে না। গত এক বছর ধরে তিনি তেমন একটি লেভেলেই পারফর্ম করে আসছেন।

ক্ষীণকায় এই ইংলিশ উইংগার আবারও ম্যানচেস্টার সিটি’র হয়ে একটি দূর্দান্ত মৌসুমে পার করছেন, এবং এবারের মৌসুমে তিনি ইতিমধ্যে ১৩টি ম্যাচ খেলে ৭টি গোল ও ৫টি এসিস্ট নিজের নামে করে নিতে পেরেছেন। আগামী নভেম্বরে একটি অসাধারণ টুর্নামেন্ট পার করার অপেক্ষায়ই এখন তিনি রয়েছেন।

২০২০ সালে ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট তাকে প্রথমবারের মত ইংল্যান্ড দলে খেলার সুযোগ করে দেন, এবং তখন থেকে এই স্টোকপোর্টে জন্ম নেওয়া খেলোয়াড় তার জাতীয় দলের হয়ে ১৮ বার মাঠে নেমেছেন, এবং ২টি গোল ও ৬টি এসিস্টও অর্জন করে নিয়েছেন।

তবে, ফোডেন যতই প্রতিভাবান হয়ে থাকুক না কেন, তাকে নিয়ে একটি ধারাবাহিক সমালোচনা হল যে, তিনি নাকি জাতীয় দলের হয়ে সেই লেভেলে পারফর্ম করতে পারেন না, যেমনটি তিনি করে থাকেন তার ক্লাব দল ম্যানচেস্টার সিটি’র হয়ে। অনেকের সেই ধারণাটিকে ভুল প্রমাণিত করার সবচেয়ে ভালো সময় হল ফোডেনের জন্য আগামী কাতার বিশ্বকাপ। সেখানে যদি তিনি একটি ইতিবাচক মানসিকতা ও পারফর্মেন্স লেভেল বজায় রাখতে পারেন, তাহলে আজীবনের জন্য সেসকল নিন্দুকরা চুপ হয়ে যাবে।

এছাড়া, এই যুবা তারকা সম্প্রতি ম্যানচেস্টার সিটি’র সাথে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যার সুবাদে তিনি আরও বহু বছর এতিহাদ স্টেডিয়ামে কাটাতে পারবেন, এবং ২২৫,০০০ পাউন্ডের সাপ্তাহিক বেতনও পেতে থাকবেন। ফলে, তিনি হলেন বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বেতনধারী যুবা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম, যে কারণে বিশ্বকাপে তাকে ঘিরে ইংল্যান্ডের প্রচুর প্রত্যাশা থাকাটাই স্বাভাবিক।

জামাল মুসিয়ালা – ১৯ বছর বয়সী, জার্মানি (Jamal Musiala – 19 years old, Germany)

তিনি হলেন একজন মারাত্মক যুবা প্রতিভা, যিনি কি না এই স্বল্প বয়সেই তার ক্লাব ও দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। তাই, জামাল মুসিয়ালা হলেন বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিভাগুলির মধ্যে একজন।

পড়ুন:  মুদ্রিকবিহীন আর্সেনাল সমস্যাবিহীনও বটেঃ আক্রমণভাগে রয়েছে গানারস'দের যথেষ্ট বিকল্প

জার্মানির ফুলদা শহরে জন্ম নেওয়া এই খেলোয়াড় হলেন বর্তমানে বায়ার্ন মিউনিখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডারদের মধ্যে একজন, এবং তিনি এমন একটি ক্লাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যে ক্লাবটি মূলত যুবা প্রতিভাদেরকে নষ্ট করার জন্যই কুখ্যাত। এবারের মৌসুমেই তিনি মাত্র ৮টি ম্যাচ খেলে ৫টি গোল ও ৪টি এসিস্ট অর্জন করে ফেলেছেন।

যদিও তিনি তার ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ যুবা ফুটবল খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার মুসিয়ালা জার্মানির হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন, এবং ২০২১ সালে তিনি প্রথমবারের মত জার্মান সিনিয়র একাদশে খেলার সুযোগ পান। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮। তার পর থেকে তিনি জার্মানির হয়ে ১৭টি ম্যাচে খেলেছেন।

এবারের বিশ্বকাপে যদি জার্মানি ভালো কিছু অর্জন করতে চায়, তাহলে জামাল মুসিয়ালাকে অবশ্যই একটি বিশাল ভূমিকা পালন করতে হবে।

উইলিয়াম স্যালিবা – ২১ বছর বয়সী, ফ্রান্স (William Saliba – 21 years old, France)

মাত্র ২১ বছর বয়সেই উইলিয়াম স্যালিবা বিশ্বের সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের মধ্যে একজন হিসেবে পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছেন। তার প্রকৃত ক্লাব আর্সেনাল থেকে দুই বছর লোনে অন্য ক্লাবে খেলে একজন পরিপোক্ত খেলোয়াড় হয়েই ফিরেছেন তিনি।

তিনি এবারের মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে সবকটি ম্যাচেই খেলেছেন এবং বল পায়ে তার কম্পোসার অবাক করার মতই। এমন একটি লীগে যেখানে বিশ্বের সেরা সেরা সব অ্যাটাকিং প্রতিভা মজুদ রয়েছে, তিনি একের পর এক অসাধারণ ডিফেন্সিভ পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে চলেছেন।

তিনি মার্সেই’তে লোনে থাকাকালীনই এবছরের মার্চ মাসে ফ্রান্সের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচটি খেলেন। তারপর থেকে তিনি জাতীয় দলের হয়ে সর্বমোট ৭টি ম্যাচ খেলেছেন। বর্তমান ফ্রান্স দলে বেশ কিছু পজিশনেই একাধিক বিশ্বমানের খেলোয়াড় উপস্থিত রয়েছেন, এবং সেন্ট্রাল ডিফেন্সও তার থেকে কোন অংশেই ভিন্ন নয়। তবে, স্যালিবা’র বর্তমান ফর্ম অবশ্যই ফ্রেঞ্চ কোচ দিদিয়ের দেশম’কে বাধ্য করবে তাকে দলে নেওয়ার জন্য।

ইংল্যান্ডের জুড বেলিংহ্যাম, স্পেনের পেদ্রি, বেলজিয়ামের আন্দ্রে ওনানা, ফ্রান্সের অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিসহ আরো অনেক যুবা খেলোয়াড়কেই এবারের বিশ্বকাপে দেখতে পাওয়া যাবে, এবং আমার মত আপনিও যদি যুবা খেলোয়াড়দের শুভানুধ্যায়ী হয়ে থাকেন এবং বড় মঞ্চে তাদের খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় কাতারের ফুটবল উৎসব শুরু হওয়া পর্যন্ত আপনারও তর সইছে না। কোন যুবা খেলোয়াড় এবার বিশ্ব জয় করবেন, তা দেখার জন্য এখন আর এক মাসেরও কম সময় অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে।

Share.
Leave A Reply